সাধারণত গোয়েন্দাগিরি শখ সব মানুষেরই একটা সময় বেশ প্রবল ভাবে থাকে। কিন্তু হয়তবা কোন কারণে সেটা আর বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয় না। আপনি হয়ত অনেক সময় ভেবে থাকবেন যে আপনার পারসোনাল বিভিন্ন স্থানে নজরদারী করা দরকার। কিন্তু, এর জন্য সিকিউরিটি ক্যামেরা সেটআপ এর জন্য যে প্রচুর পরিমাণে খরচ পড়বে সেটা হয়ত আপনি বহন করতে পারবেন না।
কিন্তু, এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের অনেক উপায়ই আছে। সব থেকে সহজ উপায় হল আপনার কোন স্মার্টফোন অথবা ট্যাবলেট। এটার মাধ্যমে আপনি অনেক কম খরচের ভেতর আপনার সিকিউরিটি ক্যামেরার সেবা পেতে পারেন এবং সেই একই মেথডে ও একই সুযোগ সুবিধা সহ।
গুগল প্লেতে আপনি অনেক অ্যাপস পাবেন যেগুলো যেকোন এন্ড্রয়েড ফোনকে একটা সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ইউজ করতে সাহায্য করে। এই অ্যাপস এর মাধ্যমে আপনি আপনার যে স্থানে এটা সেট করা থাকবে সেই স্থান থেকে সবসময়ই আপডেট পেতে থাকবেন। এবং বিষয়টি সম্পূর্ণ রিমোটলি করতে পারবেন।
আপনারা জেনে খুশি হবেন যে বর্তমানে এন্ড্রয়েড ইউজারদের জন্য একটা বেশ ভাল অ্যাপস আছে যেটা আপনার স্মার্টফোনকে একটা আইপি ওয়েবক্যামে রূপান্তরিত করতে পারে। আপনাদের জন্য আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ হল এটা আপনি এমন ভাবে কনফিগার করতে পারবেন যে আপনার সিকিউরিটি ক্যামেরায় কোন মুভমেন্ট ধরা পড়লে সাথে সাথে এটা আপনাকে এলার্ট পাঠাবে। আর সবথেকে মজার জিনিস হল এই কাজটা করার জন্য আপনাকে ডাটা স্টোর করার জন্য কোন এক্সট্রা পিসি সার্ভার হিসেবে ইউজ করা লাগবে না। এক্ষেত্রে Silent Eye (সাইলেন্ট আই) অত্যন্ত ভাল একটা এপ্লিকেশন।
তবে মনে রাখবেন যে এটা কিন্তু কোন ওয়েবক্যাম না। এটা মূলত এন্ড্রয়েড ফোনের একটা অ্যাপ এর মাধমেই সম্ভব হয়েছে।
Silent Eye (সাইলেন্ট আই) এমন একটা অ্যাপ্লিকেশন যেটা আপনার এই শখ বাস্তবায়ত করতে সবথেকে পারফেক্ট একট এ্য্যাপ, Silent Eye বর্তমানে গুগল প্লেতে পাওয়া যাচ্ছে। তাই ডাউনলোড করে ফেলুন এখনই।
অবশ্য এটা আপনাকে রিয়েল সিকিউরিটি ক্যামেরার সব ফংশনালিটি প্রোভাইড করবে না। Silent Eye মাধ্যমে আপনি অবশ্যই কোন আইপি ক্যামেরার সব ফিচারগুলো পাবেন না। কিন্তু এই Silent Eye খুব একটা কমও যায় না। চিপ রেটের ভেতর এটাই মনে হয় সবথেকে পাওয়ারফুল ও ভাল মানের একটা সিকিউরিটি সিস্টেম।
