অনপেজ এসইও কী? কীভাবে অনপেজ এসইও করবেন? এসইও শিখুন একদম বিনামূল্যে!

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত
Level 6
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

ওয়েবসাইট Rank করতে অনপেজ এসইও ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভাবে রিচ নিয়ে আসতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অনপেজ এসইও। যারা মোটামুটি ডিজিটাল মার্কেটিং বা কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে কাজ করেন তাদের কাছে অনপেজ এসইও কথাটি খুবই পরিচিত। এর থেকেও বেশি পরিচিত এসইও৷ মূলত যে কোনো সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটকে টপ লিস্টে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকে এসইও বলে৷

এসইও এর মধ্যে আছে আবার নানান ভাগ। অনপেজ এসইও, অফপেজ এসইও, টেকনিক্যাল এসইও ইত্যাদি। কিন্তু এসইও সেক্টরে সবথেকে কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ হলো অনপেজ এসইও। তাই এসইও শেখার প্রাথমিক পর্যায়েই সকলের মূল টার্গেট থাকে অনপেজ এসইও। তাই আজকের টিউনের মাধ্যমে আপনাদেরকে অনপেজ এসইও সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারনা দেয়ার চেষ্টা করবো।

অনপেজ এসইও কী, কীভাবে অনপেজ এসইও করবেন তার প্র্যাকটিক্যাল ধারণা, অনপেজ এসইও এর গুরুত্ব সম্পর্কে আজকের টিউনে আলোচনা করা হয়েছে। তাই যারা একদম ফ্রি তে এসইও শিখতে চান তাদের জন্য আজকের টিউনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দেরি না করে চলুন এসইও এর জগৎ থেকে একটা ডুব দিয়ে আসা যাক।

অনপেজ এসইও কী?

অনপেজ এসইও এর সংজ্ঞা

অনপেজ এসইও হলো এমন এক সিস্টেম যার মাধ্যমে একটি ওয়েব পেইজকে অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গ্রহনযোগ্য করে তোলা হয়। অর্থাৎ কোনো ব্যবহারকারী সার্চ ইঞ্জিনে নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সার্চ করলে যাতে আপনার ওয়েবসাইট এর নির্দিষ্ট পৃষ্ঠা সবার আগে প্রাধান্য পায় সেই ব্যবস্থা করা হয় অনপেজ এসইও এর মাধ্যমে। এটি মুলত পুরো একটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে না বরং ওয়েবসাইট এর যে কোনো একটি কিংবা প্রতিটি পৃষ্ঠা নিয়ে আলাদা আলাদা ভাবে কাজ করে। ওয়েবসাইটে নিয়মিত ট্রাফিক নিয়ে আসতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই অনপেজ এসইও। বর্তমানে অনপেজ এসইও ছাড়া একটি ওয়েবসাইট টিকিয়ে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য বিষয়।

আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আসার প্রধান মাধ্যম সার্চ ইঞ্জিন। এই সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে যে ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠা বেশি প্রাধান্য পাবে সেই সাইট সবথেকে বেশি এডসেন্স পাবে। এখন ভাবুন তো ওয়েবসাইট এর কাছে কীভাবে একটি ওয়েবপেজ কে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলা যায়? এই কাজটিই করে মূলত অনপেজ এসইও। অনপেজ এসইও একটি ওয়েব পৃষ্ঠাকে যথাযথভাবে অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে তুলে ধরে।

গুগল সহ যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন চায় তার গ্রাহককে সর্বোচ্চ ভালো মানের ফলাফল বা কনটেন্ট সরবরাহ করতে। তাইতো কোনো বিষয় সম্পর্কে গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করা হলে গুগল সবথেকে কোয়ালিটি সম্পন্ন কনটেন্ট ধারাবাহিক ভাবে তুলে ধরে। একজন ওয়েবসাইট Owner হিসেবে যে কেউ চায় তার ওয়েবপেজ যেন সার্চ লিস্টে কমপক্ষে এক থেকে পাঁচের মধ্যে থাকে। তাইতো ওয়েব পেইজকে এমনভাবে অপটিমাইজেশন করতে হবে যাতে সার্চ ইঞ্জিন ঐ পৃষ্ঠাকে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করতে পারে। যে টেকনিক ব্যবহার করে এই কাজটি করা হয় তা-ই মূলত অনপেজ এসইও।

