হ্যালো বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আপনারা সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলতে এসেছি, যা আমাদের অনেকের জীবনের সাথেই ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটা Browser, যা একসময় ছিল আমাদের Digital জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু আজ যেন সে স্মৃতির পাতায় বন্দী হতে চলেছে। হ্যাঁ, আমি আমাদের সকলের প্রিয় Firefox-এর কথাই বলছি!
একটু মনে করে দেখুন তো, যখন Internet Explorer নামক Microsoft-এর Browser টি যেন User-দের ওপর একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছিল, তখন Firefox যেন এক ঝলক মুক্ত বাতাস নিয়ে আমাদের সামনে হাজির হলো। Open Source, Non-Profit, আর Privacy-র দিক থেকেও ছিল অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য। সেই সময়টাতে Firefox যেন হয়ে উঠেছিল Internet ব্যবহারকারীদের আশা-ভরসার প্রতীক। কিন্তু এমন কী ঘটলো সময়ের স্রোতে, যে আজ তার Market Share একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে, ৩% এরও কম! অন্যদিকে Google-এর Chrome Browser প্রায় ৭০% Market Share দখল করে যেন একচ্ছত্র সম্রাট হয়ে বসে আছে!
বিষয়টা সত্যিই ভাবনার উদ্রেক করে, তাই না? একটা Browser, যা একসময় এত জনপ্রিয় ছিল, এত User-বান্ধব ছিল, তাহলে কেন সে আজ এত পিছিয়ে গেল? আর Chrome-ই বা কিভাবে এত দ্রুত Market-এর দখল নিয়ে নিল? Firefox-এর এই করুন পরিণতির কারণগুলো কী? আর Chrome-এর সাফল্যের পেছনের রহস্যটাই বা কী? Google-এর হাতেই কি তাহলে Internet-এর ভবিষ্যৎ বাঁধা? এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে, আমাদের একটু গভীরে ডুব দিতে হবে, প্রতিটি বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিশ্লেষণ করতে হবে। চলুন, তাহলে শুরু করা যাক!
সময়টা ছিল ২০০৪ সাল। Microsoft-এর Internet Explorer Browser টি যেন User-দের ওপর ঈশ্বরের মতো চেপে বসেছিল। User-দের কোনো স্বাধীনতা ছিল না, Browser Customize করার কোনো সুযোগ ছিল না। ঠিক সেই সময়টাতে Firefox যেন এক বিদ্রোহী হয়ে জন্ম নিল, যেন এক Middle Finger দেখিয়ে Microsoft-এর Browser-এর একনায়কতন্ত্রকে চ্যালেঞ্জ জানালো! Firefox কোনো Corporate Browser ছিল না, এটা ছিল সাধারণ মানুষের Browser, User-দের নিজেদের মতো করে তৈরি করার Browser। Browser টি Launch হওয়ার সাথে সাথেই যেন সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করলো। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই User-দের মন জয় করে নিল, আর ২০০৯ সালের মধ্যে Global Browser Market Share-এর ৩০% এরও বেশি নিজের দখলে নিয়ে এলো!
সেই সময়টাতে মনে হতো, Internet যেন এক নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। Open Source হওয়ার কারণে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের Developer-রা Browser টির উন্নতিতে নিজেদের মূল্যবান অবদান রাখতে শুরু করলেন, নতুন নতুন Add-on তৈরি করে Browser-টির Functionality আরও বাড়িয়ে দিলেন। User-রাও নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী Firefox-কে Customize করার সুযোগ পেলেন। কিন্তু সেই সোনালী দিন আজ কোথায়?
আজও অনেক মানুষ Firefox-এর প্রতি তাদের ভালোবাসা ধরে রেখেছেন, পুরনো স্মৃতি আর ভালোবাসার টানে আজও অনেকে Firefox ব্যবহার করেন। কিন্তু তাদের সংখ্যাটা খুবই কম। তাহলে প্রশ্নটা থেকেই যায়, কী ছিল সেই Browser-এ যা এত User-বান্ধব ছিল? কেন User-রা আজও Firefox-এর কথা এত আবেগ আর ভালোবাসার সাথে স্মরণ করেন?
