প্রিয় টিউন পাঠক বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি ভালোই আছেন। বরাবরের মতো আজকেও হাজির হয়েছি অসম্ভব সুন্দর একটা টিউন নিয়ে। আশা করছি ভালোই লাগবে। তো, চোখ বুলিয়ে একবার দেখে নিন আজকের টিউনটি। আপনি কী জানেন, ডিপফেইক কী? কীভাবে ডিপফেইক থেকে নিজেকে এবং নিজের প্রতিষ্ঠানকে রক্ষা করবেন? আপনি কী জানেন, দিন দিন ডিপফেইক ভয়াবহ হুমকি তে পরিণত হচ্ছে? চলুন জেনে নিই এ বিষয়গুলো সম্পর্কে।
ডিপফেইক হল এক ধরনের ফেইক ইমেজ বা ভিডিও যা মূলত কম্পিউটারের মাধ্যমে জেনারেট করা। এবং এ ফটো বা ভিডিওটি দেখলে মনে হবে যে, এটা আসল ফটো বা ভিডিও। ইন্টারনেটে এ ধরনের ফেইক ভিডিও বা ইমেজ এর পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। কেউবা, শুধুমাত্র বিনোদনের খাতিরে অন্যের বডিতে নিজের ফেস লাগাচ্ছে, অথবা নিজের বডিতে অন্য কারো ফেস লাগাচ্ছে।
তবে এই ফেইক ভিডিও বা ইমেজের অপব্যবহারও যে হচ্ছে না বিষয়টা এমনও নয়। দিন দিন এ ধরনের ফেইক ভিডিও বা ফটো এর মাধ্যমে ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে। ফলে দেখা যাচ্ছে, সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ ইন্টারনেটে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। ভুল মতামত প্রচার করছে। ফলে ইন্টারনেট জগতে সমালোচনার সৃষ্টি হচ্ছে এবং সেই সাথে মানবিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ও ঘটছে।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি শব্দটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। তবুও যদি সংক্ষেপে, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা হল, কৃত্রিম যন্ত্রপাতি গুলো কে মানুষের মতো চিন্তাভাবনা করার সক্ষমতা দান করা। প্রোগ্রাম গুলো এমন ভাবে তৈরি করা হয় যাতে করে, মানুষ যে ভাবে কাজ করতে পারে ঠিক একইভাবে ডিভাইস গুলোও যেন কাজ করতে পারে। ডিপফেইক ফটো বা ভিডিও গুলো এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সিরই ফসল। এই ভিডিও গুলো এতটাই বাস্তবসম্মত হয়ে যে, পরবর্তীতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি নিজেই অরিজিনাল ও ফেইক ভিডিওর মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না।
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি বা AI কে, প্রথমে যে ব্যক্তির ফেইক ভিডিও বা ফটো বানাতে হবে, সেই ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করতে দেয়া হয়। ফলে AI ব্যক্তিটির গতিবিধি এবং ব্যক্তিটির চেহারার গতিবিধি অনুকরণ করা শিখে নেয়। ফলে এমন বাস্তবসম্মত ফেইক ভিডিও তৈরি করে যে, পরে আপনিও অবাক এবং AI ও অবাক।
ডিপফেইক এর ভিডিও বা ফটো গুলো ভালো মন্দ দু'ধরনের উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হতে পারে। যেমন- যে ব্যক্তির সাথে খবর এর কোন সম্পর্কই নেই, এমন কোন ব্যক্তি দিয়ে জাল সংবাদ বাস্তবসম্মত ভাবে তৈরি করা।