অনপেকজ এসইও একটি ওয়েব পৃষ্ঠার কনটেন্ট, টাইটেল, পিকচার, URL ইত্যাদি নিয়ে কাজ করে। একজন এসইও এক্সপার্ট এই বিষয়গুলোকে অপটিমাইজ করার ক্ষমতা রাখে৷ চলুন এবার জেনে নেয়া যাক কীভাবে আপনি অনপেজ এসইও করে একটি ওয়েব পৃষ্ঠাকে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবেন।

কীভাবে অনপেজ এসইও করবেন?

অনপেজ এসইও করার কৌশল

আসলে সহজভাবে ভাবলে ও কোনো ধরনের ভীতি ছাড়াই এসইও শুরু করে দিতে পারলে এসইও শেখাটা খুব কঠিন কিছু না। তাই আজকে খুবই সহজভাবে অনপেজ এসইও করার উপায়গুলো উপস্থাপন করার চেষ্টা করছি। আশাকরি এই স্টেপ গুলো আপনাকে এসইও করতে অনেক সহায়তা করবে।

১. কি ওয়ার্ড রিসার্চ করুন

সার্চ ইঞ্জিনে যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ ব্যবহার করে কোনো বিষয় সম্পর্কে সার্চ করা হয় ঐ শব্দ বা শব্দগুচ্ছকে কি ওয়ার্ড বলা হয়। ধরুন কেউ এসইও সম্পর্কে জানতে গুগলে সার্চ করতে সার্চ বারে লিখলো ‘এসইও কী’ অথবা ‘SEO কী’, তার মানে এই শব্দগুলো হলো এক একটি কি ওয়ার্ড। এরকম আলাদা আলাদা বিষয়ের জন্য যেমন আলাদা আলাদা কনটেন্ট লেখা হয় ঠিক তেমনই তার সাপেক্ষে থাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু কি ওয়ার্ড। একটি টপিক খুঁজে বের করতে যে শব্দ বা শব্দগুচ্ছ সার্চ ইঞ্জিনে সবথেকে বেশি সার্চ করা হয় সেটাই ঐ টপিক এর প্রধান কি ওয়ার্ড। প্রধান কি ওয়ার্ড ছাড়াও থাকে সেকেন্ডারি কি ওয়ার্ড ও সহায়ক কি ওয়ার্ড।

অনপেজ এসইও করার সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো এই কি ওয়ার্ড রিসার্চ করা। আপনি যে বিষয়বস্তু ওয়েব পেইজে পাবলিশ করবেন ঐ বিষয়ের ওপরে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ কি ওয়ার্ড টি আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে। এই কাজটি যে যতো ভালোভাবে করতে পারবে তার অনপেজ এসইও ততোটাই পারফেক্ট হবে। এরপর ঐ কি ওয়ার্ড ওয়েবপেজ এর বিভিন্ন বিষয়ের সাথে ন্যাচারাল ভাবে জুড়ে দিতে হবে। মূলত কি ওয়ার্ড খুঁজে বের করা ও তার যথাযথ ব্যবহার করতে পারলেই আপনি অনপেজ এসইও এর সিংহভাগ কাজ শেষ করতে পারবেন।

