জেনে নিন বিষ্ময়কর প্রযুক্তি আশির্বাদের সাথে আমাদের যা কিছু কেড়ে নিচ্ছে!

Level 7
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা
————————–— بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ ————————–—

প্রযুক্তিকে আমরা সবাই আশির্বাদ হিসাবেই গ্রহণ করেছি, গ্রহণ করি এবং গ্রহণ করবো সব সময়। কিন্তু সব কিছুর মতো প্রযুক্তিরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। বিভিন্ন রোগের জন্য আমরা যখন ঔষধ সেবন করি তখন যেমন দেখা যায় সংশ্লিস্ট রোগ ভালো হলেও ঔষধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কারনে অন্য রোগ বাধিয়ে বসি।

ঠিক তেমনি প্রযুক্তির বিভিন্ন সুযোগকে কাজে লাগাতে গিয়ে আমরা নিজেদের জন্য কিছু সর্বনাশ ডেকে আনি। টেকটিউনসে শুরু থেকে আজ পর্যন্ত আমরা কেবল প্রযুক্তির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা নিয়ে আলোচনা করি।

কিন্তু সব সুযোগের পাশাপাশি আমরা নিজেদের জন্য কিছু অমঙ্গলও ডেকে আনি। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা প্রযুক্তিগুলো সুবিধা দেওয়ার পাশাপাশি আমাদের কী কী অসুবিধার মুখোমুখি করছে। তবে আমার টিউনের উদ্দেশ্য কিন্তু আপনাদের প্রযুক্তি বিমুখ করে দেওয়া না।

আমি চাই আপনারা সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে গিয়ে সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগান। সব সময় সমস্যার সাথে সম্ভাবনাও থাকে। আত্বসংযম, ধর্মীও অনুভুতি, এবং ভালো ও মন্দের পার্থক্যের চিন্তা গুলো আমাদেরকে সঠিক এবং সুন্দর পথে চলতে সহযোগিতা করবে। যাহোক, চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক প্রযুক্তি আশির্বাদের সাথে আমাদের কী কী সর্বনাশ করছে।

প্রযুক্তির অপব্যবহার - বাস্তব জীবনে বিরূপ প্রভাব

সামাজিক ভাবে বিচ্ছিন্নতা

  • কিছু মানুষকে লক্ষ্য করা যায় তারা অন্যান্যদের মত অতটা সামাজিক না। যার কিছুটা ওই লোকের সাইকোলজিক্যাল কারন আর কতকগুলো তার নিজের সৃষ্টি। বিজ্ঞান - প্রযুক্তি আমাদের পৃথিবী ছোট করে দিয়েছে। সেই আক্ষরিকভাবে আমরাও তাতে আটকে গিয়েছি। সামাজিকতার অভাব বা কারো সাথে মেলামেশার এমনকি কথা বলারও ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলছি। এর থেকে ইন্টারনেটে, আইপ্যাড, ট্যাবলেটেই সময় পার করে দেই খুব সহজেই। যার ফলে মনের অজান্তেই আমরা নিজেদের সব কিছু থেকে আলাদা করে ফেলি।

স্বাস্থ্যের অবনতি কিংবা অতিরিক্ত স্থুলতা

  • আমরা ঘন্টার পর ঘন্টা বসে কম্পিউটারে বা মোবাইলে বসে গেম খেলছি অথবা ইউটিউবে মজার মজার ভিডিও দেখে সময় পার করছি, ফেসবুকিং করছি। কোন ধরনের ব্যায়াম বা মাঠে খেলাধুলা করছি না। এর ফলে আমাদের দৈহিক পরিশ্রম না করায় স্থুলতা বেড়ে যাচ্ছে। কিংবা স্থাস্থের ব্যাপক অবনতি হচ্ছে।

