আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশী উচ্চারিত শব্দ মনে হয় "রসু খাঁ"।আমাদের দেশের প্রেক্ষিতে এক ভয়ংকার সিরিয়াল কিলার। এই নরপিশাচ গত ৩ বছরে ১১ জন নারীকে ধর্ষন ও হত্যা করেছে। আসুন জানি পৃথিবীর কয়েকজন কুখ্যাত সিরিয়াল কিলারদের সম্পর্কে।
জম্ম ১৪০৪ সালে ফ্রান্সে। তাকে বিবেচনা করা হয় আধুনিক সিরিয়াল কিলারদের পথিকৃত হিসাবে। রাই তার কিলিং মিশন শুরু করার পূর্বে ছিল মিলিটারী ক্যাপ্টেন বিখ্যাত জোয়ান অব আর্ক এর অধীনে। এই ভংয়কর সিরিয়াল কিলার শতাধিক ব্যাক্তিকে হত্যা করে যাদের অধিকাংশই শিশু। তার শিকারের মধ্যে বেশীর ভাগই শিশুই ছিল ব্লন্ড চুল আর নীল চোখের অধিকারী (যেমনটি সে ছোটকালে ছিল দেখতে)। ধারনা করা হয় সে তার যৌন পূলক পেতে শিশুদের নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করত (শিকারের উপর মাস্টারবেশন করত)। তার শিকারের প্রকৃত সংখ্যা পাওয়া যায় না। বেশীরভাগ শিকারকেই সে হত্যার পর পুড়িয়ে ফেলত। ধারনা করা হয় তার শিকার সংখ্যা ৮০ থেকে ২০০। অনেকের মতে এ সংখ্যা ৬০০-র উর্দ্ধে। তার অধিকাংশ শিকারের বয়স ছিল ৬ থেকে ১৮ এর মধ্যে। যদিও রাই বালকদেরই তার শিকার হিসেবে বেশী পছন্দ করত তবে বালিকারাও তার হাত থেকে নিস্তার পেতো না।
এই আমেরিকান সিরিয়াল কিলারের জম্ম ১৯৫০ সালে। হত্যাকান্ডের পর তাদের রক্তপান এবং শিকারের মাংস ভক্ষনের অভ্যাসের কারনে তার ডাক নাম ছিল " ভ্যাম্পায়ার অব স্ক্রেরামেন্টো"। তার প্রথম শিকার ৫১বছর বয়সী ইন্জিনিয়ার এমব্রোস গ্রিফিন। সেচ গ্রিফিনকে হত্যা করেন ১৯৭৭ সালের ২৯ ডিসেম্বর। তার ২য় শিকার টেরেসা ওয়ালিন ছিল অন্তসত্ত্বা। সে তাকে হত্যার পর তার সাথে সহবাসে মিলিত হয় এবং তার রক্ত দিয়ে গোসল করে। ১৯৮০ সালের ৮ মে বিচারে গ্যাস চেম্বারে তার মৃত্যুদন্ড হয়। দন্ডের জন্য অপেক্ষাকালীন সময়ে ১৯৮০ সালের ২৬ ডিসেম্বর তার সেলে তাকে মৃত অবস্থায পাওয়া যায়। ধারনা করা হয় প্রিজন ডাক্তারের প্রদত্ত ওষুধ অতিরিক্ত পরিমান খেয়ে সে আত্মহত্যা করে।
জম্ম ১৯৬০ সালে। ডামারের শিকার সংখ্যা কমপক্ষে ১৭। তার হত্যাকান্ডগুলো ছিল সত্যিকার অর্থেই বিভীষিকাময়। ডামার শিকারকে জোর পূর্বক সমকামিতায় বাধ্য করা সহ তাদের অঙ্গ প্রতঙ্গ বিচ্ছিন্নকরন এবং শিকারের মাংস ভক্ষণ করত। ডামার ১৮ বছর বয়সে তার প্রথম হত্যাকান্ড ঘটায়। ১৯৮৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ১৩ বছর বয়সী একজন বালককে যৌন হয়রানির অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিচারে তার এক বছর সাজা হয়, সে বিচারকের কাছে দোষ স্বীকার করে এবং তাকে মেন্টাল থেরাপি দেয়ার অনুরোধ করে। ৫বছর সন্তোষজনক আচার আচরনের শর্তে তাকে প্রবেশনে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির পরপরই সে পুনরায় হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠে।১৯৯১ সালের ডিসেম্বরে ডামার পুনরায় পুলিশের নিকট ধরা পড়লে তার ভয়ানক কুর্কীতিগুলো প্রকাশিত হয়ে পড়ে। বিচারে ডামারের ৯৩৭ বছর জেল হয়। বিচারকালে ডামার কারাবাসের পরিবর্তে তার মৃত্যুদন্ড কামনা করে।১৯৯৪ সালের ২৮ নভেম্বর কারাগারের জিমে কর্মরত অবস্থায় ক্রিস্টোফার স্কেভার নামক অপর একজন কয়েদীর মারাত্মক পিটুনিতে নিহত হন ভয়ংকর সিরিয়াল কিলার জেফরি ডামার।
জম্ম ইউক্রেনে পরবর্তীতে রাশিয়ান নাগরিক এই সিরিয়াল কিলার বুচার অব রোস্তভ বা রোস্তবের কসাই হিসেবে কুখ্যাত ছিল। তাকে দ্যা রেড রিপার নামেও ডাকা হতো। ১৯৭৮ হতে ১৯৯০ সালের মধ্যে ৫৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করার অপরাধে তাকে অভিযুক্ত করা হয়। সে যে প্রক্রিয়ায় হত্যাকান্ড ঘটাতো তা এক কথায় নৃংশস। চিকাতিলো তার প্রথম হত্যাকান্ড ঘটায় ১৯৭৮ সালের ২২ ডিসেম্বর। সে ৯ বছর বয়সী একটি মেয়েকে ফুসলিয়ে একটি পরিত্যাক্ত বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষন করতে উদ্যত হয়। মেয়েটি চিৎকার চেচাঁমেচি করলে সে তাকে ছুরিকাহত করে হত্যা করে তার উপর বীর্যপাত ঘটায়। এভাবেই তার বিকৃত কামচরিতার্থের শুরু। সে তার শিকারদের ছুরিকাহত করতে করতে বীর্যপাত ঘটানোর মাধ্যমে যৌন পূলক লাভ করতো। ১৯৯৪ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এই কুখ্যাত খুনীকে ফায়ারিং স্কোয়াডের মাধ্যমে হত্যা করা হয়।
সম্পূর্ন লেখাটির মুল লেখক সামু ব্লগের ফোরকান ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে কিছুটা পরিবতর্ন করে প্রকাশ করা হয়েছে।তাই বিভান্তির অবকাশ নাই ।
তবে হাসিব আমাকে বারবার রিকোষ্ট করাতে আমি এই লেখাটি প্রকাশ করেছি।
আমার ব্লগেও প্রকাশিত
আমি বিল্লাহ মামুন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 16 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 142 টি টিউন ও 1447 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
করি মায়ের ভাষায় চিৎকার........ http://bloggermamun.com
এত সুন্দর টিউন টেকটিউনসে পাবলিশ করতে বাধ্য করায় কি দোষ হল আমার ? হা হা হা আমি সফল………….