NFT কী? একটি JPEG ইমেজের দাম ৬৯ মিলিয়ন ডলার!

Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আপনারা জানেন আমি প্রায়ই বিভিন্ন বিশ্লেষণ মূলক টিউন করে থাকি। টিউন গুলোতে  বিভিন্ন কোম্পানি বা বিষয়ের ভাল দিক খারাপ দিক, তাদের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত, সুযোগ প্রতিবন্ধকতা ইত্যাদি উঠে আসে। তো আজকেও এমন একটি টিউন নিয়ে হাজির হলাম।

প্রযুক্তির কল্যাণে আমরা অনেক কিছুই দেখতে পাচ্ছি, প্রতিদিন নিচ্ছি নতুন নতুন সব অভিজ্ঞতা। আমাদের রুচি, চাহিদা, প্রযুক্তির উন্নতির সাথেই পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করা বিভিন্ন প্রযুক্তির মধ্যে কিছু দিন পরই হয়তো যোগ হবে NFT। ডিজিটাল এসেট বা সম্পত্তি সংরক্ষণে ব্যাপক ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে এই ধারণাটি।

ব্লক-চেইন ভিত্তিক এই প্রযুক্তি বা Non Fugible এই প্রযুক্তি দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। NFT এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্রেডিং কার্ড থেকে শুরু করে ভিডিও গেম, আর্ট, মিউজিক ইত্যাদি ডিজিটাল সম্পত্তি অনলাইনে নিলামের মাধ্যমে কেনা বেচা করা যাবে। নির্দিষ্ট সম্পত্তি গুলোর একক মালিকানা বা স্বত্ব ভোগ করতে পারবে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান। চলুন জেনে নেয়া যাক NFT কি এবং বর্তমান বিশ্বে NFT নিয়ে কিছু পাগলামি।

NFT কি

NFT এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Non Fungible Token। প্রকৃত পক্ষে Fungible কোন কিছু হচ্ছে, এমন কোন আইটেম বা পণ্য যা অন্য পণ্য বা বস্তু দ্বারা সম মূল্যে বিনিময় করা যায়। যেমন ধরুন আপনি কোন দোকানে গিয়ে ৫০ টাকার কোন পণ্য ক্রয় করলেন এবং দোকানদারকে ১০০ টাকার একটি নোট দিলেন। দোকানদার আপনাকে ৫০ টাকা ফেরত দেবে, এবার সে এই টাকা আপনাকে একটি ৫০ টাকা নোটেও দিতে পারে আবার পাঁচটা ১০ টাকার নোটেও দিতে পারে অথবা ২০ টাকার দুইটি এবং ১০ টাকার একটি নোটেও দিতে পারে। যে নোটেই দিকে এটা আপনার দেখার বিষয় না কারণ আপনি ৫০ টাকা ঠিকই পাচ্ছেন এবং এর ভ্যালু সমান, এটিই হল Fungible বস্তু।

আর Fungible এর একদম বিপরীত হচ্ছে Non Fungible। আরেকটি উদাহরণ দেখুন, ধরুন আপনি এবারের বই মেলা থেকে একটি বই কিনলেন এবং সেখানে লেখকের সাইন দেয়া আছে, আপনি বইটি কেনার সময় বইটি হতে নিয়ে একটি ছবিও তুলেছেন। কিছুদিন পর বইটি আপনার কোন বন্ধু পড়তে নিলো এবং সে আপনার বইটি না দিয়ে, দোকান থেকে একই বই কিনে দিলো। বইয়ের ভেতরে একই লেখা এবং মূল্য এক হলেও কিন্তু এটি আপনার কাছে আপনার আগের বইটির মত হবে না। আপনার বইটি ছিল স্পেশাল, আর এটিই হচ্ছে Non Fungible আর এই ধারণা থেকেই মূলত NFT এর উৎপত্তি। NFT আপনাকে নির্দিষ্ট মূল্যের বিপরীতে কোন পণ্য বা বস্তুর এমন ডিজিটাল সার্টিফিকেট দেবে যার মালিক কেবল আপনিই থাকবেন। কেউ চাইলেও আপনার সম্পত্তিকে নকল করতে পারবে না। আর এই ব্যবস্থায় ব্লকচেইনে আপনার সম্পত্তির রেকর্ড সংরক্ষিত থাকবে।

