পৃথিবীতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রযুক্তি ক্লাউড কম্পিউটিং

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 7
২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা

হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটির সদস্যরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালোই আছেন আপনারা। আজ আপনাদের জন্য প্রযুক্তি সম্পর্কে একটা টিউন নিয়ে এসেছি। আশাকরি এ টিউনটি আপনাদের ভালো লাগবে এবং এখান থেকে আপনারা কিছু শিখতে পারবেন। তাই কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক টিউনটি।

বিজ্ঞানের এই যুগে আমাদের চারপাশে শুধু প্রযুক্তির ছোঁয়া। এর মধ্যে কিছু কিছু প্রযুক্তি রয়েছে যেগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আলোড়ন সৃষ্টিকারী। এসব প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান বিতরণ একান্ত জরুরী। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তির নাম হচ্ছে ক্লাউড কমপিউটিং। এ সম্পর্কে সামান্য আলোচনার মাধ্যমে আজকের টিউনের ইতি টানব ইনশাআল্লাহ।

ক্লাউড কম্পিউটিংঃ

বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে সাম্প্রতিককালে কম্পিউটার জগতে আলোড়ন সৃষ্টিকারী প্রযুক্তির নাম ক্লাউড কম্পিউটিং। তৎকালীন সময়ে প্রযুক্তির অধিকাংশই ক্লাউড এর উপর নির্ভর করে চলে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে কম্পিউটার জগত কে বিকশিত করেছে ক্লাউড কম্পিউটিং। প্রযুক্তিগত দিক থেকে কম্পিউটার জগতকে ক্লাউড কমপিউটিং এক নতুন বিপ্লবের সূচনা দিয়েছে।

আমরা সকলেই জানি যে ক্লাউড শব্দটির অর্থ মেঘ। প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ক্লাউড শব্দটি ইন্টারনেটের রূপক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। আকাশের সবখানে যেভাবে মেঘ ছড়িয়ে থাকে, ইন্টারনেট ও ঠিক তেমনি ভাবে সর্বত্র জালের মত বিস্তৃত হয়ে আছে। মেঘের মতো এই ইন্টারনেট থেকে কম খরচে সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার উপায় বের করতে গিয়েই জন্ম হয় ক্লাউড কম্পিউটিং নামক প্রযুক্তির।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর আসল বিষয় হচ্ছে নিজের ব্যবহৃত কম্পিউটার হার্ডওয়ার এর পরিবর্তে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী কোন প্রতিষ্ঠান কাছে থেকে সার্ভিস বা হার্ডওয়ার ভাড়া নেওয়া।

মনে করেন, একটি প্রতিষ্ঠান একটি ওয়েব সাইট রয়েছে এবং এই ওয়েবসাইটে একটি ব্লগ চলবে। এই ব্লগের অধিকাংশ ভিজিটর এবং ব্লগার বাংলাদেশের বাসিন্দা। এখানে সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ব্যবহারকারী বেশি থাকে। ফলে পুরো সার্ভার টা কাজে লাগে। কিন্তু রাত আটটা থেকে রাত বারোটা পর্যন্ত ব্যবহারকারীর খুব বেশি থাকে। ফলে চারটি সার্ভারের প্রয়োজন পরে। অর্থাৎ দিনের এক সময় একটি সার্ভারের প্রয়োজন পরে আবার দিনের আরেক সময় চারটি সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে। এখান থেকেই স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে ঐ ওয়েবসাইটটি চালাতে ২৪ ঘন্টাই চারটি সার্ভারের প্রয়োজন পরে না। কিছু সময়ের জন্য চারটি সার্ভারের প্রয়োজন পড়ে। যে সময় লোড বেশি থাকে সে সময়ের জন্য অতিরিক্ত সার্ভারগুলো ভাড়া নিতে পারলে অনেক খরচ বেঁচে যায়। এক্ষেত্রে সার্ভার ভাড়া দেওয়া প্রতিষ্ঠান গুলো ফ্রি সময়ে সার্ভার ভাড়া দিতে পারছে।

সত্যি কথা বলতে আমরা অটোমেটিক ক্লাউড কম্পিউটিং এর সাথে যুক্ত হয়ে গেছি। যেমন- আমরা সবাই ইমেইল ব্যবহারের জন্য ইয়াহু, জিমেইল বা হটমেইল ব্যবহার করি। ইন্টারনেট সংযোগ আর ইমেইল একাউন্ট থাকলেই আমরা যে কোন ডিভাইস থেকে যেকোনো সময় এটি ব্যবহার করতে পারি। এ ইমেইল অ্যাকাউন্ট গুলো কোথায় কিভাবে প্রসেস হচ্ছে বা সরক্ষণ হচ্ছে তা সাধারণত আপনি আমি জানিনা।