আসুন, আমরা অন্যান্য Browser গুলোর দিকে একটু তাকাই, দেখি তারা User-দের কী Offer করছে। Google Chrome-এর প্রধান কাজ হলো User-দের Data Collect করা এবং সেই Data ব্যবহার করে Google-এর Ad Machine-কে আরও শক্তিশালী করা। সোজা বাংলায় বলতে গেলে, Chrome User-দের ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে Google-এর বিজ্ঞাপণ সাম্রাজ্যকে টিকিয়ে রেখেছে। শুধু তাই নয়, Google Incognito Mode-এ User Data Collect করার জন্য ৫ বিলিয়ন ডলারের Lawsuit ও মিটিয়ে ফেলেছে! তার মানে, Google Privacy-র কথা বললেও, User-দের Data Collect করা থেকে একচুলও পিছপা হয়নি। তারা Privacy-কে ব্যবসার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।
Microsoft Edge-ও একই পথে হাঁটছে। তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো User Data Collect করা এবং সেই Data ব্যবহার করে Bing, Windows Integrations, আর Microsoft-এর অন্যান্য Service গুলোর Promotion করা। User-দের Consent ছাড়াই তাদের Browsing Activity Track করার জন্য Microsoft-এর বিরুদ্ধেও Class Action Lawsuit হয়েছে।
তাহলে Firefox-এর বিশেষত্বটা কোথায়? অন্যান্য Popular Browser গুলোর মতো Firefox কোনো Big Machine বা কোনো Corporate Overlord-এর অংশ নয়। এটা তৈরি করেছে Mozilla Foundation, একটা Non-Profit সংস্থা। Mozilla Foundation-এর মূল উদ্দেশ্য হলো User-দের Privacy Protect করা, Internet-কে সকলের জন্য Safe এবং Open রাখা। Non-Profit সংস্থা হলেই যে সবকিছু ভালো হবে, এমন কোনো কথা নেই। Non-Profit সংস্থাগুলোতেও অনেক ধরনের সমস্যা থাকতে পারে। কিন্তু Firefox-এর ক্ষেত্রে Mozilla Foundation-এর Priority হলো User-দের স্বার্থ রক্ষা করা, যা অন্য Browser-গুলোর মধ্যে দেখা যায় না। অন্যান্য Browser Company গুলো যেখানে Shareholder-দের Profit বাড়ানোর জন্য User-দের Data ব্যবহার করে, সেখানে Firefox User-দের Privacy-কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। আর এটাই হলো Firefox-এর মূলমন্ত্র: Privacy First!
আসুন, সেই কারণগুলো একটু বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা যাক, যা Firefox-কে User-দের কাছে এত জনপ্রিয় করে তুলেছিল:
Firefox-এর Source Code সবার জন্য উন্মুক্ত। যে কেউ Source Code দেখতে পারবে, Edit করতে পারবে, নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী Customize করতে পারবে। Google Chrome-এর ভেতরের অনেক কিছুই User-দের জানার বাইরে থেকে যায়, কিন্তু Firefox তার User-দের কাছে সবকিছু Open রাখে, কোনো কিছুই লুকানোর চেষ্টা করে না। Open Source হওয়ার কারণে Developer-রা নিজেদের মতো Add-on তৈরি করতে পারে।
Firefox-এর ETP Feature টি Automatically Third-Party Tracker-দের Block করে দেয়। এর ফলে Website গুলো User-দের Browsing Habit Track করতে পারে না। ETP User-দের Online Activity-কে Trackers থেকে Protect করে, তাদের Privacy নিশ্চিত করে। Social Media Platform গুলো User-দের Browsing Habit Track করে Targeted Advertisement দেখানোর জন্য, কিন্তু Firefox User-দের সেই Tracking থেকে মুক্তি দেয়।