কেউ চাইলেও সেই রেকর্ডকে মডিফাই করতে পারবে না এবং নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত আপনিই এর একক মালিকানা ভোগ করবেন।

কোথা থেকে এসেছে এই NFT ধারণা

যদিও বর্তমানে বহু উদীয়মান ব্লক-চেইন তাদের নিজেদের টোকেন নিয়ে আসছে তবে, NFT তৈরি এবং ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় Ethereum ব্লক-চেইন। হয়তো আপনি NFT এর কথা শুনছেন কিছু দিন ধরে কিন্তু এই টোকেন ধারণা নিয়ে ক্রিপ্টো কমিউনিটিতে অনেক আগে থেকে প্রায় এক দশক ধরে এক্সপেরিমেন্ট হচ্ছিল।

ক্রিপ্টো ভিত্তিক কয়েন ধারণার প্রথম উদাহরণ হতে পারে Colored Coin। ২০১২ সালে Colored Coin এর সূচনা করেছিল, Yoona Asae। Colored Coin শুরু থেকেই বিটকয়েন ব্লক চেইনে রান হয়ে আসছিল। এই টোকেন গুলো কিছু মাত্রায় বিট-কয়েনের মতই ছিল এবং তাদেরও প্রধান উদ্দেশ্য ছিল নিদিষ্ট সম্পত্তির মালিকানা সার্টিফিকেট প্রদান করা।

দুর্ভাগ্যবশত Colored Coin বেশিদিন টিকতে পারে নি কারণ বিট-কয়েন সিস্টেমে এই ধরনের প্রযুক্তি সাপোর্ট করার যথেষ্ট ব্যবস্থা ছিল না এবং এটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়৷ এই ধরনের ব্যর্থতার পরেও ক্রিপ্টো কমিউনিটি আশাহত হয় নি। তখন থেকে তারা সরাসরি একটি ব্লকচেইনে ডিজিটাল সম্পদ সংরক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে কাজ করতে থাকে।

২০১৪ সালে, Counterparty নামে Peer To Peer ফাইনান্সিয়াল প্ল্যাটফর্ম লঞ্চ করা হয়। এটিও বিটকয়েন ব্লকচেইনের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয় তবে আগের চেয়ে আরও উন্নত ভাবে। এই Counterparty কে আধুনিক NFT এর ফাউন্ডেশন বা ভিত্তি বলে অভিহিত করা হয়।

ব্লক-চেইন ভিত্তিক টোকেন ধারণাটি ২০১৬ সালে একটি অদ্ভুত বা ভিন্ন কমিউনিটিতে দারুণ ভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। সেই সময় একটি ট্রেডিং কমিউনিটির আবির্ভাব ঘটে যাদের নাম ছিল Rare Pepi। এই Rare Pepi, Counterparty প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করে। তারা Counterparty এর ফাইনেন্সিয়াল টোকেন সিস্টেম ব্যবহার করে ট্রেডিং করা শুরু করে। তারা নির্দিষ্ট কিছু অদ্ভুত ধরনের ছবি বিক্রি করা শুরু করে এবং আশ্চর্যজনক ভাবে তখন মানুষ সেগুলো কেনার জন্য কয়েক হাজার ডলার দিতেও রাজি ছিল। Rare Pepi কে ধন্যবাদ দেয়াই যেতে পারে কারণ তারাই প্রথম ডিজিটাল আর্ট কেনা বা সংরক্ষণের ধারনাটি দিয়েছিল।

Ethereum কি?

২০১৭ সালে এই ধরনের ব্লক-চেইন ভিত্তিক টোকেন প্রযুক্তিতে দারুণ এক পরিবর্তন নিয়ে আসে Ethereum। বিটকয়েনের পরিবর্তে, Ethereum এর মাধ্যমে ব্লকচেইনে সরাসরি টোকেন তৈরি করা এবং স্টোর করার ব্যবস্থা দেয়া হয়৷ আর এটিই হচ্ছে Ethereum টোকেন বা Non Fungible Token। Ethereum হচ্ছে এমন ব্যবস্থা যেখানে Counterparty এর মত থার্ডপার্টি প্ল্যাটফর্মের কোন প্রয়োজন ছিল না। সর্বশেষ, যেমনটি প্রত্যাশা করা হয়েছিল পাঁচ বছর ঠিক সেই টোকেন নিয়ে এসে ব্লক-চেইন টোকেন সিস্টেমের মার্কেট লিডার হয়ে যায় Ethereum।