বিষন্নতা এবং হতাশার সৃষ্টি

  • বর্তমান সময়ে খুব কমন একটা শব্দ হয়ে দাড়িয়েছে এটি। বিষন্নতার শব্দের সাথে সোশাল সাইট গুলোর কথা এখন অটোমেটিক চলে আসে। কারন ফেসবুক কিংবা টুইটারে দিনে অনেকবার দেখা যায়, অকারনে মন খারাপ স্ট্যাটাস কিংবা টুইট। যার ফলে মনোবিজ্ঞানীদের কাছেও বিষন্নতা নতুন এক নতুন গবেষণার অংশ হয়ে দাড়িয়েছে। তারা বিভিন্ন নতুন নতুন তথ্যও দিচ্ছেন বিষন্নতা সম্পর্কিত। তবে অন্যের টাইমলাইনের ছবি, লাইক, পোশাক, অবস্থার উন্নতিও আমাদের বিষন্নতা সৃষ্টির কারন। যার আত্মবিশ্বাসের অভাব, হতাশা, ইর্ষা ইত্যাদি আমাদের চেপে ধরে।

  • তবে মজার ব্যাপার হলো যে টেকনোলজি আমাদের বিষন্নতা সৃষ্টি করলো এক সময় বিষন্নতার কারনে তাকেও সহ্য করতে পারেনা অনেকেই। সেই সাথে বৈশ্বয়িক বিষয়গুলোও আমাদের কাছে মামুলি মনে হতে থাকে।

নিদ্রাহীনতা এবং অসময়ে ঘুম

  • অনলাইন এক্টিভিটি বা ফেসবুকে সময় পার করা সমচেয়ে সহজ। আপনি টেরই পাবেন না কখন সময় চলে যায়। সময় চলে যায় ঘুমেরও। পরের দিনে ক্লাস বা অফিস থাকলে আপনার পরিমিত ঘুমের সময়ও কমে যায়। যার ফল কর্মক্ষেত্রে ও শারীরিকভাবে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়।

  • অনেক সময় এরকম হয় যে সারারাত না ঘুমিয়ে আপনি সকালে কিংবা কাজের সময়ে ঘুমিয়ে পড়লেন। যেটা আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম কিংবা সামাজিক অবস্থার জন্যও একটা নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করে।

ইলেকট্রনিক্স বর্জ্র - পরিবেশ দূষন

  • ইলেক্ট্রনিক্স আর টেকনলজি প্রতিনিয়ত পরিবর্তন আসছে। পুরোন বা নষ্ট হয়ে যাওয়া যন্ত্রপাতি ফেলে দিচ্ছি। অথবা পুড়িয়ে ফেলছি যা পরিবেশ দুষনে সাহায্য করছে। পোড়ানোর মাধ্যমে বাতাসে নানা বিষাক্ত পদার্থ্য ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। যন্ত্র আবর্জনার সুষ্ঠু ব্যাবস্থাপনা করা হচ্ছে না। আমাদের মাটিগুলো তাতে নষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ছে গাছ গাছালিতে। আমরা নতুন নতুন গ্যাজেট কিনেই সব ভুলে যাই। যার ফলে পৃথিবীকে ধীরে ধীরে ধ্বংস করে যাই অজান্তেই।

গোপনীয়তার অভাব - সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা

  • খুব গুরুত্বপূর্ন একটা ইস্যু। আপনার গোপনীয় সব কিছুই ফালাফালা করে দেয়া হচ্ছে জানেন কি? কিভাবে?
  • আপনার ফেসবুকে প্রতিটি লাইক, তথ্য, ছবি, স্ট্যাটাস, আপনি যা যা শেয়ার করেন সবই অন্যের কাছে খুব সহজেই চলে যাচ্ছে। আপনার তথ্য আপনি এভাবেই বিকিয়ে দিচ্ছেন। এখন তো এমন অবস্থা হয়ে দাড়িয়েছে আপনি দুই মিনিট আগে কোথায় ছিলেন তাও জানা যাচ্ছে। এভাবেই আপনার গোপনীয়তার ফালাফালা হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফিশিং, হ্যাকিং, ভাইরাস ইত্যাদির মাধ্যমে ইনফরমেশন চুরি করে নানাবিধ অপরাধ করা হচ্ছে।

ভার্চয়াল বাস্তবতা - মানুষ যেখানে যন্ত্র

  • ইউটিউবের নানারকম প্র্যাংক ভিডিও, ট্রলিং ছবি, ভিডিও ইত্যাদি আমাদের গভীর ভাবে চিন্তা করতে বাধা দিচ্ছে। আমরা নানা রকম কল্পনার আকাশে ভাসা শুরু করেছি। কিন্তু বাস্তবতা বা এর গুরত্ব আমরা ভুলেই যাই। যার ফলে আমাদের বাস্তবতা ফিকে হয়ে যাচ্ছে টেকনোলজির জালে।

