গত কয়েক দশকে, আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে আসলে গত কয়েক বছরে যে জিনিসটি সবচেয়ে দ্রুত পরিবর্তিত হয়েছে সেটি হচ্ছে ওয়েব। প্রথম দিকের ওয়েবের কথা আমরা এখনও ভূলি নাই। আজো সেই সমস্ত জিনিস পত্র মাঝে মাঝে মনে পড়ে। কতই না সাধারন ছিল আর কিভাবেই না চোখের পলকে কত বড় পরিবর্তনটি হয়ে গেছে। আমারা অনেকে ঠাওর ও করতে পারি নাই।
এরপরর মাতামাতি হয়েছে ওয়েব 2.0 এর আবর্তন নিয়ে। অনেক জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ওয়েব 2.0 এখন আমাদের মাঝে। আমরা পরিবর্তনকে আপন করে নিয়েছি এবং অপেক্ষায় আছি আরেকটি বড় ধরনের পরিবর্তনের। কি সেই পরিবর্তন? হ্যাঁ টিউনার বন্ধুরা আপনার ঠিকই ধরেছেন। আমরা এখন প্রহর গুনছি ওয়েব 3.0 এর আগমনের।
এর আগমন ঘটবে ২০১০ সালে এবং ২০২০ সাল পর্যন্ত আমরা ওয়েব 3.0 এর সংস্পর্শে থাকব। এখনও এর আগমনে বেশ কিছুদিন বাকী থাকলেও সারা বিশ্বের টেকি এবং গীকরা একে নিয়ে স্বপ্নের জাল বুনে চলেছে। তাদেরও আছে কিছু চাওয়া, কল্পনা এবং প্রস্তাব যা তারা দেখতে চায় ওয়েব 3.0 তে। সেই সমস্ত কল্পনা এবং প্রস্তাব যা হয়ত আমরা ওয়েব 3.0 তে পাবো তাই নিয়ে আজ টিউনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করব -
এখন আমরা আলাদা আলাদা করে অপেরা, ফায়ারফক্স, ক্রোম, ডেলিশিয়াস কে ইউজ করছি। নিজেকে বিভিন্ন উপায়ে সিমপ্লিফাইড উপায়ে অর্গানাইজড রাখার চেষ্টা করে চলেছি। তবে টেকিদের ইচ্ছা ওয়েব 3.0 তে এই জিনিসগুলো আরো সিমপ্লিফাইড হয়ে থাকবে। সবার থাকবে একটি পার্সোনার ব্রাউজার এবং ডেস্কটপ প্ল্যাটফর্ম যেখানে হাতের মুঠোয় থাকবে ফায়ারফক্স, অপেরা, ক্রোম এবং ডেলিশিয়াস অর্গানাইজ করার সুবিধা এবং পার্সোনাল ডেস্কটপ প্ল্যাটফর্ম। বিশ্বের যে কোন যায়গা থেকে শ্রিংকিং করা যাবে এই পার্সোনাল প্ল্যাটফর্মে।
অনেকে হয়ত ভাববেন এ আর নতুন কি। রিমোট কন্ট্রোলের কারিশমা তো বহু আগেই দুনিয়া দেখে নিয়েছে। তবে টেকিরা এই রিমোট কন্ট্রোলকে কল্পনা করেছেন আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে গিয়ে। তাদের মতে এই রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে আপনার পিসি কে কন্ট্রোল করা যাবে এক হাজার কিলোমিটার বা তার চাইতে বেশী দূরত্ব হতে। কাজ করবে ঠিক উইন্ডোজ রিমোট ডেস্কটপ কন্ট্রোলের মতই। আর রিমোট কন্ট্রোল কম্পিউটিং এর সার্ভিস টেকি এবং গীকরা আশা করছেন কোন রকম ফি ছাড়া অর্থাৎ সম্পূর্ণ ফ্রি তে!!
