ভাবুন তো, আপনি যখন প্রথম ইন্টারনেট ব্যবহার শুরু করেছিলেন, তখন কিছু সার্ভিস এমন ছিল যা একদম ফ্রি ছিল—যেমন Gmail। হয়তো আপনার প্রথম ইমেইল অ্যাকাউন্টই ছিল Gmail-এ। তাতে আপনি যত খুশি মেইল জমিয়ে রাখতে পারতেন, ভাবতে হতো না স্টোরেজ নিয়ে। কিন্তু সেই সময় কি এখনো আছে? Google কি সত্যিই স্টোরেজে জায়গা কমে যাচ্ছে? বড় টেক কোম্পানিগুলোর এই ফ্রি সেবা মডেল কি ভেঙে পড়তে শুরু করেছে?
এই প্রশ্নগুলো অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন Google তাদের ক্লাউড স্টোরেজ নিয়ে আর উদার থাকছে না। আসুন, ব্যাপারটা একটু বিস্তারিতভাবে দেখি।
“কিছুই ফ্রি না”—এই প্রবাদ বাক্যটি আমরা সবাই শুনেছি। কিন্তু Big Tech Companies এমন একটি পৃথিবী তৈরি করেছিল যেখানে মনে হয়, অনেক কিছুই ফ্রি। Gmail, YouTube, Google Drive-এর মতো সেবা আমরা ফ্রিতেই ব্যবহার করতাম, কখনোই ভাবিনি এর পেছনে কী চলছে।
বাস্তবতা হলো, এই সব কিছুই আসলে ফ্রি ছিল না। মূল্যের বিনিময়ে আমরা কি দিয়েছি? Data। Google আমাদের টাকা নেয়নি, কিন্তু আমাদের Browsing Habits, Search History, Location Data ইত্যাদি সবকিছু নিয়েছে। এই Data তারা ব্যবহার করেছে Targeted Ads দেখানোর জন্য এবং লাভ তুলেছে বিশাল অঙ্কে। তবে, এই মডেলটি হয়তো আর আগের মতো কাজ করছে না।
কিন্তু কেন? আসুন সেই কারণগুলো খুঁজি।
সময়ের সাথে সাথে Google-এর মতো টেক জায়ান্টদের Profit কমতে শুরু করেছে। কিছু কারণ হলো:
এটা শুধু Data পেতে ব্যর্থ হওয়ার ব্যাপার না, এর সাথে মানুষের Ad Exposure-এর পরিমাণও কমে যাচ্ছে। যখন আপনি Ads দেখছেন না, তখন সেটার Market Price-ও কমে যায়, ফলে Google বা Meta-র মতো Ad Companies-এর Revenue ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর যখন লাভ কমে, তখন কোম্পানিগুলো আমাদের মতো End Users-এর ওপর চাপ সৃষ্টি করে।
আমরা যদি একটু পিছনে ফিরে যাই, 2004 সালে যখন Gmail প্রথম বাজারে আসে, তখন এটি ছিল একটি বিপ্লব। কারণ, Free Email Services তখন খুব সাধারণ ছিল না, আর Gmail-এর বড় আকর্ষণ ছিল এর 1 GB ফ্রি স্টোরেজ। অন্যান্য মেইল সার্ভিসগুলো মাত্র কিছু Megabytes স্টোরেজ অফার করত, যেখানে Gmail দিয়ে আপনি সহজেই প্রচুর মেইল সংরক্ষণ করতে পারতেন।
আরও মজার বিষয় হলো, একসময় Gmail অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য অন্য কারো Referral প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই সীমাবদ্ধতা উঠে যাওয়ার পর, আপনি চাইলেই অনেকগুলো Gmail অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে পারতেন, আর সেই অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করে প্রায় আপনার পুরো কম্পিউটারের সমান স্টোরেজ স্পেস পেতেন।
আমি মনে করি, অনেকের জন্যই Gmail ছিল প্রথম Cloud Storage। কারণ, তখন Cloud Storage-এর ধারণা বা প্রয়োজন খুব একটা পরিচিত ছিল না। তখনকার Home Computers-এ 20 GB-এর মতো Hard Drive থাকতো, আর 10টি Gmail অ্যাকাউন্ট থাকলে, আপনি সেই পরিমাণ স্টোরেজ পেতেন।
কিন্তু এখন ২০২৪ সালে এসে, Google-এর ক্লাউড যেন পুরোপুরি ভরে গেছে। তাদের এখন Storage-এর ব্যাপারে অনেক বেশি কৃপণ হতে হচ্ছে। সম্প্রতি তারা ঘোষণা করেছে, ২ বছর ধরে যেসব Gmail Accounts Inactive আছে, সেগুলো মুছে ফেলবে, যাতে কিছু Space খালি হয়।
এটা শুনে হয়তো অনেকেই বলবেন, "২ বছর ধরে যেগুলো ব্যবহারই হয়নি, সেগুলো মুছে ফেললে কী এমন ক্ষতি হবে?"—তবে এখানে একটা বড় সমস্যা লুকিয়ে আছে।