বলছিলাম, ডিপফেইক ভিডিও গুলো এতটাই বাস্তবসম্মত যে, ভিডিও তৈরির পর AI নিজেই বুঝতে পারে না যে কোনটি অরিজিনাল এবং কোনটি ফেইক। বর্তমান সময়ে ডিপফেইক ভিডিও গুলো স্পটিফাই করা একটা চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
আপনি প্রথমে ভিডিওটি খুব মনোযোগ সহকারে দেখবেন। ভিডিওটি দেখার সময় ব্যক্তিটির মুখের বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখবেন। যদি ব্যক্তিটির অঙ্গভঙ্গি বার বার একই দেখতে পান এবং ব্যক্তির কথাগুলো যদি ব্যক্তির ফেসিয়াল অঙ্গভঙ্গির সাথে না মিলে, তাহলে হয়তো আপনি একটি ডিপফেইক ভিডিও দেখছেন।
অনেক সময় ডিপফেইক ভিডিও গুলোতে এ ধরনের ত্রুটিও থাকে না। ফলে এ ধরনের ভিডিও চিনে ফেলা কঠিন হয়ে পরে। সেক্ষেত্রে ডিপফেইক ভিডিও গুলো চিনে ফেলার আর একটি পদ্ধতি আছে। এটা হল ভিডিওটার ব্যাকগ্রাউন্ড দেখা। আপনি যদি খেয়াল করেন যে, ভিডিওটি খুব বেশি এডিট করা হয়েছে এবং ব্যাকগ্রাউন্ড এ কিছু কিছু উপাদান ঠিকঠাক ভাবে ফিট না, তাহলেও সম্ভবত আপনি একটি ডিপফেইক ভিডিও দেখছেন।
এতো কিছু পর্যবেক্ষণ করার পরও যদি আপনি নিশ্চিত হতে না পারেন, যে এটি একটি ডিপফেইক ভিডিও নাকি অরিজিনাল ভিডিও, তাহলে আপনি অনলাইন ডিপফেইক চেক টুল গুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে, টুল গুলোও যে শতভাগ ডিপফেইক ভিডিও চিহ্নিত করতে পারবে এমনটাও আমি বলছি না। কারণ, এসব টুলের মধ্যে সীমাবদ্ধ জ্ঞান ইনপুট করা অর্থাৎ নতুন কোন ত্রুটি এসব টুল নিজে নিজেই ধরতে পারবে না।
তাই ভিডিওর অরিজিনালটি চেক করার সর্বোত্তম উপায় হল ব্যক্তিটির সাথে কথা বলা এবং তাকে সোজাসুজি জিজ্ঞেস করা। ফেমাস কোন ব্যক্তি হলে এবং ঘটনাটা যদি সমালোচনার কারণ হয় তাহলেও সমস্যাটার সমাধান এই ভাবেই করা উত্তম।
ইন্টারনেটে ডিপফেইক ভিডিও ও ফটো গুলো দিন দিন বাড়ছে। এবং অনলাইনে গেলেই হয়তো আপনি ডিপফেক ভিডিও বা ফটো গুলো দেখতে পারবেন। এসব ডিপফেইক গুলোর মধ্যে জনপ্রিয় কয়েকটি ডিপফেইক নিচে উল্লেখ করলামঃ
এই ডিপফেইকটি সাবেক যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ব্যারাক ওবামাকে নিয়ে। এখানে তিনি একটা বক্তৃতা দেন যা মূলত কখনোই করেননি বা দেন নি। এই ভিডিওতে ব্যারাক ওবামার মুখের অঙ্গভঙ্গি ও ভয়ে-স নকল করা হয় অত্যন্ত সুনিপুণ ভাবে। এক্ষেত্রে ভিডিও তৈরিতে মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে। আর এই মেশিন-লার্নিং অ্যালগরিদম মূলত ক্লাসিফিকেশন অ্যালগরিদম যা অনেক গুলো অ্যালগরিদমের ব্যবহার মিলে গঠিত হয়।
এই ডিপফেইক ভিডিওটি জার্মান অভিনেতা জর্ডান পিলির। তিনি এই ভিডিওটিতে বারক ওবামা হিসেবে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। এই ভিডিওটিও মেশিন-লার্নিং ব্যবহার করে তৈরি করা অর্থাৎ জর্ডান পিলির ফেসে ওবামার ফেস অ্যাড-জাস্ট করতে মেশিন-লার্নিং ব্যবহার করা হয়েছে।