স্বাভাবিকভাবেই এই জিনিসটি চলে আসবে। এতকিছু ম্যানেজিং এর জন্যে ওয়েবের স্পেস বাড়াতেই হবে। এখনি আমরা অনেক ক্ষেত্রে ওয়েবস্পেস কে ফ্রি তে এনজয় করছি এবং প্রয়োজনে কাজেও লাগাচ্ছি। ভার্চুয়াল এই ওয়েব স্পেসকে মাথাপিছু পাঁচ গিগা পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনাও আছে। এবং মনিটরি সিস্টেমের আওতায় একে 4বেজড্ সিস্টেমের শেয়ারিং এ ও নিয়ে আসা হতে পারে বলে অনেকেই আশা ব্যাক্ত করেছেন।
এরই মাঝে থ্রিজি বাজার মাতিয়েছে। হৈ হুল্লোড় ও কম হয়নি এই থ্রিজিকে নিয়ে। আর এই হৈ হুল্লোড়ের আড়ালেই কিন্তু আমাদের জন্যে তৈরী হয়ে পড়েছে 4G এর প্ল্যাটফর্ম। এবার সাথে থাকছে পোর্টেবল অডিও এবং ভিডিও প্লেয়ার। ন্যাভিগেটর এবং পিডিফ পড়ার জন্যে আলাদা রকমের ডিভাইস। 4G তে স্বাভাবিকভাবেই ব্যান্ডউইথ বাড়াতেই হবে। বলা হচ্ছে এই প্ল্যাটফর্মে অলরেডি গিগাবাইট রেজ্ঞের ব্যান্ডউইথের পরীক্ষা সফলভাবে সম্পাদিত হয়েছে।
এই জিনিসটা আমার কাছে আসলেই অবাক করার মত মনে হয়েছে। সার্চ ইজ্ঞিনে এক বিশাল পরিবর্তন হবে এই সেমাটিক ওয়েবিং সিস্টেমের জন্যে। আমরা এখন সার্চ ইজ্ঞিনে আমরা এখন কত প্রিসাউজলি ফাইল পত্র খুজে বেড়াই। করতে হয় অপটিমাইজেশান। এন্টার করাতে হয় স্পেসিফিক এবং সুইটেবল ওয়ার্ডগুলো কে। এখন আমরা যদি কেউ সার্চ ইজ্ঞিনে লিখি "Give me best website for online gift buying shops and then tell me the most suitable location around California to go for trekking" রেজাল্টে কিন্তু কিছুই পাওয়া যাবে না। তবে চমক আসছে ওয়েব 3.0 তে। এখানে আরো স্পেসিফিক রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব। কিভাবে?? এখানে ব্যবহার করা হবে RDF টেকনোলজি। এই টোকনোলজি আপনার সার্চে দেয়া সেনটেন্সটি কে সাবজেকন্ট, প্রডিকেট এবং অবজেক্টে অটোমেটিক্যালি বিভক্ত করে সার্চিং চালাবে এবং আপনার কাঙ্খিত ফলাফল তুলে নিয়ে আসার চেষ্টা করবে।
সবাই এখন মোটামুটি স্মার্টি হার্ডওয়্যারগুলোর সাথে কম বেশি পরিচিত। দিন আরো স্মার্টার হচ্ছে এই সমস্ত হার্ডওয়্যারগুলো। ইন্টেল অলরেডী তাদের Core i7নিয়ে এসেছে, AMD ও তাদের সাংহাই প্রোজেক্টের ঘোষনা দিয়ে দিয়েছে। মনিটরে আসতে যাচ্ছে চমক OLED(Organic LED)আসলেই চমকে দেয়ার মত জিনিস। ঠিক যেন বাস্তব পিকচার কোয়ালিটি। PHYXনামের নতুন গ্রাফিক্স কার্ডও আসতে যাচ্ছে বাজারে।
সার্ফেস কম্পিউটিং অলরেডি মাইক্রোফট আমাদের উপহার দিয়েছে তবে ওয়েব থ্রি তে আরো বড় পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। বিল গেটসের স্বপ্ন হচ্ছে সারফেস পিসিগুলো রাস্তার মোড়ো মোড়ে থাকবে এবং প্রত্যেকটি ইউজারের আলাদা আলাদা স্মার্ট কার্ড থাকবে তার পার্সোনাল সেটিংস এবং ইনফরমেশান এবং যে কোন সার্ফেস কম্পিউটিং এ তা লোড করা যাবে। ঠিক প্ল্যাগ এন্ড প্লে করার মতই।
অলরেডি অনেক অনলাইন রেডিও থাকলেও কেউই তেমন কোয়ালিটি সম্পন্য হতে পারেনি। টেকিরা আশা করছে ওয়েব 3.0 তে কমপক্ষে হাজার খানেক ইন্টারনেট রেডিও থাকবে এবং এইচডি ও ডিজিটাল কোয়ালিটির সাউন্ড সিস্টেমে আপগ্রেডেড করা হবে প্রতিটি স্টেশনকে।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
দারুন একটা টিউন