আমরা প্রায়ই Billionaires-দের জীবনযাত্রা নিয়ে আলোচনা করি, তাদের বিশাল প্রাসাদ, দামি গাড়ি, আর বিলাসবহুল জীবনযাপন দেখে আমরা অবাক হই। কিন্তু, তাদের জীবনের আরও একটা দিক আছে, যা তারা সবসময় আমাদের থেকে লুকিয়ে রাখে। সেটা হল Power এবং Control-এর এক অন্ধকার জগত। তারা শুধু টাকা কামানোর জন্য ছোটে না, তারা এমন একটা Power চায়, যা দিয়ে তারা পুরো বিশ্বকে নিজেদের মতো করে চালাতে পারে।
আসলে, টাকা তাদের কাছে একটা সাধারণ Game-এর মতো, যেটা তারা অনেক আগেই Master করে ফেলেছে। এখন তাদের মূল লক্ষ্য হল সেই Control, যা দিয়ে তারা ভবিষ্যৎকে নিজেদের মতো করে গড়তে পারবে। তারা বিশ্বাস করে, তারাই জানে এই বিশ্বের জন্য কোনটা ভালো, তাই তারা নিজেদের হাতেই সব Reins রাখতে চায়। এই Power-এর নেশায় তারা গোপনে কিছু Meeting করে, যেখানে তারা নিজেদের Plan গুলো ঠিক করে। আর এই Secret Plan গুলো করার জন্য তাদের দরকার হয় এমন কিছু Location, যেখানে কেউ তাদের বিরক্ত করতে পারবে না, যেখানে তাদের গতিবিধির উপর কেউ নজর রাখতে পারবে না। আজ আমি আপনাদের সেই Location গুলো নিয়েই কথা বলব। তাহলে চলুন, শুরু করা যাক এক রোমাঞ্চকর যাত্রা!
শুরু করব Bilderberg Group দিয়ে। এই Group-টি তাদের বার্ষিক Meeting-এর জন্য এমন সব Remote জায়গা বেছে নিত, যেখানে সাধারণ মানুষের পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। একসময় তারা সুইজারল্যান্ডের Bergenstock Resort-এ মিলিত হতো। এই Resort-টি পাহাড়ের এত উঁচুতে অবস্থিত ছিল যে, সেখানে যেতে Private Finic ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না। এটা যেন ছিল এক দুর্ভেদ্য দুর্গ। কতটা Secret এবং Exclusive ছিল সেই জায়গাটা! সেখানে সাধারণ মানুষের প্রবেশাধিকার ছিল না বললেই চলে।
পরে, তারা তাদের Meeting-এর Location পরিবর্তন করে সুইডেনের Grand Hotel Salo Boden-এ চলে যায়। এই Location-টি ছিল চারপাশ থেকে পানি আর বন দিয়ে ঘেরা, যেন এক প্রাকৃতিক Fortress। এখানেও বাইরের কারও ঢোকা ছিল বেশ কঠিন। এই Remote Location গুলো বেছে নেওয়ার পেছনে একটাই কারণ ছিল - গোপনীয়তা। তারা এতটাই Secret থাকতে চাইত যে, তারা চাইত না তাদের Meeting-এর খবর যেন বাইরের কেউ জানতে পারে, এমনকি সাধারণ জনগণও না।
কিন্তু, তাদের এই Secret বেশিদিন Secret থাকেনি। কিছু সাহসী সাংবাদিক এবং লেখক, যেমন Charles Skelton এবং Daniel Estulin, তাদের এই Secret ফাঁস করার জন্য উঠেপড়ে লাগেন। তারা বিভিন্ন ফাঁস হওয়া Documents এবং Insiders-দের থেকে তথ্য জোগাড় করতে শুরু করেন। আসলে, Bilderberg Group-এর Meeting-গুলো হয়তো চিরকাল Secret থেকে যেত, যদি না তারা নিজেরাই Technology ব্যবহার করত। যখন যোগাযোগ System উন্নত হলো, তখন Track করা সম্ভব হলো যে Powerful Politicians এবং ধনী লোকেরা কোথায়, কিভাবে মিলিত হচ্ছে। আর তখনই তাদের Secret Meeting-এর খবর Public হতে শুরু করে।