এই ডিপফেইক ভিডিওটি অভিনেত্রী গ্যাল গ্যাডটের। তিনি এই ভিডিওতে হিলারি ক্লিনটন হিসেবে বক্তৃতা দিচ্ছেন। অর্থাৎ এই ভিডিওতে গ্যাল গ্যাডটের ফেসের জায়গায় হিলারি ক্লিনটনের ফেস বসানো। এই ভিডিওটিও মেশিন-লার্নিং ব্যবহার করে তৈরি করা। হিলারি ক্লিনটন সম্পর্কে জানতে চাইলে নিচের লিংক এ ঘুরে আসতে পারেন।
এই ডিপফেইক ভিডিওটি FaceApp নামক অ্যাপ্লিকেশন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এবং এটি বাস্তবসম্মত মুখমণ্ডল তৈরি করতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ব্যবহার করে। অ্যাপ্লিকেশনটির সাহায্যে আপনি যে কোন ব্যক্তির ডিপফেইক ভিডিও বানাতে পারেন। এমনকি এটার সাহায্যে সেলেব্রিটিদেরও ডিপফেইক বানানো যায়।
এই ডিপফেইক ভিডিওটি ফেকঅ্যাপ দিয়ে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ এই ফেকঅ্যাপ একটি সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম যার সাহায্যে ডিপফেইক ভিডিও বসানো যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি ইউজারদের ভিডিওতে মুখমণ্ডল অদলবদল করতে দেয়। ডিপফেইক তৈরির জন্য এটি এক সময় অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলো।
আসলে ডিপফেইক একটি গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়। কারণ এই নকল ভিডিও গুলোর সাহায্যে মানুষকে প্রতারিত করা যেতে পারে। মানুষকে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়া যেতে পারে। মানুষের চরিত্রে কলঙ্ক যোগ করা যেতে পারে। এ ধরনের ডিপফেইক ভিডিও গুলো মানুষকে ছদ্মবেশে থাকতে সাহায্য করে। মিথ্যা বা গুজব ছড়াতে এসব ডিপফেইক ভিডিও ব্যবহার হয়। সমালোচনা মূলক তথ্য অনলাইনে নিয়ে আসে এবং নয়জি পরিবেশ সৃষ্টি করে। সাইবার অপরাধীরা ডিপফেইক এর মাধ্যমে পরিচয় পত্র চুরি এবং নানা ধরনের অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে পারে। তাই বলা যায়, ডিপফেইক সিকিউরিটিতে দুর্বলতা বয়ে আনে।
ডিপফেইক ভিডিও বা ফটো গুলোর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এটা ব্যবহার করে অপরাধ ময় পরিবেশও সৃষ্টি করাও শুরু হয়ে গেছে। ডিপফেইক ভিডিও গুলো দিন দিন পূর্বের তুলনায় আর বাস্তবসম্মত হয়ে উঠছে। তাই ডিপফেইক থেকে নিজেকে এবং নিজের সংস্থাকে বাঁচানোর উপায় জানা অপরিহার্য। নিচে ডিপফেইক থেকে বাঁচার কয়েকটি উপায় উল্লেখ করলামঃ
ডিপফেইক সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখুন এবং এটি সম্পর্কে আপডেট জ্ঞান গুলো জেনে নিন। ফলে, আপনি এটির শিকার হওয়ার আগে প্রস্তুত হতে পারবেন। আর এটা বুঝে নিন যে, ডিপফেক প্রযুক্তি ভবিষ্যতের হুমকি। এটার শিকার আপনিও হতে পারেন।
যে কোন মূল্যে ভিডিওর উৎস যাচাই করুন। যদি কোন ভিডিওকে আপনার ডিপফেইক ভিডিও মনে হয়, তাহলে ভিডিওর উৎস সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন। যদি সোর্সটি অজানা বা ফেইক বা কদিন হলে খোলা হয়েছে এমন সোর্স হয়, তাহলে সম্ভবত আপনি একটি ডিপফেইক ভিডিও দেখেছেন।