Firefox-এর Total Cookie Protection Feature টি Website গুলোকে Cross-Site Tracking করতে বাধা দেয়। Cookie হলো ছোট Text File, যা Website গুলো User-দের Computer-এ Store করে রাখে। এই Cookie User-দের Log In Information, Preferences এবং Browsing Habit Store করে রাখে। Website গুলো এই Cookie ব্যবহার করে User-দের Track করে এবং Targeted Advertisement দেখায়। Firefox-এর Total Cookie Protection Feature প্রতিটি Website-এর জন্য আলাদা Cookie Container তৈরি করে, যার ফলে Website গুলো Cross-Site Tracking করতে পারে না। Cookie গুলোকে একটা Jail-এর ভিতরে আটকে রাখে।
এছাড়াও Firefox Fingerprinting Scripts এবং Crypto Mining-এর মতো ক্ষতিকর Script গুলো Block করে User-দের Device-কে Protect করে। Fingerprinting হলো এমন একটা Technique, যা Website গুলো User-দের Browser এবং Computer Configuration ব্যবহার করে তাদের Unique Identity তৈরি করে। Firefox এই Fingerprinting Block করে User-দের Anonymity Protect করে। Crypto Mining হলো এমন একটা Process, যা Computer-এর Resources ব্যবহার করে Cryptocurrency Generate করে। কিছু Website User-দের Consent ছাড়াই তাদের Computer ব্যবহার করে Crypto Mining করে। Firefox এই ধরনের Script Block করে User-দের Computer-কে Protect করে।
এত কিছু ভালো Feature থাকার পরেও Firefox কেন পিছিয়ে গেল, সেই প্রশ্নটা যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না। কী কারণে User-রা Firefox থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন?
সবকিছু ঠিক থাকার পরেও Firefox কেন ধীরে ধীরে User-দের মন থেকে হারিয়ে যেতে লাগলো, সেই কারণগুলো খুঁজে বের করাটা খুবই জরুরি। আসলে, Firefox-এর কিছু দুর্বলতা ছিল, যা সময়ের সাথে সাথে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একটা দুর্বল System-এর সাথে Race-এ টিকে থাকা কঠিন।
অনেকের মতে Firefox Chrome বা Edge-এর মতো Fast নয়। Firefox Load হতে বেশি সময় নেয়, যা User Experience-এর উপর Negative Impact ফেলে। ধীরগতির কারণে অনেক User Firefox ব্যবহার করতে দ্বিধা বোধ করেন। Speed কম হওয়ার কারনে User-রা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
Firefox Memory Use করার ক্ষেত্রেও খুব একটা Efficient নয়। এর মানে হলো, Firefox একই সাথে অনেক Tab Open করলে Computer Slow হয়ে যায়। যাদের Computer-এর RAM কম, তাদের জন্য Firefox ব্যবহার করাটা বেশ কষ্টকর হয়ে পড়ে। RAM বেশি Use করার কারনে Firefox ব্রাউজার টি অনেক User-এর কাছে পছন্দের নয়।
তবে Firefox তার Speed এবং Efficiency Improvement-এর জন্য लगातार কাজ করে চলেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে Firefox WebAssembly Handle করার ক্ষেত্রে ৭৫ গুণ বেশি Fast হয়েছে। WebAssembly হলো এমন একটা Technology, যা Complex Web Apps, Games এবং Tools Browser-এ আরও Smootherভাবে Run করতে সাহায্য করে।
তবে Firefox আগের চেয়ে অনেক Improvement করেছে। ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে Firefox WebAssembly Handle করার ক্ষেত্রে ৭৫ গুণ Fast হয়েছে, যার ফলে Complex Web Apps যেমন Games এবং Tools Browser-এ Smoother Run করে। কিছু Metrics-এ Chrome-কে ও ছাড়িয়ে গেছে। Speed আর Efficiency-র Improvement চলতেই থাকে, কিন্তু ততদিনে User-রা Chrome-এর দিকে ঝুঁকে গেছে।
কিন্তু Firefox-এর সামনে আরও বড় Issue আছে। কিছু Website Load করার সময়, Firefox কিছু Feature Load করতে Struggle করতে পারে, Visual Bugs অথবা Broken Features ও থাকতে পারে। Google Docs-এর মতো Platform Chrome-এ Firefox-এর চেয়ে অনেক Fast Load হয়। এর কারণ কী? কেন Firefox সব Website-এর সাথে Fully Compatible নয়?