সামাজিক বন্ধনে দুর্বলতা

  • সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলো আসাতে অনেক সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা কমে গেছে। কেননা এখন সবাই ফেসবুক বা টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ স্থাপনাকেই মুখ্য হিসেবে মেনে নিয়েছে। যা আদৌ বাস্তবিক কোন  সমাধান না। আমরা আজকাল ভুলতে বসেছি সামাজিকতা বলে কিছু আছে। যোগাযোগগুলোও ভার্চুয়াল হওয়ায় আমরা কাছের মানুষগুলোর ভার্চুয়াল সঙ্গ পেয়েই সন্তুষ্ট থাকতে শুরু করেছি।

এডাল্ট কন্টেন্টে আসক্তি

  • আপনি যদি এডাল্ট কন্টেন্ট বা যেটাকে (১৮+) বলে জানে সবাই তার প্রাপ্তিস্থানের কথা বলেন তাহলে ইন্টারনেট ছাড়া আর কোন ভাল উৎস থাকতে পারে না। এখন খুব সহজেই নানারকম নগ্নচলচিত্রের উপাদান পাওয়া যায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে। যা অপ্রাপ্ত বয়স্কদের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। প্রথম আয়ের দেশগুলোতে এডাল্ট সাইটের এর উপরে কড়াকড়ি কার্যকর আইন থাকলেও মধ্যম বা ৩য় বিশ্বের দেশগুলোতে এসব প্রায় উন্মুক্তই বলা চলে। এর ফলে সমাজে যৌন হয়রানি সহ নানা বিকৃত কার্যকলাপের চিত্র প্রায় দেখা যাচ্ছে।
  • এছাড়া মেয়েদের ছবি নানাভাবে ফেসবুক থেকে সংগ্রহ করে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে  দেওয়া এখন একটা সামাজিক ব্যাধি হয়ে দাড়িয়েছে।

ক্রমাগত মনযোগহীনতা

  • আমাদের আশে পাশের অনেক কিছুই আমরা মিস করে ফেলি। যখন সবাই আড্ডায় মত্ত আপনি ঘাড় গুজে হয়ত ফেসবুকে কাউকে মেসেজিং করছেন অথবা গেমস খেলছেন। অথচ সুন্দর সময় বা আড্ডাটা আপনার জীবন থেকে হারিয়ে গেল তা বুঝতেই পারলেন না।

মাথা ও গলায় ব্যাথা

  • অধিক সময় স্ক্রিন বা মনিটরের দিকে তাকিয়ে থাকা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। একই ভাবে অনেক্ষন ধরে বসে থাকলে বা তাকিয়ে থাকলে মেরুদন্ডের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

প্রযুক্তির প্রতি অতিরিক্ত আসক্তি

  • আমরা শুধু প্রযুক্তিতে নির্ভর করেই বেঁচে থাকি না। আমরা এটায় আসক্তও বটে। লক্ষ্য করবেন কিছু মানুষ এর ফোন হাতে না থাকলে খুব অস্বস্তিবোধ করে। অনেকটা মাদকাসক্তির মত। এছাড়া নিত্য নতুন গেজেটের প্রতি মাত্রাতিরিক্ত আগ্রহও অন্যতম কারন।

সহানুভূতির অভাব

  • ভিডিও গেমস, টিভি, চলচিত্র, ইউটিউবের কারনে মানুষের মনে ধ্বংসাত্বক অনূভুতির জন্ম নিয়েছে। গোলাগুলি, মারামারি ও বিভিন্ন অ্যাকশন চিত্রায়ন থেকে এসব মনোবৃত্তির সৃষ্টি হচ্ছে। যা সমাজের উপরে প্রভাব পড়ছে। অপরাধ প্রবণতা বাড়ার আরেকটি কারন এটা। এছাড়া সংস্কৃতি এসব বিষয়ের কারনে ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে।

