একুশ শতকের এই যুগে যেখানে সব কিছু অনলাইনে করা হচ্ছে, সকল বিজনেস অনলাইন নির্ভর সেহেতু এই অনালাইনের এক্সট্রা কিছু আইডিয়া না নিয়ে আপনি যাবেন কোথায়! অনেক অনেক বিজনেস এবং চাকুরি আছে যারা এখন চাচ্ছে এক্সট্রা কিছু পার্সন অনলাইন নির্ভর রাখার, যে সুযোগ আপনি খুব সহজে লুফে নিতে পারেন এক্সট্রা কিছু কাজ শিখে নিয়ে, ইনকাম করতে পারেন মূল ইনকামের সাথে বাড়ি বসে এক্সট্রা কিছু। যা হয়তো আপনার লাইফ স্টাইলকে আরও একটু বাড়িয়ে দিবে এই প্রতিযোগিতার মাঝে।
কিছু কিছু টেকপ্রেমিক হয়তো অনলাইন পেশাকে ফুল টাইম কাজ হিসেবে নিয়ে বাড়ি বসেই এগিয়ে যাচ্ছেন দ্রুত গতিতে। অনলাইন ইনকাম যদিও একটু ধীরে আগায় তারপরও ধীরে ধীরে এটি বেশ স্মার্ট ইনকাম সোর্স হতে পারে। এমনকি আপনি যদি চান একটা সময় পরে এটাকে প্রধান ইনকাম সোর্স করতে পারেন। অনলাইন পেশাটা দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠার মূল কারণ আপনি অনলাইনে বেশ কম সময় দিয়ে ভালো একটা এক্সট্রা ইনকাম সোর্স তৈরি করতে পারেন, উপার্জন করতে পারেন মাস শেষে একটা ভালো এমাউন্টের একটা সম্মানি। এই ইনকাম আপনি কোন বিজনেস প্রতিষ্ঠানের হয়ে করতে পারেন আবার নিজে নিজেও অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে ইনকাম করতে পারেন। আসুন দেখি সেই সব টপ অনলাইন ধারণা, যা আপনি হয়তো জানতেন না!
বর্তমান বিশ্ব অনলাইন নির্ভর, সেহেতু এখানে বিজনেস করতে হলে ওয়েব সাইট বাধ্যতামূলক। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠানের ওয়েব সাইট এখনও পুরাতন ধাঁচের। সেহেতু তারা কাস্টমার আকর্ষণ করার জন্য নিত্যনতুন আপডেট আনছে তাদের ওয়েবসাইট। এই সুযোগে আপনি ওয়েব ডিজাইনটা একটু সময় করে শিখে নিতে পারেন আর যুক্ত হতে পারেন ওয়েব ফার্মের সাথে। যে ফার্মগুলো থেকে আপনি কাজ নিয়ে অবসর সময়ে বাসায় বসে এক্সট্রা কিছু কাজ করে স্মার্ট এমাঊন্ট ইনকাম করতে পারেন। অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতেও ভালো কাজ শিখে পার্ট টাইম কাজ করে আপনি ইনকাম করতে পারেন ভালো স্মার্ট এমাউন্ট। আর যোগ করতে পারেন নিজের চলাচলে আরও একটু ভিন্ন মাত্রা। নিজে উদ্যোক্তা হিসেবেও নিতে পারেন বেশ কিছু দারুণ সুযোগ এই সেক্টরে।
সিভি বা রিজিউম রাইটিং বর্তমান সময়ে কিছু কিছু মানুষের কাছে বেশ কঠিন একটা কাজ। অনেকে ভালো কাজ বা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভালো মানের রিজিউম জমা না দিতে পারায় তারা জব থেকে বঞ্জিত হচ্ছে। ঠিক যেই কারণে অনেক কাজ পাওয়া যায় এই সেক্টরে। সঠিক ফরম্যাট এবং সুন্দরভাবে লেখা একটা রিজিউম সুযোগ এনে দিতে পারে অনেক মানুষের ভাগ্যে। সেহতু আপনি যদি রিজিউম রাইটিং এ অনেক বেশি এক্সপার্ট হন তাহলে এই সুযোগ লুফে নিতে পারেন। আর ইনকাম করতে পারেন মাস শেষে ভালো একটা এমাউন্ট।