Ethereum এর শুরু থেকে এই ধরনের নিলামে প্রচুর পরিমাণে ডিজিটাল এসেট আসতে শুরু করে। Ethereum এ Crypto Punk নামে একধরনের ডিজিটাল পিক্সেল আর্ট দারুণ জনপ্রিয়তা পায়। বলে রাখা ভাল Crypto Punk তৈরি করেছিল Matt Hall এবং John Watkinson। প্রথম দিকে ১০০০ টি ইউনিক ক্যারেক্টার তৈরি করা হয় এবং সেগুলো Ethereum ইউজারদের জন্য বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দেয়া হয়। মার্কেটে চাহিদা বৃদ্ধি পাবার সাথে সাথে সেগুলো আবার সবার কাছ থেকে কেড়েও নেয়া হয়।

আপনি হয়তো জানলে অবাক হবেন গত মাসে এমন একটি ক্যারেকটার বিক্রি হয়েছে ১.৬ মিলিয়ন ডলারে, এবং আরেকটি বিক্রি হয়েছে ৭ মিলিয়ন ডলার। এবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন সামান্য একটি JPEG ফাইলের জন্য মানুষ কেন এত টাকা খরচ করে? প্রথমত এটা মানুষের সখ আর দ্বিতীয়ত হচ্ছে আসল ক্যারেক্টারটি মূল্য। আমরা সবাই জানি বিখ্যাত কোন শিল্পীর অরিজিনাল আর্টটির মূল্য অনেক বেশি হয়ে থাকে। হয়তোবা Crypto Punks এর ক্যারেক্টারটি কয়েক মিলিয়ন বার ডাউনলোড করে হার্ডড্রাইভে রেখে দেয়া সম্ভব কিন্তু কেউ এর অরিজিনাল ভার্সনটি কিন্তু পাবে না।

NFT নিয়ে প্রথম সোরগোল

২০১৭ সালের অক্টোবরের দিকে ক্রিপ্টো কমিউনিটিতে NFT নিয়ে দারুণ সোরগোল দেখা দেয়৷ আর এটি হয়েছিল কুখ্যাত একটি ডিজিটাল এসেট নিয়ে। সেই এসেট এর নাম ছিল Crypto Kitty৷ Crypto Kitty ছিল একটি ডিজিটাল ট্রেডিং গেম যা লঞ্চ করেছিল Axiom কোম্পানি। গেমটি সেই সময় ব্যাপক ভাবে জনপ্রিয়তা পেলে সেটি বেশ সমালোচিত হয়। গেমটিকে, ক্রিপটোকারেন্সির দিকে মানুষ ধাবিত করার একটি পথ বলে উল্লেখ্য করে প্রথম সারির নিউজ মিডিয়া গুলো। তাছাড়া অন্য যেকোনো ডিজিটাল এসেট থেকে কয়েকগুণ বেশি জনপ্রিয় ছিল গেমটি।

ডিজিটাল এসেট গুলো নিয়ে মাতামাতি কয়েক মাস স্থায়ী হলেও সেগুলো যে কমিউনিটি তৈরি করে গিয়েছিল সেটা এখনো আছে। মাত্র কয়েক বছর পর NFT এর মাধ্যমে GIF, Image, Video, Music ইত্যাদি কেনা বেচাও শুরু হয়। বর্তমানে ডিজিটাল এসেট ইন্ডাস্ট্রি গুলো যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এর সূচনা করে গিয়েছিল, Pepi Crypto, এবং Crypto Kitte এর মত এসেট গুলো।

NFT এর বর্তমান জনপ্রিয়তা

বর্তমান সময়ে Crypto Kitte এর মতই সফল একটি ডিজিটাল ট্রেডিং বলা যায় NBA Top Shot ওয়েবসাইটকে। NBA Top Shot হচ্ছে NBA প্লেয়ারদের নিয়ে একটি ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম। এখানে নির্দিষ্ট খেলার নির্দিষ্ট কিছু মুহূর্তের ভিডিও কেনাবেচা করা হয়। নির্দিষ্ট ব্যক্তি অর্থ প্রদান করার মাধ্যমে ভিডিও গুলোর মালিকানা নিতে পারে। কেউ একজন কোন ভিডিও কিনে নিলে সেটা অন্য কেউ দেখতে পারবে না এমনটি নয়। ভিডিওটি অন্যরাও দেখতে পারবে তবে মালিকানা থাকবে কেবল একজনের কাছেই। বিষয় গুলো আপনার কাছে অবাক লাগলেও মানুষ এগুলোর পেছনে হাজার হাজার ডলার ব্যয় করছে। এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা ব্যক্তিরা ভাবছে হয়তো সামনের দিন গুলোতে এসব ডিজিটাল সম্পদের দাম আরও কয়েক গুন বৃদ্ধি পাবে, কেউ পরবর্তীতে হয়তো আরও দাম দিয়ে তাদের কাছ থেকে কিনবে।