বৈদ্যুতিক অপচয়

  • যত বেশী ইলেকট্রিক ডিভাইস ততই বিদ্যুৎ এর চাহিদা। যদিও আজকাল যন্ত্রগুলো এমন ভাবে তৈরি যাতে খুব কম বিদ্যুৎ ব্যাবহৃত হয়। তবুও যত্র তত্র ব্যবহারের মাত্রাও কম নয়। অনেকেই তাদের কম্পিউটার চালু রাখেন অযথায়। এখন কম বেশী সবারই একের অধিক ইলেকট্রনিক ডিভাইস আছে। তাদের সঠিক বৈদ্যুতিক ব্যবহার নিশ্চিত করা হয় না।

শিশুর মানষিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা

  • মাত্রারিক্ত ভিডিও গেমস, টিভির অনুষ্ঠান, ট্যাব, ইত্যাদি শিশুদের সাভাবিক বিকাশে চরম বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে সামাজিকভাবে বেড়ে না উঠে একাকি বড় হচ্ছে একটা শিশু। যে সময় মাঠে খেলাধুলা করবার কথা সেটি কম্পিউটার এ ভিডিও গেমসে করে কাটিয়ে দিচ্ছে। অধিক প্রযুক্তির ব্যবহারে শিশুদের মস্তিষ্ক ব্যবহার করতেও অনুৎসাহিত করছে। আজকাল ক্লাস ৩ কিংবা ৪ এর ছেলে মেয়েরা সাধারন যোগ বিয়োগ গুন কিংবা ভাগ করতে ক্যালকুলেটরের সাহায্য নিচ্ছে!

স্নায়ুবিক সমস্যা

  • টেকনোলজির কারনে আমাদের মাঝে মানষিক ও আবেগজনিত নানা সমস্যার ‍সৃষ্টি হচ্ছে। উচ্চামাত্রার ভায়োলেন্স বা অতিরিক্ত নগ্নচলচিত্র দেখা ইত্যাদি মানষিক বা স্নায়ুতে বিরুপ ছাপ ফেলে।

কান ও চোখে সমস্যার সৃষ্টি

  • কান এবং চোখ হলো প্রযুক্তির স্বাদ গ্রহনের গুরুত্বপূর্ন দুই উপাদান। তাও এদের ক্ষমতা নষ্ট হয় প্রযুক্তির অপব্যবহারে। মাত্রাতিরিক্ত হেডফোনে গান শোনা বা অনেক সময় মনিটরের উজ্জ্বল স্ক্রীনে তাকিয়ে থাকলে ধীরে ধীরে দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবনশক্তি হ্রাস পেতে থাকে। এর ফলে দেখা যায় খুব অল্প বয়সে চোখে চশমা চলে আসে। অথবা কানে শোনার যন্ত্র (হেয়ারিং এইড)।

  • চলুন সমস্যাগুলোকে এড়িয়ে চলে আপনার আমার সকলের স্বাভাকি জীবন নিশ্চিত করি। সমস্যাগুলো নয় সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাই। নেতিবাচক জিনিসের প্রতি আকর্ষন জন্মলগ্ন থেকে থাকলেও সেগুলোকে দমিয়ে রাখতে চেষ্টা করি। ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি আমাদের জন্য অনুকুলে থাকবে ইনশাল্লাহ।

শেষ কথা

টিউনটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অথবা বুঝতে যদি কোন রকম সমস্যা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। কারন আপনাদের যেকোন মতামত আমাকে সংশোধিত হতে এবং আরো ভালো মানের টিউন করতে উৎসাহিত করবে। সর্বশেষ যে কথাটি বলবো সেটা হলো, আশাকরি এবং অপরকেও কপি পেস্ট টিউন করতে নিরুৎসাহিত করি। সবার সর্বাঙ্গিন মঙ্গল কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে আগামী টিউনে।

আপনাদের জন্য » সানিম মাহবীর ফাহাদ

Level 7

আমি সানিম মাহবীর ফাহাদ। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 176 টি টিউন ও 3500 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 159 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আগে যা শিখেছিলাম এখন তা শেখানোর কাজ করছি। পেশায় একজন শিক্ষক, তবে মনে প্রাণে টেকনোলজির ছাত্র। সবার দোয়া প্রত্যাশি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসাধারন লেখা। অনেক কিছু জানলাম্।ধন্যবাদ……….