আর ক্লাউড ডাটা সেন্টারের থাকে অসংখ্য সার্ভার যেগুলো নেটওয়ার্কের মাধ্যমে একে অপরের সাথে যুক্ত। বিশেষ ধরনের অপারেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিটি সার্ভার চলে।

ক্লাউড কমপিউটিং এর গল্পটা শুরু হয় ১৯৬০ এর দশক থেকেই। ২০০৬ সালের দিকে বিশ্ব বিখ্যাত আমাজন ওয়েব সার্ভিস বাণিজ্যিকভাবে ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রচলন শুরু করে। ২০১০ সালে The Rackspace Clould ও NASA মুক্ত অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস এর সূচনা ঘটায়। এভাবেই ক্লাউড কমপিউটিং জনসাধারনের সেরা প্রযুক্তি হতে শুরু করে।

আসলে এটি একটি ইন্টারনেট সেবা যা কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের কম্পিউটিং এর চাহিদাকে পূরণ করতে ব্যস্ত থাকে। ক্লাউড কমপিউটিং এমন একটি প্রযুক্তি যা সহজভাবে, কম সময়ে, অধিক ক্ষমতা সম্পন্ন অনলাইন কমপিউটিং সেবা প্রদান করতে পারে। ক্লাউড কম্পিউটিংয়ে বেশকিছু নতুন ও পুরাতন প্রযুক্তিকে একটি বিশেষ ভাবে বাজারজাত করা হয় বা ক্রেতার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়।

National Institute Of Standard And Testing বা সংক্ষেপে NIST এর মতে ক্লাউড কম্পিউটিং এমন একটি মডেল যাতে তিনটি বৈশিষ্ট্য থাকে।

রিসোর্স স্কেলিবিলিটি (Resources scalability):

ক্রেতার চাহিদা যত বড়ই হোক না কেন তা মেটানো হবে। ক্রেতার সুবিধা অনুযায়ী সেবা দাতা সেবা দিবে।

অন-ডিমান্ড (On demand):

ক্রেতা যখন চাইবে তখন সেবা গ্রহন করতে পারবে। সে তার চাহিদা বাড়াতে বা কমাতে পারবে।

পে-অ্যাজ-ইউ-গো (Pay as you go):

এটি একটি পেমেন্ট মডেল। ক্রেতাকে পুর্বে থেকে কোন সার্ভিস রিজার্ভ করতে হবে না। ক্রেতা যা ব্যবহার করবে শুধু তার জন্যই পেমেন্ট দিতে হবে।

সার্ভিস মডেল অনুযায়ী ক্লাউড কম্পিউটিং এর শ্রেনিবিভাগঃ

অবকাঠামোগত সেবাঃ

ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান গুলো তাদের নেটওয়ার্ক, সিপিইউ, স্টোরেজ ও অন্যান্য মৌলিক কমপিউটিং রিসোর্স ভাড়া দেয়। যা ব্যবহারকারী তার প্রয়োজনীয় অপারেটিং সিস্টেম বা সফটওয়্যারে চালাতে পারে।

প্ল্যাটফর্মভিত্তিক সেবাঃ

এই কার্যক্রমে ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রয়োজনীয় হার্ডওয়ার, অপারেটিং সিস্টেম, ওয়েব সার্ভার, ডেটাবেজ, প্রোগ্রাম এক্সিকিউশন পরিবেশ ইত্যাদি থাকে। অ্যাপ্লিকেশন ডিভলোপারগন তাদের তৈরি করা সফটওয়ারে এই প্লাটফর্মে ভাড়ায় চালাতে পারে।

সফটওয়্যার সেবাঃ

সফটওয়্যার সেবা ব্যবস্থার ক্লাউড সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন করা অ্যাপ্লিকেশন বা সফটওয়্যার ব্যবহারকারীগণ ইন্টারনেটের মাধ্যমে চালাতে পারে। যেমন- গুগল ডকস এর কথা বলা যেতে পারে।

এসব ছাড়াও আরো একটি ক্লাউড কমপিউটিং সেবা বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটির নাম হচ্ছে সিকিউরিটি সেবা। কোন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান তুলনামূলক কম অর্থের বিনিময়ে কর্পোরেট অবকাঠামো হিসেবে কোন বৃহৎ প্রতিষ্ঠানের নিরাপদ তথ্য সেবা প্রদান করে এমন একটি ব্যবসায়িক মডেল হচ্ছে সিকিউরিটি সেবা। এসব সেবার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীগণ নিরাপদ আন্তঃক্লাউড নেটওয়ার্ক যোগাযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ভাইরাস, অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার, স্পাইওয়্যার অনধিকার প্রবেশ করা ঠেকানো ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

ক্লাউডের অবস্থান বা মানুষের মধ্যে ক্লাউড কমপিউটিং সেবার বিস্তৃতি অনুসারে একে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-

