কোন কর্পোরেট নেটওয়ার্কের ভেতরে মোবাইল কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপ ব্যবহার করা যতটা নিরাপদ সেই নেটওয়ার্কের বাইরে কিন্তু ঠিক তত টা ই নিরাপদ নয়। কারন আপনি যতক্ষন ওই নেটওয়ার্কের ভেতরে আছেন ততক্ষন আপনার প্রহরায় আছে ওই কোম্পানীর কর্পোরেট ফায়ারওয়াল, এ্যান্টি ভাইরাস, স্পাইওয়্যার, কর্পোরেট এ্যাক্সেস কন্ট্রোল ইত্যাদি আরো নিরাপত্তামূলক ফিচার। কিন্তু আফসোসের কথা হল সেই কর্পোরেট অফিসটি তো আর আপনার বাড়ি নয়। আপনাকে আপনার বাড়িতে ফিরতেই হবে। আপনাকে তাই কর্পোরেট ফায়ারওয়ালের বাইরে যেতেই হবে। কিন্তু তখন আপনার নিরাপত্তার জন্য কে আছে? একবার কি ভেবে দেখেছেন সেই কর্পোরট কোন কর্মীকে কোন মারাত্বক কোন ভাইরাস অথবা ম্যালওয়্যার আক্রমন করলে তার কতটা ক্ষতি হতে পারে?
এই সমস্ত ছোটখাটো কিন্তু ভয়ংকর কিছু সমস্যার সমাধানে উইন্ডোজ ভিসতা মোবাইল পিসি এবং ল্যাপটপ ব্যবহারকারিদের জন্যে এনেছে বাড়তি কিছু নিরাপত্তা ফিচার। সেগুলো হল -
১. এ্যাড্রেস স্পেস লে আউট রানডমাইজেশন : এটি উইন্ডোজ ভিসতার একটি সিকিউরিটি টেকনিক যা আপনার সিকিউরিটির কি ডাটার পজিশন গুলোকে রানডমলি এ্যারেজ্ঞ করে থাকে। আপনার পিসির ম্যামোরির স্ট্যাটিক এ্যাড্রেস আক্রমনকারি খুব সহজেই পেয়ে যেতে পারে। এই রানডমলি এ্যাক্সেসিবিলিটির কারনে আপনার স্ট্যাটিক মেমোরি নম্বরটা খুজে পাওয়াটা সেই আক্রমনকারীর জন্যে খুব সহজ হবে না।
২. ডাটা এক্সিকিউশন প্রিভেনশন : ডাটা এক্সিকিউশন প্রিভেনশন (DEP) উইন্ডোজ ভিসতার নতুন এ্যাড করা একটি সিকিউরিটি অপশন। এটি যে কোন এ্যাপ্লিকেশন অথবা সার্ভিসকে নন এক্সিকিউটেবল মেমরি লোকেশনের কোন কোড এক্সিকিউট করতে দেয় না। এই ধরনের এ্যাটাক সাধারনত খুবই নিম্ন মানের কম্পিউটার প্রোগ্রামকে এ্যাটাক করে থাকে। উল্লেখ্য যে এক্সপি সার্ভিস প্যাক 2 থেকে এই ফিচার থাকলে ও ভিসতা তে তা আরো উন্নত।
৩. উইন্ডোজ ভিসতা ফায়ারওয়াল : একটি কম্পিউটারের ফায়ারওয়াল হল কোন ক্রিটিক্যাল এ্যাটাক থেকে পিসি কে রক্ষা করার প্রথম রক্ষাপ্রাচীর। ভিসতার ফায়ারওয়াল অন্যান্ন অপারেটিং সিস্টেমের ফায়ারওয়াল থেকে নাকি অনেকটা ই আলাদা। এটি আউটগোয়িং এবং ইনকামিং ট্রাফিক মিনটরিং এবং এবং বাধা ও দিতে পারে। সাথে সাথে আরো দিচ্ছে ইন্টারনেট প্রোটোকল সিকিউরিটি সেটিংস এবং ফায়ারওয়াল ফিল্টারিং সেটিংস। আউটগোয়িং এবং ইনকামিং ট্রাফিক মিনটরিং একটি ভালো আইডিয়া এর ফলে একটি পরিস্কার ধারনা থাকবে যে কি কি হচ্ছে এবং কোন কোন প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটারে ঢুকেছে অথবা ঢোকার চেষ্টা করেছে অথবা কোন প্রোগ্রাম আপনার কম্পিউটার থেকে রিমোট সিস্টেমে কোন ইম্পরট্যান্ট ফাইল পচার করেছে কি না।
৪. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার (প্রোটেক্টেড মোড) : এইখানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারকে প্রোটেকটেড মোড এ চালানোর জন্যে একটি অপশন রাখা হয়েছে। তারা এতে করে নাকি আরো সিকিউর সার্ফিং নিশ্চত করতে চায়। এটা আমার কাছে পুরো ফালতু মনে হয়েছে কারন যে মজিলা ফায়ারফক্সের মত ব্রাউজারও সম্পূর্ণ নিরাপদ নয় সেখানে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এর মত আবর্জনাকে প্রোটেক্টেড মোড এ রেখে তারা কি হাসিল করতে চাইছে তা আমার জানা নেই।
৫. বিটলকার ড্রাইভ এনক্রিপশন: এটি ভিসতার একটি ডাটা প্রোটেকশান ফিচার যা শুধুমাত্র ভিসতার এন্টারপ্রাইজ এবং আলটিমেট ভার্সনে পাওয়া যাবে (ক্লাইয়েন্ট পিসির জন্যে) এবং উইন্ডোজ সার্ভার ২০০৮ এ ও ইনক্লুড করা হবে। এই অপশন যে সমস্ত ক্ষেত্রে আপনার ডাটা প্রোটেকশানে সহয়তা করবে তা হল এটি আনঅথরাইজড ইউজারকে আপনার উইন্ডোজ ফাইল ব্রেক করা থেকে বাচিয়ে নেয়।এই অপশন আপনার সম্পূর্ণ সিস্টেম ভলিউমকে এনক্রিপশন করে থাকে (including the swap and hibernation files) .
ফিচারগুলো কিন্তু মোটামুটি প্রশংশনীয় কিন্তু কথা হল হাজার হলেও মাইক্রোসফটের টেকনোলজি.......এটা কি পারবে সেই লেভেল এর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে?
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
এত সিকিউরিটির দরকারটা কি??