একজন টেকনোলজি মাতালই শুধু বুঝে টেকনোলোজির মর্ম। অনেক দিন যাবত আমার এই ক্ষোভ অন্তরে লালন করছিলাম। কিন্তু আজ আর ধরে রাখতে পারলাম না। আজ থেকে শুরু ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫। আর এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ -ই আমার আজকের ক্ষোভের বাঁধ ভেঙ্গে দিল। ক্ষোভটা আমার একান্ত নিজের। কারো সাথে মিলে গেলে বা কারো মতের বিরুদ্ধে গেলে আমি দায়ী নই।
আমি রাজধানী ঢাকা শহরটাকে ছোট থেকে কেন জানি প্রচন্ড ঘৃণা করি। কেমন যেন পরিবেশ শহরটার। কিন্তু ক্লাস সেভেনের শেষ দিকে যখন অনলাইন জগতে ঢুকলাম তার পর থেকেই কেন জানি ঢাকার প্রতি ঘৃণা উঠে গিয়ে জন্মাল হিংসা। যদিও তখনও অনেক ছোট। তবুও ঢাকার চাহিদা বুঝতে শুরু করলাম। কেন জানেন??? নতুন নতুন নেট ইউজার। আহ! কত যে সপ্ন সেই বিল গেটস সম্পর্কে কিছুটা পড়ে! আস্তে আস্তে নেট হয়ে গেল আমার নেশা। নেটের টুকটাক কিছু পারলেই সেটা গোটা দুনিয়ার লোকের কাছে দেখাতে চাইতাম। আর সেজন্যই কম্পিউটার সংক্রান্ত কোন মেলা, প্রতিযোগিতা, সেমিনারের প্রতি টান সেই বয়স থেকেই। আরও মেজাজ খারাপ হতো যখন পেপার পত্রিকায় দেখতাম ঢাকায় অমুক সেমিনার, তমুক মেলা (নেট সংক্রান্ত)। তখন প্রথম আলো পেপার পড়তাম। যদিও নিউজ তো পড়ার ধৈর্য ছিলনা। শুধু কম্পিউটার প্রতিদিন পাতায় নেট সংক্রান্ত আর্টিকেল খুঁজতাম। কিন্তু মেজাজ খালি বিগড়েই যেতে থাকে যত শুনি ঢাকার এই সেই অনুষ্ঠানের কথা। এজন্য আমি রংপুরের একটা পেপার নেওয়া শুরু করলাম। উহু, প্রতিদিন পড়ি রংপুরে এইসব টেক ফেক সংক্রান্ত কিছু হয়না। আর সেই থেকেই ঢাকার প্রতি এক টান সাথে হিংসাও। এমন করতে করতে ক্লাস নাইনে আমি খবর পেয়েছিলাম সারাদেশে ইন্টারনেট উৎসব হচ্ছে প্রথম আলো এবং গ্রামীনফোনের সৌজন্যে। কি অধীর আগ্রহে ছিলাম। রংপুরে কবে এই ইন্টারনেট উৎসব হবে? অবশেষে সেই দিন এসে গেলো। কিন্তু তখন আমার পায়ের অপারেশনের চিকিৎসার শেষ অবস্থায় ছিলাম। সেই অবস্থাতেই গিয়েছিলাম বড় ভাইয়ের সাথে সেই ইন্টারনেট উৎসবে। আর এটাই ছিল আমার জীবনের প্রথম অংশগ্রহনকৃত কোন টেকনোলোজি বিষয়ক অনুষ্ঠান। আর সেই দিনটিই স্মরণীয় হয়ে ছিল এজন্যই যে, এই অনুষ্ঠানের কারণেই জীবনের প্রথম পত্রিকার পাতায় আমার একক ছবি আসার সুযোগ হয়েছিল, সেটাও আবার দেশের প্রথম সারির বড় পত্রিকা প্রথম আলোয়। সাথে পেয়েছিলাম টেকনোলোজির সাথে গভীরভাবে মেশার প্রবল মনোবল। এরপর থেকে অনলাইনে একটু বেশিই বিচরন করেছিলাম। কিন্তু ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করি আমরা সারাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কতটা বঞ্চিত। যখন আমরা মোটা অংকের টাকা দিয়েও নেটের স্পিড পাইনা। আর তখন ঢাকায় সল্প মূল্যে ব্রডব্যান্ড সাথে উচ্চ গতির স্পিড। যখন আমরা জিপিকে ছেড়ে একটু সল্প মূল্যে বাংলালায়ন নেয়ার চেস্টা করি তখন পড়ি নেটওয়ার্ক জনিত দুর্ভিক্ষে। আমাদের অঞ্চলে সারা মাসে একটি টেকনোলোজি বিষয়ক অনুষ্ঠাননেরও খবর খুঁজে খুঁজেও পাইনা। আর তখন কান চেপে রাখলেও ঢাকার অসংখ্য সেমিনার, মেলার খবর কানে এসে ঘ্যান ঘ্যান করে।