পাবলিক ক্লাউডঃ

যে ক্লাউড সার্ভিসের সেবা পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত থাকে তাকে পাবলিক ক্লাউড বলে। এক্ষেত্রে সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে অফিস রয়েছে যার উপর ব্যবহারকারীর কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পাবলীক ক্লাউডে পাবলিক অ্যাপ্লিকেশন, স্টোরেজ ও অন্যান্য রিসোর্ট সমূহ বিনামূল্যে ব্যবহারের জন্য খোলা থাকে। সকলেই সেবা গ্রহণ করতে পারে। উদাহরণ হিসেবে অ্যামাজন ওয়েব সার্ভিস এর কথা বলা যেতে পারে।

প্রাইভেট ক্লাউডঃ

এককভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন কোন ক্লাউড সার্ভিস যখন প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব কর্মী অথবা তৃতীয় পক্ষ দ্বারা পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে এবং তা প্রতিষ্ঠান অভ্যন্তরে অথবা বাইরে কোথাও হোস্টিং করে তখন তাকে প্রাইভেট ক্লাউড বলে। লাভজনক ব্যবসা পরিচালনার জন্য সাধারণত কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এ কার্যক্রম চালায়।

মিশ্র বা হাইব্রিড ক্লাউডঃ

দুই বা ততোধিক ক্লাউড যেমন -পাবলিক ও প্রাইভেট ক্লাউড একত্রে তাদের নিজস্ব স্বকীয়তা বজায় রেখে যখন রিসোর্স শেয়ার করে তখন তাকে মিশ্র বা হাইব্রিড ক্লাউড বলা যেতে পারে। এছাড়া আরো কিছু ক্লাউড কমপিউটিং দেখা যায় যেমন- কমিউনিটি ক্লাউড যার উদ্যোগ কমিউনিটির জনগণের জন্য নেয়া হয়।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর সুবিধাঃ

  • সব সময় ব্যবহার করা যায়।
  • যেকোনো স্থান হতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে তথ্য আপলোড এবং ডাউনলোড করা যায়।
  • নিজস্ব কোন হার্ডওয়ারের প্রয়োজন হয়না।
  • তথ্য কিভাবে সংরক্ষিত হবে বা প্রসেস হবে তা জানার প্রয়োজন পড়ে না।
  • যে কোন ছোট বড় হার্ডওয়ারের মধ্য দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ সুবিধা রয়েছে।
  • অপারেটিং খরচ তুলনামূলকভাবে কম হয়ে থাকে।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে সফটওয়্যার আপডেট করা হয়ে থাকে।

ক্লাউড কম্পিউটিং এর অসুবিধাঃ

  • ক্লাউড কম্পিউটিং এর মূল সমস্যা হলো ডাটা বা তথ্য অথবা প্রোগ্রাম এর উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না।
  • একবার ক্লাউডের তথ্য পাঠিয়ে দেওয়ার পর তা কোথায় সংরক্ষণ হচ্ছে ও কিভাবে প্রসেস হচ্ছে তা ব্যবহারকারীদের জানার উপায় থাকেনা।
  • ক্লাউডে তথ্যের গোপনীয়তা ভঙ্গের সম্ভাবনা থাকে এবং তথ্য পাল্টে যাওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।

তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে একটি জোসস দিয়ে আমাকে ধন্য করবেন। মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট করে আমাকে জানবেন। এতক্ষন ধরে এই টিউন পাঠ করার জন্য ধন্যবাদ। আর আমার টিউন সবার আগে পাবার জন্য আমাকে ফলো করুন। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।

Level 7

আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,

আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।

কারণ:

‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার গাইডলাইন’ অনুযায়ী টিউন শেয়ার করে সাবমিট করা হয়নি।

ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে টিউন প্রকাশের পর, প্রকাশিত টিউনের লিংক ‘ট্রাসটেড টিউন শেয়ার ও সাবমিট গাইডলাইন’ অনুযায়ী শেয়ার ও সাবমিট করতে হয়। ট্রাসটেড টিউনার হিসেবে টিউন প্রকাশের পর, প্রকাশিত টিউনের লিংক ‘ট্রাসটেড টিউন শেয়ার ও সাবমিট গাইডলাইন’ অনুযায়ী সঠিক ভাবে শেয়ার ও সাবমিট না হওয়া পর্যন্ত সে ট্রাসটেড টিউনের জন্য ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ প্রসেস হয় না।

করণীয়:

‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউনার গাইডলাইন’ অনুযায়ী টিউন শেয়ার করে সাবমিট করুন।

উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।

প্রিয় টিউনার,

আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ট্রাসটেড টিউন’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।

কারণ:

টিউনে, টিউনের সাথে মিল রেখে প্রাসঙ্গিক টিউন বিভাগ নির্বাচন করা হয়নি।

করনীয়:

টিউনে, টিউনের সাথে মিল রেখে প্রাসঙ্গিক টিউন বিভাগ নির্বাচন করে টিউন আপডেট করুন।

উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।