হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
প্রযুক্তি পণ্যগুলো দিনকে দিন ছোট আর স্লিম করে তৈরি করার একটি নিরব প্রতিযোগিতা চলছে, তাই সাধারণভাবে বলতে গেলে এটি খুবই ভাল ট্রেন্ড। সময়ের সাথে সাথে আমাদের সমস্ত ডিভাইসের উপাদানগুলো আকারে ছোট হওয়ার কারণে আরও ছোট গ্যাজেট তৈরি করা আরও সহজ হয়েছে। তাছাড়া পোর্টেবল ডিভাইসগুলো তৈরি করার ফলে আমাদের জীবন হয়ে গেছে আরও সহজ যেমনঃ স্মার্টওয়াচ এবং অ্যাক্টিভিটি ট্রাকারের মত ছোট ছোট গ্যাজেট তৈরি করা সম্ভব করে তুলেছে যা এক দশক আগেও অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল।
অবশ্যই এখনও কিছু প্রযুক্তি রয়েছে আকারে বড় - অনেক বড় এবং লেটেস্ট টেকনোলজির টেলিভিশনগুলো পূর্বের তুলনায় আরও অনেক স্লিম এবং ছোট করে তৈরি করেছে। তাছাড়া আপনি সবসময়ই চাইবেন আপনার টেলিভিশনের স্ক্রিন একটু বড় হোক, বেজেল কম হোক এবং স্লিম তো হতেই হবে জাতে করে দেয়ালে টিভি সেটআপ করতে সহজ হয়, তাহলে চিন্তা করে দেখুন টেকনোলজির এই অগ্রগতির কারণের আমরা এই সুবিধাগুলো পাচ্ছি। ঠিক একইভাবে, আজকাল 4K হাই রেজুলেশনের টেলিভিশন নেওয়া খুবই সহজ আর দামেও সস্তা যা কয়েক বছর আগেই ব্যয়বহুল ছিল। তাই হাই রেজুলেশনের টেলিভিশন কেনা আগের থেকে অনেক সহজ হয়েছে।
সুতরাং, আপনি যদি আপনার বাড়িতে একটি পূর্ণাঙ্গ হোম থিয়েটার বানাতে চান তাহলে আপনি এই টিউনটি অবশ্যই দেখবেন এতে রয়েছে আপনার জন্য সম্পূর্ণ গাইডলাইন। একটি বড় টেলিভিশন স্পোর্টস, গেমিং এবং সিনেমা থেকে শুরু করে সবকিছুতেই আরও ভাল অভিজ্ঞতা দেয়। আর আপনি যদি কোন বাজেট টেলিভিশন সেট বা ক্লিয়ার পিকচার কোয়ালিটির খোঁজ করে থাকেন তাহলে আপনি নিচে আমাদের প্রিয় সব ৬৫ ইঞ্চি টেলিভিশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আমাদের রিকমেন্ডেশন
যখন বড় আকারের কোন টিভি কেনার কথা আসে, তখন একটি সমস্যা সৃষ্টি হয় আপনি যে ঘরে টিভি বসাতে চান তার আকার। তাছাড়া বড় আকারের টিভিগুলো নতুন জেনারেশনে আরও ভাল এবং আরও শক্তিশালী হতে থাকে এবং আপনি যদি একটি সুপরিচিত এবং নামীদামী ব্রান্ডের কিনেন তাহলে দেখবেন বড় স্কিনের ক্ষেত্রেও পিকচার কোয়ালিটি লস হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই। আর অবশ্যই আপনার টিভি কেনার বাজেটে যদি সমস্যা না থাকে তাহলে এটা জেনে রাখুন যে ৬৫ ইঞ্চির টিভির দাম একদম সস্তা হওয়ার কোন সম্ভবনা নেই।
এই ছোট খাট বিষয়গুলো মাথায় রেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে Samsung এর QLED TV সিরিজটি আমাদের প্রথম স্থানে রেখেছি, কেননা এটি রিজনেবল প্রাইসে অফার করে এবং মিনিমালিস্ট ডিজাইনের সাথে ক্রিস্টাল ক্লিয়ার রেজুলেশন তো আছেই। এই টিভিতে রয়েছে আল্ট্রা-থিন বর্ডার, আর টিভিতে এমন একটি ইনফিনিটি স্পোর্ট স্ক্রিন যা দেখে কখনও কখনও মনে হয় এর কোন শেষ নেই। এই টিভিতে রয়েছে ডিপ ব্ল্যাক এবং সমৃদ্ধ কালারের সমারোহ এবং অবিশ্বাস্যরূপে রয়েছে ডেপথ এবং ইমেজ রেজুলেশন এবং এই টিভিতে আরও রয়েছে সহায়ক anti-reflective স্ক্রিন - মানে সূর্যের আলো সহ অন্য যেকোন আলো স্ক্রিনে পড়লেও জানালা বা বাল্ব বন্ধ করতে হবে না আপনি কোন সমস্যা ছাড়াই স্কিন দেখতে পারবেন।
