আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই, আশা করছি ভাল আছেন। বরাবরের মত হাজির হলার নতুন একটি টিউন নিয়ে।
টিকটক নিয়ে আমি এই পর্যন্ত অনেক টিউন করেছি, খুটিনাটি অনেক কিছুই হয়তো জানতে পেরেছেন আজকে অনেক দিন পর টিকটক নিয়ে আরেকটা টিউন না করে পারলাম না। আজকের এই টিউনে টিকটকের রহস্যময় এলগোরিদম নিয়ে কিছু আলোচনা করব।
টিকটকের সেই বিখ্যাত এলগোরিদম সম্পর্কে হয়তো আপনি জানেন। একমাত্র এই এলগোরিদম পুরো প্লাটফর্মটিকে রাতারাতি জনপ্রিয় করে দেয়। ইউজারের দিক থেকে সামনের সারির সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম গুলোকেও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি করে। এই এলগোরিদমের কিছু দিক জানলে আপনি অবাক হবেন।
আপনি হয়তো এটা জানেন যে, এটি চীনের কোম্পানি হলেও তাদের দেশে টিকটক পরিচালিত হয় Douyin নামে। তবে আপনি এটা জানেন না চীনে যেসব ভিডিওকে প্রধান্য দেয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের বা আমাদের দেশের টিকটকে সেই সব ভিডিওকে প্রধান্য দেয়া হয় না। আমাদের দেশের টিকটক গুলোতে ফানি ভিডিও, ড্যান্স ভিডিও, মিমস ভিডিও ট্রেন্ডিং এ থাকলেও চীনের ভার্সনে ট্রেন্ডিং এ থাকে শিক্ষণীয় ভিডিও। চীনের ভার্সনে সব সময় ট্রেন্ডিং এ থাকতে দেখা যায় বিভিন্ন সাইন্স এক্সপেরিমেন্ট ভিডিও, এডুকেশনাল এচিভমেন্ট, খেলাধুলা ইত্যাদি।
শুধু তাই নয় আমাদের দেশের শিশুরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিকটক নিয়ে বসে থাকলেও চীনে সেই সুব্যবস্থা নেই। Douyin অ্যাপ ১৪ বছরের নিচে শিশুদের জন্য দিনে ৪০ মিনিটের বেশি ব্যবহারের সুযোগ নেই।
আর এই রহস্যময় এলগোরিদমের জন্যই আমাদের মত দেশ গুলোতে তৈরি হয় সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং চীনে তৈরি হয় গবেষক, উদ্যোক্তা, এবং বিজ্ঞানী।
কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রে ব্যান করার কথা উঠার পরেও এখনো ব্যান করা সম্ভব হয় নি এই রহস্যময় টিকটক। একবার যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের মালিকানা বিক্রি নিয়ে কথা উঠলে, টিকটক তাদের এলগরিদম বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানায় ফলে সেটা আর আগায় নি।
আজকে এ পর্যন্তই শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোন টিউনের সাথে ততদিন ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।