২০২৫ সালে কি পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে

টিউন বিভাগ মহাকাশ প্রযুক্তি
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বন্ধুরা। ইতিমধ্যেই দু'হাজার সাল শুরু হয়ে গেছে এবং মহাকাশ প্রেমীদের জন্য এই বছরটা  কিন্তু দুর্দান্ত হতে চলেছে। কারণ এই বছরে আমরা এমন অনেক অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট  দেখতে পাব যেগুলো আমরা বিগত দশ বছরেও দেখিনি। এই বছরটা কিন্তু একেবারেই সাধারণ বছর নয়। এই বছর আকাশের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যাবে। কখনও রঙিন উল্কাবৃষ্টি হবে তো কখনও সূর্যগ্রহণ এবং চন্দ্রগ্রহণের আকাশের চেহারাই পাল্টে যাবে। এর মধ্যে বেশিরভাগ  ঘটনা ভারত বা বাংলাদেশ থেকে টেলিস্কোপ ছাড়াই দেখা যাবে। আপনারা কবে কখন এই ঘটনাগুলো দেখতে পাবেন সেই সম্পর্কে বিশদে জানার জন্যব্লগ শেষ  পর্যন্ত অবশ্যই দেখুন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

29 জানুয়ারি  রাতের আকাশে আমরা এমন কিছু দেখতে পাব যেটা অনেক বছর পর পর দেখা যায়। এই দিন বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন কে আকাশে এইভাবে দেখা যাবে। তবে  আপনারা যারা এই ইভেন্ট টা পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখবেন তারা শুধুমাত্র বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি এবং শনিকে দেখতে পাবেন। আপনারা যদি ইউরেনাস এবং নেপচুন কে দেখতে চান  তাহলে আপনাদের একটা টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। তারপর আপনারা এই সাতটা গ্রহকে এইভাবে
দেখতে পাবেন। মনোযোগ দিয়ে দেখলে আপনারা খেয়াল করবেন যে সেই দিন আকাশে শুক্র এবং
বৃহস্পতিকে প্রচণ্ড উজ্জ্বল মনে হবে। আপনারা যদি এই দুর্লভ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট

দেখতে যান তাহলে আপনাদের বিকালে সূর্যাস্তের পর আপনার পশ্চিম দিকে নজর রাখতে হবে। কোনো কারণবশত আপনারা যদি ইভেন্টটা মিস করে ফেলেন তাহলে আপনারা দু'হাজার সালের পুনরায় মাস প্রায় একই ধরনের একটা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট দেখতে পাবেন। তবে সেই দিন পনারা মাত্র চারটে গ্রহকে দেখতে পাবেন। চৌদ্দই মার্চ পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে যেখানে চাঁদকে একদম লাল রঙের মনে হবে। এই ধরনের চন্দ্রগ্রহণ ব্লাড মুন নামে পরিচিত। তেইশে মার্চ পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্টে আপনারা তেইশে মার্চ দেখতে পাবেন। তবে ইভেন্টটা আপনারা খালি চোখে দেখতে পাবেন না। এই ইভেন্টটা দেখার জন্য আপনাদের একটা টেলিস্কোপের প্রয়োজন হবে। এটা অত্যন্ত দুর্লভ একটা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট হতে চলেছে যা সম্পর্কে আপনাদের অবশ্যই জানা উচিত।

আপনারা যদি তেইশে মার্চ একটা শক্তিশালী টেলিস্কোপের সাহায্যে শনি গ্রহের শনিগ্রহের দিকে তাকান তাহলে আপনার শনিগ্রহের বলয় দেখতে পাবেন না। কিন্তু দেখা হবে না। আসলে সেই দিন শনিগ্রহের বলয় পৃথিবীর একদম কাছে উপস্থিত থাকবে। তা সেদিন পৃথিবী থেকে শনি গ্রহের দিকে তাকালে শনির বলয় আমাদের চোখে পড়বে না। হেলে যাওয়া এবং পৃথিবীর অবস্থানের কারণে আমরা সেই দিন শনিগ্রহের বলয় দেখতে পাব না। পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্টও মার্চ মাসেই হবে। এই দিন একটা গ্রহাণু আমাদের পৃথিবীর অনেক কাছ থেকে এগিয়ে যাবে। জিরো টু বি এক্স ওয়ান নামের এই গ্রহাণুটি  মার্চ মাসে আমাদের পৃথিবী থেকে মাত্র চার মিলিয়ন কিলোমিটার দূর থেকে এগিয়ে যাবে। তবে ভয়ের কোনো কারণ নেই। কারণ আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে এই গ্রহাণু সংঘর্ষের সম্ভাবনা জিরো পার্সেন্ট। অনুমান করা হচ্ছে যে এই ঘটনাটা মার্চ মাসেই ঘটবে। তবে গ্রহাণুটি আকারের দিক থেকে অনেক ছোট। যার ফলে আকাশে দেখতে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। 10 মার্চ সূর্যগ্রহণ হবে যেখানে সূর্যের কিছু অংশ চাঁদের পিছনে ঢাকা থাকবে। পনেরো থেকে ঊনত্রিশ এপ্রিল। বন্ধুরা, পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট হল একটা সুন্দর উল্কা বৃষ্টি। এই উল্কা বৃষ্টি বিশেষত্ব হল এই ঘটনাটা আমরা ভারত বা বাংলাদেশ থেকেও দেখতে পারব। তবে তার জন্য পরিষ্কার এবং অন্ধকার আকাশের প্রয়োজন হবে এই ইভেন্ট 18 থেকে 30 এপ্রিলের মধ্যে হবে। তবে বাইশ থেকে তেইশ এপ্রিলের মধ্যেই উল্কা বৃষ্টি তার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবে।

