অপটিক্যাল ইলিউশনস (চোখের ধাঁধা) [পর্ব-৩]

অপটিক্যাল ইলিউশনসের মনে হয় শেষ নেই। আর থাকবেই বা কেন বলুন? এই দুনিয়াটাই তো একটা বড় ইলিউশন। আশেপাশে যা কিছু আছে সবই "চউক্ষের ধান্দা"। যা হোক টিউনটি দার্শনিক হয়ে যাবার আগেই আরো কয়েকটা "ধান্দা" দিয়ে দেই [আগেরগুলোর মতই ইন্টারনেট থেকে নেয়া]:

রংয়ের খেলা

একনাগাড়ে নিচের ছবিটির মাঝের বিন্দুটির দিকে তাকিয়ে থাকুন......আরে আরে! রংগুলো কই গেল?

নিচের ছবিটির বাইরের বৃত্তটি কি উপরে নিচে উঠানামা করছে? নাকি শুধু এর বিন্দুগুলোর রং হালকা থেকে গভীর হচ্ছে?

আপনার দৃষ্টিশক্তি কেমন?

দেখুন তো প্রথম দৃষ্টিতে নিচের লেখাটি পড়তে পারেন কি না? পারলেন না? এবার আপনার চোখদুটো প্রায় ৯০% বন্ধ করে পড়তে চেষ্টা করুন। নাহ্! যা পড়লেন, তাই সত্যি। এক্ষুনি ডাক্তারের কাছে ছুটে যান।

নিচের ছবিটি আমাদের একই শরীরে দুইয়ের বসবাসের কথা মনে করিয়ে দেয় - অনেকটা ডক্টর জেকিল এন্ড মিস্টার হাইডের মত।

আমার এই সিরিজ টিউনের বিষয়বস্তু লেখা আছে নিচের ছবিটিতে

এ চক্রের শেষ কোথায়?

ভাল করে দেখুন তো নিচের ছবিটিতে আকৃতিগুলোর শুরু ও শেষ বের করতে পারেন কি না?

ভাংগা প্লেটের জোড়া লাগা

নিচের ভাংগা প্লেটের উপর চিংড়ি মাছের চোখের দিকে কিছুক্ষন একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকুন, বিশেষ ক্ষমতার অধিকারী এই চিংড়ি মাছ ভাংগা প্লেটকে জোড়া লাগিয়ে দেবে।

কতটুকু কাছে আসলে আপনি খুশী?

নিচের টিউবের মুখগুলো কিন্তু আপনার জন্যই ক্রমাগত কাছে আসছে। আপনি খুশী তো?

আকৃতির নাচানাচি

নিচের ছবিগুলোতে কোন এনিমেশন নেই, তাও আপনাকে খুশী করবার জন্যই এরা নাচানাচি করেই চলেছে। একনাগাড়ে একটু তাকিয়ে থেকে দৃষ্টি একটু ডানে-বামে করলে দেখতে পাবেন এই নাচানাচি।

সর্পচলন

নিচের ছবিটিতে চারটি সাপ বোঝানো হয়েছে। দেখুন তো সবচেয়ে উপরের ও নিচের সাপদুটি ডানে আর মাঝের দুটি বামে একটু এগিয়ে যাচ্ছে কিনা? বেশীদূর গিয়ে যেন আপনার মনিটর থেকে বেরিয়ে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। একটি সাপ থেকে দৃষ্টি আরেকটির দিকে দিলে আগেরটির সামান্য চলন দেখতে পাবেন।

এরা যায় কোনদিকে?

