হ্যালো টেকটিউনস জনগণ, কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন। এখন থেকে নিয়মিত আবার নতুন টিউন নিয়ে আমরা হাজির হলাম আপনাদের কাছে। আর টেকটিউনসের নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিস নিয়ে ভালো না থেকে আর উপায় আছে? আর এই নিত্যনতুন টপিক আর সার্ভিসের ধারা বজায় রাখার নিমিত্তে, আজকে আমি আপনাদের সাথে একদম নতুন একটি টপিক নিয়ে হাজির হলাম। আর আপনারা এই টিউনের মাধ্যমে জানতে পারবেন অনেক নতুন নতুন সব তথ্য।
আজকে আমরা চার্জিং ক্যাবলের পোস্টমর্টেম করবো এবং জানবো একটি ভাল মানের ক্যাবলে কি কি বৈশিষ্ট্য থাকে। তো আর কথা না বাড়িয়ে একেক করে আপনারদের মনের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে চেষ্টা করবো।
আপনার চার্জিং ক্যাবল যতই ভাল মানের আর লেটেস্ট হোক না কেন, আপনার চার্জিং ক্যাবল যদি ভাল মানের না হয় তাহলে আপনার ডিভাইস চার্জ হতেও অনেক সময় লাগবে।
বাইরে থেকে দেখতে সব চার্জিং ক্যাবল একই রকম দেখায় তবে ভাল মানের ক্যাবলের পার্থক্যটা এর অভ্যন্তরে, ভাল মানের ক্যাবলের কোয়ালিটিই অন্যরকম ভাবে তৈরি করা হয়। আর একটি ভাল মানের ক্যাবলের মাধ্যমে চার্জ দেওয়ার ফলে খুবই দ্রুত চার্জ হতে থাকে।
উপরের ছবিতে একটি USB ক্যাবলের ভিতরের চিত্র দেখতে পাচ্ছেন।
আপনার চার্জিং ক্যাবলটি যে পরিমাণ শক্তি বহন করতে পারে তা ২টি (লাল ও কালো) পাওয়ার ক্যাবলের ভিতরের আকারের মাধ্যমে নির্ধারিত হয়, একটি স্ট্যান্ডার্ড ক্যাবল 28 gauge এবং প্রায়.5A পাওয়ারের হয়ে থাকে। আর বেশিরভাগ একটি ফাস্ট চার্জার ক্যাবলের ভিতরের ক্যাবল 24 gauge হয়ে থাকে যা 2A বা তারও বেশি বিদ্যুৎ বহন করতে পারে।
উপরের ছবিতে আপনারা 28 এবং 24 Gauge তারের পার্থক্য দেখতে পাচ্ছেন, আর উপরের চার্ট দেখে আপনি সহজেই তারের পার্থক্য করতে পারবেন তবে একবার USB ক্যাবল তৈরি হয়ে গেলে পার্থক্য করা কঠিন হয়ে যায়।
Gauge এবং মোট কারেন্টের সাথে সাধারণ ইলেক্ট্রিক্যাল পদার্থবিজ্ঞানের সম্পর্ক রয়েছে, একটি তার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ কারেন্ট ট্রান্সফার করতে পারে আর তাই এর থেকে বড় তার আরও বেশি কারেন্ট বহন করতে পারে। তবে আপনি যদি একটি লম্বা চার্জিং ক্যাবল কিনে থাকেন তাহলে আপনি চার্জিং স্পীড এর বদলে কেবল একটি লম্বা চার্জিং ক্যাবল ই হয়ত পাবেন চার্জিং স্পীড নাও পেতে পারেন।
চার্জিং ক্যাবল প্রস্তুতকারকারা একটি ফাস্ট চার্জিং ক্যাবল তৈরি করার বদলে কম খরচে সস্তা চার্জিং ক্যাবল তৈরি করতে পারে, আর এ জন্যই চার্জিং ক্যাবল লম্বা হওয়ার কারণে তার দামও একটু বেশি রাখা হয়। তবে বর্তমানে সমস্ত ডিভাইসই ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে বিধায় অন্যান্য থার্ড পার্টি ক্যাবলগুলো ও ফাস্ট চার্জিং ক্যাবলে রূপান্তর করা হবে।
তো বর্তমানে বাজারে বেশিরভাগ ক্যাবলই হচ্ছে ধীর গতির চার্জ সাপোর্ট করে থাকে তাই আপনি যদি দ্রুত চার্জিং ক্যাবলের সন্ধান করে থাকেন তাহলে আপনার ডিভাইস এবং চার্জার সাপোর্ট করবে কিনা তা একটু নিশ্চিত হয়ে তারপরে কিনুন।
উপরের চার্জিং ক্যাবলগুলো অনেক সুন্দর কালার কম্বিনেশনে রয়েছে এবং অনেক লম্বাও। এই স্টাইলিস্ট ক্যাবল গুলোতে হাই গেজ তার ব্যবহার করা হয়ে থাকে এবং তা আপনার ডিভাইসের চার্জিং স্পীডকে কমিয়ে দেয়। তবে আপনি যদি বিছানায় বা অফিসে থাকেন তাহলে ফাস্ট চার্জিং ক্যাবল না থাকার কারণে এই ক্যাবল গুলো ব্যবহার করে আপনার ডিভাইস চার্জ করতে পারেন। আর এর মধ্যে অনেক গুলো চার্জিং ক্যাবল অনেক লম্বা হওয়ার কারণে অনেক সময় আপনার ডিভাইস চার্জ নাও নিতে পারে।
প্রথমত আপনার ডিভাইস ফাস্ট চার্জিং সাপোর্ট করে কিনা তা চেক করুন এবং আপনার কাছে ফাস্ট চার্জার আছে কিনা তাও চেক করুন। এরপরে ফাস্ট চার্জারের সাথে দেওয়া অরিজিনাল চার্জিং ক্যাবল দিয়ে আপনার ডিভাইস চার্জ করে দেখুন ফাস্ট চার্জ হচ্ছে কিনা। আর আপনার যদি অরিজিনাল চার্জিং ক্যাবল না থেকে থাকে তাহলে মার্কেট থেকে একটি ভাল মানের চার্জিং ক্যাবল কিনে আনুন এবং ফাস্ট চার্জিং সিস্টেমকে উপভোগ করুন।
অ্যান্ড্রয়েড এবং অ্যাপলের জন্য কয়েকটি ফাস্ট চার্জিং ব্রান্ড রয়েছে। এসব ক্যাবলের চার্জারের মান এবং পারফর্মেন্স অন্যান্য ফাস্ট চার্জার থেকে অনেক উন্নত।
বর্তমানে প্রায় সবগুলো ফোনেই ফাস্ট চার্জিং সিস্টেম সাপোর্টেড থাকে তবে আমাদের ক্যাবল এর কোয়ালিটি ভাল না হওয়ার কারণে আমরা যথাযথ ফাস্ট চার্জিং সুবিধা পাই না। আর এই জন্যই আপনাদের সাথে চার্জিং ক্যাবল নিয়ে একটু বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করলাম। টিউনটি আপনার কাজে লাগলে আমার টিউন করা সার্থক হবে বলে আমি মনে করি। আজকে এই পর্যন্ত আগামী টিউনে আবার দেখা হবে।
আমি এরকম নিত্যনতুন কাজের সফটওয়্যার নিয়ে টেকটিউনসে হাজির হবো নিয়মিত। তবে সে জন্য আপনার যা করতে হবে তা হলো আমার টেকটিউনস প্রোফাইলে আমাকে ফলো করার জন্য 'Follow' বাটনে ক্লিক করুন। আর তা না হলে আমার নতুন নতুন টিউন গুলো আপনার টিউন স্ক্রিনে পৌঁছাবে না।
আমার টিউন গুলো জোসস করুন, তাহলে আমি টিউন করার আরও অনুপ্রেরণা পাবো এবং ফলে ভবিষ্যতে আরও মান সম্মত টিউন উপহার দিতে পারবো।
আমার টিউন গুলো শেয়ার বাটনে ক্লিক করে সকল সৌশল মিডিয়াতে শেয়ার করুন। নিজে প্রযুক্তি শিখুন ও অন্য প্রযুক্তি সম্বন্ধে জানান টেকটিউনসের মাধ্যমে।
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 191 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 73 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।