এবং সেই সময় আপনারা আকাশের দিকে তাকালে অপূর্ব সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। তাই বাইশ এবং তেইশ এপ্রিল আপনারা উত্তর দিকের আকাশ দেখতে ভুলবেন না। অনুমান অনুযায়ী ঐদিন আমরা আকাশে প্রত্যেক ঘন্টায় একশটা বেশি উল্কা দেখতে পাব। আপনারা যদি ইভেন্টটা মিস করে ফেলেন তাহলে পুনরায় ইভেন্ট আবার দুহাজার বিয়াল্লিশ সালে দেখতে পাবেন। যদিও এর মাঝে ছোটখাটো কিছু উল্কা বৃষ্টি আপনারা দেখতে পাবেন, তবে সেগুলো ইভেন্টের মত এত স্পেশাল হবে না। এবং এই দুই দিন অ্যাকুয়াটিক মিডিয়ার সামার হবে এক পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্টে এক সকালে দেখা যাবে সেই দিন যদি আকাশের পশ্চিম দিকে তাকান তাহলে আপনারা শুক্র গ্রহকে দেখতে পাবেন। তবে ইন্টারেস্টিং বিষয়টা হল ওইদিন সকালে আপনারা শুক্র গ্রহকে এত উজ্জ্বল অবস্থায় দেখবেন যে, যেমনটা রাতের আকাশেও দেখা যায় না। সারা বছরের মধ্যে সেই দিন শুক্র গ্রহকে সব থেকে উজ্জ্বল অবস্থায় দেখা যাবে। জুলাই মাস। এই মাসে একটা শক্তিশালী সৌরঝড় আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খাবে। যদিও এর আগেও অনেক সৌর ঝড় আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। কিন্তু সেই সব সৌরঝড় খুব বেশি প্রভাবশালী ছিল না। আসলে এই ধরনের ছোটখাটো সৌর ঝড়কে আমাদের পৃথিবীর ম্যাগনেটিক ফিল্ড সামলে নেয়। কিন্তু জুলাই মাসে যে সৌর ঝড়টা হতে চলেছে, সেটা আমাদের পৃথিবীর উপরে মারাত্মক প্রভাব বিস্তার করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। নাসার তরফে জানানো হয়েছে যে, জুলাই মাসে হতে চলা এই সৌর ঝড় তার চূড়ান্ত পর্যায়ে থাকবে এবং সূর্য থেকে একটা শক্তিশালী সৌর শিখা রিলিজ হয়ে আমাদের পৃথিবীকে হিট করতে পারে। যার ফলে একাধিক কমিউনিকেশন সিস্টেম খারাপ হয়ে যেতে পারে।

Why is the iPhone so popular?

আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে এই সৌর ঝড় আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেলে আমাদের পৃথিবী তছনছ হয়ে যাবে, তাহলে কিন্তু আপনারা ভুল ভাবছেন এমন কিছুই হবে না। তবে হ্যাঁ, এর ফলে কিছু ইলেকট্রিকাল জিনিস খারাপ হয়ে যেতে পারে। যেমন স্যাটেলাইট। তবে বিজ্ঞানীদের কাছে এর সমাধানও আছে। যদি একটা শক্তিশালী সৌর শিখা আমাদের পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খায়, তাহলে সম্পূর্ণ পৃথিবীতে আমরা হয়ত অরোরা লাইট দেখতে পাব। আগস্ট এবং আগস্ট পার্থিব মিডিয়ার শাওয়ার বা উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে, যেখানে রাতের আকাশে অত্যন্ত উজ্জ্বল এবং রঙিন উল্কাবৃষ্টি দেখা যাবে। সাত এবং আটই সেপ্টেম্বর পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট আর সাত অথবা আটই সেপ্টেম্বর দেখা যাবে। এই দিন পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ হবে। আপনারা যারা জানেন না যে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ কিভাবে হয়, তাদের জানিয়ে রাখি যে, পৃথিবীর ছায়ার কারণে যখন সূর্যের আলো চাঁদে পৌঁছতে পারে না তখন চন্দ্রগ্রহণ হয়। পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের কারণে সেই সময় চাঁদের রঙ লাল মনে হয়। এটা তো আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে সূর্যের আলোর কারণে রামধনু তৈরি হয় এবং এতে সাতটা রং উপস্থিত থাকে। যখন সূর্যের আলো পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল হয়ে এগিয়ে যাবে তখন লাল রং ছাড়া সমস্ত রং ছড়িয়ে পড়বে। লাল রং অপরিবর্তিত থেকে চাঁদের পৃষ্ঠে পড়বে। যার ফলে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের সময় চাঁদকে লাল রঙের মনে হয়। এই ব্যাপারটা ইভেন্টে ভারত এবং বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশে দেখা যাবে। সাত অথবা আটই সেপ্টেম্বর বিকেল পাঁচটা থেকে সাতটা পর্যন্ত আকাশে লাল রঙের চাঁদ দেখা যাবে। যদি আপনার শহরে খুব বেশি দূষণ না থাকে এবং সেখানকার আকাশ পরিষ্কার থাকে, তাহলে আপনারা এই দৃশ্যটা উপভোগ করতে পারবেন। একুশে সেপ্টেম্বর পুনরায় আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে যেটা নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকেই দেখা যাবে। এই দিন শনিগ্রহ পৃথিবীর সবথেকে কাছে অবস্থান করবে। যার ফলে রাতের বেলায় বেশ কিছু জায়গা থেকে শনিগ্রহের বলয় দেখা যাবে। ড্রাগনের মিডিয়ার সার হবে একুশ বাইশ। একুশ বাইশ। ওরিয়নের মিডিয়ার সংবাদ দেখা যাবে।

সাতই নভেম্বর পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট হল লিওনিড মিডিয়ার টাওয়ার যেটা আপনারা সাতই নভেম্বর দেখতে পাবেন। এই উল্কাবৃষ্টি প্রত্যেক বছর নভেম্বর মাসে দেখা যায়। তবে দু'হাজার সালের এই উল্কাবৃষ্টি টা একটু স্পেশাল হবে। কারণ সেদিন আকাশে চাঁদের আলো অনেক কম থাকবে যার ফলে অন্ধকার অনেক বেশি হবে। আশা করা হচ্ছে যে সেই দিন আমরা প্রত্যেকে ঘণ্টায় কুড়ি থেকে ত্রিশটা উল্কা আকাশে দেখতে পাব। এই ইভেন্টটি ভারত এবং বাংলাদেশ থেকে রাত প্রায় এগারোটা থেকে সকাল তিনটে পর্যন্ত দেখা যাবে। আপনি যদি অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্টটা দেখতে চান, তাহলে আপনাকে এমন জায়গায় যেতে হবে যেখানে লাইট পলিউশন অনেক কম থাকবে।

Find out how to recover deleted photos and videos from Android phones?

অর্থাৎ শহর থেকে অনেকটাই দূরে থাকতে হবে। 16 ডিসেম্বর বন্ধুরা পরবর্তী অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইভেন্ট আর চৌঠা ডিসেম্বর দেখা যাবে। এই দিনে চাঁদের আকার অন্যদিনের তুলনায় অনেকটাই বড় বলে মনে হবে এবং 16 ডিসেম্বর এরপর তেরো থেকে ডিসেম্বর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত যে মিনিট মিডিয়ার ছায়া দেখা যাবে, যেখানে প্রত্যেক ঘণ্টায় একশ কোটিরও বেশি রঙিন উল্কা দেখা যাবে। একুশ এবং বাইশ ডিসেম্বর বছরের প্রায় শেষে একুশ থেকে বাইশে ডিসেম্বর মিডিয়ার ছায়া দেখা যাবে, যেটা একটা ছোট উল্কাবৃষ্টি। তবে এটা বছরের শেষে নিজের রঙিন উল্কার সাহায্যে আকাশের সৌন্দর্য কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলবে। বন্ধুরা, আজকের এই ভিডিওতে আলোচিত ইভেন্টগুলির মধ্যে কোন কোন মহাকাশীয় ঘটনাগুলো আপনি দেখবেন সেগুলো অবশ্যই

আমাকে টিউমেন্ট করে জানান। ধন্যবাদ।

Level 0

আমি সোহান হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস