স্টার্টআপ গ্রাইন্ড হচ্ছে উদ্যোক্তা, বিশেষ করে প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের এমন একটি কমিউনিটি যা সারা বিশ্বব্যাপি ছড়িয়ে আছে। প্রায় ৫০টি শহর এবং ২০ টি দেশে চ্যাপ্টার আছে এই চমৎকার কমিউনিটির যার মূল শক্তি হিসাবে আছে "Google for Entrepreneurs"।
স্টার্টআপ গ্রাইন্ড মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সম্ভাব্য এবং সফল উদ্যোক্তাদের মাঝে নেটওয়ার্কিং তৈরি করা। ২০১০ এ সিলিকন ভ্যালিতে শুরুর পর একের পর এক দেশ এবং শহরে পাড়ি দিতে থাকে স্টার্টআপ গ্রাইন্ড। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী ভারত আর পাকিস্তানেও আছে স্টার্টআপ গ্রাইন্ড। এই পূযন্ত প্রায় ৪০,০০০ উদ্যোক্তা অংশ নিয়েছে স্টার্টআপ গ্রাইন্ডের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
যেভাবে পৃথিবীর মানুষ বেড়ে চলেছে এবং প্রযুক্তির পরিবর্তন হচ্ছে , নতুন নতুন উদ্যোগ, স্টার্টআপ বা কোম্পানি ছাড়া কর্মক্ষেত্র তৈরি করা সম্ভব নয়। স্টার্টআপ কালচার গড়ে তুলতে সহায়ক ভুমিকা পালন করবে স্টার্টআপ গ্রাইন্ড।
স্টার্টআপ গ্রাইন্ডের মূলত তিনটি ধরনের আয়োজন থাকেঃ ফায়ার সাইড চ্যাট, স্টার্টআপ মিক্সার এবং বার্ষিক আয়োজন। এর মাঝে ফায়ার সাইড চ্যাটই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এতে একজন সফল উদ্যোগতা বা টেক ব্যাক্তিত উপস্থিত থাকেন তাকে হল ভরতি দর্শকের সামনে ইন্টারভিঊ করেন চ্যাপ্টার ডাইরেক্টার।
এর দ্বারাই তিনি তার জীবনের সব অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, জয়-পরাজয়ের গল্প বলেন, মার্কেট নিয়ে আলোচনা করেন এবং অনুপ্রেরনা যোগান অন্যদের। দর্শকরাও তাদের নিজেরদের প্রশ্ন করে নেয় সেই অতিথিকে। অনুষ্ঠান শেষে হাল্কা নাস্তার ফাঁকে ফাঁকে হয় উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী এবং হবু উদ্যোক্তাদের জম্পেশ নেটওয়ার্কিং। দর্শকরা টিকেটের বিনিময়ে অংশ নেয় অনুষ্ঠানগুলোয় - যুক্তরাষ্ট্রে যা ১০-২০ ডলার এবং ভারতে যা প্রায় ২০০-৩০০ রুপি।
স্টার্টআপ গ্রাইন্ড ঢাকা , বাংলাদেশ চ্যাপ্টার কাজ শুরু করছে। সামনের মাসেই প্রথম অনুষ্ঠান হবার কথা। আপনি চাইলে স্পন্সর হয়ে, ভলেন্টিয়ার হয়ে, অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এই কমিউনিটি সদস্য হিসাবে দেশে স্টার্টআপ কালচার গড়ে ওঠায় অবদান রাখতে পারেন। ভবিষ্যতের আপডেটগুলো পাবার সহজ উপায়ঃ
আমি আরিফ নিজামী। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 148 টি টিউন ও 307 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
Nothing to say....