যারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে যুক্ত আছেন তাদের কাছে খুবই পরিচিত একটি বিষয় এসইও। বর্তমান সময়ে ডিজিটাল সেক্টরে এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে কোনো একটি ওয়েবসাইটকে উপরে তুলে আনতে এসইও এর বিকল্প নেই। তাইতো যতো দিন যাচ্ছে ততোই এসইও এক্সপার্ট দের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর এই স্কিলকে কাজে লাগিয়ে অর্থ উপার্জন করছে ডিজিটাল মার্কেটার রা।
তবে অনেকেরই হয়তো এসইও সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেই৷ অনেকে হয়তো বুঝে উঠতে পারছেন না এসইও শেখা শুরু করবেন কীভাবে। এসইও এর কোন পার্ট আগে শেখা উচিত। আজকের টিউনের মাধ্যমে সবার সকল প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করবো। এসইও কী, এসইও কত প্রকার, এসইও কীভাবে শিখবেন, এসইও করে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে এই টিউনে।
সুতরাং যারা এসইও সম্পর্কে কৌতূহলী এবং এসইও সম্পর্কে অনেক তথ্য জানতে চাচ্ছেন তাদেরকে পুরো টিউনটি পড়ার অনুরোধ রইলো।
কোনো পেইড মার্কেটিং ছাড়া একটি ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজকে সার্চ ইঞ্জিনে সবার ওপরে নিয়ে আসার টেকনিক্যাল কৌশল হলো এসইও। এসইও বা SEO এর পূর্ণরূপ হলো Search Engine Optimization। অর্থাৎ কোনো ওয়েব পেইজে এসইও কৌশল ব্যবহার করে এমনভাবে অপটিমাইজ করা হয় যাতে ঐ ওয়েব পেইজটি সার্চ ইঞ্জিনে সবার আগে প্রদর্শিত হয়। যে ওয়েবসাইট যতো ভালোভাবে এসইও করা হয় সেটাকে সার্চ ইঞ্জিন ততো বেশি গুরুত্ব দেয় এবং পাঠকদের তুলনামূলক বেশি সাজেস্ট করে।
আসুন বিষয়টি আরও ক্লিয়ার ভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছি। আমরা কোনো কিছু ইন্টারনেট থেকে খুঁজে বের করার জন্য যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে সার্চ করি। বর্তমানে জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন গুলোর মধ্যে আছে গুগল, বিং, ইয়াহু ইত্যাদি। তবে বাংলাদেশে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয় গুগল। তাই গুগলের উদাহরণ দিয়েই বিষয়টি ভালোভাবে তুলে ধরছি।
আপনি কিছু জানতে চাইলে গুগলে সেটি লিখে সার্চ করেন। গুগল আপনার সার্চ করা শব্দ বা বাক্য বিশ্লেষণ করে তার সাথে রিলেটেড ওয়েব পেইজ আপনার সামনে প্রদর্শন করে। এখন গুগল কীভাবে বুঝবে যে কোন ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজে আপনার সার্চ করা প্রশ্নের উত্তর বা তথ্য আছে? এজন্য গুগল বা অন্য যে কোনো সার্চ ইঞ্জিন নির্দিষ্ট কিছু কি ওয়ার্ড ও অ্যালগরিদম মিলিয়ে নিয়ে ফলাফল প্রদর্শন করে। যেই ওয়েবপেজ যথেষ্ট কি ওয়ার্ড রয়েছে এবং আপনার সার্চ করা প্রশ্নের সাথে ঐ কি ওয়ার্ড মিলে যাবে ঐ ওয়েবসাইটকে গুগল আপনার সামনে প্রদর্শন করবে।
এই যে একটা ওয়েবসাইট বা ওয়েব পেইজকে গুগল এর সিস্টেম অনুযায়ী সেট করা হয় এটিই মূলত এসইও। একটা ওয়েবপেজ যতো বেশি এসইও ফ্রেন্ডলি হবে সেটি ততো বেশি গুরুত্ব পাবে গুগল এর কাছে৷ আর গুগল যাকে বেশি গুরুত্ব দেবে ঐ সাইটে ততো বেশি ভিজিটর আসবে এবং ওয়েবসাইটটি খুব দ্রুত Rank করবে। একটি ওয়েবসাইট এর প্রাণ হলো তার ভিজিটর, তাই নিয়মিত ট্রাফিক বা ভিজিটর নিয়ে আসতে চাইলে ওয়েবসাইট ও ওয়েবপেজ এসইও ফ্রেন্ডলি করার বিকল্প নেই। কেননা গুগল সার্চ করে আপনার ওয়েবসাইট যদি সহজে কেউ খুঁজেই না পায় তাহলে এই সাইট থেকে কোনো ফিডব্যাক আশা করা যায় না।
