ধরুন কোন একটা সাইন্স ফিকশন মুভির মতো আমরাও এমন কোন শহরে বাস করছি যেখানে একজায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার জন্য মানুষ ফ্লায়িং কার ব্যাবহার করছে, রাস্তায় গাড়ি চলছে কিন্তু গাড়ির ড্রাইভার নাই, আশ পাশ দিয়ে বিভিন্ন আকৃতির রোবট হাঁটাহাঁটি করছে, কেমন হবে ব্যাপারটা! এই নিবন্ধে আমরা এমনই ৮ টি আবিস্কার দেখব যা ভবিষ্যতে হতে চলেছে।
গাড়ি চলছে অথচ গাড়িতে নেই কোন ড্রাইভার। চালক বিহীন গাড়ি। কেমন হবে ব্যাপারটা! এমনি হতে চলেছে আর কিছু বছর পর। গাড়িকে শুধু বলে দিতে হবে কোথায় যাবেন। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। গাড়ি আপনাকে নিয়ে যাবে সেই নির্দিষ্ট ঠিকানায়। গাড়িটিতে স্টপ ও গো বাটন থাকবে। এছাড়া কন্ট্রোল, স্টিয়ারিং হুইল ও প্যাডেল থাকবে না।
উড়ন্ত গাড়ির স্বপ্ন কে না দেখে। বিশেষ করে যখন জ্যামে বসে থাকি তখন। এরকম একটা উড়ন্ত গাড়ি হলে ভালই হয়।এমআইটি একদল গবেষক টেরাফুগিয়া নামের একটি কোম্পানীর সাথে যৌথভাবে কাজ করছে। এই কোম্পানীটি বিগত কয়েক বছর যাবত উড়ন্ত গাড়ি তৈরির চেষ্টা করছে। এমআইটির সাথে যৌথভাবে তৈরি করা এই উড়ন্ত গাড়ির প্রক্রিয়াটি হলো ট্রাঞ্জিশন কার প্লেন। টেরাফুগিয়া কোম্পানীটি পূর্বে যে উড়ন্ত গাড়িটি তৈরি করেছিল তার জন্য একটি ১৭০০ ফুট লম্বা রানওয়ের দরকার ছিল। কিন্তু নতুন প্রক্রিয়ায় তারা এমআইটির সাথে যৌথভাবে এর রানওয়েটি বাদ দিয়ে যেকোনো স্থান থেকে আকাশে উড়তে সক্ষম এমন গাড়ি চিন্তা করছে।
পানির নিচে হারিয়ে যাওয়া অনেক শহরের নাম শুনেছেন নিশ্চয়ই। কিন্তু এবার আর হারিয়ে যাওয়া সহর না বাস্তব শহর। এমনি এক সহর তইরির পরিকল্পনা করছে USA Navy এর বিজ্ঞানিরা।
রোবট শব্দটি শুনলেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে মানবসদৃশ কোনো যন্ত্র। কিন্তু রোবট বিপস্নবের এমন সময়ে আমরা বাস করছি; যেখানে রোবটকে বানানোর চেষ্টা চলছে পুরোপুরি মানবিক করার কাজে। দৈনন্দিন জীবনের নানা কাজে রোবট ব্যবহারের চেষ্টাও চলছে জোরেশোরে। বর্তমানে আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে রান্নাঘর থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ে দুঃসাধ্য সব কাজে রোবট ব্যবহার হয়ে আসছে অনায়াসে। সে দিন বেশি দূরে নয় যখন মানুষ একটি করে রোবট রাখবে তার চাকর হিসাবে।
২০২১ সালে মঙ্গল গ্রহ জয় করবে পৃথিবীর বাসিন্দারা। কিছুদিন আগেই এমন খবর শুনিয়েছিলো আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। আর সে খবরেই সরগরম হয়ে উঠেছে মানুষ। যারা পৃথিবীতে থাকার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন তারাতো মহাখুশি এমন খবরে। আর সে খবরেই এখন মঙ্গলে যাওয়ার আবেদন দেয়ার হিড়িক পড়েছে।
এমন একটি স্যুটের কথা কল্পনা করুন তো, যেটা পড়ে উড়ে যাওয়া যাবে আকাশে। বেশিদূর কল্পনা করতে হবে না, কারণ এমন অসংখ্য স্যুট আমরা সিনেমাতে দেখেছি। জেমস বন্ডের মুভিগুলোতে বেশিরভাগ এ ধরনের স্যুটের ব্যবহার ছিল। টম ক্রুজের অ্যাকশন মুভিতেও দেখা গেছে এমন স্যুট। এ ধরনের স্যুট যদি বাস্তাবে পাওয়া যায় কেমন হবে ব্যাপারটি!
সাধারনত শীতের হাত থেকে রক্ষা পেতে জ্যাকেট ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু এটি সম্পূর্ন বিপরীত কাজের জন্য। এই জ্যাকেট পরিধান করে অনায়াসে প্রচন্ড গরমের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। মূলত এই জ্যাকেটে ভিন্ন দুইটি ফ্যান যুক্ত করা হয়েছে। ফ্যান দুইটি দিয়ে জ্যাকেটের ভিতরে বাতাস প্রবাহ করা হয়। এক্ষেত্রে বাতাস প্রবাহের গতি নিয়ন্ত্রন করা যায়। বাতাস/তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে ঠান্ডা অনুভব লাভ করা যায়।
মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও ইন্দ্রিয়ের কার্যপদ্ধতি কীভাবে কম্পিউটার ও যন্ত্রের সাহায্যে অনুকরণ করা যায়, সেটাই এখন বিজ্ঞানীদের লক্ষ। তাদের টার্গেট মানুষের চেয়েও বেশি বুদ্ধি সম্পন্ন কম্পিউটার তৈরি করা।
ঘুরে আসতে পারেন আমাদের সাইটে, আশা করি ভালো লাগবে 🙂
আমি Zubi14। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 10 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Sheser ta konodin parbe na.