গুগল এ প্রায় 200 টি রেংকিং ফেক্টর রয়েছে। এর মধ্যে 6 টি রেংকিং ফেক্টর আছে যা সবচেয়ে শক্তিশালী। আপনি যদি এই ছয়টি রেংকিং ফেক্টর নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনি গুগলের first-page এ র্যাংক করতে পারবেন। আসলে এই ছয়টি র্যাংকিং ফেক্টর অন্যান্য র্যাংকিং সেক্টরের সাথে রিলেটেড। আপনি যদি এই ছয়টি রেংকিং ফ্যাক্টর নিয়ে কাজ করেন তাহলে সেই বাকি ১৯৪ টি র্যাংকিং ফেক্টর কাজ হয়ে যাবে। সো চলুন জেনে নেয়া যাক এই দশটি রেংকিং ফ্যাক্টর কোনগুলো এবং তার বিস্তারিত।
ব্যাকলিংক হচ্ছে গুগলের সবচেয়ে শক্তিশালী রেংকিং ফেক্টর। কিভাবে আমরা এটি জানলাম? ব্যাকলিংক হচ্ছে পেজ ব্যাংকের বেসিস। গুগল রেংকিং অ্যালগোরিদমের ফাউন্ডেশন হচ্ছে পেইজ রেংক। আর সেই পেইজ রেংকের বেসিস হচ্ছে ব্যাকলিংক। অনেকেই মনে করে যে পেইজ রেংক এর দিন শেষ। কিন্তু তা সত্যি নয়। গুগল কিছুদিন আগেই বলেছে যে গুগলের ফাউন্ডেশনই হচ্ছে পেইজ রেংক। independent Research নামের একটি সংগঠন আরো প্রমাণ করে যে অর্গানিক ট্রাফিকের সাথে ব্যাকলিংকের সম্পর্কে সবচেয়ে বড় সম্পর্ক। যাইহোক সব ব্যাক লিংক সমান নয়। কিছু কিছু ব্যাকলিংক অনেক শক্তিশালী। আবার কিছু কিছু ব্যাকলিংক আছে যা আপনার সাইটের ক্ষতিও করতে পারে। একটি ভালো ব্যাকলিংক চেনার জন্য অনেকগুলো ফ্যাক্টর রয়েছে।
ধরুন আপনার ব্লগ টিপস ফুড রিলেটেড। এখন আপনি চাচ্ছেন যে আপনার ব্লগে ব্যাকলিংক করবেন। এক টি ব্যাকলিংক পেলেন পিজ্জা রিলেটেড ব্লগ থেকে। আরেকটা পেলেন ক্রিকেট রিলেটেড ব্লগ থেকে। এখন আপনি কি বলতে পারবেন কোন ব্যাকলিংক কি অধিক শক্তিশালী? হ্যাঁ, আপনি ঠিকই ধরেছেন। পিজ্জা রিলেটেড ব্যাকলিংক কি আপনার জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী। এখানে আমরা দেখতে পাচ্ছি গুগল ব্যাকলিংক এর জন্য রিলেভেন্টসি কে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়। তাহলে আপনি যখনই কোনো ব্যাংকলিঙ্ক এড করতে যাবেন দেখবেন যে সেই ব্যক্তিটি আসলেই আপনার ব্লগের সাথে রিলেটেড কিনা। রিলেবেন্ট হলেই কেবল আপনি ব্যাক লিঙ্ক থেকে উপকার পাবেন।
আপনি যদি আপনার ব্যাকলিংকটি একটি বড় সাইট অথবা বড় অথরিটি সাইট থেকে নেন, তাহলে সেই ব্যাকলিংকলিংকটি আপনার ব্লগের জন্য বেশি উপকারী। আপনি ব্যাকলিংকের অথরিটি চেক করতে পারবেন যেকোন কিওয়ার্ড রিসার্চ টুল দিয়ে। যে সাইটের অথরিটি যত বেশি সেই সাইটের ব্যাকলিংক ততটা শক্তিশালী। তো সবসময় চেষ্টা করবেন অথরিটি এবং বড় ব্লগ থেকে ব্যাকলিংক নেওয়ার।
আমরা যখন নিউজ পড়ি, তখন আমরা সবচেয়ে রিসেন্ট নিউজ সবচেয়ে গুরুত্ব দেই। তাই কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফ্রেসনেস ম্যাটার। সো আপনার সাইট যদি নিউজ রিলেটেড হয় যেটাতে ফ্রিকুয়েন্টলি আপডেট লাগে, তাহলে ফ্রেশনেসের দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে। ফ্রেসনেস হচ্ছে কুয়েরি রিলেটেড রেংকিং ফ্যাক্টর।
টপিক্যাল অথরিটি একটি হিউজ রেংকিং ফেক্টর। ধরুন আপনার একটি site আছে ফুড রিলেটেড, এখন আপনি যদি ডগ লেটেস্ট কনটেন্ট পাবলিশ করেন, তাহলে কিন্তু আপনাকে সেই কনটেন্ট রেংক করতে অনেক বেগ পেতে হবে। কারন সে কন্টেন্টটি আপনার ব্লগের সাথে রিলেটেড নয়। আর এটিকে বলা হয় টপিক্যাল রিলেভেন্ট টপিক্যাল অথরিটি।
আজকে এ পর্যন্ত। সবাই ভালো থাকবেন।
আমি মাহমুদুল রুবেল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 16 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রযুক্তি কবে যে আমাকে এত আপন করে নিয়েছে আমি নিজেও জানিনা। প্রিয়তম ,কথনো ছেড়ে যেওনা।