এখন প্রশ্ন হলো আপনার কনটেন্ট এর সাপেক্ষে কি ওয়ার্ড কীভাবে খুঁজে বের করবেন? আপনি নির্দিষ্ট টপিক এর ওপরে গুগল সার্চ করেই গুরুত্বপূর্ণ কি ওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারবেন। তাছাড়া কি ওয়ার্ড রিসার্চ টুল ব্যবহার করেও আপনি সহজেই কি ওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি প্রাইমারি কি ওয়ার্ড (প্রধান কি ওয়ার্ড) এবং সেকেন্ডারি কি ওয়ার্ড (সাহায্যকারী কি ওয়ার্ড) খুঁজে নিয়ে নোট করে রাখবেন৷ পরবর্তীতে আপনার ওয়েব পেইজ অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে এই কি ওয়ার্ড গুলো সবথেকে বেশি কাজে লাগবে।

কয়েকটি জনপ্রিয় কি ওয়ার্ড রিসার্চ টুল এর তালিকা এখানে উল্লেখ করা হলো:

  • Google Search Console
  • Ubersuggest
  • Ahrefs Keyword Research Tool
  • Google Keyword Planner
  • KWFinder
  • Google Trends
  • Keyword Everywhere

২. টাইটেল অপটিমাইজেশন

এবার আপনার ওয়েব পেইজ এর অন্তর্ভুক্ত বিষয়বস্তু অপটিমাইজ করার পালা। প্রথমেই আপনাকে ওয়েব পেইজ এর টাইটেল এর দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আমরা যখন গুগল সার্চ করে অনেকগুলো ফলাফল পাই তখন কিন্তু প্রায়ই সবার ওপরের ওয়েব পৃষ্ঠা বাদ দিয়ে দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় ওয়েব পেইজে প্রবেশ করি। এর কারণট কী বলুন তো? মূল কারণ হলো ঐ ওয়েব পৃষ্ঠার টাইটেল আমাদের সবথেকে বেশি আকৃষ্ট করে।

তাছাড়া গুগল সার্চ বারের ফলাফল প্রদর্শনের সময় ওয়েব পৃষ্ঠার টাইটেলকে প্রাধান্য দেয়। সার্চ করা শব্দ বা শব্দগুচ্ছের সাথে আপনার টাইটেল যতো সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে ততোই এটি গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্ব পাবে। তাই অবশ্যই টাইটেলে একবার কি ওয়ার্ড রাখার চেষ্টা করবেন। টাইটেল এমনভাবে সাজাবেন যাতে দেখতে আকর্ষণীয় হয় এবং কি ওয়ার্ড ন্যাচারাল মনে হয়। তবে টাইটেলে একাধিকবার কি ওয়ার্ড ব্যবহার করা একদমই ঠিক না।

সুতরাং কি ওয়ার্ডকে প্রাধান্য দিয়ে এমনভাবে টাইটেল অপটিমাইজ করতে হবে যাতে এটি গুগল এবং দর্শক উভয়ের কাছেই প্রাধান্য পায়। আপনার ওয়েব পৃষ্ঠা ও এতে থাকা কনটেন্ট যতোই মানসম্মত হোক না কেন তা একটি লো কোয়ালিটি টাইটেল এর কারণে মূল্যহীন হয়ে যেতে পারে। সুতরাং টাইটেল অপটিমাইজেশন এর ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

৩. মেটা ডেসক্রিপশন অপটিমাইজেশন

একটি ওয়েব পৃষ্ঠা ওপেন হলেই প্রথমে বেশিরভাগ সময় টাইটেল এর পরে চোখে পড়ে মেটা ডেসক্রিপশন। মেটা ডেসক্রিপশন হলো পুরো ওয়েব পেইজ সম্পর্কে খুবই অল্প কথায় একটি বর্ণনা। মূলত এই বর্ণনা পড়ে ভিজিটর বুঝতে পারে যে পুরো পৃষ্ঠায় কোন কোন বিষয়ে তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। এই মেটা টাইটেল যতো বেশি আকর্ষণীয় হবে ততোই ভিজিটর সাইটে স্থায়ী হবে। মেটা ডেসক্রিপশন পড়ে পাঠক বা দর্শক সিদ্ধান্ত নেবে সে আপনার সাইটে আরও কিছুক্ষণ থাকবে কি-না।