আসলে এটাই ছিল আমার ক্ষোভের মূল বিষয়। কিন্তু আজ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ শুরু হচ্ছে আর সেই খবরে আমার মনটায় আবার সেই ক্ষোভ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে নাকি এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ সবচেয়ে বড় টেকনোলোজি মেলা। বাজেট ৮ কোটি টাকা। একটা অনলাইন নিউজপেপারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর যত আয়োজন সে বিষয়ে নিউজ পড়লাম। আর সেই নিউজ পড়েই আমার মাথা আবার ঘুরছে। এতো এতো আয়োজন এসবই আমার জানামতে তথ্য প্রযুক্তি আসক্ত আমাদের মতো মানুষের জন্যই। কিন্তু সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য প্রযুক্তিখোর এতো আয়োজন থেকে বঞ্চিত। ঢাকার একজন মানুষ ইচ্ছে জাগালেই সহজেই সেখানে ঘুরে আসতে পারছেন। কিন্তু ধরুন এই যে আমি ঢাকা থেকে ৩৫০ এরও বেশী কিলোমিটার দূরে রংপুরে বসে একজন অতি আসক্ত প্রযুক্তিখোর চাইলেই সেখানে যেতে পারিনা। গতবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর আয়োজন দেখেই বিরাট আফসোসে ডুবেছিলাম। আর এবারের আয়োজন শুনে তো আমি টাশকিত। গতবারেই প্রতিজ্ঞা করেছিলাম আমি ২০১৫ এর মেলায় যাবো। যতই দূরে থাকি না কেন। সামনে আর দু মাস পর আমার এইচএসসি পরীক্ষা। প্রস্তুতির সময় চলছে। তাছাড়া একটু ব্যয় সাপেক্ষও তবুও যাওয়ার মনস্থির করেছিলাম। কিন্তু সর্বশেষ কঠিন বাঁধা হলো দেশের চলমান পরিস্থিতি। এ কোন পরিহাস? এতো কেন রাজধানী কেন্দ্রিকতা? আমাদের কি ইচ্ছে হয়না এরকম প্রযুক্তির আয়োজনের একটুখানি স্পর্শ পেতে? এই অবরোধের কারনেও টেকটিউনস ইন্টার্ভিউয়ে যোগ দেয়ার বিরাট সুযোগও মিস করেছি কিছুদিন আগে। ঢাকায় বড় বড় এক্সপার্ট ভাইদের সান্নিধ্য পাবার। কিন্ত এসবের কিছুই সম্ভব হয়না। কারণ কি একটাই আমরা ঢাকায় থাকিনা বলে? সকল সুযোগ সুবিধা কি ঢাকাবাসীর জন্য? আমার এসব ব্যক্তিগত মতামত ও দুঃখ শুধুমাত্র সকল তথ্যপ্রযুক্তি আসক্ত ভাইদের সাথে শেয়ার করলাম। তথ্যপ্রযুক্তি আসক্ত ব্যক্তি ব্যতীত হয়ত কোন ভাই আমার এই ক্ষোভের মর্ম বানী উপলব্ধি করতে পারবেন না। ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ এর আয়োজনের ব্যপকতা নিচে শেয়ার করলাম। যাতে অন্তত ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ সম্পর্কে যারা খুব বেশী অবগত নন তাঁরা একটু ধারনা পাবেন।
একের ভেতর চার প্রদর্শনী
তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নাগরিক সেবা এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা উপস্থাপনে ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৫’-এ থাকছে চারটি পৃথক প্রদর্শনী। আয়োজনে প্রদর্শনীর মধ্যে রয়েছে বেসিস সফট এক্সপো, ই-গভর্নেন্স এক্সপো, মোবাইল ইনোভেশন এক্সপো এবং ই-কমার্স এক্সপো। পাশপাশি ই-কমার্স জোন, বিপিও ফোরাম, ডেভেলপারস ফোরাম, আইটি ক্যারিয়ার কনফারেন্স এবং আউটসোর্সিং ফোরামের মতো নানা উদ্ভাবনী উদ্যোগের পসরা নিয়ে হাজির থাকছে তরুণ প্রযুক্তিবিদরা।
সফটএক্সপো