সর্বশেষ Lebron James এর একটি ক্লিপ ২০০, ০০০ ডলার পর্যন্তও বিক্রি হয়। সেই কমিউনিটি এসব ক্ষেত্রে দারুণ ভ্যালু দেখলেও, আমি ব্যক্তিগত ভাবে কেন যেন তেমন কিছু দেখতে পাচ্ছি না। তবে এটা মানতে হবে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ইন্ডাস্ট্রির জন্য NFT আশীর্বাদ হতে পারে। যেখানে মিউজিসিয়ানরা তাদের শ্রমের যথাযথ আর্থিক সম্মান পাচ্ছে না সেখানে এই ধরনের ব্যবস্থা তাদের বেশ সাহায্য করতে পারে। সম্প্রতি Kings Of Leon ব্যান্ড তাদের একটি মিউজিক এলবাম NFT তে রিলিজ করেছে।

NFT এর আরও কিছু পাগলামি

সুতরাং ইন্টারনেটে ডিজিটাল কাজ গুলোর মালিকানা পাওয়ার অন্যতম পথ হিসেবে NFT কে বলা চলে দারুণ একটি উদ্যোগ, কিন্তু সাম্প্রতিক সময় গুলোতে এটি নিয়ে বেশ পাগলামি হচ্ছে। আমরা সবাই জানি বিখ্যাত আর্টিস্টদের আর্ট বেশ চড়া দামে বিক্রি হয়, কিন্তু বর্তমানে কিছু NFT এর মূল্য যদি সেই বিখ্যাত চিত্রকর্ম গুলোকেও পেছনে ফেলে দেয় তখন?

সম্প্রতি Decentraland নামে একটি ভিডিও গেম বিক্রি হয়েছে ৮০, ০০০০ ডলারে, আরেকটি নিলাম একটি GiF বিক্রি হয়েছে ২০, ০০০০ ডলারে। এর চেয়ে আরও মজার বিষয় হল নিচে যে ইমেজটি দেখতে পাচ্ছেন Krypto Trucks নামে এটি বিক্রি হয়েছে ৩৪৮, ০০০ ডলারেরও বেশি দামে।

নিচে যে JPEG ইমেজটি দেখছেন এটিই কেনা হয়েছে ৬৯ মিলিয়ন ডলার দিয়ে,

এখানেই শেষ নয়, ট্যুইটারের CEO, Jack Dorsey তার করা প্রথম টুইটটি নিলামে তুলেছে এবং এখন পর্যন্ত এর সর্বোচ্চ দাম এসেছে ২.৫ মিলিয়ন ডলার।

 শেষ কথাঃ

তো আমরা NFT সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে ফেললাম। NFT নিঃসন্দেহে আগত ভবিষ্যতে ডিজিটাল এসেট সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে তবে বর্তমানে এটা নিয়ে পাগলামি হয়তো একটু বেশিই হচ্ছে। আমাদের দেশেও অনেকে ইতিমধ্যে NFT সম্পর্কে বেশ আগ্রহ দেখাচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য বলব আপনারা NFT তে আপনাদের ক্রিয়েটিভিটি বিক্রি করতে পারেন তবে এই মুহূর্তে অনেক টাকা দিয়ে কোন ডিজিটাল এসেট কেনা বুদ্ধি মানের কাজ হবে না।

একটা সময় থেকে শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত যেমন ফিজিক্যাল আর্ট মানুষ সখের বশে কিনে থাকে, সেই দিন আর দেরি নয় যখন NFT, ডিজিটাল এসেট সংরক্ষণের অন্যতম মাধ্যম হবে।

তো কেমন হল এই টিউনটি জানাতে ভুলবেন না, পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন আল্লাহ হাফেজ।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস