১ বিটকয়েনের দাম এখন প্রায় ৪৫০০$ ছুয়েছে। আর বাংলাদেশি টাকায় সেটার মান ৩৬০০০০৳।
বিটকয়েনের কোন বাস্তব অস্তিত্ব নেই, এটা সম্পূর্ণভাবে ভার্চুয়াল। সাতোশি নাকামোতো নামের একব্যক্তির হাত ধরে এর পথচলা শুরু। অাবার অষ্ট্রেলিয়ান একজন আইটি উদ্যোক্তা নিজেকে বিটকয়েনের প্রতিষ্ঠাতা বলে দাবি করেন। আবার অনেকে ভাবেন SAMSUNG, TOSHIBA, NAKAMICHI, MOTOROLLA এই কম্পানিগুলো মিলে বিটকয়েন উদ্ভাবন করছে।
বিটকয়েন পৃথিবীতে ২১মিলিয়ন তৈরি হবে। এর একটাও বেশি তৈরি হবেনা। এজন্য বিট কয়েনের দাম এত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিটকয়েন তৈরির প্রক্রিয়া নিচে দেওয়া আছে। বিটকয়েন ব্যবহার করতে বিটকয়েন ওয়ালেটের প্রয়োজন হয়, এক ওয়ালেট থেকে আরেক ওয়ালেটে বিটকয়েন ট্রান্সফার হয়। এতে ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মত টাকা ট্রান্সফারের জন্য কোন আর্থিক চার্জ কাটা হয়না। সম্পূর্ণভাবে ফ্রি।
শুরুর দিকে বিটকয়েনের মুল্য ছিল অনেক কম, ১$ = ০.০০০১৫বিটকয়েন। তখন ২৫ ডলারের দুইটা পিজ্জা কিনতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১০০০০বিটকয়েন।
বর্তমানে সেটার দাম ২৫ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার হতে পারে। বিটকয়েন ট্রান্সফারের সময় কিছু গাণিতিক সমস্যা তৈরি হয়, এই সমস্যা গুলো সমাধানের প্রক্রিয়াকে বলে মাইনিং। বিটকয়েন মাইনিংএর জন্য উচ্চক্ষমতার CPU, GPU সমৃদ্ধ কম্পিউটার প্রয়োজন হয়। যারা এই সমস্যা গুলো সমাধান করেন তাদের বলাহয় মাইনার। প্রতিটা সমস্যা সমাধানের জন্য মাইনারদের ওয়ালেটে সামান্যকিছু বিটকয়েন রিওয়ার্ড হিসেবে জমা হয়, এভাবে নতুন বিটকয়েন তৈরি হয়।
তবে ২১৪১ সালের পর আর নতুন কোন বিটকয়েন তৈরি হবে না। বলা হয়ে থাকে ২০২১সালের ভিতরই বিটকয়েনের সব মাইনিং শেষ হবে। ২১মিলিয়ন বিটকয়েনের ১৬.৩মিলিয়ন বিটকয়েন অলরেডি তৈরি হয়েছে। আবার একাউন্ট হারানো হার্ডডিস্ক হারানো ইত্যাদি কারনে প্রায় ২৫% বিটকয়েন অলরেডি হারিয়ে গিয়েছে।
বাংলাদেশে বিটকয়েন ব্যবহার অবৈধ, তবে উন্নত দেশগুলোয় বৈধ।
বিটকয়েন নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছি এই ভিডিওতে
আশাকরছি লেখাটি পড়ে ভালো লেগেছে, ভূলত্রুটি থেকে থাকলে আমাকে জানাতে ভুলবেন না। সবাইকে গঠনমূলক সমালোচনা করার অনুরোধ করছি। ধন্যবাদ সবাইকে 🙂
আমি ফাহিম আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও লিখতে পছন্দ করি।