এসইও করার পদ্ধতি ও এর গুরুত্ব অনুসারে মূলত একে কয়েকটি শ্রেনিতে বিভক্ত করা যায়। তবে সবথেকে পরিচিত এসইও পদ্ধতি সম্পর্কে বলতে গেলে তিন ধরনের এসইও এর কথা না বললেই নয়। এখানে প্রধান তিন ধরনের এসইও সম্পর্কে তুলে ধরা হলো৷
চলুন এবার এসইও এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।
অনপেজ এসইও মূলত একটি ওয়েবসাইট এর নির্দিষ্ট কোনো একটি ওয়েব পেইজ নিয়ে কাজ করে। এটি মূলত টেক্সট কনটেন্ট এর ওপর প্রাধান্য দেয়। কনটেন্ট এর বিষয়বস্তু ও লেখার স্টাইল অপটিমাইজ করে এটি গুগল সার্চ ইঞ্জিনে সবার আগে প্রাধান্য পাওয়ার চেষ্টা করে। কি ওয়ার্ড রিসার্চ, মেটা টাইটেল, এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট রাইটিং, কনটেন্ট অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে অনপেজ এসইও এক্সপার্ট একটি ওয়েব পেইজকে গুগলে Rank করায়। ঐ একটি ওয়েব পেইজের Ranking এর মাধ্যমে পুরো একটি সাইট Rank করতে থাকে।
অফপেজ এসইও মূলত ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে ওয়েব পেইজের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করে অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে Rank করায়। তাছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ওয়েব পেইজ প্রমোট করা, পে পার ক্লিক এর মাধ্যমে সাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা অফপেজ এসইও এর অন্তর্ভুক্ত। এরকম ওয়েবপেজ এর বাইরে থেকে যে সকল কৌশল ব্যবহার করে একটি সাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে Rank করার চেষ্টা করা হয় সেটাই মূলত অফপেজ এসইও। অনপেজ এসইও এর থেকে অফপেজ এসইও তুলনামূলক জটিল কাজ বলা চলে।
টেকনিক্যাল এসইও শুধুমাত্র একটি ওয়েব পেইজ না বরং পুরো একটি ওয়েবসাইট নিয়ে কাজ করে। ওয়েবসাইট এর রিচ কী করে বৃদ্ধি করা যায় এটাই টেকনিক্যাল এসইও এর মূল উদ্দেশ্য মূলত ওয়েবসাইট এর ডোমেইন নেইম, ওয়েবসাইট লেআউট, ওয়েবসাইট এর Accessibility উন্নত করা ও যে কোনো টেকনিক্যাল সমস্যার সমাধান করা টেকনিক্যাল এসইও এক্সপার্ট দের কাজ। একটি ওয়েবসাইট তৈরি থেকে শুরু করে এর পরিচালনা ও নিয়মিত ওয়েবসাইট এর হেল্থ ভালো রাখতে টেকনিক্যাল এসইও এক্সপার্ট দের নিয়মিত কাজ করতে হয়৷
এই তো ছিল এসইও এর মূল প্রকারভেদ সমূহ। এছাড়াও এসইও করার ধরন অনুযায়ী একে হোয়াইট হ্যাট এসইও, ব্ল্যাক হ্যাট এসইও, গ্রে হ্যাট এসইও ইত্যাদি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায়। তবে এসইও এক্সপার্ট দের কাজের দায়িত্ব বিভক্ত হয় উপরে বর্ণিত তিনটি ধরন অনুসারেই।
একটি ওয়েবসাইটকে জীবিত রাখার পূর্বশর্ত হলো ওয়েবসাইট ও এতে থাকা কনটেন্ট গুলোকে এসইও ফ্রেন্ডলি করা। কোনো ধরনের পেইড বিজ্ঞাপণ না দিয়েও যদি আপনার সাইটে নিয়মিত ট্রাফিক আনতে চান তাহলে আপনার সাইটকে ও সাইটে থাকা কনটেন্টকে অবশ্যই এসইও করতে হবে৷ যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করার সাথে সাথে কমপক্ষে ১০ টা পেইজের মধ্যে আপনার ওয়েব পেইজ থাকে৷ নয়তো আপনার ওয়েবসাইট কখনোই গুগল Rank করতে পারবে না। ফলে যতো সুন্দর করেই ওয়েবসাইট সাজান না কেন আর যতো মানসম্মত কনটেন্ট লিখুন না কেন, আপনার সাইটে নিয়মিত ট্রাফিক আসবে না।
ধরুন আপনি ট্রাভেল বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট এর Owner। আপনি ‘সন্দীপ ভ্রমণ গাইড’ বিষয়ে একটি আর্টিকেল পাবলিশ করলেন। কিন্তু কনটেন্ট এর মধ্যে এসইও প্রাধান্য পেল না। অন্যদিকে আপনার প্রতিযোগী সাইটের কনটেন্ট গুলো এসইও করে পাবলিশ করা হয়েছে। এখন কেউ সার্চ ইঞ্জিনে ‘সন্দীপ ভ্রমণ গাইড’ বা ‘সন্দীপ ভ্রমণ’ লিখে সার্চ করলে আপনার ওয়েবপেজ টি সামনে আসবে না, সামনে আসবে আপনার প্রতিযোগী ওয়েবসাইট এর পৃষ্ঠা যারা এই আর্টিকেলটি এসইও করে পাবলিশ করেছে।