বেসিস এর উদ্যোগে গত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে দেশের সফটওয়্যার ও আইটি খাতের সর্ববৃহৎ মেলা হিসেবে বেসিস সফটএক্সপো ইতোমধ্যেই দেশের অন্যতম প্রধান তথ্য প্রযুক্তি মেলায় পরিণত হয়েছে। গত বছর থেকে সফটএক্সপো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের অন্যতম অংশ হিসেবে আয়োজিত হচ্ছে। এবারে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫-তে সফটওয়্যার ও আইটিইএস খাতের ৭২টি স্টলে বেসিস সদস্য কোম্পানি দেশে তৈরি বিভিন্ন সফটওয়্যার সলিউশন্স প্রদর্শন করবে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। সফটএক্সপো থেকে বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক সফটওয়্যার ও তার সুবিধাদি সম্পর্কে দর্শকরা জানতে পারবে।
ই-গভর্ন্যান্স
মেলায় প্রায় ১০০টি স্টল থেকে নানা ই-সেবা প্রদর্শন করবে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অধিদফতর। মূলত ‘ই-গর্ভন্যান্স’ শীর্ষক প্রদর্শনীর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকারের অগ্রযাত্রার প্রতিচ্ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। পাশাপাশি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে জনগণের দোরগড়ার ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়ার যাবতীয় সরকারি উদ্যোগ।
ই-কমার্স
অনলাইনে ঘরে বসে কেনাকাটার নানা আয়োজন নিয়ে মেলায় থাকছে ৪টি প্যাভিলিয়ন, ১০টি মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২২টি স্টল। নিরাপদে অনলাইনে কেনাকাটার নানা অফারের পাশাপাশি নিজেদের সেবার পসরা নিয়ে হাজির হবে দেশি জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো।
মোবাইল ইনোভেশন
মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপে বাংলাদেশের জয়যাত্রা তুলে ধরতে ৪২টি স্টলে সাজছে মোবাইল ইনোভেশন’ শীর্ষক প্রদর্শনী। এখানে বাংলাদেশি ডেভেলপার কোম্পানির জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। উইন্ডোজ, আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মের সহস্রাধিক দেশি অ্যাপ্লিকেশন থাকবে মোবাইল ইনোভেশন জোনে।
মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স
প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বের ৫টি দেশের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যদের নিয়ে থাকছে ‘মিনিস্টেরিয়েল কনফারেন্স’। বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল, মালদ্বীপ, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়া থেকে সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন মন্ত্রিপরিষদ সদস্যরা। আয়োজনের দ্বিতীয় দিন সকাল ১০টায় মিডিয়া বাজার অনুষ্ঠিত হবে ৪ ঘণ্টাব্যাপী এই কনফারেন্স।
সেমিনার ও কর্মশালা
এসব প্রদর্শনী ছাড়াও সম্মেলন থাকছে প্রায় ২০টি সেমিনার, ১১টি কনফারেন্স এবং ১৩টি টেকনিক্যাল সেশন, সিএক্সও নাইট এবং ক্লাউড ক্যাম্প। সেমিনারের মধ্যে ব্যবসা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ১১টি, ই-গভর্নেন্স নিয়ে ১১টি এবং ৩টি স্পেশাল সেশন রয়েছে।
আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মিলনমেলা