তবে মেটা ডেসক্রিপশন খুব বেশি বড় করা যাবে না। সাধারণ ১৫০ থেকে ১৬০ ক্যারেক্টার এর মধ্যে মেটা ডেসক্রিপশন লিখলে ভালো হয়। আর মেটা ডেসক্রিপশনে একবার কি ওয়ার্ড বসাতে হবে। তবে জোর করে লেখার মধ্যে কি ওয়ার্ড ঢুকিয়ে দেয়া যাবে না৷ লেখার স্বাভাবিকতা বজায় রেখে অল্প কথায় অধিক তথ্য ও কি ওয়ার্ড নিয়ে আসতে হবে।

৪. কনটেন্ট অপটিমাইজেশন

এবার চলে এসেছি অনপেজ এসইও এর মূল ধাপে। প্রাইমারি কি ওয়ার্ড এবং সেকেন্ডারি কি ওয়ার্ড বসিয়ে আপনাকে পুরো কনটেন্ট অপটিমাইজ করতে হবে। সাধারণ ভাবে যেখানে যেখানে কি ওয়ার্ড বসানো যায় সেখানে কি ওয়ার্ড বসাতে হবে। তবে ঘন ঘন কি ওয়ার্ড ব্যবহার না করাই ভালো। প্রতি ১০০ শব্দের মধ্যে সর্বোচ্চ একবার কি ওয়ার্ড ব্যবহার করলে তা স্বাভাবিক বলে বিবেচিত হবে।

কি ওয়ার্ড বসানোর পাশাপাশি লেখার স্ট্রাকচার অপটিমাইজ করতে হবে। এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট এর কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যেমন সাব হেডিং ব্যবহার করা, প্যারা করে লেখা, লেখার মধ্যে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করা, সহজ ও সাবলীল ভাষায় নির্ভুলভাবে লেখা ইত্যাদি। যে বিষয়ের ওপরে কনটেন্ট তৈরি করা হবে প্রথমেই ঐ কনটেন্ট নিয়ে প্রচুর রিসার্চ করা দরকার। তাহলে আগে থেকেই লেখার স্ট্রাকচার সাজিয়ে নেয়া যাবে।

মেটা ডেসক্রিপশন লিখে ভূমিকায় পুরো কনটেন্ট সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা দিতে হবে। অর্থাৎ পুরো পৃষ্ঠাটি ভিজিট করে ভিজিটর কী কী বিষয়ে তথ্য পাবে তার একটি পূর্ব ধারণা দিতে হবে। এরপর মূল বিষয়গুলো কয়েকটি ভাগে ভাগ করে আলাদা আলাদা সাব হেডিং ব্যবহার করে লিখতে হবে। অবশ্যই সাব হেডিং এর মধ্যে কি ওয়ার্ড রাখতে হবে। ভূমিকা ও উপসংহারে কমপক্ষে একবার সাব হেডিং রাখতে হবে।

সাব হেডিং এর অন্তর্ভুক্ত লেখাগুলো একসাথে বড় একটি প্যারায় না লিখে ছোটো ছোটো কয়েকটি প্যারায় ভাগ করে লিখতে হবে৷ এতে করে চোখের প্রশান্তি হয় এবং পাঠক সন্তুষ্ট থাকে। আর গুরুত্বপূর্ণ কিছু লিস্ট দিতে চাইলে কমা ব্যবহার না করে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে লিখতে হবে। সেইসাথে লেখার ভাষা স্পষ্ট, সাবলীল ও সহজবোধ্য করতে হবে।

মোটকথা লেখায় পর্যাপ্ত কি ওয়ার্ড রাখলে এবং লেখার স্ট্রাকচার সঠিকভাবে করতে পারলেই অপটিমাইজেশন এর কাজ শেষ। অনপেজ এসইও এর মূল কাজই এটা। এভাবে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে আপনার ওয়েব পৃষ্ঠা পজিটিভ সিগন্যাল পাঠাবে এবং এটি সার্চ লিস্টে প্রথম দিকে জায়গা পাবে। আশাকরি কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর বিষয়টি বেশ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