তাহলে দেখুন আপনি মানসম্মত কনটেন্ট লিখেও আশানুরূপ ট্রাফিক পাচ্ছেন না। কারণ সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েবপেজকে গুরুত্বই দিচ্ছে না। সার্চ ইঞ্জিন যাতে আপনার সাইটকে গুরুত্ব দেয় সেই ব্যবস্থার জন্যই এসইও গুরুত্ব পাবে। এরকম শপিং সাইট, সেবামূলক সাইট, শিক্ষামূলক সাইট বা যে কোনো সাইটকে প্রাণবন্ত রাখার জন্য এসইও এর বিকল্প নেই। তাইতো ওয়েবসাইট Owner দের কাছে এসইও এক্সপার্ট দের চাহিদা দিনদিন বেড়েই চলেছে।
পরিশেষে বলা যায়, ওয়েবসাইট এর মূল চালিকাশক্তি এর ভিজিটর। আর ভিজিটর নিয়ে আসতে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ টেকনিক হলো এসইও। অর্থাৎ এদিক থেকে বিবেচনা করলে বলা যায় বর্তমান সময়ে এসইও হলো একটি ওয়েবসাইট এর চালিকাশক্তি। এসইও ছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরের বিশাল একটা অংশ অন্ধকারাচ্ছন্ন। তাই ডিজিটাল সেক্টরে এসইও এর গুরুত্ব অপরিসীম।
যারা নিয়মিত এসইও নিয়ে কাজ করে এবং এই সেক্টরে বেশ অভিজ্ঞ তাদের বলা হয় এসইও এক্সপার্ট। এসইও যে খুবই সহজ একটি কাজ তা কিন্তু নয়। আপনি চাইলেই কয়েকটি ইউটিউব ভিডিও দেখে এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন না। তবে ইউটিউব সার্চ করে বা গুগল সার্চ করে এসইও সম্পর্কে অনেক নতুন নতুন তথ্য জানতে পারবেন এবং তা প্র্যাকটিক্যাল ভাবে কাজে লাগাতে পারবেন৷ এই অনলাইন Material গুলো আপনার এসইও শেখার জার্নিকে অনেক সহজ করে দেবে।
আর একটা বিষয় হলো এসইও কেউ আপনাকে হাতে ধরে শেখাতে পারবে না। নিয়মিত প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে আপনি একজন এসইও এক্সপার্ট হতে পারবেন। আর প্রথমেই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি এসইও এর কোন সেক্টর দিয়ে শুরু করবেন৷ কেননা সবগুলো পার্ট একসাথে শিখতে গেলে কোনোটাই আপনি যথাযথভাবে শিখতে পারবেন না৷ বিগিনারদের জন্য প্রথমে অনপেজ এসইও শেখাটাই সহজ মনে হবে বলে আমি মনে করি।
একটু ব্রিলিয়ান্ট হলে আপনি অনলাইনে ফ্রি ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখে ও ফ্রি আর্টিকেল পড়ে এসইও জার্নি শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে দেশের ও দেশের বাইরের স্বনামধন্য এসইও এক্সপার্ট দের সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করতে পারেন৷ সেইসাথে নিয়মিত এসইও নিয়ে কাজ করতে হবে ও প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। প্র্যাকটিস এর জন্য আপনি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে কাজ করতে পারেন। অথবা অন্যকোনো সাইটে ফ্রি ইন্টার্নশিপ করতে পারেন।
তবে আপনি যদি একা এসইও শেখার জার্নি শুরু করতে নার্ভাস ফিল করেন তাহলে অনলাইন বা অফলাইনে পেইড কোর্সে সিট বুকিং করতে পারেন৷ পেইড কোর্সে মোটামুটি হাতেকলমে শেখানো হয় এবং টিউটর আপনাকে নিজেই তাগিদ দিয়ে প্র্যাকটিস করাবে। ফলে আপনি খুব দ্রুত এই সেক্টরে এক্সপার্ট হয়ে উঠতে পারেন। তবে মাথায় রাখবেন এসইও এর সবগুলো সেক্টরে একসাথে কাজ করার চেষ্টা করবেন না। এতে করে কাজের ধারাবাহিকতা নষ্ট হয় ও ফিডব্যাক ভালো আসে না।
এসইও শিখতে কতদিন লাগে তা আসলে নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব না। শেখানোর ধরন ও নিয়মিত কতোটুকু সময় দেয়া হচ্ছে তার ওপরে নির্ভর করবে আপনার এসইও শেখার টাইম। তবে বেসিক লেভেলের এসইও শিখতে সাধারণত দুই থেকে চার মাস সময় লাগে। এক্ষেত্রে অবশ্যই নিয়মিত সময় দিতে হবে ও প্র্যাকটিস চলমান রাখতে হবে। আর অ্যাডভান্স লেভেলের এসইও শিখতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় লাগতে পারে।
