ডার্কনেট হল যৌনতা, ড্রাগ ও অবৈধ অস্ত্র ও খুনীদের একটি যোগাযোগ মধ্যম। সবার জানা দরকার।

 

 

ইন্টারনেটে আমরা যে অংশটির দেখা পাই, তা মূল ইন্টারনেটের উপরিভাগের অতি সামান্য অংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেটের অধিকাংশ অংশই আমরা দেখতে পাই না। এ অন্ধকার অংশেই রয়েছে ড্রাগ, অবৈধ অস্ত্র ও পর্নোগ্রাফির বিশাল সমাহার। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস।
ভারতীয় সরকার কিছুদিন আগে ৮৫৭টি ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে নির্দেশ দেয়। তবে এগুলোর মধ্যে মাত্র আটটি ওয়েবসাইট ছিল ডার্কনেটের অংশ।
যৌনতা, প্রাণী হত্যার দৃশ্য প্রচার, মারাত্মক অস্ত্র বিক্রি কন্ট্রাক্টে ধর্ষণ ও খুন ইত্যাদি সার্ভিস পাওয়া যায় ডার্কনেটে। কিন্তু আপনি গুগল ও বিং-এর মতো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ডার্কনেটের সন্ধান পাবেন না। আর এ কারণেই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও ডার্কনেটের অধিকাংশের খোঁজ পান না।
ডার্কনেট : অনলাইনে ড্রাগ, অবৈধ অস্ত্র ও খুনীদের আখড়া

ডার্কনেটের বিষয়টি সবার উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ২০১৩ সালে। সে সময় সিল্ক রোড নামে অন্ধকার জগতের একটি বড় ওয়েবসাইট বন্ধ করে দেয় মার্কিন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এফবিআই। সে ওয়েবসাইটটিতে বিক্রি করা হতো নিষিদ্ধ ওষুধসহ নানা নিষিদ্ধ সামগ্রী। এটি বিটকয়েন নামে এক ধরনের ভার্চুয়াল মুদ্রা ব্যবহার করে। ফলে অনলাইনে লেনদেনেও কোনো সমস্যা হতো না।
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথের কম্পিউটার সায়েন্স গবেষক গ্যারেথ উয়েনস জানান, ডার্কনেটের ৮০ ভাগ ট্রাফিক আসে শিশুদের ব্যবহার করে নির্মিত পর্নোগ্রাফিতে। এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ড্রাগ বিক্রি।
গ্যারেথ উয়েনস আরো বলেন, ‘এ গবেষণার আগে আমার ধারণা ছিল ডার্কনেট একটি ভালো বিষয়।’
ডার্কনেট : অনলাইনে ড্রাগ, অবৈধ অস্ত্র ও খুনীদের আখড়া
ডার্কনেটে শুধু পর্নোগ্রাফি, ড্রাগ কিংবা অস্ত্রই বিক্রি হয় না। এখানে খুনীও ভাড়া পাওয়া যায়। ইউরোপ কিংবা আমেরিকা, যেখানেই শিকার থাকুক না কেন, অর্থের বিনিময়ে খুব সহজেই খুন করিয়ে দেওয়া যায় ডার্কনেটের খুনীদের সহায়তায়।
তিনজনের একটি খুনী গ্রুপের অফারে দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার যে কোনো স্থানে কোনো ব্যক্তিকে খুন করতে তারা ১০ হাজার ডলার বা সমপরিমাণ বিটকয়েন এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কোনো স্থানে খুন করতে ১২ হাজার ডলার চার্জ করে। তবে তারা ১৬ বছরের নিচের শিশু এবং শীর্ষ ১০ রাজনীতিবিদকে খুন করে না। এ ধরনের অসংখ্য খুনী গ্রুপ ছড়িয়ে রয়েছে ডার্কনেটের অনলাইনে।

লেখাটি পূর্বে  এই ব্লগে প্রকাশিত

সবাইকে আমাদের প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগ সাইটে লেখার ও ভিজিট করার আমন্ত্রন জানাচ্ছি।

ফেসবুক পেইজে লাইক দিতে ভূলবেন না।

সূত্র : ইন্টারনেট

Level 0

আমি আলআমিন রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 25 টি টিউন ও 15 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

সবাইকে তথ্য ও প্রযু্ক্তি বিষয়ক YouTube চ্যানেলে স্বাগতম। সবাইকে আমার চ্যানেলে Subscribe করে যুক্ত থাকার আমন্ত্রন জানাচ্ছি। My Channel - youtube.com/erait


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

TO AMRA KI VABE DARKNET A DEKTA PABO.

tor browser use korte hobe #tarequl

Kicu kicu browser ace je gula dia dukte parben.. kintu oi sob site browse korar age nijer ip change kore nite vulben na :p

🙁 চিন্তার ব্যাপার।

ভাই, স্ক্রিনশটটা কি পুরনো?? যতদূর জানি Silk Road অফ করে দেওয়া হয়েছে…

সুন্দর পোস্ট….তবে আমার মনে হয় আপনি ডার্ক/ডিপ নেটের একটা দিক তুলে এনেছেন…হ্যা এটা ঠিক ড্রাগ, অবৈধ অস্ত্র ও চাইল্ড পর্নোগ্রাফি এবং খুনী ভাড়া করার মত কাজ এখানে যেমন বহুল প্রচলিত ঠিক তেমনি আরব বসন্তের মত রাজনৈতিক এবং সামাজিক আন্দোলনও এখানেই শুরু হয়…আমি মনে করি এটাকে একটা অস্ত্রের মত তুলনা করা যায় “যেটা সন্ত্রাসীর কাছেও আছে আবার পুলিশের কাছেও আছে”..এখন আপনি কিভাবে সেটাকে দেখবেন সেটা আপনার দেখার বিষয়…আর ডিপ/ডার্ক ওয়েবের ব্যাপারে টেকটিউন্সে বেশ কিছু লেখা আছে..একটি তো রীতিমত স্টিকি ছিলো…আপনাকে ধন্যবাদ এই ব্যাপারে এই ব্লগকে আরও সমৃদ্ধ করার জন্য………