প্রযুক্তির অপব্যবহারের/অধিক ব্যবহারের গোছালো টিউন। এক কথায় অসাধারন লেগেছে | ট্যাংকিউ 😀

ভাই আপনার লেখাটা খুবই চমৎকার এবং তথ্যবহুল। যে গুলি লিখেছেন প্রাই সবই সত্যি। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এগুলিকে সত্য হিসাবে মেনে নিলেও প্রায়োগিকভাবে মেনে নিতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। আমি একজন গেমার। এটা ঠিক এর পিছনে আমার অনেক সময় নষ্ট হচ্ছে কিন্তু কি করি বলুন মানুষ অভ্যাসের দাস। যায় হোক একটি বিষয় ঠিক বুঝলাম না অতিরিক্ত গেইম খেললে আমি একসাথে অতিরিক্ত মোটা আবার আমার অধিক স্বাস্থ্য অবনতি কিভাবে হতে পারে?

    @Arifur Rahman: তবে সামগ্রিক ক্ষতির কথা চিন্তা করলে অভ্যাসকে মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রন করতে হয়। আপনার প্রশ্ন প্রসঙ্গে বলতে গেলে বলবো যে আপনি বুঝতে একটু ভুল করেছেন। আমি বলেছি স্থুলতা কিংবা স্বাস্থ্যের অবনতি। দুটো কিন্তু এক সাথে না, হয় একটা নয় অন্যটা। আমি মোটামুটি ভাবে অধিক স্বাস্থ্যবান একজন। স্থুলতা না বললেও কাছাকাছি পর্যায়ে আছি। আমি বেশি বসে থাকলে আরও মোটা হয়ে যাই। কিন্তু আমার বাবা ঘরের বায়রে না গেলে কিংবা কাজ কর্ম না করলে শুকিয়ে যায়! এটা বাস্তব কথা। আপনার চারপাশেও হয়তো এরকম আছে। যাদের স্বাস্থ এমনিতেই খারাপ তাদের আরও খারাপ হবে। আর যাদের ভালো তাদের স্থুলতা বাড়বে।

      @সানিম মাহবীর ফাহাদ: দুঃখিত আমার বঝার ভুল হয়েছে তা হলে 🙂

        @Arifur Rahman: উঁহু, ব্যাপারটা মোটেও এরকম না….স্বাস্থ্যের এই প্রভাব একপক্ষীয় না…মোটা হয়ে যাওয়া বা স্থূলতা যদি স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় তবে এর তাৎক্ষণিক পারিপার্শ্বিক প্রভাব কিংবা দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব কিন্তু অবনতিই!! বুঝতে পেরেছেন? কিছুটা চর্বি থাকা ভাল কিন্তু সাধারণত হার্ডকোর গেমারদের যেটা থাকে সেটা হলো ‘চর্বির বস্তা’ :mrgreen:

        @সানিম মাহবীর ফাহাদ: আপনার এই অবস্থা কেমতে হইল? জাতি জানতে চায়…..টিউন করে টিউনার দেখি নিজেই বিপদে আছে 😆

          @নিওফাইট নিটোল: আসল ব্যাপারটা হলো টিউন করার সময় নিজের সাথে ঘটে যাওয়া কিছুও শেয়ার করেছি। জীবন থেকে নেওয়া যাকে বলে। ছোটবেলা থেকেই বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ার তাগিদে একটু খাওয়া দাওয়া বেশি হয়ে স্বাস্থ্যের উন্নতি। আর বড় বেলাতে সেই পালে একটু প্রযুক্তির হাওয়া। বায়রের পরিবেশ থেকে ল্যাপটপ স্ক্রিনটাকেই বেশি ভালোবেসেছি। এটাই সব চেয়ে বড় ফ্যাক্ট!