Silent Eye (সাইলেন্ট আই) অ্যাপটা ইনস্টল করার পর আপনার স্মার্টফোনটি মূলত যেখানে সেট করা থাকে সেখানকার র্যানডম স্ক্রীণশট নেয় এবং যদি আপনার ক্যামেরার সামনে কোন মুভমেন্ট ডিটেক্ট করে তাহলে এটা সরাসরি আপনার ফোনে একটা বেশ জোরেশোরে এলার্ম বাজাতে থাকে। যে ইমেজগুলো আপনার ডিভাইসে আসে হয় সেগুলো আপনার মোবাইলের স্টোরেজে সেভ হয়ে থাকে। অবশ্য আপনি একটা ইমেইল এড্রেস বা SMS এর মাধ্যমেই এই ইমেজগুলোর ব্যাকআপ রাখতে পারেন বা ইমেইলে নোটিফিকেশন পেতে পারেন।
সাইলেন্ট আই এন্ড্রয়েড স্মার্টফোনের এবং ট্যাবলেটের সাথে কমপাটিবল। সাইলেন্ট আই সাধারণত অনেক কম পাওয়ারে চলে এবং এটা ফোনের ডিসপ্লে অফ হয়ে গেলেও এটার কাজ চালিযে যায়। আপনারা উপরের চিত্রে দেখতে পাচ্ছে যে এই অ্যাপটি যে মুভমেন্টটা ডিটেক্ট করেছে সেটা লাল রং দ্বারা চিহ্নিত করা যেটা মুভিং অবজেক্টকে দেয়াল বা রুমের অন্যান্য অংশ থেকে পৃথক করে রেখেছে। এইরকম কিছু ঘটলে অ্যাপ্লিকেশনটি আপনাকে অটোমেটিক এলার্ম সেন্ড করবে এবং ইমেইলেও আপডেট দিবে।
Silent Eye (সাইলেন্ট আই) ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন। তারপর রান করান। এরপর আপনি সবার উপরের দিকে সেটিংস এ চলে যান। এখানে আপনাকে একটা পাসওয়ার্ড সেট করতে হতে পারে। তারপর আপনি ফোনের কোন ক্যামেরা সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ইউজ করতে চান সেটা সিলেক্ট করুন। মানে ফ্রন্ট ক্যামেরা নাকি রেয়ার ক্যামেরা ?
আপনাকে অবশ্যই ইমেইল সেটিংস এ গিয়ে একটা ইমেইল আইডি এড করা উচিৎ। আর আপনি যদি SMS নোটিফিকেশন চান তাহলে SMS সেটিংসে গিয়ে আপনার ফোন নম্বরটা এড করে দিন। অবশ্য এই সময় খেয়াল করবেন যে আপনার সেটের নেটওয়ার্ক ডিসকানেকশন, লো পাওয়ার সাপ্লাই এবং লো ব্যাটারী নোটিফিকেশনগুলো চালু করা আছে। এবং এগুলো সেট করার জন্য সাইলেন্ট আই তে বিভিন্ন অপশন আছে।
অ্যাপ্লিকেশনের মেইন স্ক্রীণে ইমেইল আইকনটা ট্যাপ করুন। এর ফলে আপনার সিকিউরিটি ক্যামেরার সব আপডেট আপনার ইমেইলে পৌছে যাবে।
যখন Silent Eye কোন রকম গতি বা মুভমেন্ট ডিটেক্ট করে তখন একটা এলার্ম বেজে ওঠে এবং ইমেজগুলো সার্ভারে আপলোড হয়ে যায়। আপনি একটা লিংকের মাধ্যমে এইসব ইমেজ বা নোটিফিকেশনগুলো দেখে নিতে পারেন। আর এই লিংটা আপনি অটোমেটিকলি পেয়ে যাবেন।
সাইলেন্ট আই এর অন্য একটা ভার্সন রয়েছে যেটাতে একটা রিমোট অপশন আছে ।এটার মাধ্যমে আপনি সরাসরি অন্য ওয়েবক্যামে কী ঘটছে সেটা ডিরেক্ট দেখতে পাবেন। এটা হল Salient Eye Security Remote নামের একটা অ্যাপ। এটাও সম্পূর্ণ ফ্রী।