বিনিয়োগ আকর্ষণ ও মেধা অন্বেষণসহ তথ্যপ্রযুক্তির প্রচার, প্রকাশ এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ে এবং দেশের তরুণ প্রজন্মকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সফল আইটি ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এ আয়োজনে ২৫টিরও বেশি দেশ থেকে যোগ দিচ্ছেন ৮৫ জন আইটি বিশেষজ্ঞ ও উদ্যোক্তা। তথ্যপ্রযুক্তির নিয়ে আয়োজিত সেমিনার ও টেকনিক্যাল সেশনে অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন তারা। সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) মহাসচিব হোউলিন ঝাও, টিপসি অ্যান্ড টাম্বলারের প্রতিষ্ঠাতা বয়েডলি পোলেন্টাইন, ক্লাউডক্যাম্প প্রতিষ্ঠাতা ডেভ নিয়েলসেন, টাই সিলিকন ভ্যালি প্রেসিডেন্ট ভেঙ্ক শুক্লা। বিশ্বসেরা প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল সাউথ এশিয়ার হেড অফ সেলস বেন কিং, গুগলের হেড অব এজেন্সি ডেভেলপমেন্ট বিকি রাসেল, মার্কেটিং স্পেশালিষ্ট ক্যাটি স্যান্ডারস, গুগল স্পিচের সফটওয়্যার প্রকৌশলী রবি রাজকুমার, গুগলের পার্টনার ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার অক্ষয় সন্থালিয়া, গুগল সাউথ এশিয়ার ইন্ডাস্ট্রি অ্যানালিস্ট ফজল আশফাক, গুগল ট্রান্সলেটের সফটওয়্যার প্রকৌশলী আর্নে মৌসার, বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ নেটওয়ার্ক ফেসবুক ইন্ডিয়ার ডিরেক্টর এবং হেড অফ পাবলিক পলিসি আঁখি দাস, অ্যাকসেঞ্চার বাংলাদেশ চেয়ারম্যান অবিনাশ ভাসিস্তা, অগমেডিক্স সিইও এবং কো-ফাউন্ডার আইয়ান শাকিল, এনটিএফ থ্রি প্রকল্প পরিচালক মার্টিন লাব্বি, বিক্রয় ডটকম প্রধান মার্টিন মালস্ট্রম প্রমুখ।
বিশেষ আয়োজন
প্রযুক্তিতে নারীদের অংশগ্রহণে টেক উইমেন কনফারেন্স, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে কনফারেন্স অন আইটি ক্যারিয়ার, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপারদের নিয়ে ‘টাইটেনিয়াম কনফারেন্স’।
সর্বশেষ কথা...
আরও অনেক কিছুই রয়েছে এবারের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ মেলায়। দেশের তথ্য প্রযুক্তি খাতে এরকম বড় অনুষ্ঠান বিরাট ভূমিকা রাখবে নিঃসন্দেহে। অনেক শুভ কামনা রইল। তবে সরকারের প্রতি আকুল আবেদন এই যে, ক্ষুদ্র পরিসরে হলেও সারাদেশে যাতে এরকম আয়োজনের ব্যবস্থা করা হয়। কারণ ঢাকায় যে এরকম অনুষ্ঠান হবে তাতে কিন্তু গ্রামের একজন কৃষক অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেনা। অথচ এখন যে অনলাইনে একজন কৃষকও সেবা পেতে পারেন সেই খবর তাঁর কাছে তুলে না ধরে আপনারা তুলে ধরবেন সমাজের উঁচু স্তরের মানুষদের কাছে। কি লাভ এতে? তাঁরা তো ইতিমধ্যেই অবগত এসব সেবা সম্পর্কে। কিন্তু একজন কৃষকের জন্যও যে ডিজিটাল সেবার ব্যবস্থা বর্তমান সময়ে রয়েছে তা কৃষকদের জানানোর ব্যবস্থা করুন। এটি একটি উদাহরন মাত্র। তাই প্রথাগত পদ্ধতি থেকে বেড়িয়ে আসতে হবে আমাদের। তথ্যপ্রযুক্তির এই বিরাট সম্ভাবনাকে ছড়িয়ে দিতে হবে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া। কারণ তথ্য প্রযুক্তিতে আমরা এগিয়ে না থাকলে বিশ্ব দরবারে আমরা শীঘ্রই পিছিয়ে পড়ব। আমার ব্যক্তিগত মতামতে ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। অনেক কথা তুলে ধরতে পারলাম না। তবে আশা করি আমার কথার মর্ম বানী বুঝেছেন। ধন্যবাদ।
আসলেই একদম সত্য কথাটা তুলে ধরছেন। তবে তারা এক কাজ করতে পারে…সেমিনার এবং কনফারেন্সের ভিডিও গুলো ইউটিউবে ছাড়তে পারে। তাহলে সারাদেশের মানুষ দেখতে পারল।