যে ইঙ্গিত গুলো ডিপফেইক ভিডিও নিশ্চিত করে সেগুলো খোঁজার চেষ্টা করুন। অর্থাৎ ভিডিওটি যদি খুবই সার্ফ হয় বা অঙ্গভঙ্গি গুলো অস্বাভাবিক না হয় তাহলে হয়তো ভিডিওটি অরিজিনাল। কিন্তু যদি এমন হয় যে, ভিডিওটি ওভার এডিটে-ট, ব্যাকগ্রাউন্ড এ উপাদান গুলোর মাঝে বেশ কিছু অমিল রয়েছে, কথার সাথে মুখের অঙ্গভঙ্গির অমিল দেখা যাচ্ছে এবং বারবার পুনরাবৃত্তি মূলক অভিব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে, তাহলে এগুলো ডিপফেইক এর নির্দেশ দেয়। তাই, ভিডিও দেখার সময় খুব মনোযোগ সহকারে দেখুন এবং বৈশিষ্ট্য গুলো খোঁজার চেষ্টা করুন।
নিশ্চিত হওয়ার জন্য টেকনোলজি ব্যবহার করুন। ডিপফেইক ভিডিও চিহ্নিত করা চ্যালেঞ্জ হওয়ার কারণেই প্রযুক্তিবিদরা বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার বা টুলস নিয়ে কাজ করছে। যাতে করে এগুলো খুব সহজেই ডিপফেইক ভিডিও চিহ্নিত করতে পারে। বর্তমানে সফটওয়্যার গুলো খুব সহজেই ডিপফেক ভিডিও চিহ্নিত করতে পারে। তবে ভিডিওটি অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে তৈরি করা হলে, সফটওয়্যার গুলো বার্থও হয়। ডিপট্রেস এর মতো জায়গা গুলো নজরে রাখুন বা খেয়াল করুন। মেইন ব্যক্তি ফেসের দিকেও খেয়াল রাখুন এবং দেখুন ভিডিওটির কোথাও টেম্পার করা হয়েছে কী না। টেম্পার অর্থ, যেখানে যেটা থাকার কথা নয় সেখানে সে উপাদান থাকা।
ভিডিওটি সন্দেহ জনক হলে আপনি একটি প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে রিপোর্ট করে জানাতে পারেন। সম্ভব হলে, যে ব্যক্তিকে নিয়ে ভিডিওটি করা তার সাথে সরাসরি কথা বলুন এবং নিশ্চিত হন যে ভিডিওটি ডিপফেইক কী না। এটাই ডিপফেইক চিহ্নিত করার সর্বোত্তম পন্থা।
উপরিউক্ত টিপস গুলো অনুসরণ করে, আপনি চাইলেই নিজেকে এবং নিজের সংস্থাকে ডিপফেইক নামক প্রযুক্তির হুমকি থেকে বাঁচাতে সক্ষম হবেন ইনশাআল্লাহ।
উপরিউক্ত আলোচনা থেকে আমরা জানলাম যে, ডিপফেইক কী এবং কীভাবে সেগুলো সনাক্ত করা যায়। আর আমরা এটাও বুঝতে পারলাম যে, এ প্রযুক্তি সম্পর্কে আমাদেরকে কেন জানতে হবে। ডিপফেইক কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিনোদন দিলেও এটা ক্ষতিরও কারণ হতে পারে। তাই ডিপফেইক প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান থাকা অপরিহার্য। ডিপফেইক ভিডিও গুলো বোঝার চেষ্টা করুন। অনলাইনে যাই দেখুন না কেন সহজে তা বিশ্বাস করবেন না। যাচাই বাচাই করে, তারপর বিশ্বাস করুন।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের টিউন। আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। কোন কিছু অস্পষ্ট থাকলে টিউমেন্ট করে আমাকে জানাবেন। আমার টিউন গুলো পড়তে ইচ্ছুক হলে অবশ্যই আমাকে ফলো দিবেন। নিজের খেয়াল রাখুন, পিতামাতার সেবা করুন। সুস্থ থাকুন, আল্লাহ হা-ফেজ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।