এই QLED টিভিটি HDR Elite টেকনোলজি সাপোর্ট করে, ফলে আপনি আপনার মিডিয়ায় অন্যরকম ডিটেইলসে শুনার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এবং এর অ্যাম্বিয়েন্ট মোড আপনাকে আপনার লিভিং রুমের ডেকরেটিভ কন্টেন্টকে আরও অনেকাংশে বাড়িয়ে তোলে যেমনঃ আপনার দরকারি গুরুত্বপূর্ণ ইনফর্মেশন, আপনার ফটো লাইব্রেরি এবং সাথে হাই কোয়ালিটির অডিও আউটপুটে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এক অন্যরকম আবহ তৈরি করে। এই টিভি চালু করার জন্য কানেক্টশন ক্যাবল এবং কানেক্টশন পার্টস গুলো যথাসম্ভব কমিয়ে আনা হয়েছে। মানে আপনি আপনার দেওয়ালে টিভি মাউন্ট বা সেট করতে পারবেন অতিরিক্ত কোন ক্যাবলের সমস্যা ছাড়াই।
এছাড়াও এই টিভিতে আপনি এমন একটি স্মার্ট টিভি ফিচার উপভোগ করবেন, যা আপনাকে ইউনিভার্সালি লাইভ টিভি শো এবং স্ট্রিমিং সম্পর্কে জানাবে এবং আরও রয়েছে OneRemote এবং voice assistance যার মাধ্যমে আপনি আরও কার্যকর ভাবে টিভি কে কন্ট্রোল করতে পারবেন। তাছাড়াও আপনার স্মার্টফোনের মাধ্যমে আপনার টিভি এবং এর সাথে কানেক্ট করা অন্যান্য ডিভাইসগুলো কন্ট্রোল করার জন্য আপনি SmartThings ডাউনলোড করতে পারেন।
এই টিভির খুচরা মূল্য হচ্ছে $1500 বা প্রায় ১ লক্ষ ২৭ হাজার টাকা, যদিও 65″ QLED টিভি Samsung থেকে বিক্রি করা হচ্ছে $1200 বা প্রায় ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকা, তো আর দেরি কেন আজকেই কিনে ফেলুন সুপরিচিত Samsung ব্রান্ডের 65″ QLED টিভি আর উপভোগ করুন কোয়ালিটি বিনোদন।
সুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
২০২১ সালে Samsung আপনাকে বেস্ট অলরাউন্ডার টেলিভিশন অফার করতে পারে, তবে আপনার যদি বাজেটে কোন সমস্যা না থাকে তাহলে আপনি প্রথম দিকে আপনার পছন্দের টেলিভিশনটি কিনে ফেলতে পারেন। আর LG এর CX (C-10 নামে ডেকে থাকে) 4K OLED টিভিটি এই লিস্টের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে, আপনি এই বেস্ট টেলিভিশনটি আজই কিনতে পারেন। আপনি খেয়াল করলে দেখবেন আস্তে আস্তে OLED টেকনোলজির টেলিভিশন আরও সাশ্রয়ী হয়ে উঠেছে এবং এই টিভিটি এখন $2000-$3000 বা প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার - ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন, তাছাড়া আপনি মুভি এবং গেমিং উভয়ের জন্যই OLED প্যানেল এর মাধ্যমে উৎপাদিত পিকচার কোয়ালিটির সাথে প্রতিযোগিতা করে হেরে যাবেন।
আপনি যদি OLED টেকনোলজির সাথে অপরিচিত হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার হাতে থাকা ফোনটি দেখলেই এর কোয়ালিটি সম্পর্কে ধারণা পাবেন। কেননা বেশিরভাগ ম্যানুফ্যাকচারার যেমনঃ Apple থেকে Samsung এবং এর মধ্যে প্রত্যেকেই LCD ডিসপ্লে থেকে OLED ডিসপ্লে তে তাদের ফোনগুলো স্যুইচ করেছেন। তাছাড়া OLED প্যানেলগুলো ছোট ছোট জায়গাগুলোতে স্থাপন করা অনেক সহজ, আর সেজন্য আপনার ডিভাইসে OLED প্যানেলগুলোকে কাজ করানোর জন্য কোন ডিসপ্লে কন্ট্রোলার ইন্সটল করার দরকার পরে না।
