নাবিল গারীব বিখ্যাত চিপমেকার কোম্পানি এমইএমসি ইলেক্ট্রনিক মেটেরিয়ালস-এ ২০০২ সালের এপ্রিল মাসে সিইও পদে নিযুক্ত হন৷ বর্তমানে ৪৩ বছর বয়স্ক নাবিল বিশ্বের কম বয়সী সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকধারী সিইও (বার্ষিক ৭৯.৬ মিলিয়ন ইউএস ডলার)৷ জন্মসূত্রে তিনি একজন পাকিস্তানী নাগরিক৷ টেক্সাস প্যাসিফিক গ্রুপের এই কোম্পানিটি ২০০১ সালে জার্মান বংশোদ্ভুত মালিকের কাছ থেকে কেনার পর নতুন করে বিজনেস পলিসি তৈরি করে৷ তখনই ব্যবসায়ের পরিধি বৃদ্ধির জন্য নাবিলকে এই পদে নিয়োগদান করা হয়৷ এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে নাবিল চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল রেক্টিফায়ার কর্পোরেশনে কর্মরত ছিলেন৷ ১৯৯২ সালে তিনি ইন্টারন্যাশনাল রেক্টিফায়ার কর্পোরেশনের সাথে ভাইস প্রেসিডেন্ট (ম্যানুফ্যাকচারিং) হিসেবে নিযুক্ত হন৷ ২৫ বছর আগে নাবিল আমেরিকার ইমিগ্র্যান্ট হয়ে পাকিস্তান ত্যাগ করেন৷ তিনি ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্মাতক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজমেন্ট-এ মাস্টার্স সম্পন্ন করেন৷
এনভিডিয়া কর্পোরেশনের কো-ফাউন্ডার জেন সান হুয়ান বিশ্বের ২য় কম বয়সী সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকধারী সিইও (বার্ষিক ৪৫.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার)৷ ১৯৯৩ সালে তিনি গ্রাফিক্স চিপ মেকার হিসেবে এনভিডিয়াকে তুলে ধরেন৷ একাধারে তিনি প্রেসিডেন্ট, সিইও এবং এনভিডিয়া বোর্ড-এর একজন সদস্য হিসেবে শুরু থেকেই যুক্ত ছিলেন৷ তার পরিচালনায় এনভিডিয়া কোম্পানি প্রোগ্রামেবল গ্রাফিক্স প্রসেসিং টেকনোলজিতে বেশ সুনাম অর্জন করে৷ পাশাপাশি সেমিকন্ডাক্টর ইন্ডাস্ট্রিতে অন্যতম স্থান দখল করে৷ এনভিডিয়ার কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই তিনি এলএসআই লজিক-এর ইঞ্জিনিয়ারিং, মার্কেটিং, জেনারেল ম্যানেজমেন্ট-এর বিভিন্ন দিক নিয়ে তদারকি করেন৷ তিনি এডভান্সড মাইক্রো ডিভাইস (এএমডি) এর মাইক্রোপ্রসেসর ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন৷ এছাড়া তিনি র্যান্ড কর্পোরেশন বোর্ড অব ট্রাস্টিদের মধ্যে একজন৷ তিনি ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে বিএসইই ও স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এমএসইই ডিগ্রি সম্পন্ন করেন৷
জনাথন সোয়ার্জ সান মাইক্রোসিস্টেমস-এর বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং সিইও৷ তিনি বিশ্বের ৩য় সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকধারী কম বয়সী সিইও (বার্ষিক ১৩.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার)৷ জনাথন সান মাইক্রোসিস্টেমস-এর বোর্ড অব ডিরেক্টরদের একজন৷ তিনি ২০০৬ সালে সিইও হিসেবে নিযুক্ত হবার পর সান-এর কো-ফাউন্ডার এবং বোর্ডের বর্তমান চেয়ারম্যান স্কট ম্যাকনেলি-র পর্যায়ে চলে আসেন৷ তিনি ২০০৪ সালে পদোন্নতি পেয়ে প্রেসিডেন্ট এবং সিইও হিসেবে অধিষ্ঠিত হন এবং প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, মার্কেটিং থেকে শুরু করে গ্লোবাল সেলস এন্ড সার্ভিস এর মতো সান-এর সকল অপারেশন পরিচালনা করেন৷ সান-এর সিওও হওয়ার পূর্বে জনাথন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (সফটওয়্যার), চিফ স্ট্র্যাটেজি অফিসার এবং প্রোডাক্ট এন্ড কর্পোরেট ডেভেলপমেন্ট-এর বিভিন্ন উচ্চ পদে কাজ করেন৷ ১৯৯৬ সালে তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমস-এর সাথে যুক্ত হন৷ এর আগে লাইটহাউজ ডিজাইন-এ কো-ফাউন্ডার এবং সিইও হিসেবে কাজ করেন৷ তিনি ওয়েসলিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে ইকোনোমিকস এবং ম্যাথমেটিকস-এ পড়াশোনা করেছেন৷