আসলে এটা শুধু Firefox-এর সমস্যা নয়, পুরো Internet-এর সমস্যা! Google Internet-কে নিজের মতো করে Re-Shape করেছে, যার ফলে Firefox-এর মতো Browser-দের টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে।
২০০৮ সাল থেকে Chrome দ্রুত জায়গা করে নিতে শুরু করে। ২০১১ সালে Firefox-কে, ২০১২ সালে Internet Explorer-কে ছাড়িয়ে যায়, আর ২০১৬ সালের অক্টোবরে Global Market Share-এর বেশিরভাগ অংশ দখল করে নেয়। বর্তমানে Chrome-এর Market Share প্রায় ৭০%! এটা একটা Browser-এর জন্য অবিশ্বাস্য Dominance। Google আমাদের ধারণার চেয়েও বেশি শক্তিশালী। তারা পুরো Internet-কে নিজের চারপাশে Re-Define করেছে।
প্রায় সব Browser-ই Chromium নামক একটা Open Source Web Browser Project-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। Chromium হলো Google কর্তৃক Develop করা একটি Open Source Project, যা Browser তৈরির Platform হিসেবে কাজ করে। Chromium Lightweight, Fast, Developer-দের জন্য দারুণ, এবং এর মানে হলো Browser তৈরি করা সহজ, আর Web Standards-এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। Google এই Chromium Project Develop ও Maintain করে। Brave, Opera, Vivaldi, Samsung Internet, আর অবশ্যই Google Chrome, সবাই Chromium ব্যবহার করে। এমনকি Microsoft-ও Explorer-কে বিদায় জানিয়ে Chromium Band-Wagon-এ যোগ দিয়েছে।
এর মানে হলো, বেশিরভাগ Web Developer-ই Chromium-এর “Blink” Engine-এর জন্য Building করার দিকে Focus করে। কারণ, Chromium-এর জন্য Optimize করলে Website সব Browser-এ ভালোভাবে কাজ করবে। Firefox ছাড়া সবাই “Gecko” ব্যবহার করে। Gecko হলো Firefox-এর নিজস্ব Engine।
কিন্তু Google কেন সবাইকে তাদের Source Code Browser তৈরি করার জন্য দিয়েছিল? এর পেছনে Google-এর একটা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ছিল। Google চেয়েছিল Internet-এর Control নিজেদের হাতে রাখতে। আর Firefox কেন যোগ দেয়নি? কারণ, Mozilla Foundation নিজেদের Independence বজায় রাখতে চেয়েছিল, Google-এর হাতের পুতুল হতে চায়নি।
Chromium Adoption করার পর Internet-এ কিছু পরিবর্তন এসেছে। এটা Introduce করেছে Accelerated Mobile Pages, WEBP Images, HTML5, আর HTTP/3। এগুলো Technical Term, তবে সংক্ষেপে, এগুলো Web-এর বিভিন্ন Parts-কে Fast আর Stable করে। Developer Tool ও Introduce করেছে, যা সবকিছুকে Consistent করেছে।
কিন্তু এখানে একটা Problem আছে। Chromium Web Standard Set করেছে, অথবা আরও স্পষ্টভাবে বলতে গেলে, Google Web Standard Set করেছে, যা তাদের জন্য সুবিধাজনক। যেহেতু বেশিরভাগ Browser Chromium-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি, তাই Google যা Standard Set করে, সবাইকে সেটাই মেনে চলতে হয়। Google-এর হাতেই সব Power!