আর অবশ্যই, টিভিগুলোর সাইজ নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই, কেননা ডিসপ্লের টেকনোলজি থেকেই এর আসল বেনিফিট পাবেন। আর OLED প্যানেলগুলোর প্রতিটি পিক্সেলের ব্রাইটনেস আলাদাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে, সম্পূর্ণ প্যানেল হিসেবে নয়। আর এর সবচেয়ে বড় সুবিধাটি হল পিওর ব্ল্যাক লেভেল বা স্তরগুলো, কারণ পিক্সেলগুলো শুধু ডার্ক গ্রে কালার দেখানোর পরিবর্তে নিজেকে বন্ধ করতে পারে। আর আপনি যদি খেয়াল করে থাকেন, আপনার ফোনে মুভি বা খেলা দেখার সময় খুবই চমৎকার পিকচার কোয়ালিটি উপভোগ করেন তাহলে আপনি ইতিমধ্যে OLED এর সুবিধা সম্পর্কে জেনে গিয়েছেন।
LG এর CX টেলিভিশনটি বর্তমানে বাজারের একমাত্র OLED টেলিভিশন তা কিন্তু নয় - আর LG শুধু OLED টেলিভিশন তৈরি করা তাও কিন্তু নয়। তবে আপনি আপনার বাজেটে ভাল মানের OLED টেলিভিশন কিনতে চাইলে এটি অন্যতম একটি অপশন। এই টেলিভিশনে আপনি মুভি দেখে অন্যরকম একটি ফিল পাবেন, বিশেষকরে HDR মুডকে ধন্যবাদ দিতেই হয় কেননা এর মাধ্যমে ডিপ ব্ল্যাক লেভেল বা স্তর নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়াও OLED প্যানেলগুলো খুবই পারফেক্ট রেসপন্স টাইম মেইনটেইন করে ফলে এটি গেমিং জন্য অবিশ্বাস্য প্যানেল।
সুতরাং, OLED প্যানেলে কি কি সমস্যা রয়েছে? সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হচ্ছে বার্ন-ইন সমস্যা। এখনও OLED ডিসপ্লেতে বার্ন-ইন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে, আর বার্ন-ইন সমস্যাটি হচ্ছে দীর্ঘক্ষণ ব্যবহার করার পরে খেয়াল করলে দেখবেন ডিসপ্লেতে আগে কোন ফ্রেম শো করছে বা তা অদৃশ্য হচ্ছে না। আর আধুনিক OLED ডিসপ্লেগুলোতে বার্ন-ইন সমস্যা কমাতে সহায়তা করে ছোট্ট একটি কৌশল ব্যবহার করে যেমন পিক্সেলগুলো এমনভাবে ট্রান্সফার করা হয় যাতে আপনার চোখের নজরে না আসে তবে এটি এই সমস্যাটি সমাধান হওয়ার মত সমস্যা নয়। আপনি যদি প্রচুর ক্যাবল নিউজ দেখেন বা ডিসপ্লে এর এলিমিন্ট গুলো স্থির থাকা অবস্থায় আপনি যদি অন্য যেকোন কিছু ডিসপ্লে করতে চান তখন তা ডিসপ্লে নাও করতে পারে। তাছাড়া সাধারণ ব্যবহারে বেশিরভাগ লোকের ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি সমস্যার হওয়ার কথা না। আর এই টিভিটি অবশ্যই ব্যয়বহুল এবং এটি Samsung এর থেকে QLED টিভি হিসেবে ভাল ডিল হতে পারে।
তবুও, LG এর CX টিভিটি হচ্ছে এই পর্যন্ত আমাদের দেখা অন্যতম একটি OLED টিভি, এবং এই প্রযুক্তি সময়ে সময়ে আরও উন্নত হচ্ছে। আশাকরছি, ২০২১ সালে C11 মডেলের নতুন OLED টিভি আরও বেশি উন্নতি সাধন করে বাজারে আনবে, কিন্তু তার আগেই CX OLED টিভি আমাদের লিস্টের রানার-আপ স্থান দখল করে নিয়েছে।
সুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
Sony ব্রান্ডের উপর আমাদের আলাদা রকম একটা ভালোলাগা কাজ করে, আর এই দুর্দান্ত প্রযুক্তির তালিকাতে Sony ব্রান্ডের কোন প্রযুক্তি পণ্য থাকবে না তা কি করে হয়? আর মিডিয়া জগতের কিং হিসাবে Sony অবিশ্বাস্যরূপে হাই-পাওয়ার্ড এবং বড় আকারের ফ্ল্যাটস্ক্রিন টিভিগুলো দিয়ে নিজেদের নাম তৈরি করেছে। এছাড়া ৬৫ ইঞ্চি 4K HDR রেজুলেশনের Sony XBR-65A9G মাস্টার সিরিজ টেলিভিশন (এতে রয়েছে ডিপ ব্ল্যাক ও সমৃদ্ধ কালার নিশ্চিত করার জন্য ৮ মিলিয়ন সেলফ-ইলুমিনেটিং পিক্সেল প্রোভাইড করেছে) এবং HDR Super Bit Mapping প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে এর মানে আপনার পিকচার কোয়ালিটি সর্বাধিক অ্যাকশন দৃশ্য চলাকালীন সময়ও স্মুথ থাকে।
এতে রয়েছে বিল্ট ইন Chromecast প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে আপনি আপনার স্মার্ট ডিভাইসগুলোর সাথে দ্রুত এবং সহজেই কানেক্ট করতে পারবেন এবং রয়েছে ভয়েস কন্ট্রোল ফিচার তার মানে আপনি ভার্চুয়ালি আপনার মিডিয়া ডিভাইসকে কন্ট্রোল করতে পারবেন - Amazon Alexa এবং Google Assistant ইত্যাদি সহ। আমরা এই টিভির অনন্য প্যানেল ফিচারগুলোর দ্বারা মুগ্ধ হয়েছি, আপনি যেখানেই বসেন আপনার টিভির পিকচার কোয়ালিটি খুবই দুর্দান্ত ভাবে উপভোগ করতে পারবেন। আর এই টিভিটি পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে দেখার জন্য আসলেই একটি বড় প্লাস পয়েন্ট, কেননা পরিবারের লোকেরা বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসেন এবং বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে টিভির পর্দা দেখে থাকেন, তারা কোন সমস্যা ছাড়াই টেলিভিশন দেখতে পারবেন।
সুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
যদিও আমাদের কাছে Sony অথবা Samsung এর মত TCL ব্রান্ডের টেলিভিশন তেমন পরিচিত না, তবে TCL ব্রান্ডের টেলিভিশন সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়ারফুল টেলিভিশন তৈরির জন্য খ্যাতি অর্জন করেছে। তাছাড়া এতে রয়েছে Ultra HD প্যানেলের ডিসপ্লে এবং এর পারফরম্যান্সও অনেক সন্তোষজনক, এবং আপনি যদি Roku ব্যবহার করে থাকেন তাহলে এই টেলিভিশনে বিল্টইন ভাবে অনেক স্মার্ট ফিচার আছে যার মাধ্যমে আপনি বিনোদনের দুনিয়ায় হারিয়ে যাবেন।
এই টিভিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৬৫ ইঞ্চি ডিসপ্লে, আর আপনি Roku TV এর মাধ্যমে ৫ লক্ষের ও বেশি মুভি এবং টিভি এপিসোড এবং ১ হাজারের অধিক স্ট্রিমিং চ্যানেলে অ্যাক্সেস করতে পারবেন (আর টিভিতে বিল্টইন Roku TV ফিচার থাকায় আপনাকে Roku ডিভাইস কিনতে হবে না) এবং সত্যিকারের জীবন্ত পিকচার কোয়ালিটি প্রোভাইড করার জন্য এতে Dolby Vision HDR টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে ফলে আপনি পাবেন বেস্ট contrast, color, এবং detail পিকচার কোয়ালিটি। এছাড়াও এর অনন্য Edge LED backlighting সিস্টেম ব্যতিক্রমী সমৃদ্ধ ব্ল্যাক কালার প্রোডিউস করে এবং ১.০৭ বিলিয়ন ডিসপ্লে কালার জেনারেট করতে পারে - এর মানে আপনি সেড বা ছায়ায় থাকা খুব সূক্ষ্ম জিনিসও নজরে পরবে। আর এই টিভিতে রয়েছে তিনটি HDMI পোর্ট, একটি USB পোর্ট, RF, Composite, Optical Audio, Ethernet, এবং আরও অনেক।
সুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
আপনি যদি পিকচার কোয়ালিটি, ব্রাইটনেস এবং বাজেটের মধ্যে একটি দুর্দান্ত সমন্বয় খুঁজে থাকেন, তাহলে Hisense ব্রান্ড আপনার জন্যই। এই ব্রান্ডের টেলিভিশন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্কেটে তুলনামূলকভাবে নতুন এসেছে, তাছাড়া Sharp এবং Toshiba ব্রান্ডের থেকে Hisense কিছুটা কম জনপ্রিয় এবং এই ব্রান্ড নামটি কিছু নির্দিষ্ট লোকেশনের জন্য লাইসেন্স করা হয়েছে। আর ২০২০ সালে Hisense তাদের H8G সিরিজের টেলিভিশন যুক্ত করে কাস্টমারদের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য ব্রান্ড হয়ে উঠেছে। তাছাড়া তারা 55″, 65″, এবং 75″ ইঞ্চির টেলিভিশন তৈরি করে থাকে, Hisenses নতুন ডিভাইস হওয়া সত্ত্বেও কাস্টমারদের চাহিদা পূরণ করে প্রশংসিত হয়েছে। স্টাটার ব্রান্ড হিসেবে তাদের ডিজাইনগুলো ছিল চমৎকার, মিনিমালিস্ট বেজেল ফ্রেম আপনার ইমেজ ইমেজকে আরও ভাল ভাবে ডিসপ্লে করতে পারে। আর এতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০২০ সালের বেস্ট স্পিকার Dolby Atmos audio। আর সাউন্ডবক্সের সাউন্ড কোয়ালিটি ওভারঅল সন্তোষজনক।
Hisense টিভি তে ব্যবহার করা ডিসপ্লেটির ব্রাইটনেস চোখে পরার মত। এটি প্রায় 700 nits ব্রাইটনেস আউটপুট তৈরি করতে সক্ষম, এটি আপনার বাসার সবচেয়ে উজ্জ্বল লিভিং রুমের জন্য উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করি। তাছাড়া বেশিরভাগ রিভিউয়ার একমত যে, Dolby Vision হচ্ছে আমাদের দেখা এখন পর্যন্ত সেরা HDR টেকনোলজি এবং এটি এই টিভিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও গেমিং এবং স্পোর্টেসের জন্য ফ্লুয়িড ২৪০ মোশন রেট আছে ফলে আপনি স্মুথ মোশনে যেকোন কিছুই উপভোগ করতে পারবেন। এছাড়াও এই টিভিটি Android TV দ্বারা চালিত, ফলে Netflix, Hulu এবং আপনার পছন্দসই যেকোন স্ট্রিমিং অ্যাপের মাধ্যমে আপনার প্রিয় শো এবং মুভি খুব সহজেই স্ট্রিম করতে পারবেন।
এই টেলিভিশনটি বিক্রি করা হচ্ছে $699 বা প্রায় ৫৯ হাজার টাকা, এত অল্প দামে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট দেওয়ায় Hisense কে পরাস্ত করা খুবই কঠিন হবে বলে আমার ধারণা। আর বলে রাখা ভাল, এই কোম্পানিটি Samsung অথবা Vizio মতো নির্ভরযোগ্য কোম্পানির হয়ে অনেক টেলিভিশন তৈরি করে দিয়েছে, তবে তারা যদি এই টিভির মতো কম দামে হাই কোয়ালিটির টিভি তৈরি করে তাহলে এটি প্রথম সারির অনেক কোম্পানিকেই বিট করবে এটা শুধু সময়ের ব্যাপার।
সুবিধাঃ
অসুবিধাঃ
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 182 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।