এখন, Group-টি Public হওয়ার পর, তারা নিজেদের একটি Informal Discussion ফোরাম হিসেবে দাবি করে। তারা বলে, তারা ইউরোপ এবং North America-এর মধ্যে সহযোগিতা বাড়াতে চায়। তারা নিজেদের একটি নিরপেক্ষ জায়গা হিসেবে তুলে ধরে, যেখানে সবাই একত্রিত হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু, তাদের Meeting-এর সবকিছুই থাকে Top Secret। তারা বলে, তারা এমন একটি Private Space তৈরি করতে চায়, যেখানে World Leaders-রা কোনো ভয় ছাড়াই Global Challenges নিয়ে আলোচনা করতে পারে। কিন্তু, এই Secrecy-র কারণেই মানুষ তাদের আসল উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ করে। তাদের নিয়ে বিভিন্ন Conspiracy Theory তৈরি হয়, যা আজও Internet-এ ঘুরে বেড়ায়।
অনেকে মনে করেন, এই Group-টি আসলে একটি Shadow Government-এর মতো কাজ করে। তারা Global Politics এবং Economies-কে নিজেদের সুবিধার জন্য Manipulate করে। Whistleblowers-রা এমনও বলেছেন যে, অনেক Financial Crisis-এর পেছনেও তাদের হাত আছে। তাদের জন্য হয়তো Chaos মানেই Profit, আর তাই তারা সেই সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। আর এই সন্দেহ আরও বেড়ে যায়, যখন দেখা যায় Jeff Bezos, Bill Clinton, Angela Merkel এবং Henry Kissinger-এর মতো Powerful লোকেরা সেখানে আসেন। তাদের উপস্থিতি প্রমাণ করে, এই Meeting-গুলো শুধু সাধারণ আলোচনা নয়, বরং এর চেয়েও বেশি কিছু।
তাদের শুরুটাও ছিল বেশ রহস্যময়। ১৯৫৪ সালে নেদারল্যান্ডসের Hotel The Bilderberg-এ প্রথম Meeting-টি হয়েছিল। পোলিশ রাজনীতিবিদ Yosef Ringer, সোভিয়েত ইউনিয়নের প্রভাব কমানোর জন্য ইউরোপ এবং North America-এর Leaders-দের একত্রিত করেছিলেন। সেই Meeting-এ ১২০ জন Decision Makers-কে ডাকা হয়েছিল, যারা সবাই ছিলেন Powerful এবং প্রভাবশালী। যখন এত Powerful মানুষ এক জায়গায় মিলিত হন, তখন সেটা শুধু আলোচনা থাকে না, তার চেয়েও বেশি কিছু হয়। এর উদাহরণ হিসেবে আমরা ১৯৪৫ সালের Yalta Conference-এর কথা বলতে পারি, যেখানে Churchill, Franklin D Roosevelt এবং Joseph Stalin মিলিত হয়েছিলেন, ইউরোপকে ভাগ করার জন্য।
আসলে, Bilderberg Group-এর সদস্যরা চায়, টেবিলে তাদের একটা সিট থাকুক। আর এই টেবিলটা হলো সেই Ultimate Table, যেখানে সবচেয়ে Powerful সিটগুলো আছে, আর বাকি বিশ্ব সেখানে আমন্ত্রিত নয়। তারা নিজেদেরকে Power-এর কেন্দ্রে দেখতে চায়, যেখানে তারা Global Policy-কে Control করতে পারবে। তারা মনে করে, তারা ছাড়া আর কেউ জানে না বিশ্বের জন্য কোনটা ভালো।
এবার আমরা যাব Hawaii-এর Lai Island-এ। এই Island-টি দেখতে খুবই সুন্দর, যেন কোনো স্বর্গরাজ্য। কিন্তু, এর ভেতরে লুকিয়ে আছে Tech Giant-দের অনেক Secret, যা সাধারণ মানুষের জানার বাইরে। হয়তো আপনি মনে করেন, এই Island-এ যে কেউ যেতে পারে, যদি তার সামর্থ্য থাকে। কিন্তু, সত্যিটা হলো, এই Island-এর ৯৮% অংশই শুধু ধনী আর Powerful Tech Giant-দের জন্য। তারা Private Jets-এ করে সেখানে যায়, Top Secret Meeting-এর জন্য। এটা যেন তাদের Private Club, যেখানে তারা বাইরের কারও Interference চায় না।