যেমন, Google Cookies-এর পরিবর্তে তাদের নিজস্ব System Introduce করার চেষ্টা করেছে: Federated Learning of Cohorts (FLoC)। Google বলছে, এতে Privacy বাড়বে, কিন্তু সত্যি বলতে এটা Advertising-এর উপর তাদের Power আরও বাড়িয়ে দেবে। FLoC User-দের Browsing Habit Track করার একটা Alternative Method, যা Google Develop করেছে।
Accelerated Mobile Pages (AMP) Technology আপনার Phone-এর Website-এর Speed বাড়াতে পারে, তবে এটি একই কাজ করে: Google-কে Web Formatting আর Ranking-এর উপর আরও Control দেয়। AMP হলো Google-এর তৈরি করা একটা Framework, যা Mobile Device-এ Website Load করার Speed বাড়ায়।
Chromium Resource Pre-Loading ও ব্যবহার করে, যা User Behaviour Predict করে, আর Google-এর মতো Platform গুলোকে Fast দেখায়। Resource Pre-Loading হলো এমন একটা Technique, যা User-দের সম্ভাব্য Action Predict করে আগে থেকেই Resources Load করে রাখে। এর ফলে Website Faster Load হয়। Firefox স্বতন্ত্র, কারণ এটা Google-এর তৈরি করা কোনো কিছুর উপর Depend করে না, Mozilla Foundation নিজেদের মতো করে Internet-কে Develop করতে চায়।
কিন্তু এখানেই শেষ নয়, Google-এর আধিপত্য আরও গভীরে প্রোথিত।
যদি আপনার Firefox Install করা থাকে, তাহলে আপনি একটা Experiment করে দেখতে পারেন: Chrome Browser-এ এবং Firefox-এ Google Docs অথবা Google Drive Open করুন। Speed-এর পার্থক্য স্পষ্ট দেখতে পাবেন। Google-এর Technology গুলো Google-এর Product গুলোর Benefit-এর জন্যই তৈরি। Google-এর Product-গুলোতে Firefox-এ Limited Features ও থাকে। Docs-এ Button Missing থাকে, YouTube Video-এর Playback খারাপ হয়, Google Meet-এর Feature Inconsistent থাকে। Firefox-এর Technology নেই বলে এমনটা নয়। পুরো Web-এর একটা Proportion Google Set করে, আর তাই Google-এর জন্য Built।
এমনকি Microsoft-ও একই Tactic Follow করছে। Firefox, আর Safari-র মতো Outsider-দের Chromium-এর সাথে Catch Up করার জন্য অনেক Time আর Resources Invest করতে হবে। এর Standard সুবিধার জন্য Set করা হয়েছে। Chromium Empire সবকিছু Google-এর Ecosystem-এ Feed করে।
তবে মজার বিষয় হলো, Firefox-ও কোনো না কোনোভাবে তা করে। কখনো ভেবেছেন Google কিভাবে এত Dominant Search Engine হলো? তাদের সবচেয়ে বড় Tactic হলো এর জন্য Pay করা। Company-টি অন্যান্য Browser-কে বিলিয়ন বিলিয়ন Dollar Pay করেছে। ২০২০ সালে তাদের Revenue-এর ৮৬% এর বেশি এবং ২০২২ সালে ৮১% Google থেকে এসেছে। বেশিরভাগ Browser-ই শুধু Chrome-এর Model ব্যবহার করছে না, Google-ও ব্যবহার করছে। Firefox কয়েকটি Non-Chromium Based Browser-এর মধ্যে একটি হওয়া সত্ত্বেও, Google-এর উপর Depend করে।
কিন্তু এই পরিস্থিতি Change হতে পারে। Internet-এর দুনিয়ায় সম্প্রতি বিশাল Disruption হয়েছে।
২০২৪ সালের ৩ জুন Google তাদের সবচেয়ে Impactful Browser Feature Roll Out করেছে: Manifest V3। তারা Manifest V2-এর উপর Built Extension গুলো Phase Out করছে, আর ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সব Chromium Based Browser Migrate করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এটা কেন Important? Google বলছে এটা Privacy-র উন্নতির জন্য, Extension গুলো যে Data Collect করতে পারে, সেটা Limit করা হবে, আর Browser Speed ও বাড়বে। হয়তো এটা সত্যি, কিন্তু এটাই আসল Reason নয়।