R8 অনেক অনেক ধন্যবাদ l

খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আপনি লিখেছেন। কিন্তু এখন মানুষ এগুলা বুঝেও কেও আর প্রযুক্তি থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারবে না। বর্তমানে ইচ্ছাই অনিচ্ছাই আমরা প্রযুক্তির প্রেমে ফেসে যাচ্ছি।এটা আমাদের জন্য একটা মায়াবী জালে পরিণত হয়েছে। যা আমাদের দিন দিন আরো বেশি করে নিজের সাথে পেছিয়ে নিচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর তথ্যগুলা প্রকাশ করার জন্য।

একেবারে খাটি কথা @ প্রযুক্তি দিয়েছে বেগ, কেড়ে নিয়েছে আবেগ 😛

খুবই চমৎকার,অসাধারন এবং তথ্যবহুল।

ধন্যবাদ ভাল লিখেছেন। ইন্টারনেট চালাতে চালতে চোখে ঘুম এসে গেছে একটু ঘুমিয়ে নিই।

অসাধারন

“নিদ্রাহীনতা এবং অসময়ে ঘুম” ইহা আমার জন্য পূর্নমাত্রায় প্রযোজ্য। হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ

ক’দিন আগেও ফেবুতে এ সম্পর্কিত পুরনো একটা ভিডিও দেখেছি……যতবার দেখি ততবারই ভাল লাগে আবার বিরক্তিও!! জীবন দিয়ে শিখে তারপর অনেকটা শুধরে নেয়ার চেষ্টায় আছি…..আর এসবের লিষ্টটা এত বড় যে সবকিছু ধরতে গেলে আমাকে ধরারই আর কেউ থাকবে না :mrgreen: প্রযুক্তি কিছু ক্ষতি করবে জেনেও কিন্তু এটা আবিস্কৃত হয়েছে…..আর আমরাতো এটারে ভালো বাসতে বাসতে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলছি 😉 সাথেও থাকতে পারি না আবার ছাড়াও থাকতে পারি না

এর জন্য একে ঘিরেইতো অনেক কিছু শিখছি দেখছি- সবটুকুই নিচ্ছি…….তাকেও না হয় নিজের কিছুটা দিলাম 😛

টিউনের জন্য প্রাকৃতিক ধইন্যার সুাস রইল…… প্রযুক্তির ছোঁয়া বিহীন 🙂

    @নিওফাইট নিটোল: হুম, জীবনে কিছু পেতে হলে তো কিছু ছাড়তেই হবে। তবে ছাড় দেওয়াটা যেন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ার পরে হয়। অকারনে এবং অনেকটা ঝোঁকের বসে ছাড় দিয়ে দিলে বাকি জীবনটাই ছাড়ের উপর চলে যেতে পারে। জীবনে যতোকিছুই হোক, সুস্থ থাকাটাই অনেক বড় কথা। প্রযুক্তির অবদান অনস্বীকার্য তবে সেটাকে নিয়ন্ত্রনে রাখাটাও জরুরী।

    বরাবরের মতো সুন্দর টিউমেন্টের জন্য দুইটা ব্যালোট বাক্স ভর্তি ধইন্যা। ফ্রিজে রেখে শান্তিতে খাবেন।

অনেক ক্ষতি হচ্ছে নিজের সেটা খুব ভালো ভাবেই বুজতে পারছি,এখানে দেওয়া সব পয়েন্ট গুলোর উপসর্গ আমার সাথে মিলে যাচ্ছে,সম্ববত সব প্রুযুক্তি প্রেমিদের কম বেশি একই অবস্থা। ..
সব পয়েন্ট গুলো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
আপনার বিশ্লেষণধর্মী টিউনটি আর একবার মনে করিয়ে দিল।
“বিজ্ঞান আমাদের দিয়েছে বেগ,কিন্তু কেড়ে নিয়েছে আবেগ”
ধন্যবাদ
সানিম ভাই

    @আইনুল ইসলাম: প্রযুক্তি প্রেমিরাই কেবল প্রযুক্তি প্রেমিদের অবস্থা বুঝতে পারে। আপনার আমার থেকে শুরু করে প্রায় সবার অবস্থা একই রকম হওয়ার কথা। তবে অবস্থা যায় হোক, সেটাকে উতরে যাওয়াটাই বড় সফলতা।

    সুন্দর টিউমেন্টের জন্য দুইটা ব্যালোট বাক্স সমান সুবাসিত ধইন্যার শুভেচ্ছা 🙂