নাম শুনে অনেকেই হয়ত কাছাকাছি কিছুটা আন্দাজ করতে পেরেছেন। যা ই হোক, যদিও খুবই সিম্পল একটি প্রযুক্তি, তারপরেও এই টপিকটি নিয়ে টিউন করার কারণ হচ্ছে , গুগল বলে কথা!! গুগলের সমস্ত সিম্পল সিম্পল টেকনিকই এক সময় গিয়ে জায়ান্ট হয়ে দাড়িয়েছে। আর এই "সিমিলার ইমিজেস" নামে গুগলের এই নতুন প্রোডাক্টটি গুগল ল্যাব থেকে দেখার পরে মনে হল হয়ত এই সিম্পল টুলটি অনেকেরই কাজে আসতে পারে। তাই ভাবলাম শেয়ার করি
সিমিলার ইমেজেস কি?
সাধারণত বিভিন্ন কাজে, কারণে আর অকারণেই আমরা অনেকেই গুগলে ইমেজ সার্চ করে থাকি। তবে সবসময় লক্ষ অবশ্য একটাই, যেমন ছবি টি মনে মনে ভাবছি ঠিক সেটাই অথবা তার কাছাকাছি একটা ছবিকে খুজে বের করা। তবে সার্চের রেজাল্ট সবসমই মনের মত হয় না। মনে হয় যেন আরো সিমিলার/ সাদৃশ্যময় চিত্র হলে হয়ত আরো ভালো হত। তবে আশার কথা হল গুগল এবার আপনার কাঙ্খিত ইমেজের আরো ধারে কাছে অথবা সেই ইমেজটি কে ই আপনার সামনে তুলে ধরতে সমর্থ হবে। এর জন্যে ওয়েবে হাজারো লাখো ইমেজের উপরে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে এই টেকনোলজি জায়ান্ট।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে এই সিমিলার ইমেজগুলোকে খুজে বের করার জন্যে গুগল অপটিক্যাল রিকগনেশান টেকনোলজি ব্যবহার করছে না। এরা অনেকেটা এ্যাপেলের আই ফটো কে অনুসরন করে আগাচ্ছে। আই ফটোর কাজ হচ্ছে কোন ছবিতে ফেসগুলো কে রিড করা এবং অন্যান্য ছবি সেই ফেসের মত একই ধরনের ডেটা থাকতে পারে কি না তা ডিটেক্ট করা। আর যেহেতু ইতোমধ্যে গুগলের অনেক ইমেজের ডাটাবেজ এবং স্ট্রং মেটাডাটা রয়েছে তাই গুগলের এই টেকনোলজিকে রান করাতে তেমন একটা বেগ পেতে হবে না।
একটা উদাহরণ দিলে হয়ত ব্যাপারটা আরো ক্লিয়ার হবে। যেমন আমি যদি সার্চে "apple" লিখে সার্চ দেই তাহলে রেজাল্ট স্বাভাবিকভাবেই দুরকম হতে পারে। কারণ আমরা জানি যে এ্যাপেল একটি টেকনোলজি জায়ান্ট আর অপরদিকে এ্যাপেল বলে ফল ও রয়েছে।
তাই সিমিলার ইমেজেস ক্যাটাগরি তে গিয়ে যদি এ্যাপেলের লোগো ডিফাইন করা হয়, তাহলে শুধু এ্যাপেলের লোগো আসবে। সেখান থেকে আপনি যদি আবার ডিফাইন করে দেন এ্যাপেলের শুধু সিলভার কালারের লোগো তবে আমরা নিচের মত রেজাল্ট পাব।
আবার পরে যদি রেজাল্ট চেজ্ঞ করে দিয়ে রেড কালারে নিয়ে যাই তাহলে নিচের মত রেজাল্ট পাওয়া যাবে
আবার যদি ফলের ক্যাটাগরি তে সিলেক্ট করা হবে তাহলে নিচের মত রেজাল্ট পাওয়া যাবে
যাই হোক মোদ্দা কথা এই যে এইবারও গুগল আরেকটি প্রশংসনীয় একটা স্টেপ নিয়েছে। এটা খুবই সিম্পল হলেও ইউজারদের হয়রানি অনেকটা কমাতে সক্ষম হবে বরে আমার বিশ্বাস।
তথ্য সূত্র : গুগল ল্যাব, গুগল ব্লগ
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
গুগলের এই প্রযুক্তিটি সিমপল ঠিকই। কিন্তু এই প্রযুক্তির পরিধি কিন্তু অনেক বড়। বিশেষ করে যখন এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অ্যাপলিক্যাশন তৈরি করা হবে। যেমন: ধরুন গুগল সিমিলার ইমেইজ সার্চ ব্যবহার করে একটি ইকমার্স সাইট ডেভেলপ করা হল। তাহলে আপনি একই রকম জুতা যেগুলোর প্রতিটির সোল সাদা আছে, বা সব লাল রংয়ের টিশার্ট, বা এই লোগো বা কোন লেখা ওয়ালা বিভিন্ন প্রডাক্ট ইত্যাদি এভাবে সার্চ করতে পারবেন। আবার এরকম একটি সাইট যেখানে প্রায় একই প্যাটার্নের বিভিন্ন মানুষের চেহার আলাদা করতে পারে। আসলে গুগল সিমিলার ইমেইজের মূল উদ্দেশ্য এটাই।
boraborer moto atao akta oshadharon tune, dhonnobad onek besi prappo.