ঘটনার সূত্রপাত মূলত আরো দুই সপ্তাহ আগে। মাইক্রোপ্রসেসর ল্যাবটা সেদিন খুব বোরিং লাগছিল। এ্যাসেম্বলি ল্যাঙ্গুয়েজটা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল। এক পর্যায়ে হাল ছেড়ে আরেক ফ্রেন্ডের সাথে থিসিস প্রজেক্টের প্ল্যানিং এর ব্যাপারে কথা বলছিলাম। বন্ধুটা আবার একটু তারছিড়া টাইপের কিন্তু ইলেক্ট্রনিক্স এর ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস। কথা এক সময় টার্ন করে ইংলিশ মুভির দিকে। এক পর্যায়ে আমার কাছে সে যানতে চায় আমি “GI - JOE” মুভি টি দেখেছি কি না। মুভিটা আমার দেখা ছিল। তবে মুভিতে ভাবার বিষয় যে এতকিছু ছিল তখন ভাবি নাই।
সে আমাকে বলে এই মুভি থেকে সাকি থিসি প্রজেক্টের একটা আইডিয়া পয়েছে। যারা এই মুভিটা দেখেছেন তারা নিশ্চই জানেন এতে একটা স্পেশাল টাইপের স্ট্যান – গান ব্যবহার করা হয়েছে। যেটা থেকে একধরনের ইলেকট্রিক ফ্ল্যাক্স বেরিয়ে গিয়ে টার্গেটকে হিট করে। আমার বন্ধুর ধারনা এই ধরনের স্ট্যানগান বাস্তবেও একটা বানানো সম্ভব। সেটা নিয়ে সে থিসিস করতে চায়। তার আইডিয়া টা প্রথমে শোনার পর কোন রিয়্যাকশানই ছিল না আমার তবে কেন জানি মনে হচ্ছিল যে আসলেই পসিবল। বসলাম ডিসকাশানে এবার আমি আমার মত করে এবং সে তার মত করে থিউরি দেয়া আরাম্ভ করল।
আমরা শুরু করি একদম বসিক থেকে। ইলেকট্রিসিটি আসলে ফ্লো করে কিভাবে? সাধারণভাবে বললে , হাই পটেনশিয়াল থেকে লো পটেনশিয়ালে। তাই স্ট্যানগানের সাইট অলওয়েজ হাই পটেনশিয়াল থাকতেই পারে এবং ইলেকট্রিক ফ্ল্যাক্স ট্রান্সফার হওয়ার জন্যে কোন ক্যারিয়েবল অটো – ট্রান্সফর্মারকে টিউন করানো যেতে পারে। আর মুভিতে যা দেখানো হয়েছিল যে টার্গেটের গায়ে শুধু ইলেকট্রিক শকটিই লাগে। অর্থাৎ এইদিকে আমরা একটা সমস্যায় পড়লাম। কারন, টার্গেট যদি কোনভাবে মিস হয়, সেক্ষেত্রে আসলে কোন ফায়ারি ট্রিগার করানো সম্ভব হবেনা, অর্থাৎ কারেন্টই ফ্লো করবেনা। কারণ, কারেন্টের ফ্লোর জন্যে এখানে আমাদের দরকার দুটি পয়েন্টের। একটা হাই টেনসান আর একটা লো টেনসান (টার্গেট) আর মধ্যে যদি টার্গেট মিস হয়ে যায় তাহলে আমাদের সার্কিটই ফুলফিল করবেনা।
সবচেয়ে বড় প্যাঁচটি লাগে আরো পরে, যদি একে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডস এন্ড ওয়েভস এর মাধ্যমে এক্সপ্লেইন করি, তাহলে সেই ফ্ল্যাক্স একটা নির্দিস্ট রেজ্ঞের মধ্যে সরল পথে চলবে (যদি বাহ্যিক সকল বলকে না ধরি)। এর পরেই সে ডিসটর্টেড হয়ে দূবল হয়ে পড়বে। তার মানে টার্গেট রেজ্ঞের বাইরে গেলে তাকে আর কিছুই করা সম্ভব হবে না। এখন প্রশ্ন একটাই ........... এই রেজ্ঞকে কিভাবে কন্ট্রোল করা যেতে পারে?? যুদ্ধ ক্ষেত্র এই রেজ্ঞ তো ক্ষনে ক্ষনে চেজ্ঞ হতে পারে ..........
এখন প্রায়ই আলাপ হচ্ছে এই আমাদের স্ট্যানগান নিয়ে। ভাবলাম টিউনারদের সাথে শেয়ার করি ........ তবে এখানেই শেষ না। যদি এই প্রজেক্টে কাজ করি তাহলে আরো আপডেট তুলে ধরব।
শুভ রাত্রি ..........
আমি দুঃসাহসী টিনটিন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 200 টি টিউন ও 1531 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 34 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
মানুষ হিসেবে তেমন আহামরি কেউ নই আমি। সাটামাটা জীবনটাই বেশী ভালো লাগে। আবার মাঝে মাঝে একটু আউলা হতে মন চায়। ভালো লাগে নিজেকে টিনটিন ভাবতে .... তার মত দুঃসাহসী হতে মন চায় ..... কিন্তু ব্যক্তি জীবনে অনেকটা ভীতুই বটে ..... অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে জীবনে এই কারনে ..... আবার...
ভাই শুভ কামনা রইল।আশা করি আপনি সফল হবেণ।