হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটির সদস্যরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালোই আছেন। বরাবরের মতো আজো হাজির হয়েছি নতুন কোন এক টিউন নিয়ে। আজকের টিউনের বিষয় হচ্ছে Android। Android তো আমরা সকলে ব্যবহার করি। কিন্তু কয়জন এর সম্পর্কে ভালভাবে সকল তথ্য জানি। হয়তো কিছু কিছু সংখ্যক মানুষ এ সম্পর্কে বেশ ভালো জানে। কিন্তু অধিকাংশই এ সম্পর্কে কোন কিছুই জানেনা। আজ আমি আপনাদেরকে জানাতে চলেছি অ্যান্ড্রয়েড কি এবং অ্যান্ড্রয়েড এর ইতিহাস সম্পর্কে।
আপনাদের মধ্যে অধিকাংশ লোক হয়তো অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করেন। কিন্তু এর ইতিহাস কি আপনারা কেউ জানেন? কত সালে সৃষ্টি হয়েছিল এই অ্যান্ড্রয়েড? কেন সৃষ্টি হয়েছিল এই অ্যান্ড্রয়েড? আপনারা এসব বিষয় স্পষ্ট ভাবে জানেন কি? না জেনে থাকলে পরে ফেলুন আজকের টিউনটি। স্পষ্টভাবে অ্যান্ড্রয়েড এর ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
সত্যিই আপনারা আজকে চমৎকার সুন্দর একটি টিউন পড়তে চলেছেন। সাধারণত আমরা ৯৬-৯৭% ফোনের উপর অ্যান্ড্রয়েড এর ব্যবহার দেখে থাকি। বিশ্বব্যাপী ৮৫-৮৯% মোবাইল ফোনের উপর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন দেয়া হয়েছে। নিঃসন্দেহে সবচেয়ে জনপ্রিয় মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। Android হচ্ছে Linux kernel এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা একটি পরিবর্তিত ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম।
অ্যান্ড্রয়েড এর জন্ম খুব কয়েক বছর পূর্বেই হয়েছে। এটা খুব বেশি পুরাতন অপারেটিং সিস্টেম নয়। উইন্ডোজ এর জন্ম যেমন ৩০-৪০ বছর পূর্বে হয়েছিল বা IOS এর জন্ম যেমন ২০-২৫ বছর পূর্বে হয়েছিলো ঠিক ততটা পুরাতন অ্যান্ড্রয়েড নয়। অ্যান্ড্রয়েড বাজারে খুব দেরিতে এসেছিল তুলনামূলক অন্য ভার্সন গুলোর তুলনায়। অ্যান্ড্রয়েড এর প্রথম ভার্সন বাজারে এসেছিল ২০০৮ সালের অক্টোবরে। অ্যান্ড্রয়েড এর বাজারে আসার পূর্বে ২০০৫ সালে গুগল অ্যান্ড্রয়েডকে অর্জন করে নিয়েছিল। তারপর এক নাগাড়ে তিন বছর কাজ করার পর ২০০৮ সালে এন্ড্রয়েড বাজারে আসে এবং সে ভার্সনটি ছিল অ্যান্ড্রয়েড 1.0।
Android যখন গুগল অর্জন করে নেয় তখন স্যামসাং-এর ও অ্যান্ড্রয়েডকে অর্জন করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা বলে অ্যান্ড্রয়েডে এমন কোন বিশেষ কিছু নেই যে তারা এটাকে অর্জন করে নেবে বা কিনে নেবে। তারা এটাকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে এটাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলো। আরো অনেক প্রতিষ্ঠানই ছিল যারা অ্যান্ড্রয়েডকে ফিরিয়ে দিয়েছিল। আজ সেই অ্যান্ড্রয়েড সবার হাতে হাতে।
Android Incorporate কোম্পানিটিকে চারজন লোক প্রতিষ্ঠা করেছিলো। এটাকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ২০০৩ সালের অক্টোবরে পালো আল্টো, ক্যালিফোর্নিয়ায়। তাদের নাম যথাক্রমে Andy Rubin, Rich Miner, Nick Sears এবং Chris White। Andy Rubin বর্তমানে ডেঞ্জারের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। Rich Miner বর্তমানে ওয়াইল্ডফায়ার কমউনিকেশনস, ইনকর্পোরেটেডের সহ প্রতিষ্ঠাতা। Nick Sears বর্তমানে টি-মোবাইলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট। Chris White বর্তমানে ওয়েবটিভির ডিজাইন এবং ইন্টারফেস প্রধান। তারা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান সাথে যুক্ত ছিল। তারা অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কাজ করছিল কিছুটা গোপনে। তাদের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে শুধু এটা জানা যায় যে তারা একটি মোবাইল সফটওয়্যার এর উপর কাজ করছিল।