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এখন খুব জনপ্রিয় মাধ্যম একটু সময় দিয়ে ভালো এমাউন্ট ইনকাম করার জন্য। আপনি যদি খুব ভালো প্রডাক্ট রিভিউ লিখতে পারেন আর যদি আকর্ষণ করতে পারেন কাস্টমারের দৃষ্টি তাহলে আপনি এই পেশায় অনেক ভালো করতে পারবেন। খুব বেশি ইনভেস্ট করার প্রয়োজন নাই এফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য। তবে কিছু স্ট্রাটেজি অবলম্বন করে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে সময় দিয়ে বেশ ভালো একটা এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি স্বাস্থ্য বিষয়ে ভালো ধারণা রাখেন এবং তৈরি করতে পারেন অনেক ভালো মানের খাদ্য লিস্ট, সেই সাথে যদি ফিটনেস নিয়ে দিতে পারেন ভালো মানের কাউন্সেলিং তাহলে আপনিও ভালো এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। অনেক জিমনেশিয়াম এক্সপার্ট আছেন যারা ভালো মানের অনেক ইনকাম করছেন। তারা অনলাইনে স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস দিয়েও লুফে নিচ্ছেন স্মার্ট ইনকাম সোর্স। সেহতু আপনি যদি এই বিষয়ে এক্সপার্ট হন অথবা একটু শিখে নিতে পারেন স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস তাহলে শুরু করে দিন আজই নোট তৈরি করতে।
টেকনোলজির উন্নতির সাথে সাথে মানুষ যেহেতু অনেক বেশি অনলাইন নির্ভর হয়ে গেছে সেহেতু ই-বুক এখন বেশ জনপ্রিয়। অনেকে রাইটার আছে যারা অনলাইনে বই প্রকাশ করছেন। আপনি যদি ই-বুক লিখতে এবং তৈরি করতে অনেক দক্ষ হন তাহলে এই পেশা আপনি বেঁছে নিতে পারেন। অনলাইনে এবং সরাসরি আপনি অনেক কাজ পাবেন ই-বুক নিয়ে। আপনি যদি লেখায় ভালো এক্সপার্ট হন তাহলে নিজেও ই-বুক লিখে মার্কেট প্লেসে সেল করতে পারেন। আর ইনকাম বেশ ভালো একটা এমাউন্ট।
আপনি যদি কারিগরি বিষয়ে ভালো এক্সপার্ট হোন অথবা দিতে পারেন ভালো কাস্টমার সাপোর্ট দিতে পারেন তাহলে আপনি বাড়ি বসে অনলাইনে কাস্টমার সাপোর্টের কাজ করতে পারেন। এজন্য আপনাকে ইংরেজিতে অনেক ভালো হতে হবে। টেকনিক্যাল বিষয়ে এক্সপার্ট হলে অনেক ভালো এমাউন্ট ইনকাম করতে পারবেন আপনি। এই কাজে যেমন আপনি নিত্যনতুন অনেক মানুষের সাথে পরিচিত হতে পারবেন সেই সাথে ভালো মানের সেলারিও পেতে পারেন।
এখন নিত্য নতুন ই-কমার্স বিজনেস আসছে প্রতিনিয়ত। আপনি যদি ভালো প্রডাক্ট সচেতন হোন, আর দিতে পারেন ভালো আর্টিকেল ধারণা তাহলে আপনি ই-সপ গুলোতে কাজ করতে পারেন। সেখানে নিত্য নতুন বিজনেস ধারণা এবং কোয়ালিটি নিচ্চিতের জন্য স্মার্ট লোক খুঁজে, সেজন্য আপনাকে সেই ভাবে দক্ষ করতে পারলে, আপনিও নিতে পারেন এই ধরনের কাজের সুযোগ। আপনি হয়তো ফুল টাইম না করেও বা বাড়ি বসেও এই ধরনের কাজ করতে পারবেন।
অনলাইন টিচিং এখন দিন দিন খুব জনপ্রিয় হচ্ছে। আপনি যদি ভালো শেখাতে পারেন, সেই সাথে মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারেন আপনার কথা দিয়ে তাহলে আপনি আপনার জানা কোন টপিকসে অনলাইনে টিচিং দিতে পারেন। কারিগরি দক্ষতামূলক শিক্ষা দিতে পারলে আপনি পেতে পারেন দারুণ কিছু সুযোগ এবং সেই সাথে পরিচিতি। অনেক মানুষ আছে যারা সময়ের অভাবে শেখার আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও ক্লাসে যেয়ে শিখতে পারে না, সেহেতু আপনি যদি অনলাইনে ভালো রিসোর্স তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনি মানুষকে শেখানোর মাধ্যমে ভালো এমাউন্ট ইনকাম করতে পারেন। বিভিন্ন শিক্ষা মূলক টিউটোরিয়াল তৈরি করেও ভালো ইনকাম করতে পারেন।
