আপনাদের কে এতদিন আমি কম্পিউটার প্রযুক্তি সম্পর্কে লিখেছি ।আজ আমি আপনাদের জানাবো বিজ্ঞান সম্পর্কে । আমার আজকের বিষয়-"ইটের ভাটা থেকে অক্সিজেন + মিথেন উতপাদন" . হয়তো আমাকে অনেকেই বলবেন যে এটি কি পরীক্ষিত কি না? হ্যাঁ ,এটি সর্বপ্রথম প্রকাশ পায় ২০০৫ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা তে। আমি বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহন করে ৩য় পুরস্কার অর্জন করি এবং ২০০৮ সালে ভিকারুন নিসা নুন স্কুলে আমার ছাত্রী অংশগ্রহন করে ৫ম স্থান অর্জন করে।
প্রক্রিয়াঃ
১। প্রথমে ইটের ভাটা এর কার্বন নির্গমন পথ বন্ধ করে দিতে হবে । এরপর ঠিক মাঝখানে ২ টি নির্গমন পাইপ সংযুক্ত করতে হবে যা কিনা অক্সিজেন ও মিথেন নির্গমন এ সহায়তা করবে।
২। এরপর একটি ফানেল সহ জার সেট করতে হবে যার একটি পাইপ সংযুক্ত থাকবে ইটের ভাটার সবার উপরের পাইপের সংগে যেখান থেকে ইটের ভাটার কার্বন নির্গমন হয়। জার টি তে থাকবে ক্যালসিয়াম কার্বনেট যা চুনাপাথর হিসেবে পরিচিত।
৩। এরপর জার টি তে অর্ধেক পানি দিয়ে পুর্ন করে নিতে হবে অর্থাৎ, চুনাপাথর ও পানি একই জার এ থাকবে । এদিকে ইটের ভাটা তে যখন কাজ করা হবে তখন চুনাপাথর এর জার টি কে তাপ দিতে হবে তা বাস্পে পরিনত না হওয়া পর্যন্ত । এবং তা চলতে থাকবে ।
৪। যখন কার্বন -ডাই- অক্সাইড বের হবে নির্গমন পথে তখন তা বের না হতে পেরে জার এর স্টীম বক্স এ গিয়ে বিক্রিয়া করবে বিক্রিয়া টি হবে নিম্ন রুপঃ
হবে co2+2cacO3+2h2O--->ch4+4O2+cac2( এটা ক্ষতিকর হলেও বিক্রিয়ার পর সামান্য পরিমানে থাকে)
৫। তবে এখেত্রে আপনার চুনাপাথর ও পানির জার খালি হয়ে গেলে তাতে আবার একই প্রক্রিয়ায় চুনাপাথর ও পানি দিন ।এখন বিক্রিয়া করার পর মিথেন+ অক্সিজেন ও ক্যালসিয়াম কার্বাইড উতপন্ন হবে
এখন অনায়াসে ইটের ভাটা তে কাজ করুন। এতে আমাদের পরিবেশ দুষিত হবে না তার সাথে আমরা জ্বালানী হিসেবে মিথেন গ্যাস পেতে পারি যা কিনা আমাদের জ্বালানী শক্তি ও বিদ্যুত শক্তি তে কাজে লাগাতে পারবো । যদি কারো বুঝতে কোন সমস্যা থাকে এখানে জিজ্ঞেস করতে পারেন।
প্রতিটি কাজেই একটি danger point থাকে। আর এ কাজে সেটি হলঃ
আপনি যখন অতিরিক্ত পরিমানে চুনাপাথর যোগ করবেন তখন এটি বিস্ফোরন ঘটতে পারে। তাই প্রয়োজন মত চুনাপাথর ব্যাবহার করবেন।
অসাধারন। 🙂