প্রথম দিকে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ক্যামেরার জন্য একটি বিশেষ অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করা। কিন্তু পরে তারা বুঝতে পারে যে এটা বাজারে ততটা জায়গা দখল করতে পারবে না। পরে তারা মনোযোগ দেন স্মার্টফোনের জন্য একটা অপারেটিং সিস্টেমের তৈরির উপর। উইন্ডোজ মোবাইল এবং সিমবিয়ান মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেমের সাথে পাল্লা দিতে পারবে এমন একটি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করাই তাদের উদ্দেশ্য ছিল।
চারজন লোকই তিন থেকে চার বছর এই অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের ওপর কাজ করে। একসময় তাদের টাকা পয়সা শেষ হয়ে যায়। ফলে তারা বেশকিছু সময় কাল তাদের অপারেটিং সিস্টেমকে উন্নত করার জন্য অর্থের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা অর্থায়নে ব্যর্থ হওয়ায় গুগল অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমকে অ্যাকুয়ারড করে নেয়।
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট Android কে কিনে নেয়। প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্মচারীদের পূর্বের অবস্থানেই তারা রেখে দেয়। সে সময় গুগল মোবাইল বাজারে আসতে যাচ্ছিল এবং অ্যানড্রয়েড সম্পর্কে কোনো তথ্য প্রকাশ হয়নি। সে সময় রুবিন কতৃক নিয়ন্ত্রিত একটি দল লিনাক্স কার্নেলের ডেভলপ করছিল গুগল এর তত্ত্বাবধানে।
প্রায় তিন বছর কাজ করার পর প্রথম ভার্সন আসে যা HTC Dream মোবাইলের উপর এসেছিল এবং এটা শুধুমাত্র আমেরিকাতে লঞ্চ হয়েছিল। এই ফোনটি T-Mobil G1 নামেও পরিচিত।
এরপর অ্যানড্রয়েড আরো দুটি ভ্যারিয়েন্ট বাজারে আসে। অ্যান্ড্রেয়েড 1.1 এবং অ্যান্ড্রয়েড 1.2 যা আসলে জনগণের কাছে লঞ্চ হয়নি। এদের নাম দেওয়া হয় Astro Boy এবং Bender। যা Alpha ও Beta নামেও পরিচিত। এ সংস্করণ গুলো আসে ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে।
২০০৮ পর থেকেই Android অসংখ্য হালনাগাদ পেয়েছে বা করা হচ্ছে। এসব হালনাগাদ এর মাধ্যমে অপারেটিং সিস্টেমটিকে উন্নত ও ত্রুটি মুক্ত করা হচ্ছে সেই সাথে যোগ করা হচ্ছে নতুন নতুন সুযোগ সুবিধা। প্রত্যেক বড় ধরনের সংস্করণের নাম ইংরেজি বর্ণমালা অনুসারে রাখা হয়ে থাকে সাধারণত।
দুই মাস পরে অ্যানড্রয়েড এর আরো একটি বড় ধরনের আপডেট আসে। অর্থাৎ সময়কাল ২০০৯ এর এপ্রিল এ অ্যানড্রয়েড ভার্সন 1.5 আসে যার নাম দেয়া হয় Cupcake। বেশ বড় ধরনের পরিবর্তন আসে এই Cupcake ভার্সনে। অ্যান্ড্রয়েড 1.0, 1.1 ও 1.2 ভার্সনে ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করা সম্ভব ছিলো না যা সম্ভব হয় অ্যান্ড্রয়েড 1.5 ভার্সনে। প্রয়োজনের খাতিরে আমাদের ফোনকে Portrait থেকে Landscape করার প্রয়োজন পড়ে। আর এ কাজটি অটোমেটিক হওয়া শুরু হয় অ্যানড্রয়েড 1.5 ভার্সনে বা Cupcake ভার্সনে।
২০০৯ সালের সেপ্টেম্বরে লঞ্চ হয় অ্যানড্রয়েড ভার্সন 1.6 বা Donut। Donut, CDMA এর সাপোর্ট পায় আর Cupcake, GSM এর সাপোর্ট পেয়েছিলো।
