সবাই কেমন আছেন, নিশ্চই ভাল.................
পৃথিবী থেকে দূরতম গ্যালাক্সির সন্ধান পাওয়া গেছে। ইউরোপের জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একটি দল গত মঙ্গলবার এক অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। বিজ্ঞানীদের মতে, এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত গ্যালাক্সিগুলোর মধ্যে এটাই পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত এবং পুরোনো গ্যালাক্সি। গতকাল বৃহস্পতিবার বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী নেচার-এ নতুন সন্ধান পাওয়া এই গ্যালাক্সি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার কথা।
পৃথিবী থেকে এক হাজার ৩১০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে সন্ধান পাওয়া এই গ্যালাক্সির নাম দেওয়া হয়েছে ইউডিএফওয়াই-৩৮১৩৫৫৩৯। বিজ্ঞানীরা গত বছর স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট পরিচালিত হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে এই গ্যালাক্সির দুর্বল আলোর সন্ধান পান।
লাল বৃত্তের মধ্যে সন্ধান পাওয়া গ্যালাক্সি ইউডিএফওয়াই-৩৮১৩৫৫৩৯
গ্যালাক্সি ইউডিএফওয়াই-৩৮১৩৫৫৩৯ অনুসন্ধান সম্পর্কে গবেষণার প্রধান লেখক ম্যাট লেহনার্ট বলেন, ‘চিলিতে অবস্থিত ইউরোপের দক্ষিণাঞ্চলীয় মানমন্দির (ইএসও) থেকে সবচেয়ে বড় আকারের টেলিস্কোপ ব্যবহার করে আমরা এই গ্যালাক্সি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছি।
মহাবিশ্বের বয়স যখন ৬০ কোটি বছর, তখন থেকেই দুর্বল এই গ্যালাক্সির অস্তিত্ব ছিল।’
গবেষণার সহ-লেখক ও ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব কমপিউটেশনাল কসমোলজির ফেলো মার্ক সুইনব্যাংক বলেন, সবচেয়ে পুরোনো এই গ্যালাক্সির উজ্জ্বলতা বা উত্তাপ দুটিই কম। এমনকি এই উজ্জ্বলতা বা উত্তাপ সেখানে হাইড্রোজেনের কারণে সৃষ্ট কুয়াশা কাটানোর মতো শক্তিশালী নয়। এই গ্যালাক্সির আশপাশে অবশ্যই আরও গ্যালাক্সি রয়েছে। তবে সেসব গ্যালাক্সি সম্ভবত ইউডিএফওয়াই-৩৮১৩৫৫৩৯ গ্যালাক্সির চেয়ে ছোট ও দুর্বল।
সুইনব্যাংক বলেন, ‘গত বছর বিজ্ঞানীরা হাবল স্পেস টেলিস্কোপের মাধ্যমে ইউডিএফওয়াই-৩৮১৩৫৫৩৯ গ্যালাক্সির দুর্বল আলোর সন্ধান পান। পরে তাঁরা এ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেন। আমরা ১৬ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণের পর গ্যালাক্সির অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করি।’
প্যারিসের ইনস্টিটিউট অব স্পেস অ্যাস্ট্রোফিজিক্সের নিকোলে নেসভাডবা বলেন, দূরতম গ্যালাক্সির সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি দারুণ ব্যাপার। এর অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল গুরুত্বও অনেক বেশি। তিনি বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো আমরা নিশ্চিত হয়েছি একটি গ্যালাক্সিতে হাইড্রোজেনের কুয়াশা রয়েছে। সৃষ্টির পর একেবারে প্রথম দিকে মহাবিশ্বে এমন কুয়াশা ছিল।’
অন্তত এক হাজার ৩৭০ কোটি বছর আগে মহাবিস্ফোরণের (বিগ ব্যাং) মাধ্যমে মহাবিশ্বের সৃষ্টি হয়।
এর ৩০ কোটি বছর পর গ্যালাক্সি ও নক্ষত্রের গঠন শুরু হয়। আমাদের সৌরজগতের সূর্যের জন্ম হয় প্রায় ৫০০ কোটি বছর আগে। আর পৃথিবীতে প্রাণের সঞ্চার হয় ৩৭০ কোটি বছর আগে।
আমি সাইফুর রহমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 469 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জীবনে চলার পথে আনেক বাধা আসবে, সেই বাধাকে অতিক্রম করে বাঘের মত এক দিন বাচ, আর পৃথিবীর বুকে দাগ কেটে যাও নাম লিখে যাও স্বন্রাক্ষরে http://idmfordownload.blogspot.com
তথ্যবহুল টিউন। অনেক ধন্যবাদ।