মুঠোফোনের কিছু আদব – কায়দা ( mannar )

আমি যখন নতুন স্কুলে গেছিলাম তখন দেখলাম mannar এর উপর আলাদা ক্লাস করান হচ্ছে।কোর্সটি ছিল Career & Self Development ।এই কোর্স এ কিছু Manner পড়ানো হয়েছিল যেমনঃ Phone Manner,Dinning Manner ইত্যাদি।তখন এই সব Manner পড়তে খুব অসহ্য লাগত।মনে হতো সারা জীবন কি কোন Manner ই শিখিনি যে এখন নতুন স্কুলে  এসে Manner শিখতে হচ্ছে।

কিন্তু এই Manner শেখার মর্মটা এখন মাঝে মাঝে টের পাই যেমন পেলাম গত শুক্রবার জুমার নামাজের সময় যখন ইমামের সুরার সুরের সাথে সাথে কোন একজন মুসল্লির পকেটে থাকা মুঠোফোনের রিংটোনের গানের আওয়াজ ও (Its my life……….) কানে ভেসে আসলো।

যাই হোক  তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের কল্যানে আমদের দেশেও এখন মোটামুটি সবার হাতেই মুঠোফোন বা মোবাইল ফোন দেখা যায়। কিন্তু দেখা যায় যে আমরা এই যন্ত্রটার ব্যাবহারের যে কিছু আদব-কায়দা আছে তা অনেকে জানি না আবার অনেকে জেনেও মেনে চলি না যে আদব কায়দা গুলো উন্নত বিশ্বের লোকজন সবাই মোটা মুটি মেনে চলে।

আসুন দেখা যাক কি ধরনের আদব-কায়দা মানা উচিৎঃ

১।ফোন করার আগে অথবা ফোন রিসিভ করার আগে উচিৎ আশেপাশে শান্ত পরিবেশ তৈরি করা ।যেমনঃ উচ্চস্বরে  রেডিও টেলিভিশন অথবা গান বাজলে সম্ভব হলে তা কমাতে হবে বা আশেপাশে বাচ্চারা চিৎকার করে খেলাধুলা করলে ফোন করার আগে অথবা ফোন রিসিভ করার আগে তাদের থামাতে হবে।

২। কাউকে ফোন করার আগে দেখতে হবে এটা কোন ধর্মীয় আচরন পালনের সময় কিনা? যেমনঃ

পাচ ওয়াক্ত নামাজের সময় কাউকে ফোন না করাই ভাল।

২। ক্লাস অথবা মিটিং এ ফোন এর টোন সাইলেন্ট বা ফোন অফ করে রাখাই স্রেয়।

৩। কারো সাথে ফোনে কথা বলার সময় অপ্রয়োযনে পাশে কার সাথে কথা না বলা।এতে যাকে ফোন করছেন অথবা যার ফোন রিসিভ করছেন সে বিরক্ত হতে পারে।

৪।অপ্রয়োয্নীয় কথা না বলে অল্প সময়ের মাঝে কথা শেষ করা।কারন আপনি যাকে ফোন করেছেন তিনি হয়তো ফোনে বেশি কথা বলতে পছন্দ নাও করতে পারেন।

৫। জনবহুল জায়গা যেমন, যানবাহন, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এ ফোনে কথা নীচু স্বরে বলা উচিৎ যাতে পাশের লোকজন বিরক্ত না হোন।

৬।ঘুমানোর সময় অর্থাৎ গভীর রাতে বা অনেক ভোরে অপ্রয়োযনে  কাউকে ফোন না করা ।হয়তো যাকে আপনি ফোন করেছেন তিনি অনেক পরিশ্রম এর পর রাতে একটু ঘুমানোর সুযোগ পেয়েছেন।

৭। অপ্রয়োযনে  কাউকে মিস কল দিয়ে  বিরক্ত না করা।

৮। ফোন করে জোরপুর্বক  কারো সাথে বন্ধুত্ত বা কোন রিলেশন করতে না চাওয়া।

৯। জনবহুল জায়গা যেমন, যানবাহন, হোটেল বা রেস্টুরেন্ট এ ফোনে বেশী আন্তরিক কথাবার্তা না বলা যাতে আশেপাশের লোকজন আপনার কথায় অপ্রস্তুত বোধ না করে।

১০। ফোনে উচুস্বরে গান-বাজনা না শুনা।সুযোগ থাকলে হেডফোন ব্যাবহার করা উচিৎ।

১১। ফোনের রিংটোন মধ্যম সাউন্ডে রাখা।কারন আপনার ফোনের হটাৎ জোরালো সাউন্ডে আশেপাশের লোকজন আৎকে উঠতে পারে।

১২।  রিংটোন হিসাবে ভৌতিক সাউন্ড ব্যাবহার না করা।আপনার ফোনের ভৌতিক সাউন্ড এ শিশুদের মানসিক ক্ষতি হতে পারে।

আশা করি আমরা সবাই এই আদব-কায়দা গুলো মেনে চলার চেস্টা করবো।কারন অন্যকে কোনভাবে বিরক্ত করার কোন আধিকার আমাদের নাই।

সবাইকে ধন্যবাদ।

Level 0

আমি Emilton। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 36 টি টিউন ও 59 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ভাল টিউন। আমাদের এগুলো ফলো করা উচিত।

অবশ্যই প্রসংশনীয় একটি টিউন

Level 0

“অন্যকে কোনভাবে বিরক্ত করার কোন আধিকার আমাদের নাই” এইটুকু কথা মনে রেখে চলতে চেষ্টা করলে আমাদের জীবন সাবলিল হতে বাধ্য। ধন্যবাদ

জাপানে দেখতাম, ফোন আসলে লোকজন কেঁচোর মত কুকড়ে যেত লজ্জায় … তারপর তাড়াতাড়ি এক কোনায় বা বারান্দায় চলে যেত এবং ফিসফিস করে কথা বলতো যেন অন্যদের কোনক্রমেই ডিস্টার্ব না হয়।

এখানে ফোনে কেউ কথা বলা শুরু করলে মোটামুটি ভাবে তার ১৪ গুষ্টির খবর সকলের জানা হয়ে যায় … ভাতৃত্ববোধ বোধহয়। ;-p

আর, ওয়ান লাইন (গুলশান-মোঃপুর) বাসের শেষ সিটে বসে পাশের জনের ফোনে চিৎকারে অতিষ্ট হয়ে বসে আছি … এ্যাত জোরে কথা (ঝগড়া টাইপের) হচ্ছিলো যে একেবারে সামনে থেকে দাঁড়ানো এক যাত্রী দিলেন ওনাকে ধমক … বুঝলাম আমার সহ্যশক্তি অনেক বেশি ;)।