এক মাস পরেই অর্থাৎ ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে লঞ্চ হয় Eclair যার অ্যানড্রয়েড ভার্সন ছিলো 2.0 বা 2.1। অ্যানড্রয়েড 2.0 ভার্সনে অনেক উন্নতি ঘটানো হয়েছিল। এখানে Live wallpaper ব্যবহারের ব্যাবস্থা করা হয়। Google Maps Navigation যুক্ত করা হয়। Text to Speach এই সুযোগটাও এখানে অর্থাৎ Eclair এ চলে আসে।
এর পর ২০১০ এর মার্চে আসে অ্যানড্রয়েড 2.2 ভার্সন যাকে বলা হতো Froyo। অনেকগুলো ফিচারস এই ভার্সনে যুক্ত করা হয়েছিল। ওয়াইফাই এবং মোবাইল হটস্পট ফিচারসটি Froyo ভার্সনে যুক্ত করা হয়। নোটিফিকেশনে ফ্লাস এর সাপোর্ট ও এই ভার্সনেই যুক্ত করা হয়।
আসলে এসব ছিল খুব ছোট ছোট আপডেট অর্থাৎ 1.5, 1.6, 2.2, 2.3 ও 2.4 এইরকম আরকি। এখন আমরা কথা বলতে চাই বড় আপডেট গুলো নিয়ে অর্থাৎ 4 থেকে 5 বা 5 থেকে 6 এরকম আরকি। সেপ্টেম্বর ২০১০ সময়কালে লঞ্চ হয় এ অ্যানড্রয়েড 2.3 যার নাম Gingerbread। আর এই আপডেটে প্রথমবারের মতো ইউজার ইন্টারফেস বা আইকন সেইপ ইত্যাদি পরিবর্তন হয়। পুরো সিস্টেম এর ডিজাইন গুলো কে উন্নত এবং পরিবর্তিত রূপ দেওয়া হয়।
২০১১ সময়কালের ফেব্রুয়ারিতে Honeycomb নামক অ্যানড্রয়েড 3.0 ভার্সন লঞ্চ হয়। এটা আসলে মোবাইল ফোনের বড় স্ক্রিন এর জন্য রিলিজ হয়েছিল। অর্থাৎ মোবাইল ফোন বললে ভুল হবে এটা হবে ট্যাবলেট যার স্ক্রিন 7 থেকে 8 ইঞ্চি এরকম স্ক্রিনের উপর। মটোরোলা জুম ট্যাবলেট এর ওপর Honeycomb লঞ্চ হয়। এক্ষেত্রে অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ফিচারস এর ডিজাইন এর পরিবর্তন লক্ষ করা যায়। এক্ষেত্রে নোটিফিকেশন বার টা নিচে ছিল ট্যাবলেট হওয়ার কারণে। অ্যানড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে বড় একটা পরিবর্তন আনা হয় এ সংস্করণে।
২০১১ সালের অক্টোবরের 18 তারিখে Gingerbread ও Honeycomb এর কম্বিনেশনে বাজারে আসে অ্যান্ড্রয়েড 4.0 যার নাম দেওয়া হয় Ice cream sandwich। আসলে ট্যাবলেট এবং মোবাইল ফোনের ভার্সন এর ফিচারস এর কম্বিনেশনে তৈরি করা একটি অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন। ফেইস রিকোগনেশন এর মাধ্যমে মোবাইল ফোনকে আনলক করার ফিচারটি অ্যান্ড্রয়েড 4.0 ভার্সন চলে আসে।
এটা সত্যিই আসলে একটা মজার বিষয়।
এরপর ২০১২ এর জুলাই পর্যন্ত অ্যানড্রয়েড এর ইনক্রিমেন্ট আপডেট আসে যাতে ছিলো অ্যানড্রয়েড 4.1, 4.2 ও 4.3 যাদের সুইট নাম দেওয়া হয়েছে Jelly Bean। অ্যান্ড্রয়েডের এই ভার্সনে খুব বেশি পরিমাণ ফিচার যুক্ত হয়।
তারপর ২০১৩ অক্টোবরে আরো একটি ইনক্রিমেন্টাল আপডেট আসে যার নাম দেয়া হয় KitKat এবং এর অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ছিলো 4.4। এটা মানুষের কাছে খুব জনপ্রিয় হয় অর্থাৎ খুব বেশি সংখ্যক লোক এই ভার্সনের সফটওয়্যার ডাউনলোড করে। ভার্সনের খুব বেশি পরিমাণ অপটিমাইজেশন সুবিধা যোগ করা হয়। এখানে 512 MB এর র্যাম ব্যবহারের সুযোগ ছিলো।
এরপরে আনুমানিক দের বছর পর অর্থাৎ ২০১৪ এর নভেম্বরে বাজারে আসে Lollipop অ্যানড্রয়েড ভার্সন যা 5.0 তে আসে। এটা আসলে খুবই জনপ্রিয় হয় কারণ পূর্বের ভার্সন গুলোর তুলনায় এটার টোটাল লুক এবং ফিল পরিবর্তন হয়। এটা এতটাই উন্নত হয় যে তখন মনে হচ্ছিল যে এটা IOS এর সাথে টক্কর দিতে পারবে বা এর থেকে কম কিছু নয়। আমরা বর্তমান ফোনগুলোর সাথে পুর্বের ললিপপ ভার্সন এর ফোনের যেরকম তফাত দেখতে পাই সেরকম একটা তফাৎ হয়েছিল এই সময়ে।
