বিজ্ঞানের একটাই উদ্দেশ্য, তা হল উন্নতি আর উন্নতি। আমরা বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিকে নিজেদের উন্নতিতে প্রতিনিয়ত ব্যবহার করছি আর সুবিধা ভোগ করছি। আর সেই কারনেই আবিস্কার হচ্ছে বিজ্ঞানের নতুন নতুন দিকের আর উদ্ভাবিত হচ্ছে উন্নতমানের প্রযুক্তি। এর মদ্ধে কিছু প্রযুক্তি আছে যা একেবারেই প্রত্যক্ষভাবে আমাদেরকে সাহায্য করেছে। আর ন্যানোটেকনলজি আমাদের প্রযুক্তিতে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। আপনার হাতের ফোন বা ট্যাবলেট, এসবই ন্যানোটেকের দান। এই নতুন টেকনোলজি আমাদেরকে জীবনকে যেমন স্বাচ্ছন্দ্যময় করেছে, তেমনিই করেছে ঝামেলা মুক্ত। ক্ষুদ্র যায়গায় যোগ করেছে অসংখ্য চিপ। তো যাই হোক, আজকে যা নিয়ে বলব সেটা তেমনিই একটা প্রযুক্তি।
মানুষের চোখের সমস্যা এবং একই সাথে স্টাইলে লেন্সের ব্যবহার অনেক। তাই চলছে এর উন্নতি কাজ। কন্টাক্ট লেন্সের এই উন্নতির ধারা কয়েক দশক ধরেই চলে আসছে। বিজ্ঞানীরা স্মার্ট কন্টাক্ট লেন্স উদ্ভাবনের চেস্টা করছে যা কিনা মানুষের দেহে গ্লুকোসকে মনিটর করতে পারবে। আবার এর মদ্ধেই গুগল তৈরি করে ফেলেছে স্মার্ট গ্লাস, যা কিনা অনেক উন্নত মানের। তবে সেটা সান গ্লাসের মত; কন্টাক্ট লেন্সের মত সহজ পরিধানযোগ্য নয়। আর সেই সূত্র ধরেই বিজ্ঞানীরা কন্টাক্ট লেন্সে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। তারা এমন একটা লেন্স তৈরি করেছে যা স্বাভাবিকের চেয়ে 3X বেশি জুম ইন এবং একই সাথে জুম আউট করে আপনাকে দেখতে সাহায্য করবে। এই গবেষণার কাজে আছে সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা।
বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন যে ভবিষ্যতে এই ধরনের কন্টাক্ট লেন্সের বহুবিধ ব্যবহার করা যাবে। এই ধারনা আসে মূলত ড্রোন থেকে। বেশ কিছুদিন ধরেই উন্নতমানের ড্রোনে এমন এক লেন্সের খোঁজ করা হচ্ছিল যা কিনা ছবি তোলা, ভিডিও করাসহ জুম আউট করতে পারবে। সেই থেকে গবেষণা করে পরিধানযোগ্য এই লেন্সের উদ্ভব। যাদের দুরের এবং কাছের দৃষ্টিতে সমস্যা রয়েছে তারা এই লেন্স দ্বারা উপকৃত হবে। তাছাড়া ৫০ বছরের অধিক বৃদ্ধদের চোখের কোষ নষ্ট হয়ে যায় এবং রেটিনায় সমস্যা দেখা দেয়। তাদের ক্ষেত্রেও এই লেন্স ব্যবহার করা যাবে।
বিজ্ঞানীরা ঘোষনা করেছেন যে, এই লেন্স সাধারণ লেন্সের চেয়ে আকারে কিছুটা বড় হবে। এবং এটা হবে নমনীয়। এর আকার ১.৫ মিলি মিটার হবে এবং সাথে একটা ক্ষুদ্র এলুমিনিয়ামের রিং থাকবে যা আলোকে কেন্দ্রীভূত করতে সহায়তা করবে। এই এলুমিনিয়ামের মাথায় একটা মিরর থাকবে যা জুম করাতে সাহায্য করবে। এটা স্বাভাবিকের চেয়ে ২.৮ গুন জুম করতে সক্ষম হবে। এই লেন্সের জুম আউট এবং ইনের পদ্ধতিও অত্যন্ত সহজ কিন্তু অটোম্যাটিক। আপনি কোন কিছুর দিকে ফোকাস করে তা অস্পষ্ট দেখলে লেন্স তা বুঝে নিয়ে জুম করবে। লেন্স এটা বুঝবে আপনার চোখের মাসল থেকে। আবার জুম আউটের ক্ষেত্রে আপনি আপনার চোখের পলক ফেলবেন, তাহলেই হবে। এই লেন্সের গায়ে উচ্চ অনুভূতি সম্পন্ন সেন্সর লাগানো হয়েছে।
তবে এর কিছু অসুবিধার কথাও বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। সবথকে বড় কথা হল এটা এখনো মানুষের উপর ব্যবহার করা হয়নি। তাছাড়া এই লেন্সে বাতাস চলচলের কিছু সমস্যা আছে। এছারা তেজস্ক্রিয়তার ভয়ও করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে লেন্সটা এখনি উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। তবে বিজ্ঞানীরা এর উন্নতির জন্য গবেষণা করে যাচ্ছেন। তারা জানান শীঘ্রই এর সফল পরিক্ষা শেষ করা হবে এবং জনসাধারনের জন্য বাজারে উন্মুক্ত করা হবে।
আমরাও আশা করে আছি ন্যানোটেকনোলজির নতুন এই প্রযুক্তির দিকে। আমাদের ভবিষ্যতের মোবাইল, ক্যামেরা, রোবট বা অন্যান্য যন্ত্রে এই প্রযুক্তিটি নতুন সংজোযন হতে পারে। সেইদিকেই আমাদের অপেক্ষা.
হ্যাঁপি ন্যানোটেক!
বিজ্ঞানকে ভালোবাসুন, বিজ্ঞানের সাথে থাকুন।
লেখাটি প্রথম প্রকাশ হয়ঃ https://bigganbortika.org
বিজ্ঞানের অন্যান্য বিষয় নিয়ে চোখ রাখতে পড়ুন বিজ্ঞানবর্তিকা।
কাশিত হয় না।
আমি কামরুজ্জামান ইমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 33 টি টিউন ও 124 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
বিজ্ঞানকে ভালবাসি। চাই দেশে বিজ্ঞান চর্চা হোক। দেশের ঘরে ঘরে যেন বিজ্ঞান চর্চা হয় সেই লক্ষ্যেই কাজ করছি।
জেনে ভাল লাগল ।