অনেককেই মাঝে মাঝে প্রশ্ন করতাম আচ্ছা এত কম কনফিগারেশন তারপরও মানুষ বেশি টাকা দিয়ে অ্যাপল এর ম্যাক কম্পিউটার কেন কেনে । সবাই বলে ম্যাক অনেক ফাস্ট । বুঝতাম না কিভাবে ম্যাক এত ফাস্ট হয় । আমার ল্যাপটপটাও তো Core i7 প্রসেসর এর সাথে ৮ গিগা র্যাম , ২ গিগার এনভিডিয়ার গ্রাফিক্স কার্ড আছে । কিন্তু তারপরও আমার ল্যাপটপ এত স্লো লাগে কেন ?
কারন একটাই 5400 rpm এর একটা হার্ডডিস্ক । গুগলে অনেক খোজাখুজি করে বুঝতে পারলাম ম্যাক অনেক ফাস্ট কারন ম্যাক এ হার্ডডিস্ক এর বদলে SSD ( Solid State Drive ) আছে । প্রশ্ন হল SSD কি ? SSD হল হার্ডডিস্কেরই সবচেয়ে উন্নত সংস্করন । সাধারন হার্ডডিস্কের ভিতর ডিস্ক থাকে এবং সেখানে তথ্য সংরক্ষন হয় কিন্তু SSD এর ভিতরে কোন ডিস্ক থাকে না । এইটার ভিতরে চিপ থাকে আর সেই চিপ এর মধ্যে তথ্য সংরক্ষিত হয় । ঠিক যেমন মেমোরি কার্ড / পেনড্রাইভ এর ভিতরে তথ্য রাখা হয় । হা SSD আসলে NAND ভিত্তিক Flash মেমোরি ডিভাইস এবং এইটার তথ্য আদানপ্রদানের গতি সাধারন হার্ড ডিস্কের তুলনায় প্রায় ৫ গুন ।
Core i7 ল্যাপটপ কেনার পর অনেক হতাশ হয়েছিলাম সাইফুল ভাইয়ের মত । আমার আগের core i5 এর সাথে এর কোন পার্থক্যই ছিল না। শুধু শুধু দিগুন দাম নিয়েছিল । কিন্তু এখন আমি আমার এই দুইটি ল্যাপটপ একসাথে রেখে তুলনা করে দেখাই তবে আপনারাই বুঝতে পারবেন যে একটা SSD কতটা পার্থক্য তৈরি করতে পারে । নিচে ভিডিওটি দিলাম । দেখার আগে আমি আমার ল্যাপটপ দুইটার কনফিগারেশন বলে দেই ।
বামদিকের এইচপি ল্যাপটপটিতে Core i7 3rd Generation 2.3 GHz প্রসেসর , ৮ গিগা র্যাম এবং ২৫০ গিগার SSD লাগানো আছে ।
ডানদিকের এসার ল্যাপটপটিতে core i5 2nd Generation 2.67 Ghz প্রসেসর , ৮ গিগা র্যাম এবং ৭৫০ গিগার হার্ডডিস্ক লাগানো আছে ।
দুইটি ল্যাপটপ এই আমি গতকাল রাতে উইন্ডোজ ৭ আল্টিমেট ৬৪বিট ভার্সন সেটআপ দিয়েছি ।
ভিডিওটি দেখার পর আপনাদের কি মনে হচ্ছে ? SSD লাগানো ল্যাপটপটি মাত্র ১৬ সেকেন্ডে চালু হয়ে গিয়েছিল যেখানে হার্ডডিস্ক লাগানো কম্পিউটারটি চালু হতে প্রায় 65 সেকেন্ড সময় লেগেছিল । পার্থক্যটা প্রায় ৫০ সেকেন্ড এর ।
এখন আসুন আরেকটা পরীক্ষা করি । আমার দুই ল্যাপটপ এর ডেক্সটপ এ ১৩০মেগাবাইটের একটা পিএসডি ফাইল আছে এবং এডোবি ফটোশপ সিএস৫ ইন্সটল করা আছে । আমরা একই সময় দুইটা ফাইলে ওপেন ক্লিক করে দেখবো কোনটায় কত দ্রুত ফাইলটি ওপেন হয়।
মাথা এইবার নষ্ট হইছে । হা SSD এতটাই দ্রুত কাজ করে । মাত্র ৭ সেকেন্ড এ SSD লাগানো ল্যাপটপটি ১৩০মেগাবাইটের পিএসডি ফাইলটি ওপেন করে ফেলেছ , যেখানে হার্ডডিস্ক লাগানো ল্যাপটপটিতে একই ফাইল ওপেন হতে ৩২ সেকেন্ড সময় লেগেছে । হার্ডডিস্ক লাগানো ল্যাপটপে ফটোশপের স্প্লাশ স্ক্রিন আসার আগেই SSD লাগানো ল্যাপটপটি পিএসডি ফাইলটি ওপেন হয়ে বসে আছে । আগে জানলে core i7 ল্যাপটপ না কিনে আমার পুরনো core i5 ল্যাপটপে SSD লাগাইতাম ।
যাদের মনে হচ্ছে আমার কম্পেয়ারটা ঠিক নয় , কারন ল্যাপটপ দুইটা ভিন্ন , তারা ইউটিউব এর এই ভিডিও টা দেখতে পারেন । এখানে কিন্তু একই মডেল এবং কনফিগারেশন এর দুইটা ল্যাপটপ ব্যবহার করা হয়েছে ।
আগে SSD খুবই ব্যয়বহুল ছিল । কিন্তু এখন দিন দিন দাম কমসে । আমার ২৫০জিবি Samsung SSD 840 এর দাম পড়েছিল ১৮০ডলার , সাথে ৩৬ ডলার শিপিং চার্জ । ১২০জিবি Samsung SSD 840 এর দাম ১০০ডলার এবং ৫০০জিবি Samsung SSD 840 এর দাম প্রায় ৩৫০ডলার ।
১২০জিবি , ২৫০জিবি এবং ৫০০ জিবি SSD এর Write Speed ভিন্ন ভিন্ন হয় ।
Capacity | 120GB | 250GB | 500GB |
Write Speed in MBPS | 130 | 250 | 330 |
Read Speed in MBPS | 550 | 550 | 550 |
এছাড়াও আরও অন্য ব্রান্ড এর SSD পাওয়া যায় । যেমন intel , Corsair , Kingston , OCZ .
SSD এবং হার্ডডিস্কের মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে । নিচে পার্থক্য গুলো দিলাম ।
আমি আহত। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 13 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 22 টি টিউন ও 541 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
"As long as I have a want, I have a reason for living. Satisfaction is death."
ভাই, ই-বে কি এস এল আর ক্যামেরা পাওয়া যায়?