এর পরে বাজারে ২০১৫ সালের অক্টোবরের লঞ্চ হয় অ্যান্ড্রয়েড 6.0 যার নাম দেওয়া হয় Marshmallow। এই ভার্সনের অনেক অনেক ফিচার যুক্ত করা হয় যা সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের লুক পরিবর্তন করে ফেলে। ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর টি মার্সমেলো ভার্সন এ যুক্ত হয়। পে আাউট এর পরিচিতি লাভ করে মার্সমেলো ভার্সনে। অ্যানড্রয়েড ইউএসবি টাইপ সি সাপোর্ট শুরু মার্সমেলো ভার্সনে।
এরপর লঞ্চ হয় Nougat যার অ্যানড্রয়েড ভার্সন 7.11 ছিলো। এই ভার্সনে বড় ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়। বড় ধরনের ডিসপ্লে যুক্ত হওয়া শুরু হয় ফোনের ক্ষেত্রে। অ্যানড্রয়েড ভার্সন টা তুলনামূলক স্ট্যাবল হতে শুরু করে। কুইক অ্যাপ সুইচিং, মাল্টিটাস্কিং ইত্যাদি ফিচারস যুক্ত হয়। সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে এর ব্যবহার শুরু হয়। এই এন্ড্রয়েড ভার্সন টি লঞ্চ হয় ২০১৬ সালের আগস্টের দিকে। এখানে বেশ কয়েকটি ইনক্রিমেন্টাল আপডেট আসে।
তারপর ২০১৭ সালের দিকে জুলাইয়ে অ্যানড্রয়েড ভার্সন 8.0 এর স্ট্যাবল ভার্সন লঞ্চ হয় যার নাম দেওয়া হয় Oreo। এই ভার্সনে আরো অনেক সুন্দর সুন্দর ফিচার যুক্ত করা হয়। সেটিংস মেনু এর সম্পূর্ণ পরিবর্তন ঘটানো হয়। পিকচার টু পিকচার মুড যোগ করা হয়। এছাড়াও আরও নানা ধরনের পরিবর্তিত ফিচার যুক্ত করা হয়।
তারপর ২০১৮ সালের আগস্টের দিকে লঞ্চ হয় অ্যানড্রয়েড ভার্সন 9.0 যার নাম দেওয়া হয় Pie।
২০১৯ এর মার্চে লঞ্চ হয় অ্যানড্রয়েড 10 যার কোন সুইট নেম দেওয়া হয় নি।
২০২০ সালের ৮ ই সেপ্টেম্বর অ্যানড্রয়েড 11 লঞ্চ হয়। সিকিউরিটি জনিত বিষয়গুলো এ ভার্সনে বেশ উন্নত করা হয়। এটিই এ পর্যন্ত আসা সর্বশেষ অ্যানড্রয়েড ভার্সন।
আমরা জানি যে অ্যান্ড্রয়েডের বিভিন্ন ভার্সনে বিভিন্ন ফিচার যুক্ত হচ্ছে এবং বিভিন্ন ফিচারস বাদ ও তো যাচ্ছে। তবে যাই হোক না কেন নেক্সট ভার্সনগুলো নিশ্চিতভাবে স্ট্যাবল ও উন্নত থেকে উন্নতর হচ্ছে। পরবর্তী ভার্সনগুলোতে সিকিউরিটিতে বেশ গুরুত্ব দিচ্ছে অ্যান্ড্রয়েড। বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম আইওএস অপারেটিং সিস্টেমের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
আমনকি বেশ কিছু ফিচারস সৃষ্টি হয়েছে যা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে আছে কিন্তু আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে নেই। তবে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম যে লেভেলে পৌঁছে গেছে সেই লেভেলে অন্য কোন কোম্পানিকে পৌঁছাতে অনেক সময় লাগবে। ততদিনে হয়তো অ্যান্ড্রয়েড আরো উন্নত থেকে উন্নতর অবস্থায় পৌঁছাবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল আজকের টিউন। আশাকরি আপনাদের কাছে টিউনটি ভাল লেগেছে। যদি সামান্যতম ভালো লাগার কারণ এই টিউনটি হয়ে থাকে তাহলে একটি জোসস দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন। আর টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে একটি টিউমেন্ট করে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। আমার টিউনটি সর্বপ্রথম দেখতে চাইলে আমাকে ফলো করুন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এক টিউনে। আজকের মত বিদায় নিচ্ছি। আল্লাহ হাফেজ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।