আপনি যদি ইংলিশে ভালো মানের কন্টেন্ট এবং আর্টিকেল তৈরি করতে পারেন, তাহলে আর্টিকেল রাইটিং কে পেশা হিসেবে নিতে পারেন। ওয়েব এই জগতে অনলাইন পরিচিতির জন্য আর্টিকেল একটি ভালো মাধ্যম। সেহেতু সকল প্রতিষ্ঠান এখন ওয়েব কন্টেন্টের জন্য অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। সেহেতু আপনি যদি ভালো মানের ইংরেজি গ্রামার এবং ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে একটি গ্রেট পেশা হতে পারে আপনার আর্টিকেল রাইটিং। আর্টিকেল রাইটিং যেমন আপনার পরিচিতি দিবে তেমন স্মার্ট ইনকাম। ক্রিয়েটিভ কাজের একটা বিশাল ক্ষেত্র এই আর্টিকেল রাইটিং।
বর্তমান সময় অ্যাপলিকেশনের ব্যাপক ব্যবহার। স্মার্টফোনের যুগে অ্যাপের আছে নানা ব্যবহার। অনেক বেশি অনলাইন নির্ভর যুগে মানুষ এখন অনেক বেশি অ্যাপ নির্ভর হয়ে পড়েছে। সেহেতু আপনি যদি প্রোগ্রামিং শেখার জন্য খুব আগ্রহী হোন, তাহলে শিখে নিন একটু সময় করে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। অনলাইনে অনেক রিসোর্স আছে শেখার জন্য, অনেক টিউটোরিয়াল পাবেন সেখান থেকে আপনি শিখে নিতে পারেন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট। তাছাড়া প্রোগ্রামিং রিলেটেড আরও অনেক বেশি সুযোগ পাবেন।
একুশ শতক আসলেই অনেক চ্যালেঞ্জের সময়। সেহেতু আপনাকে আগাতে হবে একটু পরিকল্পনা করে। না হলে আপনি পিছিয়ে যাবেন অনেক যুগ পিছনে। তাহলে আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন।
একটু বেশি মনোযোগ দিন আপনার ক্যারিয়ারের দিকে, একটু বেশি নজর দিন নিজেকে গড়ার জন্য। এই একুশ শতক আপনার! কি! এই একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আপনি প্রস্তুততো?
(একটি প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদনা। )
আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। খারাপ হোক/মানুষ হাসাহাসি করুক তারপরও ধীরে ধীরে নিজে লিখতে থাকলে একদিন আপনিও ভালো টিউন রাইটার হবেন। আজ যারা ভালো টিউন করে সবাই সেভাবে হয়েছে।
আমি কপি-পেস্ট কোন টিউন করবো না ওয়াদা করেছি, আপনি করেছেন তো?
আমি ফেসবুক | টুইটার | গুগল প্লাস | আমার ব্লগ
আমি আইটি সরদার। Web Programmer, iCode বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 261 টি টিউন ও 1750 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 22 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি ইমরান তপু সরদার (আইটি সরদার),পড়াশুনা করেছি কম্পিউটার বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তি নিয়ে; পেশা কন্টেন্ট রাইটার এবং মার্কেটার। লেখালেখি করি নেশা থেকে ফেব্রুয়ারি ২০১৩ থেকে। লেখালেখির প্রতি শৈশব থেকেই কেন জানি অন্যরকম একটা মমতা কাজ করে। আর প্রযুক্তি সেটা তো একাডেমিকভাবেই রক্তে মিশিয়ে দিয়েছে। ফলস্বরুপ এখন আমার ধ্যান, জ্ঞান, নেশা সবকিছু...
কোথায় থেকে শুরু করা যাবে সেটাইতো বললেন না?