রিমোটলি সবকিছু অবজারভ করতে চাইলে আপনাকে ২ টা ডিভাইস থেকেই একই একাউন্টে সাইন ইন করতে হবে। এবং এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার সিকিউরিটি ক্যাম হিসেবে সেট করা স্মার্টফোন থেকে লাইভলি সব আপডেট পেতে থাকবেন। আর ইমেইল বা SMS এক্ষেত্রে একটা ঝামেলার জিনিস। এর থেকে এই অপশন টাই মনে হয় আপনার জন্য পারফেক্ট হবে।
সাইলেন্ট আই অবশ্যই একটা খুবই শক্তিশালী অ্যাপ। কিন্তু এটাই একমাত্র নয়। এই ধরণের আরও অনেক অলটারনেটিভ অ্যাপস বর্তমানে পাওয়া যায়।
সাইলেন্ট আই এর একটা বিকল্প হল AtHome Camera।এই অ্যাটার মাধ্যমে আপনি 3G, 4G gchq WIFI এর মাধ্যমে মুভমেন্ট ডিটেকশন, টু ওয়ে টকিং, সিডিউল রেকর্ডিং এর মত কাজগুলো খুব সহচেই করতে পারবেন। এবং এটার অন্যতম সুবিষা হল এটা মাল্টিপ্লাটফর্ম এ কাজ করতে পারে।
এইরকম আরও একটা অ্যাপ হল Smart Home Security WardenCam।এই অ্যাপটা সাধারণত অন্য অ্যাপস গুলোর মতই ফাংশানিলিটি যুক্ত। কিন্তু এর একটা ইউনিক স্পেশালিটি রয়েছে। এটা হল, এই অ্যাপটা ড্রপবক্সের মত ক্লাউড স্টোরেজ সাপোর্ট করে।
.
বর্তমানে স্মার্টফোনের সিকিউরিটি ক্যামেরা অ্যাস গুলো ব্যাপক ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই্ অ্যাপসগুলোরররিমোট সার্ভার নিয়ে কাজ করা, ক্লাউড স্টোরেজ,ডিরেক্ট আপডেট প্রভৃতির কারণে এ্যপসগুলো মারাত্মভাবে মাকের্ট পাচ্ছে। তবে এটাও মনে রাখবেন যে স্মার্টফোন শুধুমাত্র সিকিউরিটি ক্যামেরা হিসেবে ব্যবহার করা জন্য না। এই কাজের জন্য আপনি ওয়েবক্যামের কালেকশন যেগুলো একটা ডেস্কটপ পিসির সাথে যুক্ত থাকে এমন কিছুও ব্যবহার করতে পারেন।
আপনি যদি এই সিকিউরিটি ক্যামেরা ব্যবহার করতে কঠিন মনে করনে বা বিষয়টা আপনার অনেক জটিল মনে হয়, তাহলে আপনার কোন সহজ সিস্টেম জানা আছে কী? আমাকে অবশ্যই জানান টিউমেন্ট এর মাধ্যমে।
আমি অরিন্দম পাল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 81 টি টিউন ও 316 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 20 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানসিক ভাবে দূর্বল । কোন কাজই কনফিডেন্টলি করতে পারি না , তবুও দেখি কাজ শেষ পর্যন্ত হয়ে যায় । নিজের সম্পর্কে এক এক সময় ধারণা এক এক রকম হয় । আমার কোন বেল ব্রেক নেই । সকালে যে কাজ করব ঠিক করি , বিকালে তা করতে পারি না । নিজের...
Bhai prothom je software tar kotha bolcen Ota darun kaj kortece. Tobe jodi Detection korar somoy koyekta picture capture kore rakhto tahole bujte partam ke esecilo.