নিচের চাকাটি কোনদিকে ঘুরছে [এনিমেটেড .gif ফাইল, সম্পূর্ণ লোড হবার জন্য একটু অপেক্ষা করুন]

নিচের তিনটি পিলারকে আড়াআড়িভাবে এগিয়ে যেতে দেখলেও এরা কিন্তু যার যার জায়গায় শুধু উঠানামা করছে

ভৌতিক/অদৃশ্য আকৃতি

নিচে অনেকগুলো প্লাস চিহ্নের মাঝের সাদা বৃত্তগুলো কিন্তু বাস্তবে নেই।

লক্ষ্য করুন, নিচের ছবিটির চারটি সাদা বিন্দু যখন বাইরের ছাই রংয়ের বৃত্তের দিকে এগিয়ে যায়, তখন ঐ চারটি সাদা বিন্দুর সংযোগস্থলে একটি বর্গ রূপ নেয়, যা আসলে নেই।

কোনটি সমান?

নিচের ছবির দিকে তাকিয়ে একবারে বলুন বাইরের কত নম্বর বৃত্তটি ভেতরের ছোট বৃত্তের সমান।

৫, ৬, ৭ অথবা ৮? পারলেন না। ৩ নম্বরটিই সমান, আর কোনটি নয়।

অটো-রিপেয়ার

পরিস্কার বোঝাই যাচ্ছে এই গ্রীডের দুপাশে ভেংগে-চুরে গেছে। এবার একনাগাড়ে গ্রীডের মাঝখানে তাকিয়ে থাকুন। চোখের পাশ দিয়ে দেখবেন দুপাশের অংশটি কেমন যেন অটোম্যাটিক রিপেয়ার হয়ে যাচ্ছে।

বক্র না সমান্তরাল?

নিচের দুটো আয়তক্ষেত্র আপাত: দৃষ্টিতে একে অন্যের সাথে, সমান্তরাল মনে না হলেও আসলে কিন্তু এরা সমান্তরাল।

আউলা-ঝাউলা

৩০ সেকেন্ড নিচের ছবিটির কেন্দ্রের দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন। এরপর যেদিকেই তাকাবেন মনে হবে, কিছু একটা হয়েছে আপনার চোখে।

আজ এই পর্যন্তই - আবার আসব কিছু কালেকশন নিয়ে। সবাই ভাল থাকবেন, চোখের যত্ন নেবেন। মানবদেহে আল্লাহর বড় রহস্যময় সৃষ্টি এই চোখ! এই চোখ দিয়ে যেন আমরা সবসময় ভাল কিছু দেখি এই কামনায়...

Level 2

আমি মোহাম্মদ ইউসুফ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 15 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 96 টি টিউন ও 1053 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

Uncomone অনেক কিছু দেখলাম । share করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।

    আপনাকেও ধন্যবাদ আওলাদ ভাই।

অসাধারন।যা বলে বুঝানো সম্ভব নয়।খুব ভালো লাগলো টিউনটি।কিন্তু সমস্যা হলো এতক্ষন গোলক ধাঁধায় থেকে এখন চোখে শর্ষে ফুল দেখছি।তবুও দারুন মজা।ধন্যবাদ টিউনার অসাধারন কিছু শেয়ার করার জন্য।

    আপনাকে বিদেশের মাটিতে শর্ষেফুল দেখাতে পারায় আমি গর্বিত – শর্ষেক্ষেত দেখতে তো আসছেনই মে মাসে।
    ধন্যবাদ প্রবাসী ভাই।

আমার চোখের আবস্থা খারাপ ………..আসাধারন……..ধন্যবাদ

    একটা ডিসক্লেইমার: কারও চোখের ক্ষতি হলে আমি দায়ী নই – আর চোখের ঔষধ টেকটিউনসে এটাচ/এমবেড করা যায়না বলে এখানেও আমি অপারগ। 🙂 🙂

    আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ রাসেল ভাই, জাপানে নিরাপদ আছেন তো?

অসাদারণ ভাই। খুব মজা পাইলাম।
tanko..tanko.

    মজা পেয়েছেন জেনে ভাল লাগল – ধন্যবাদ।

Level 0

প্রথম থেকে ২য় ছবিটিও তো এনিমেটেড,তাই না?
৩য় ছবিটিতে প্রথমে সাদা অংশকে লেখা মনে করে পড়তে গিয়েই বুঝলাম,সাদা অংশ না কালো অংশকে লেখা ধরে পড়তে হবে এবং তাতে উত্তর পেয়েও গেলাম। 🙂
এনিমেটেড চাকাটি ডান থেকে বামে ঘুরছে,ঠিক?
সমান্তরাল রেখার বৈশিষ্ট্য হল এদের যতি প্রলম্বিত করা হোক অর্থাৎ যতই রেখাগুলোকে সামনে বা পিছনে লম্বা করা হোক এরা কখনো মিলিত হয় না। শেষের আগের ছবিটির আয়তক্ষেত্র দুটির দৈর্ঘ্য বৃদ্ধি করলে তো এরা মিলিত হবে বলেই মনে হচ্ছে।
সর্বোপরি awesome!!!!

    হ্যা, ওটা এনিমেটেড…কিন্তু শুধুমাত্র রং পাল্টে যাবার ব্যাপারটাই – উপরে নীচে যাবার কোন এনিমেশন নেই।
    ঠিক ধরেছেন – থাক আপনার ডাক্তারের কাছে যাবার দরকার নেই। 🙂
    এনিমেটেড চাকাটি দু-দিকেই ঘুরছে – যার মন যেভাবে ঘোরাতে পারে। 😉
    এরা মিলিত হবে না – কারন এরা পারফেক্ট প্যারালাল।

    আপনাকে অনেক ধন্যবাদ!

Level 0

ধন্যবাদ। খুবই সুন্দর হইছে।কিন্তু আমি যে ভাংগা প্লেটটা জোরা লাগাতে পারলাম না।আফসোস রয়ে গেলো।

    অনেকক্ষন একনাগাড়ে তাকিয়ে থাকলে পারবেন। ধন্যবাদ

অ…সা…ধা…র…ন……

http://www.techvission.com/

খুব ভালো লাগল………………….সুন্দর টিউন

Level 0

Many many thanx for sharing. Khub moja pailam. Ami mobile net user. Tai bangla lekhte parlam na.

ভাইরে…চোক্ষেতো কিছু দেখতাছিনা…এইডা আপনে কি করলেন???এইভাবে আন্ধা বানাইয় দিলেন???

    আপনাকে 'আন্ধা' বানানোর অপরাধে আমি গর্বিত 🙂 🙂

ছবি গুলো অসাধারণ !!
কেন এমন হয় জানতে মন চায়
ধন্যবাদ ।

    ধন্যবাদ – এ ধরায় কতকিছুই তো রহস্যময়!

    একটু ব্যাখ্যা যদি দিতেন !!

    এর মধ্যে বেশ কিছু আছে আমাদের ভিশন ও পারসেপশন এর সাথে জড়িত।
    ব্যাখ্যার কথাটা চিন্তা করিনি – তাহলে আর এটা 'টেক হিউমার' ক্যাটাগরীতে থাকত না। 🙂

    #ছাত্র ও শিক্ষক #
    আপনি যেভাবে আমাদের হাতের তালু ফুটা করেছেন সেভাবেই মনে হয় সম্ভব।
    অসাধারন টিউন।

    মারুফ আপনাকে ধন্যবাদ ।

চমৎকার , অসাধারণ । ভাল লেগেছে।

এটা কেমন ধরনের টিউন ভাই? পড়তে ও দেখতে অনেক সময় লাগলো আর অনেক মজাও পাইলাম। ধন্যবাদ ভাই।

    আপনাকেও ধন্যবাদ আমিনুল ভাই।

অনেকগুলো নতুন দেখালেন।
ভাল লেগেছে।

ভাল লাগল thanks

    আপনাকে ধন্যবাদ সাদিক ভাই।

Level 0

tune bondho korben na, please. Aro Illusion chi.

    আচ্ছা ঠিক আছে, যতদিন পারব চালিয়ে যাব, আপনার উৎসাহের জন্য ধন্যবাদ।

অবিলম্বে আপনেকে পুলিশে দেয়া উচিত……… দেখে পুরাই পাগল হয়ে গেছি….
(কেউ যেন Seriously না নেয়!!!)