SEO- Search Engine Optimization অনলাইনে সেলস এন্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টের অন্যতম বৃহৎ অংশ। সাধারন কথায় বলতে গেলে গুগলে বা অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে অনলাইন ভিত্তিক কোন সেবা বা ওয়েবসাইট মার্কেটিং করাই হচ্ছে SEO.
SEO কি আরো সহজে বুঝতে Tahsin Hamim ফেসবুক পেজ পোস্টগুলো পড়তে পারেন।
শিখতে সহজ হওয়ায় নতুনদের অনেকেই এটা দিয়েই শুরু করতে চায় অনলাইন ক্যারিয়ার।
কিন্তু এই ক্ষেত্রে সবচাইতে বড় সমস্যা হচ্ছে,
আমাদের মধ্যে অনেকেই অনলাইন থেকে উপার্জনকে একটা নির্দিষ্ট গন্ডির মধ্যে বেধে ফেলেছি। আমরা অনলাইনে আয় বলতে মনে করি এটা বুঝি- আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার আর ইল্যান্স!
কিন্তু বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। আজ পর্যন্ত যারা সফল, এবং যাদের মুখ আপনি চেনেন, এমন কারও সম্পর্কে শুনেছেন কি, যে আমি আপওয়ার্কে কাজ করি?
মোটেও নয়, যদি কাজ জানা থাকে আর কিছু করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনিও নিজেকে বদলে হয় উঠতে পারেন আরেক আপনি।
ঠিক এই রকম একটি সম্ভাবনাময় সেক্টর হচ্ছে “সেলস এন্ড মার্কেটিং”। মার্কেটিং কি এটা আমরা সবাই জানি, এবং এটাও জানি একটা কোম্পানির যাবতীয় ইনকাম নির্ভর করে এর উপর। আর এই মার্কেটিং এর অন্যতম প্রধান এবং বৃহৎ সেক্টর হচ্ছে SEO.
অনেকেই আমাদের এসইও বাংলা টিউটোরিয়াল দেখে অথবা ইন্টারনেট থেকে আবার অনেকেই কোন প্রতিষ্ঠান থেকে কোর্স করে SEO শিখেছেন,
কিন্তু কাজ শেখার পর আপনাদের মধ্যে যে সমস্যাটি দেখা যায় সেটি হচ্ছে,
” কাজ শেখার পরে কিভাবে কাজ করবেন? কোথায় করবেন? “
অনেকেই হয়ত জানেনই না, এসইও (SEO) জানা থাকলে শুধুমাত্র আপওয়ার্ক, ফ্রিল্যান্সার.কম বা Fiverr ই নয়, বরং এর পাশাপাশি আরো কত উপায়ে সেটাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইন থেকে উপার্জন সম্ভব। ঠিক তাদের জন্যই আমাদের আজকের আয়োজন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক.
১. গুগল অ্যাডসেন্সঃ লিখালিখির অভ্যাস আছে? ভাল আর্টিকেল তৈরি করতে জানেন? তাহলে দেরি কেন, একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে আপনিও যুক্ত হয়ে যেতে পারেন বিলিয়ন মানুষের ভীড়ে। গড়ে নিতে পারেন নিজের জন্য একটা আলাদা জায়গা।
ভাল মত কিওয়ার্ড রিসার্চ করে কিছু কিওয়ার্ডের জন্য গুগলের টপে আনতে পারলে সাইটে প্রতিদিন অনায়াসেই নিয়ে আসা সম্ভব প্রচুর ট্রাফিক। এরপর সেখানে জুড়ে দিতে পারেন গুগলের মত কোম্পানির বিজ্ঞাপণ যার নাম “Google Adsense” অনেকেই আছে যারা এই অ্যাডসেন্স দিয়ে নিজের জীবন পাল্টে দিয়েছে। কাজেই যদি লিখালিখিতে ভাল দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি শুরু করতে দিতে পারেন ব্লগিং।
এই ক্ষেত্রে SEO আপনাকে করবে শতভাগ সহায়তা। কারণ, যদি জানা থাকে SEO তাহলে অল্প দিনেই আপনি আপনার ব্লগকে টেনে তুলতে পারবেন অনেক দূর। তো কি বুঝলেন? বিস্তারিত তথ্য পেতে চোখ রাখুন আমাদের ওয়েবসাইটে!
২. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংঃ অনলাইনের এক বিশাল জগত। সহজ কথায় বলতে গেলে, নিজের ওয়েবসাইটে আরেকজনের পন্যের প্রোমোট করে সেটাকে বিক্রি করা। এর সবচাইতে ভাল মাধ্যমে হচ্ছে, নির্দিষ্ট কোন প্রোডাক্ট আপনার সাইটে বসিয়ে সেটাকে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পেইজে নিয়ে আসা। এর জন্য প্রয়োজন SEO এর সঠিক প্রয়োগ।
সঠিক ভাবে এই সেক্টরে নিজেকে জড়াতে পারলে টাকার অভাব হবে না। যদি SEO এর সঠিক ব্যবহার করে টার্গেটেড কিওয়ার্ডকে গুগলের প্রথমে নিয়ে আসতে পারেন তাহলে তো হইসে কাজ! আপনি থাকবেন রাজা। তবে, শুনতে যতটা সহজ করতে কিন্তু অতটা নয়। এর জন্য প্রয়োজন প্রচুর শ্রম আর মেধা। কাজেই SEO এর জ্ঞানকে কাজ লাগিয়ে আপনিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে বেশ ভাল পরিমাণ আয় করতে পারেন।
বর্তমানে বাংলাদেশে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর ট্রেন্ড চলছে। একটু হার্ড ওয়ার্ক এর ডেডিকেশনের সাথে কাজ করলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিয়ে লং টাইম আর্নিং সুযোগ তৈরি করা যায়।
মজার বিষয় হচ্ছে বেশ ভাল দামে এই অ্যাফিলিয়েট ওয়েবসাইট গুলো বিক্রিও করে দেয়া যায়। তবে এসব শুরু করার জন্য এসইও জানা থাকতে হবে। SEO শেখার সময় এইগুলার ধারনা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
৩. মার্কেটপ্লেসঃ আপওয়ার্ক, ইল্যান্স, ফ্রিল্যান্সার, ফাইভার, পিপল পার আওয়ার ইত্যাদি প্রচুর মার্কেটপ্লেস রয়েছে অনলাইনে। চাইলে সেগুলোতে জয়েন করে সেখান থেকে কাজ করেও আয় করতে পারেন। SEO এর প্রচুর কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসে। দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আপনিও যোগ দিতে পারেন ফ্রিল্যান্সারদের দলে।
৪. লোকাল মার্কেটঃ মনে রাখবেন, শুধু ইন্টারন্যাশনাল নয়, লোকাল মার্কেটেও কিন্তু রয়েছে প্রচুর কাজ। আপনি লোকালি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ওয়েবসাইট মালিকের কাছ থেকে এসইও এর কন্ট্রাক্টে কাজ করতে পারেন। লোকালি কাজ করলে সবচাইতে বড় যে সুবিধাটি পাবেন, যত দিন যাবে লোকাল মার্কেটে আপনার চাহিদা বাড়তে থাকবে এবং ধীরে ধীরে আপনার প্রজেক্ট অর্ডার বাড়তে থাকবে।
ইদানিং দেশে SEO এর দক্ষ ওয়ার্কার এর চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলছে, কারন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে গিয়ে এদেশের লোকাল কোম্পানীগুলোও আস্তে আস্তে বুঝতে পারছে SEO এর গুরুত্ব। আর তাই একটু খোঁজ খবর নিলেই পেতে পারেন এমন লোকাল কোম্পানী যাদের কাছে এসইও এর উপর জব করতে পারেন। এই জাতীয় কোম্পানীর খোঁজ পেতে বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপে চোখ রাখতে পারেন।
৫. লোকাল ব্যবসাঃ আপনার যদি কোন ব্যবসা বা পণ্য থেকে থাকে এবং যদি আপনার SEO ভালভাবে জানা থাকে তাহলে সেটাকে সার্চ ইঞ্জিনে প্রোমোট করে আপনি আপনার ব্যবসায় যোগ করতে পারেন এক নতুন মোড়। মনে রাখবেন, আপনার ব্যবসার প্রতি ভালবাসা আপনারই সবচাইতে বেশি। তাই আপনার ব্যবসার টুকিটাকি SEO এবং মার্কেটিং যদি আপনি নিজেই করে ফেলতে পারেন তাহলে দ্রুত ব্যাবসায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