২০২৪ সালের আগস্ট মাসে, যখন একজন Judge রায় দেন যে Google, Online Search-এ Monopoly বজায় রেখে Anti-Trust Law ভেঙেছে, তখন অনেক Tech Billionaires রেগে গিয়েছিলেন। কারণ, এই রায় তাদের Business-এর জন্য একটা বড় ধাক্কা ছিল। এরপরেই তারা Lai-তে গিয়ে মিটিং করে, নিজেদের Company-গুলোকে বাঁচানোর উপায় বের করার জন্য। তারা যেন নিজেদের World-এর King, যাদের কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। তাদের এই প্রতিক্রিয়া থেকে বোঝা যায়, তারা কতটা Powerful এবং নিজেদের Business-এর প্রতি কতটা যত্নশীল।
এই Location-টি বেছে নেওয়ার কারণ হলো, এটি Computer Tech Company Oracle-এর Co-Founder ল্যারি এলিসনের মালিকানাধীন। তিনি পুরো Island-টিকে Control করেন। তিনি তার Private Retreats-এ Tech Leaders, Venture Capitalists এবং Political Figures-দের সাথে Brainstorming Session করেন। কিন্তু, শোনা যায় এখানে শুধু Business আলোচনা হয় না, এখানে Secret Cloud Computing Advancements, AI Technologies এবং Data Privacy Policies নিয়েও আলোচনা করা হয়। এই বিষয়গুলো আমাদের ভবিষ্যৎকে Control করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই Island-টি Silicon Valley-এর খুব কাছে হওয়ায় Founders-দের জন্য এখানে আসা সহজ। তারা যেন নিজেদের Jets-এ চড়ে এক Place থেকে অন্য Place-এ উড়ে যেতে পারে। এই জায়গাটিকে বাইরে থেকে দেখলে মনে হয় একটা Luxury Retreat, কিন্তু এর ভেতরে লুকিয়ে আছে অনেক Secret। পুরো Island-টি এলিসনের Control-এ চলে। এমনকি, এখানে আসা Guest-দেরও ভালোভাবে যাচাই করা হয়। Resort-গুলো অনেক বড় হলেও, একসাথে ২০০ জনের বেশি Guest-কে থাকার অনুমতি দেওয়া হয় না। এখানে সব ধরনের Luxury সুযোগ-সুবিধা আছে, যেমন Beachfront Villas, Pacific Ocean-এর সুন্দর দৃশ্য, World Class Dining এবং Spa Services। Sensei Lai হলো একটি Wellness Retreat, যেখানে Holistic Well-Being নিয়ে কাজ করা হয়। এটি সম্পূর্ণ স্বনির্ভর, এখানে Solar Powered Energy Grids এবং Water Recycling System আছে। তাই কোনো Interference ছাড়াই Meeting করা যায়।
আসলে, এটা শুধু একটা সুন্দর Location নয়, এটা এমন একটা জায়গা, যেখানে Tech Innovations, Political Alliances এবং Entertainment Deals নিয়ে আলোচনা করা হয়, আর পুরো বিশ্ব অন্ধকারে থাকে। এখানে Tech Giant-রা নিজেদের মধ্যে Competition ভুলে গিয়ে একসাথে কাজ করে, যাতে তারা সবাই আরও Powerful হতে পারে। তারা যেন এমন একটা Secret System তৈরি করে, যেখানে তাদের Power সবসময় অটুট থাকে।
এবার আমরা যাব Hollywood-এর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের গোপন আস্তানা, Tetiaroa Atoll-এ। এই Island-টি Marlon Brando’s Island নামেও পরিচিত। এই Island-টি ফ্রেঞ্চ পলিনেশিয়ার পানিতে লুকানো একটি রত্নের মতো। যদি আপনি ২০১৯ সালে Disney হন এবং $৭১.৩ বিলিয়নে Century Fox কিনতে চান, অথবা যদি আপনি ২০২২ সালে Amazon হন এবং $৮.৪৫ বিলিয়নে Mgm Studios কিনতে চান, তাহলে কোথায় গিয়ে সেই Business Deals নিয়ে আলোচনা করবেন? যেখানে কেউ আপনার কথা শুনতে না পায়, যেখানে সবকিছু থাকবে গোপনীয়?