ভারতের হায়দ্রাবাদের ৪৪ বছর বয়স্ক ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার সান্তুনু নারায়ন এডোবি সিস্টেমস-এর সিইও হিসেবে নিযুক্ত হন গত বছর৷ তার বার্ষিক আয় ১২.০ মিলিয়ন ইউএস ডলার৷ তিনি ১৯৯৮ সালের জানুয়ারি মাসে এডোবি-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এডোবি'স ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ ১৯৯৯ সালের জানুয়ারিতে তিনি সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট (ওয়র্াল্ড প্রোডাক্ট) এবং ২০০১ সালের মার্চে এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট (ওর্য়াল্ড ওয়াইড প্রোডাক্ট মার্কেটিং এবং ডেভেলপমেন্ট) হিসেবে পদোন্নতি পান৷ ২০০৫ সালে তিনি প্রেসিডেন্ট এবং সিওও হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ এডোবি-এর সাথে যুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি ১৯৯৬ সালে পিকট্রা ইনকর্পোরেশন-এর কো-ফাউন্ডার ছিলেন৷ প্রাক্তন সিইও ব্রুস সিজেন-এর সাথে মিলিত হয়ে তিনি ২০০৫ সালে ম্যাক্রোমিডিয়া ইনকর্পোরেশন-এর সাথে এডোবি-এর ৩.৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যবসা বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করেন৷ এতে এডোবি সফটওয়্যার প্লাটফরম ও সলিউশন বর্ধিত করা সহ মোবাইল ও মাল্টিমিডিয়া পাবলিশিংয়ে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করে৷ তিনি ভারতের ওসমানিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেক্ট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি, বোয়িং গ্রিন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে কম্পিউটার সাইন্স-এ মাস্টার্স ডিগ্রি এবং হাস স্কুল অব বিজনেস থেকে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন৷
কম বয়সে শীর্ষ পারিশ্রমিকধারী বিশ্বের ৫ম সিইও হলেন ৩৯ বছর বয়স্ক দারা খোশরোওশাহী৷ তার বার্ষিক আয় ৪.৯ মিলিয়ন ইউএস ডলার৷ মাইক্রোসফটের একটি ডিভিশন হিসেবে ১৯৯৬ সালে যাত্রা শুরু হলেও ১৯৯৯ সালে এক্সপেডিয়া-এর প্রথম বর্হিঃপ্রকাশ ঘটে৷ পরবর্তীতে ২০০১ সালে ইউএসএ নেটওয়ার্ক এক্সপেডিয়াকে কিনে নেয়৷ ২০০৫ সালের আগস্টে ইন্টারএকটিভ কর্পোরেশন (আইএসি) থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে এক্সপেডিয়া নতুন করে যাত্রা শুরু করে৷ তখন থেকেই দারা এই কোম্পানির সিইও হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ এর আগে তিনি আইএসি-তে ১৯৯৮ সালে ভাইস প্রেসিডেন্ট (স্ট্রাটেজিক প্ল্যানিং) হিসেবে নিযুক্ত হন৷ ১৯৯১-৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি এ্যালেন এন্ড কোম্পানি এলএলসি-তে কর্মরত ছিলেন এবং সেখানে তিনি ১৯৯৫-৯৮ সাল পর্যন্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করেন৷ ব্রাউন ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি ১৯৯১ সালে ইঞ্জিনিয়ারিং-এ ব্যাচেলর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন৷
আমি Amin Mehedi। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 39 টি টিউন ও 218 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।