ইন্টারনেটের মূল কথা হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন। গুগল আমাদের কাছে একটি জনপ্রিয় সার্চ ইঞ্জিন। কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন কি এবং কিভাবে এটি কাজ করে তা কি আমরা ভেবে দেখেছি? আজকের আলোচনায় আপনাদের জানাবো সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য। চলুন জেনে নেই এটি সম্পর্কে।
আমাদের সার্চ করা তথ্য ও রেজাল্ট গুলোকে SERP বা সার্প বলা হয়। এর অর্থ হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজেইস। সকল তথ্য সার্চ ইঞ্জিন ডাটা বেজে সংরক্ষণ করে। যখন আমরা কিছু সার্চ করি তখন আমাদের সামনে রা প্রদর্শন করে।
সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে আমরা জানলাম। এখন চলুন জেনে নেই এটি কিভাবে কাজ করে।
সার্চ ইঞ্জিন কে ইন্টারনেটের একটি অংশ বলা যেতে পারে। যার সাহায্যে আমরা ইন্টারনেটে বিচরণ করি। আমরা প্রয়োজনীয় তথ্য যখন সার্চ করি তখন এর উপর ভিত্তি করে একাধিক ফলাফল আমাদের সামনে নিয়ে হাজির হয়৷ সার্চ ইঞ্জিনকে সরল কোনো মেকানিজম ভাবার কারণ নেই।
এটি আমাদের কাছে সরল ও সোজা মনে হলেও সার্চ ইঞ্জিন কাজ করে মুলত ৩ টি ধাপ অনুসরণ করে। নিচে এগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
সার্চ ইঞ্জিনে কিছু সার্চ করলে এটি একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের রেজাল্ট প্রদর্শন করে। এক সেকেন্ডের কম সময়ে মাত্র কয়েক মিলি সেকেন্ডে এই কাজটি সম্পন্ন হয় বলে আমরা আন্দাজ করতে পারিনা। শুরুতেই সার্চ ইঞ্জিন যে কাজটি করে তা হচ্ছে ওয়েব পেজ ক্রলিং করা৷ এটি এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের রোবোটিক সিস্টেম একটি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের উপর ভিত্তি করে কন্টেন্টের তালিকা প্রকাশ করে। তাই নতুন কন্টেন্ট সন্ধান করা কিংবা আপডেট কোনো কন্টেন্ট এর র্যাংক বাড়িয়ে দিতে ক্রলার সিস্টেমটি কাজ করে।
এখন কন্টেন্ট গুলো খুজতে ওয়েব ক্রলার কিছু নিয়মকানুন মেনে চলে। এগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু নিয়মগুলো হচ্ছেঃ
আপনি যদি আমেরিকা লিখে সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করেন তাহলে কিন্তু আপনাকে বাংলাদেশ দেখানো হবেনা। এটি হচ্ছে প্রাসঙ্গিকতা। অর্থাৎ কোনো ব্যক্তি কিছু যদি সার্চ করে তাহলে তার সার্চ সম্পর্কিত তথ্য গুলোই তার সামনে হাজির করা হবে।
প্রাসঙ্গিক বিষয়ের উপর প্রদর্শন করা ফলাফলের কিছু ভাগ আছে। যেমনঃ আমরা যদি "Iron man's suit colour" লিখে সার্চ করি অর্থাৎ একই সাথে তিনটি কিওয়ার্ড লিখি, তাহলে প্রথমের দিকে তিনটি তথ্য একদাথে প্রদর্শন করবে। তারপর হয়তো প্রথম দুটি একসাথে, তারপর শুধু একটি এভাবে প্রদর্শন করতে পারে। প্রাসঙ্গিকতা মুলত এভাবেই নির্ধারিত হয়।
প্রতিটি কন্টেন্টের জন্য একটি ইউনিক লিংক তৈরি হয়। আমরা যেসব প্রশ্ন করি তার উপর ভিত্তি করে কতগুলো লিংক থাকতে পারে অর্থাৎ প্রাসঙ্গিক লিংকের উপর ভিত্তি করে আমাদের সামনে প্রশ্নের উত্তর হাজির করা হয়৷
আপনি গুগলে কাজী নজরুল ইসলামের কবিতা লিখে সার্চ করলেন কিন্তু গুগল আপনাকে শরৎ চন্দ্রের উপন্যাস প্রদর্শন করলো। তাহলে কি আপনি উপকার পাবেন? অবশ্যই না। সার্চ ইঞ্জিন এই নিয়মটি ভালোভাবেই মেনে চলে। প্রাসঙ্গিকতা ও অথোরিটির পাশাপাশি একজন সার্চকারি বা ইউজারকে সন্তুষ্ট করা জন্যই ওয়েব ক্রলার কাজ করে। তাই ব্যবহারকারীর চাহিদার উপর ভিত্তি করে যে কন্টেন্ট গুলো বেয়াহি উপকাঈ বা বেনেফিশিয়াল সেগুলো প্রথম দিকে প্রদর্শন করে থাকে।
একটি কন্টেন্ট কে সার্চ ইঞ্জিনে প্রদর্শন করার জন্য প্রথমে ইনডেক্স করে নিতে হয়৷ ইনডেক্স মানে হলো কোনো তথ্য ডেটাবেজের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা৷ আর ক্রলিং সিস্টেম ডেটাগুলোকে ক্যাটাগরি অনুসারে বিন্যস্ত করে থাকে। পরবর্তীতে যাতে সহজেই প্রদর্শন করা যায়। কেউ কিছু সার্চ করলে তখন সার্চ ইঞ্জিন টার্গেটেড কিওয়ার্ড অনুযায়ী রেজাল্ট দেয়।
URL Inspection (ইউ আর এল ইন্সপেকশন)
সার্চ ইঞ্জিনে ডাটা ইনডেক্স করার জন্য ইন্সপেকশন টুল ব্যবহার করা হতে থাকে৷ যার মাধ্যমে সহজেই ডাটাবেজে কন্টেন্ট অন্তর্ভুক্ত করা যায়। তাই গুগল সার্চ কনসোলে যদি কন্টেন্ট অটোমেটিক ইনডেক্স না হয় তাহলে ইন্সপেকশন টুল ব্যবহার করে মেনুয়ালি ইনডেক্সের জন্য আবেদন করা যায়।
র্যাংকিং হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিনের সবচেয়ে শেষ ধাপ। আমাদের সার্চ করা কাঙ্খিত তথ্য গুগল প্রথমে দেখায়। তাই ব্যবহারকারীর চাহিদা মাথায় রেখে সবচেয়ে উপযোগী ও প্রাসঙ্গিক বিষয়বস্তু গুগল বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন আমাদের সামনে নিয়ে আসে। আর ওয়েব ক্রলার কিওয়ার্ড প্রাসঙ্গিকতার উপর ভিত্তি করে কন্টেন্ট সাজাতে থাকে। সবার উপরে একটা প্রাসঙ্গিক কন্টেন্ট, তারপর নিচে আরেকটি, তারপর আরেকটি এভাবে। আর এই বিষয়টি র্যাংকিং নামে পরিচিত।
আশাকরি লেখাটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সাথেই থাকবেন। ধন্যবাদ।
আমি মেহেদী হাসান শাওন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।