Formal আলোচনাগুলো হয়তো Us-এর সুরক্ষিত Meeting Room-এ হয়, কিন্তু শোনা যায় Acquisition-এর শুরুর দিকের কথা-বার্তা Tetiaroa Atoll-এই হয়েছিল। এই Atoll-টি ১২টি ছোট Island-এর একটি Ring, যা বাইরের জগৎ থেকে একটি প্রাকৃতিক Barrier তৈরি করেছে। এখানে শুধু একটি Resort আছে, The Brando Resort, যা Public-এর জন্য খোলা নয়। তবে, যাদের Tax Bracket ভালো, তারা সেখানে থাকার জন্য Apply করতে পারেন। Marlon Brando ১৯৬০ সালে ‘Mutiny On The Bounty’ Filming-এর সময় এই জায়গাটা খুঁজে পান। তিনি এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ১৯৬৭ সালে জায়গাটা কিনে নেন।
তার জন্য এটা ছিল Hollywood-এর Chaos থেকে পালানোর একটি জায়গা। কিন্তু, পরে এটা Exclusive Gatherings-এর একটি Place হয়ে ওঠে। এখানে এমন সব Meeting হয়, যা হয়তো পুরো বিশ্বে প্রভাব ফেলতে পারে। Hollywood-এর Rulers-রা এখানে Plan করেন কিভাবে Mergers-এর মাধ্যমে Industry-কে বদলে দেওয়া যায়। তারা এখানে Law Bypass করার উপায় খুঁজে বের করেন। তাদের Main Mission হলো Power আর Control নিজেদের হাতে ধরে রাখা। তারা চায়, তাদের গল্প বলার ক্ষমতা যেন সবসময় থাকে, কারণ তারা জানে, Storytelling Control করার মানেই Culture-কে Control করা।
আসলে, এই Atoll-টি শুধু একটা সুন্দর Location নয়, এটা হলো Hollywood-এর সবচেয়ে Powerful মানুষদের Secret Meeting Place। আজকাল Tetiaroa Atoll-এর মালিক হলো Pacific Beachcomber, যেটি Richard Bailey-এর তৈরি করা একটি Company। Bailey হলেন Environmental Sustainability-এর একজন অগ্রদূত।
এই তিনটি Location-এর বাইরেও এমন আরও কিছু Secret Place আছে, যেখানে Powerful লোকেরা মিলিত হন। তাদের মধ্যে কয়েকটা হলো:
Jekyll Island, Georgia:
এটা এখন Public Park হলেও, একসময় এটা ছিল ধনী পরিবারগুলোর খেলার জায়গা। ১৯১০ সালে এখানেই Federal Reserve Act তৈরি করা হয়েছিল। এই Island-টি ছিল Rockefellers, Morgans এবং Vanderbilts-এর মতো ধনী পরিবারগুলোর পছন্দের Destination। এখানে তারা মিলিত হয়ে দেশের Economy-কে Control করার Plan করতেন। এই Location-টি History-এর পাতায় Power-এর কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
Bohemian Grove, California:
এখানে প্রতি বছর Powerful পুরুষেরা মিলিত হন, যাদের মধ্যে শিল্পী, সঙ্গীতশিল্পী, Business Leaders, President এবং Media Executives-রা থাকেন। শোনা যায়, Manhattan Project-এর মতো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাও এখানে হয়েছিল। এই Place-টি Power-এর কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত, যেখানে Secret Discussions-এর মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে নির্ধারণ করা হতো।
এই Secret Location গুলো যেন Power-এর Battleground, যেখানে Elite-রা তাদের Rule তৈরি করে। তারা Game-এর পুরো Board Control করে, আর বাকি বিশ্ব অন্ধকারে থেকে যায়। তারা শুধু Game-এ থাকতে চায় না, তারা এর মালিক হতে চায়। তারা চায়, তাদের Control যেন সবসময় থাকে। তারা চায়, তারা যা বলবে, সেটাই যেন হয়।
আশাকরি, আজকের টিউনটি আপনাদের ভালো লেগেছে। এই Secret Location গুলোর কথা জেনে আপনার কেমন লাগল, তা অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানাবেন। যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তাহলে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। খুব শীঘ্রই নতুন টিউন নিয়ে আবার হাজির হব। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ!
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 212 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।