অনেক মানুষ Gmail-কে তাদের প্রথম Cloud Storage হিসেবে ব্যবহার করেছিল। বিশেষ করে যখন Proper Cloud Storage-এর ধারণা ছিল না, তখন Gmail-এ অনেক গুরুত্বপূর্ণ Data জমা করা হতো। হতে পারে, সেই অ্যাকাউন্টগুলোতে সংরক্ষিত আছে Passwords, Private Keys, অথবা এমন কিছু Accounts-এর তথ্য, যেগুলো তারা এখন Update করতে ভুলে গেছে।
এখন যদি সেই Accounts মুছে ফেলা হয়, তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ Data হারাতে পারে। আর যদি কেউ Gmail Inbox-কে একমাত্র Backup হিসেবে ব্যবহার করে থাকে, তাহলে সে বড় রকমের সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।
এটা মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। কিন্তু এখান থেকে আমরা যা বুঝতে পারি, তা হলো Google এখন তাদের Free Storage-এ আরও সতর্ক হয়ে উঠছে। এর মানে, Big Tech-এর ফ্রি সার্ভিস মডেল আর আগের মতো লাভজনক নয়।
একটা বিষয় খেয়াল করুন—আগে যেখানে মানুষ Flip Phones দিয়ে তোলা Pictures বা Videos শেয়ার করত, এখন মানুষ 4K Videos তুলছে, তাও 60fps-এ। আর এগুলো তুলছে Midgrade Smartphones দিয়েই।
এত বড় Data-এর চাহিদা বাড়লেও, Google সেই পরিমাণ Profit তুলতে পারছে না। আপনি যদি দেখেন যেখানে Terabyte Disk Space-এর দাম দেখানো হয়েছে, তাহলে দেখবেন 2010-এর পর থেকে দাম কমার হার অনেক ধীর হয়েছে। অন্যদিকে, Data Storage-এর প্রয়োজন বেড়েই চলেছে।
এই পরিস্থিতির প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি Google-এর অন্য সার্গুভিসলোতেও। YouTube-এ Ad Blockers ব্যবহারকারীদের নিষিদ্ধ করার নীতিমালা থেকে শুরু করে Google Drive এবং YouTube Premium-এর দাম বৃদ্ধি—সবই দেখাচ্ছে যে, Google আগের মতো আর উদার নেই।
আর সমস্যার সমাধানও খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। YouTube Platform-এ Bot Comments এবং Crypto Scams যেন আরও বেড়ে গেছে। কিছুদিন আগেই একটি Fake SpaceX Stream চলছিল যেখানে AI Elon Musk মানুষকে বলছিল তাদের Bitcoin দ্বিগুণ করতে!
এটা শুধু Google-এর বিষয় নয়। অন্য অনেক বড় Tech Companies-ও এখন একই রকম পরিবর্তন আনছে। উদাহরণস্বরূপ, Amazon এখন চায় মানুষ তাদের Alexa-র জন্য টাকা দিক। Smart Home Appliances Companies এখন কিছু Basic Functionalities-এর জন্য Subscription Fees নিচ্ছে।
এমনকি Snapchat পর্যন্ত তাদের Chat Portion-এ Ads দেখানোর চেষ্টা করছে, যেটি App-এর সবচেয়ে ব্যবহৃত অংশ।
Google-এর Ad Network এত বড় যে তাদের Antitrust Trial-এর Divestment Proposal-এ এটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক Industry Experts মনে করেন, Google-এর Ad Network-এর মূল্য $100 Billion-এর বেশি, যা এত বিশাল যে, সেটা কিনতে প্রায় দু-আড়াইজন Elon Musk লাগবে!
Google-এর Ad Network তাদের প্রধান Revenue Source। এই Network-এর কারণেই Google ফ্রি সেবা দিতে পারছে। কিন্তু এখন যদি Google-এর এই Antitrust Case-এ হার হয়, তাহলে তাদের ফ্রি Stuff-এর যুগ হয়তো শেষ হয়ে আসবে।
সব কিছু মিলিয়ে, এখন হয়তো আমরা এমন এক সময়ে আসছি যেখানে Big Tech-এর ফ্রি সেবা আর টেকসই হবে না। হয় বাজারের পরিবর্তনের কারণে, না হয় সরকারী হস্তক্ষেপের মাধ্যমে—Google-এর মতো কোম্পানিগুলো ফ্রি Service Model থেকে সরে আসছে।
কী মনে করেন? আপনার মন্তব্য জানাতে ভুলবেন না!
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 694 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।