৫. ছবি অপটিমাইজেশন

আপনার ওয়েব পেইজের টেক্সট কনটেন্ট এর পাশাপাশি ইমেজ অপটিমাইজ করতে হবে। ইমেজ অপটিমাইজেশন বলতে ইমেজ এর সাইজ, স্ট্রাকচার, ডেসক্রিপশন, ALT Text ইত্যাদি অপটিমাইজ করাকে বোঝায়।

প্রথমেই আপনাকে যে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে তা হলো ওয়েব পেইজে ব্যবহৃত ছবি মোবাইল ফ্রেন্ডলি কিনা। কেননা তুলনামূলক বেশিরভাগ ইউজার মোবাইল ব্যবহার করেই ওয়েব পেইজ ভিজিট করে। তাই মোবাইলে ইমেজ সাপোর্ট না করলে ঐ সাইটে ট্রাফিক কমতে থাকবে। আরেকটি বিষয় হলো ইমেজ এর স্টোরেজ কম রাখা আবশ্যক। যাতে Low ডাটা স্পিডেও ইউজার খুব দ্রুত ইমেজটি দেখতে পারে।

ছবি আপলোড করার সময় ডেসক্রিপশনে অবশ্যই কি ওয়ার্ড বসাবেন। পাশাপাশি ALT Text এর ওপরে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। এসইও করার ক্ষেত্রে ওয়েব পেইজে ব্যবহৃত ইমেজ এর ALT Text অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই ALT Text এ এমনভাবে অল্প কথায় বিস্তারিত লিখতে হবে যাতে কি ওয়ার্ড ন্যাচারাল ভাবে বসানো যায়। এভাবে ওয়েব পেইজে ব্যবহৃত প্রতিটি ছবি অপটিমাইজ করে আপলোড করতে হবে।

অনেক সময় শুধু ছবির জন্যও অনেক ওয়েব পৃষ্ঠা গুগলের কাছে প্রাধান্য পায়। ফলে ইমেজ সার্চ অপশনে আপনার ওয়েব পৃষ্ঠা টপ লিস্টে চলে আসবে।

৬. ওয়েব পৃষ্ঠার স্পিড অপটিমাইজেশন

আপনার ওয়েব পৃষ্ঠা কতো দ্রুত লোড হচ্ছে তার ওপরে আপনার সাইটে আগত ট্রাফিক এর সংখ্যা নির্ভর করবে। কেননা লোডিংয়ে সময় বেশি নিলে ইউজার বিকল্প কোনো সাইটে চলে যাবে। মনে রাখবেন বর্তমান সময়ে এই সেক্টরে আপনার প্রতিযোগীর অভাব নেই। ওয়েব পৃষ্ঠা লোডিং এর টাইম যদি ৩ সেকেন্ড এর কম হয় তাহলে ঠিক আছে। কিন্তু এর থেকে বেশি সময় লাগলে তা গুগল এর কাছে নেগেটিভ Ranking করবে।

গুগল এর এআই ডিটেক্টর সব সময় ত্রুটিপূর্ণ কনটেন্ট গুলো খুঁজে বের করতে থাকে। এই ধরনের কনটেন্ট তারা সাজেশন লিস্ট থেকে বাতিল করে দেয়। তাই আপনার সাইটের লোডিং টাইম বেশি হলে এটি ত্রুটিপূর্ণ সাইট বলে বিবেচিত হতে পারে। এর ফলাফল যে কী হতে পারে তা তো বুঝতেই পারছেন।

সুতরাং ওয়েব পৃষ্ঠার লোডিং স্পিড ৩ সেকেন্ড এর কম হলে সেটাকে অপটিমাইজ করতে হবে। সেই সাথে সাইটের প্রতিটি অপশন এর কার্যক্ষমতা দ্রুত করতে হবে।