৬. ইন্টারন্যাশনাল প্রোডাক্ট বিল্ডিংঃ অনেকেই বিভিন্ন বিষয়ের উপর ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করে ইন্টারনেটে সেল করে থাকেন। মজার বিষয় হচ্ছে, এই প্রোডাক্ট গুলো ডিজিটাল হওয়ার দরুন প্রতি সেল এ ব্যাপক হারে লাভ করা যায়। ইবুক, ফটো, টিপস, এক্সারসাইজ ট্রেনিং থেকে শুরু করে ট্রাভেল গাইড ও হতে পারে একটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট।
এমন অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র তাদের নিজেদের তৈরি এই ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট গুলোর মার্কেটিং করে মাসে ৫-৭ অংক পরিমাণ ডলার আয় করে চলেছে। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন SEO এবং মার্কেটিং এর দক্ষতা। সঠিক ভাবে এগুলোর প্রয়োগ করতে পারলে খুব সামান্য কোয়ালিটির ডিজিটাল প্রোডাক্ট সেল করেও আপনি আয় করতে পারেন বিশাল পরিমাণ অর্থ।
৭. সিজনাল প্রোডাক্ট সেলঃ মনে করুন সামনেই বিশ্বকাপ ফুটবল। এখন আপনি একটা টি শার্ট বানিয়েছেন এর উপর। এখন যদি ‘World Cup T-shirt’ এই কিওয়ার্ড এর সার্চ এর জন্য আপনার ওয়েবসাইট এক নম্ব্রে আনতে পারেন তাহলে ভেবে দেখুন কি পরিমাণ আয় করা সম্ভব? তবে এটা কিন্তু সারা বছর থাকবে না। শুধুমাত্র বিভিন্ন ইভেন্টের সময় গুলোতেই ওই ইভেন্ট নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা থাকে, আর এই সুযোগকে সঠিক ভাবে কাজ লাগিয়ে আপনি এখান থেকে ভাল পরিমাণ অর্থ আয় করে নিতে পারেন। এই ধরনের ব্যাবসাকে ইভেন্ট ব্লগিং ও বলা হয়ে থাকে।
যেহেতু, SEO এর প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটকে নির্দিষ্ট এক বা একাধিক সার্চ টার্ম বা কিওয়ার্ডের জন্য গুগলের প্রথমে র্যাঙ্ক করানো, তাই এসইও এর সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে যদি আপনি এই র্যাঙ্ক করাতে সক্ষম হোন, তাহলে আপনার সাইটে প্রচুর পরিমাণ ট্রাফিক পাবেন। আর এই ট্রাফিক কাজে লাগিয়ে আপনি যে কোন উপায়েই আয় করতে পারেন।
মূলত এই জন্যই রয়েছে SEO এর ব্যপক চাহিদা। এর কাজ সঠিকভাবে জানা থাকলে আশা করা যায় কাজের অভাব হবে না। শুধু প্রয়োজন সঠিক বুদ্ধির এবং পরিশ্রমের।
মাত্র ৩ টি ধাপ ফলো করুনঃ
আসলেই এতটাই সিম্পল। আমরা শুধু শুধু অনালাইনে আয়ের টপিকগুলোকে অনেক বেশি জটিল করে ফেলি। কিন্তু না, সহজভাবে চিন্তা করলে বিষয়টা অনেক সহজ হয়ে যায়।
সত্যি বলতে এটা পুরোটাই নির্ভর করতেছে আপনার বোঝার ক্ষমতা এবং কাজ করার পরিমাণের উপর।
তবুও গড় একটা ধারনা দিলে, যদি প্রতিদিন ২-৩ ঘণ্টা করে সময় দেন তাহলে ৫-৬ মাসের ভিতরেই আপনার উপার্জিত প্রথম টাকা চোখে দেখার সম্ভাবনা আছে।
পোস্টটি ভাল লাগলে ফেসবুকে এক ক্লিকে শেয়ার করুন। এবং এই আমাদের পেজটিতে লাইক দিতে পারেন Tahsin Hamim।
এসইও সম্পর্কে হেল্প প্রয়োজন?
ফেসবুকে সাবস্ক্রাইব করে আমাদেরকে মেসেজ করুন এখানে
আমি তাহসিন হামিম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি খুব সাধারন একজন। প্রযুক্তি নিয়ে লেখালেখি করতে ভালো লাগে । এর থেকে বেশি কিছু বলার নাই।