আসলে Google কোনো Browser Company নয়, এমনকি Search Engine Company-ও নয়। তারা একটা Advertising Company। Google-এর Revenue-এর ৭৫% এর বেশি শুধু Advertisement থেকে আসে। Manifest V3 হলো Adblocker-দের উপর Targeted Attack। Manifest V3 Extension গুলোর Power Limit করে দেয়, যার ফলে Adblocker গুলো ঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। Ublock Origin-এর মতো Extension এখন Extremely Limited, অথবা কাজই করে না। Banner Ads, YouTube Ads, Pop Ups এখন Free Game।
Adblocker শুধু সুবিধার জন্য ছিল না, এগুলো Privacy-র ও Protection করত। অনেক Ad Blocker Third Party-কে Track করা থেকে আটকায়। স্বাভাবিকভাবেই, মানুষ ক্ষিপ্ত। অনেকে Chromium Platform ব্যবহার করত, কারণ তারা Chrome পছন্দ করত না, কিন্তু Consistency উপভোগ করত। Google Internet-এর উপর তার Control ব্যবহার করে তার Bottom Line নিশ্চিত করছে। Adblocker সরিয়ে দিচ্ছে, কারণ এগুলো তার Revenue-এর জন্য Risk।
অন্যদিকে, Firefox-এর জন্য ভালো খবর! Google Ecosystem-এ খুব কম Outsider-এর মধ্যে একজন হওয়া হয়তো ফল দিতে শুরু করেছে। মানুষ Chromium থেকে Firefox-এর দিকে ঝুঁকছে। যারা Privacy নিয়ে সচেতন, তারা Chrome ছেড়ে Firefox-এর কথা ভাবছেন।
Google-এর বিরুদ্ধে Monopoly ব্যবসা করার অভিযোগ উঠেছে। তারা Browser গুলোকে Default Search Engine হওয়ার জন্য Pay করে Competition দমিয়ে রাখে। একজন US Judge Google-কে Illegal Monopoly ঘোষণা করেছেন। শুধু তাই নয়, Google-কে Chrome Sell Off করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এটা ভালো খবর মনে হতে পারে, তবে মনে রাখবেন, Firefox-এর বেশিরভাগ Revenue Google থেকে আসে। সেই Revenue তারা আর পাবে না। সত্যি বলতে, এটা Google-এর চেয়ে Firefox-এর বেশি ক্ষতি করবে।
তাহলে Firefox-এর জন্য কি কোনো আশা আছে? Google-এর বিরুদ্ধে চলতে থাকা Antitrust Case-এর ফলাফল Firefox-এর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে। যদি Google-কে Chrome Sell Off করতে হয়, তাহলে Market-এ Competition বাড়বে, যা Firefox-এর জন্য Positive হতে পারে।
Firefox Google Ecosystem-এর বাইরের একজন, Independent একটা Browser, আর এই কারণেই আমাদের এটির প্রয়োজন। এটা Google-এর প্রভাবশালী Monopoly-কে Challenge করে। হয়তো এটি Web-এর একটা Niche Part হয়েই থেকে যাবে। কিন্তু আসল কথা হলো তাদের অস্তিত্ব আছে।
এখন, Manifest V3, Google-এর অনেক নতুন Problem, আর Firefox-এর Speed ফিরে পাওয়ার সাথে, এক দশকে এর জায়গা ফিরে পাওয়ার সেরা Chance এসেছে। কিন্তু পথটা সহজ নয়। Google-এর Money ছাড়া, স্বাধীনভাবে টিকে থাকা Firefox-এর জন্য একটা বড় Challenge।
তবে User-দের সমর্থন আর Mozilla Foundation-এর প্রচেষ্টা থাকলে, Firefox অবশ্যই ঘুরে দাঁড়াতে পারবে। Privacy-র প্রতি Focus আর Open Source Philosophy-ই Firefox-কে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে।
আপনারা কোন Browser Use করেন? Firefox-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আপনার কী মনে হয়? টিউমেন্টt করে জানান! আর হ্যাঁ, এই টিউনটি টি Share করতে ভুলবেন না! আপনার একটা Share হয়তো Firefox-এর ঘুরে দাঁড়ানোর পথে সাহায্য করতে পারে। ধন্যবাদ!
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 227 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
Firefox একদম ফালতু হয়ে গেছে। আগে আমার প্রধান ব্রাঊজার হিসাবে ব্যবহার করতাম।কিন্তু এখন ডিলেট করে দিয়েছি।