আশাকরি অনপেজ এসইও এখন আপনার কাছে খুব কঠিন বলে মনে হচ্ছে না। এসইও করতে গেলে আপনি আরও নতুন নতুন সিস্টেম ও স্কিল সম্পর্কে জানতে পারবেন। আর মনে রাখবেন এসইও সম্পর্কে শুধু জানলেই হবে না, নিয়মিত এটি প্র্যাকটিস করতে হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে অনপেজ এসইও নিয়ে কাজ করলে আপনি গুগল বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে Ranking না-ও পেতে পারেন। তবে ধীরে ধীরে নিয়ম অনুযায়ী চর্চা করতে থাকলে অল্প সময়ের মধ্যেই আপনি একটি ওয়েব পৃষ্ঠাকে Rank করাতে পারবেন।

অনপেজ এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ?

সার্চ ইঞ্জিনে Rank করতে অনপেজ এসইও এর গুরুত্ব

অনপেজ এসইও কেন গুরুত্বপূর্ণ তা হয়তো আলাদা করে না বললেও ইতোমধ্যে বুঝে গেছেন। একটি ওয়েবপেজকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রথম সারিতে নিয়ে আসার প্রথম শর্ত অনপেজ এসইও। অনপেজ এসইও জানা থাকলে ও এর সঠিক প্রয়োগ করতে পারলে আপনি অফপেজ এসইও ছাড়াও একটি সাইট Rank করাতে পারবেন৷ অনপেজ এসইও লং টার্ম সাপোর্ট প্রদান করে, তাই একটি ওয়েব পৃষ্ঠা তৈরি করার সময় একটু গুরুত্ব দিয়ে অনপেজ এসইও করে নিলেই হয়। এরপর এটি আজীবন ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবে, যদি আপনার পৃষ্ঠায় থাকা কনটেন্ট সম্পর্কে লোকজন সার্চ করে।

অনপেজ এসইও করার জন্য পেইজের বাইরে বা ওয়েবসাইট এর বাইরে থেকে কোনো কাজ করতে হয় না৷ ফলে কোনো এক্সটার্নাল সাপোর্ট এর প্রয়োজন হয় না৷ নিজে নিজেই ওয়েব পেইজ অপটিমাইজেশন করে এসইও করা যায়। অনপেজ এসইও গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এর নিয়ম মেনে লিগ্যাল ভাবে করা হয়। তাই কোনো ধরনের নেগেটিভ ইফেক্ট এর সম্ভাবনা নেই। মোটকথা একটি ওয়েব পৃষ্ঠাকে সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য অনপেজ এসইও এর বিকল্প নেই।

আর পুরো একটি ওয়েবসাইটকে গুগলে বা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনে Rank করাতে চাইলে সাইটের প্রতিটি পৃষ্ঠায় অনপেজ এসইও করতে হবে। তবেই আপনার ওয়েবসাইট হয়ে উঠবে একটি জনপ্রিয় সাইট।

শেষকথা

যাদের অনপেজ এসইও শেখার প্রবল আগ্রহ ছিলো তাদের জন্য আজকের টিউনটি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। জানিনা এসইও শেখার জার্নি তে আপনাদের আমি কতোটুকু উপকার করতে পেরেছি। তবে আমি আমার পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করেছি বিষয়টি সহজভাবে উপস্থাপন করার।

আপনাদের অনপেজ এসইও শেখার যাত্রায় আমি শারমিন ছিলাম আপনাদের সাথে। বিশ্বের জনপ্রিয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক টেকটিউনস এর একজন নিয়মিত টেকনিক্যাল রাইটার। অনপেজ এসইও নিয়ে আরও কিছু জানার থাকলে এই টিউনে টিউনমেন্ট করে জানাতে পারেন। টিউনটি ভালো লাগলে একটি জোসস করে দেবেন প্লিজ। আরও নতুন নতুন টেকনিক্যাল টিউন পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন৷ ধন্যবাদ।

Level 6

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস