দুইদিন আগে টাইম থেকে প্রকাশিত বছরের সেরা আবিস্কারগুলো সবার সামনে তুলে ধরেছিলাম। বলেছিলাম ধীরে ধীরে বিশেষ আবিস্কারগুলো কে নিয়ে টিউন করা হবে। ইতো মধ্যে রোবো পেঙ্গুইন এবং নাসার এ্যারেস রকেট নিয়ে টিউন করেছি। আজ আরেকটি ভালো লাগা আবিস্কার নিয়ে টিউন করব। এটি হচ্ছে প্রথিবীর সবচাইতে দ্রুততম বাস্প ইজ্ঞিনের গাড়ী। শত বছরের স্পীডের সকল রেকর্ডকে উড়িয়ে দিয়ে এখন বিজয়ের আসনে এই এই স্টীম পাওয়ার কার!!
আসুন আরেকটু কাছ থেকে দেখে নেই এই বিশ্বকর গাড়ীটি কে –
এই বছরের আগস্টেই এই গাড়ীটি গত শতকের বাস্প ইজ্ঞিনের গাড়ীর সকল স্পীডের রেকর্ড ভঙ্গ করে। এটি মূলত একটি ব্রিটিশ গাড়ী। এর প্রথম ড্রাইভটি করা হয় এডডওয়ার্ড এয়ারফোর্স বেজের রেসিং ট্র্যাকে এবং চালক ছিলেন চার্লস বার্নেট (৩)। তিনি ১৩৯.৮৪৩ মাইল/ঘন্টা বেগে গাড়ী চালিয়ে অতীতের সমস্ত রেকর্ডে পানি ঢেলে দেন।
চিত্রে এই অসাধারন গাড়ীটির ব্যবচ্ছেদের মাধ্যমে এর পার্টসগুলোকে হাইলাইট করা হয়েছে। দুই স্টেজের টার্বাইন ইজ্ঞিন সমৃদ্ধ এই এই গাড়ীটির ওজন ৩টন। জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা হয় লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাস। ড্রাইভ ট্রেইন থেকে চলার সময় ইজ্ঞিনে প্রতি মিনিটে ৪০ লিটার ফুয়েল সাপ্লাই হয়ে থাকে।
সুদীর্ঘ দশ বছর সাধনার পরেও প্রথম স্টার্টটিই ছিল ফল্স স্টার্ট। এতে অবশ্য নিরাশ হননি রিসার্চ ইউনিটের সদ্যরা। ঠিক ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করিয়েই ছেড়েছেন। তবে রেকর্ড নিয়েও ছিল অনিশ্চয়তা। স্পেস সেন্টারে আনার পরেও দেখা দিয়েছিল এর স্টীম ইজ্ঞিনে ফুয়েল ইজ্ঞেক্টিং এর সমস্যা।
রেকর্ড স্পীড যদিও ১৩৯.৪৮৩ পরবর্তীতে এটি ড্রাইভে ম্যাক্স স্পীড দেওয়ার সময় ১৪১ মাইল/ঘন্টা ও ওঠাতে সক্ষম হয় ।
এর আগে স্পীডের যে রেকর্ডগুলো নিয়ে কথা বলছিলাম সেগুলো ছিল রেসিং ট্র্যাকে। আবার ট্র্যাক থেকে এক্সপারিমেন্ট শেষে ট্রাভেলিং ওয়ে তে ফিরিয়ে আনার সময় “ডন ওয়ালেস” এর স্পীড ১৪৮ মাইল/ঘন্টা পর্যন্তও তুলেছিলেন!!! আসলেই রেকর্ডের ভেতরে রেকর্ড।
স্পীডের হিসেব বাদ দিলেও কিন্তু এটি দেখতেও মিঃ/মিস কার এর বিশ্ব রেকর্ডটিও করে নিতে পারে। এটি রিসার্চ টিমের সদস্যের আদরের প্রিটি কার এবং ব্রিটেন সরকারের “ফাস্টেস্ট ক্যাটেল”।
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
খুব ভালো হয়েছে । চালিয়ে যান