এটা একটি আনুমানিক গড় ধারণা। ব্যক্তি ও ট্রেইনার এর ধরন অনুযায়ী সময় কমবেশি লাগতে পারে। আরেকটা বিষয় মাথায় রাখবেন যে, এসইও কোর্স করে এসইও শিখলাম মানেই কিন্তু শেখা শেষ নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। কেননা এসইও এর নতুন নতুন টার্ম ও আপডেট সিস্টেম আসতে থাকে। আর এই পরিবর্তনশীল সিস্টেমের সাথে তাল মিলিয়ে নিজেকেও আপডেট করতে না পারলে এই সেক্টরে কখনোই এক্সপার্ট হতে পারবেন না।
অর্থাৎ এসইও নিয়ে যারা কাজ করে বা করবেন তাদের সবসময় নিজেদের স্কিল আপডেট করতে হবে৷ প্রতিনিয়ত শিখতে হবে ও প্র্যাকটিস করতে হবে৷ এদিক থেকে হিসেব করলে বলা যায় এসইও শেখার কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। যতোদিন এই সেক্টরে কাজ করতে চান ততোদিন আপনাকে শিখতে হবে৷ তবে প্রাথমিকভাবে শেখার জন্য গড়ে ৬ মাস সময় লাগবে।
এসইও এক্সপার্ট হিসেবে এসইও করে আয় করা কোনো কঠিন বিষয় না৷ আপনি যদি পুরোদমে এসইও নিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত থাকেন তাহলে নিজের ওয়েবসাইট বিল্ড আপ করেই আনলিমিটেড আয় করতে পারবেন৷ অর্থাৎ নিজের সাইটে নিয়মিত এসইও ফ্রেন্ডলি কনটেন্ট পাবলিশ করে আয় করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে নিজের লেখালেখির অভ্যাস থাকলে তো ভালোই আর না থাকলে লোকাল রাইটার হায়ার করে লিখিয়ে নিতে পারেন। ঐ লেখাকে নিজের মতো করে এসইও করে নিলেই হবে।
ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে এসইও এক্সপার্ট দের বেশ চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসের কাজ করে আয় করতে পারেন৷ তাছাড়া অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে, লোকাল মার্কেটপ্লেসে কাজ করে, নিজস্ব ব্যবসা পরিচালনা করে আপনি বেশ ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন৷ এসইও এক্সপার্ট দের ভাতের অভাব হয় না৷ অর্থাৎ কাজ জানা থাকলে এই সেক্টরে কাজের অভাব নেই।
তবে প্রথম শর্ত হলো আপনাকে এসইও এর ওপরে মাস্টার হতে হবে। কেননা ক্লায়েন্ট তখনই আপনাকে পে করবে যখন আপনি তার সাইটে এডসেন্স নিয়ে আসতে পারবেন৷ অর্থাৎ কাজের দক্ষতা যতো বেশি থাকবে কাজ পাওয়ার সম্ভাবনাও ততো বেশি হবে। সেই সাথে আয়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
আশাকরি এসইও সম্পর্কে যাদের মনে প্রশ্ন ছিল তারা সব প্রশ্নের উত্তর ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন৷ ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টরে এসইও এর গুরুত্ব কতোটা তা তো আলাদা করে আর না বললেও চলে৷ একটি ই-কমার্স বিজনেস টিকিয়ে রাখার পূর্বশর্ত একটি ওয়েবসাইট টিকিয়ে রাখা। আর ওয়েবসাইটকে প্রাণচঞ্চল রাখতে পারে একজন এসইও এক্সপার্ট। তাই পেইড বিজ্ঞাপণ এর পরিবর্তে এসইও এর ওপর ফোকাস করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ যা দীর্ঘমেয়াদি ফলাফল বয়ে আনে।
টিউনটি ভালো লাগলে একটি জোসস করবেন প্লিজ। কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই টিউনমেন্ট করে জানাবেন। নতুন নতুন টেকনিক্যাল টিউন পেতে আমাকে ফলো করে রাখতে পারেন। ধন্যবাদ।
আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 115 টি টিউন ও 29 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 6 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।