এসইও কি? এসইও করে কি লাভ?

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

আজকের বিষয়টি হচ্ছে, “এসইও কি? এসইও করে কি লাভ? ক্যারিয়ার হিসেবে এসইও, কিভাবে শিখবেন। ” বর্তমানে প্রায় সময়ে আমরা প্রতিনিয়তই অনলাইনে যারা নিয়মিত কাজ করি তারা কম বেশি এসইও শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু  যারা “SEO কি এবং কেন  SEO গুরুত্বপূর্ণ?” এই বিষয়ে একেবারেই নুতুন শুধু তাদের জন্যই আজকের এই আর্টিকেল টি_
SEO বা Search Engine Optimization কি?
(এসইও) হচ্ছে Google, Yahoo ও Bing সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলোতে উচ্চতর পর্যায়ে অবস্থান পাওয়ার জন্য ওয়েবসাইট অপটিমাইজেশন করার একটি প্রক্রিয়া। বর্তমান সময়ে বেশীর ভাগ ওয়েব ডেভেলপার ও অনলাইন মার্কেটার গুগল সার্চ রেজাল্টের অসাধারণ কিছু Algorithms এর জন্য গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে থাকে। তাছাড়া ভিজিটররা ওয়েব সার্চের ৮৫% কাজ Google সার্চ ইঞ্জিন হতে সেরে নেয় বিধায় সবাই Google সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কৌশল অবলম্বন করে।

SEO শব্দের অর্থ  Search Engine Optimization. SEO বা Search Engine Optimization বলতে বোঝায় যে পদ্ধতির মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইট এবং কি-ওয়ার্ড কে র‌্যাংকিং করানো হয় সেই পদ্ধতিকে Search Engine Optimization বা SEO বলে। সহজভাবে বলতে বোঝায়, Search Engine-এ যে পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি আপনার ওয়েবসাইটকে সার্চ এঞ্জিন-এর প্রথম পৃষ্ঠায় নিয়ে আসার জন্য যে প্রযুক্তিগত কৌশল ব্যবহার করা হয়ে থাকে সেই প্রযুক্তিগত কৌশল কেই বলা হয়  SEO বা Search Engine Optimization. অর্থাৎ সার্চ এঞ্জিন-এ অন্তর্ভুক্ত করে সারা বিশ্বের ইন্টারনেট বাবহারকারিদের সম্মুখে আপনার ওয়েবসাইটকে পরিচিত করার পক্রিয়াকেই SEO বা Search Engine Optimization বলে।
SEO বা Search Engine Optimization কত প্রকার ও কি কি?
বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিভিন্ন আর্টিকেল বা প্রত্যেক SEO Expert এসইও–এর প্রকারভেদ সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য উল্লেখ করেছেন। আমি বলবোনা সেগুলো ভুল। অনেক SEO Expert এসইও–এর প্রকারভেদ সম্পর্কে দ্বিমত পোষণ করে থাকেন। তাহলে চলুন দেখা যাক এসইওকত প্রকার ও কি কি?

কাজের পদ্ধতি অনুসারে এসইও সাধারণত তিন প্রকার। যথাঃ

১. হোয়াইট হ্যাট (White Hat) SEO

২. ব্ল্যাক হ্যাট(Black Hat) SEO এবং

৩. গ্রে হ্যাট  (Gray Hat) SEO
হোয়াইট হ্যাট SEO
SEO বা Search Engine Optimization-এর যে পদ্ধতি কোনো প্রকার স্পামিং না করে সঠিক নিয়ম অনুসারে সার্চ ইঞ্জিন গুলতে কি-ওয়ার্ড র‌্যাংক করা হয় তাকে হোয়াইট হ্যাট এসইওবলে।

কাজের উপর ভিত্তি করে হোয়াইট হ্যাট এসইও–কে আবার  দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১. অন পেজ (ON Page)SEO  এবং

২. অফ পেজ (OFF Page)SEO

অন পেজ SEO
একটি ওয়েবসাইটের বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংক করানোর উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ যে সব কাজ করা হয় তাকে অন পেজ এসইও বলে।

অন পেজ এসইও কে আবার দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:

১. টেকনিক্যাল এসইও (Technical SEO)

২. পেজ অপটিমাইজেশন (Page Optimization)

অন পেজ এসইওএর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলো হলোঃ-

  • Domain, Domain Name, Domain Address/URL
  • Title, Keyword, Description
  •  NO-follow, DO-follow
  • HTML Tag H1, H2 and H3
  • Keyword Research
  • Website Analysis
  • Content Optimization etc.

অফ পেজ SEO
যে কোনো ওয়েবসাইটের প্রচার এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইটে URL Share, Link Building এবং যে প্রচারনা করা হয় তাকে অফ পেজ এসইওবলে।

অফ পেজ এসইও

–এর জন্য যে কাজগুলো করতে হয় সেগুলো হলঃ-

  • Web 2.0
  • Blog Commenting
  • Forum Posting
  • Article Submission
  • Social Bookmarking
  • Review Submission
  • PDF Submission
  • Video Submission
  • Image Submission
  • Directory Submission
  • Guest Post
  • Email Marketing

ব্ল্যাক হ্যাট SEO
যে পদ্ধতিতে সার্চ এঞ্জিন গুলোকে বোকা বানিয়ে কোনো কোনো পেজ কে র‌্যাংক করা হয় তাকে ব্ল্যাক হ্যাট SEO বলে।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইওএর জন্য কিছু পদ্ধতি দেওয়া হলোঃ-

  • Doorway Page
  • Keyword Stuffing
  • Invisible Article
  • Duplicate Content
  • Paid Backlink

গ্রে হ্যাট SEO
ব্ল্যাক হ্যাট এসইও এবং হোয়াইট হ্যাট এসইওএর সংমিশ্রিত প্রক্রিয়াকেই বল হয় গ্রে হ্যাট এসইও।

ট্রাফিক বা ভিসিটরের উপর ভিত্তি করে

Search Engine Optimization কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথাঃ

১. অরগানিক (Organic)  SEO এবং

২. নন-অরগানিক (Nonorganic)  SEO

অরগানিক  SEO
বৈধ পদ্ধতিতে অরগানিক ট্রাফিক বা ভিসিটরকে ওয়েবসাইটে নিয়ে আসার প্রক্রিয়াকেই অরগানিক এসইও বলে। অন পেজ এসইও এবং অফ পেজ এসইওটাই হচ্ছে  অরগানিক এসইও।

নন-অরগানিক  SEO
নন-অরগানিকবা কৃত্তিম এসইও খুব দ্রুত আপনার ওয়েবসাইটকে র‌্যাংক পাওয়ার জন্য টাকা দিয়ে ট্রাফিক কিনে আনার একটি পদ্ধতি।

আমরা এতক্ষণ জানলাম এসইওকি  এবং কত প্রকার ও কি কি? চলুন এবার জেনে আসি কেন এটি এত গুরুত্বপূর্ণ?

লোকাল সার্চ ইঞ্জিন কনসেপ্ট

আপনি যদি সরাসরি ব্রাউজারে গুগল ডট কম টাইপ করেন, তাহলে দেখবেন সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিডাইরেক্ট হয়ে আপনাকে গুগল ডট কম ডট বিডি’তে নিয়ে যাবে। কখনো কি ভেবে দেখেছেন এর কারণ কি? বর্তমানে গুগল প্রতিটি দেশের জন্য আলাদা আলাদা করে লোকাল সার্চ ইঞ্জিন তৈরী করেছে।

ধরুন, আপনি মোবাইল ফোন মেরামতের উদ্দেশ্যে বেস্ট মোবাইল রিপেয়ারিং সার্ভিস লিখে সার্চ করলেন। আর গুগল তখন আপনাকে ইউরোপের কোন মোবাইল সার্ভিসিং সেন্টারের ঠিকানা দেখালো। ব্যপারটা নিশ্চয় আপনার কাছে ভালো লাগবে না। গুগলও ব্যাপারটা বোঝে আর সে কারণেই গুগল লোকাল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে আপনার জন্য সবচেয়ে উপযোগী তথ্যটাই দেখানোর চেষ্টা করে।

কেন SEO গুরুত্বপূর্ণ?

একটি ওয়েবসাইট এর জন্য এসইও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এমন কি ওয়েবসাইট এর জন্য এটিএকটি অপরিহার্য বিষয়। আমরাজানি, প্রচারেই প্রসার। এসইওহচ্ছে ইন্টারনেটে প্রচারের সবচেয়ে উৎকৃষ্ট মাধ্যম।

Search Engine Optimization  কে আমরা প্রচারের প্রধান মাধ্যমও বলতে পারি। মনেকরুন, আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন বা  কম্পিউটার সম্পর্কিত অনেক কাজ করতে পারেন।  এ কথা শুধুমাত্র আপনার বন্ধু বা নিকত আত্মীয় এবং আপনার সাথে যারা চলা ফেরা করে শুধু তারাই জানেন। মনেকরুন, আপনি যে কাজ জানেন তা সবাই কে জানাবেন এর জন্য আপনাকে প্রচার করতে হবে। আপনি বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে আপনার প্রচারণা চালাতে  পারেন। আপনি লিফলেট, টিউনার, ব্যানার এমন কি টেলিভিসনে বিজ্ঞাপণের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রচারনা চালাতে পারেন। এর ফলে আপনি হয়ত আপনার আশেপাশে এবং এবং খুব বেশি হলে নিজের দেশে প্রচার করলেন। কিন্তু আপনি  এই মাধ্যম গুলোর সাহায্যে কোনোভাবেই  ইন্টারনেটে প্রচার করতে পারবেন না। বর্তমান যুগ তথ্য এবং প্রযুক্তির  যুগ। বর্তমান যুগে যদি আপনি নিজেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রচার করতে না পারেন তাহলে আপনি নিজেকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করতে পারবেন না। নিজেকে উপস্থাপন করতে না পারলে আপনার যোগ্যতা আপনার কর্ম দক্ষতা উপস্থপন করতে পারবেন না। যার পরিপ্রেক্ষিতে আপনি ডিজিটাল যুগের এই বিশ্বে আড়ালেই থেকে গেলেন। যার ফলে আপনার যোগ্যতা এবং আপনার কর্ম দক্ষতা আড়ালেই থেকে যাবে। আপনি খুব ভাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার বা ওয়েব ডিজাইনার যাই হন না  কেন আপনি যদি ইন্টারনেট জগতে নিজেকে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে আপনি আপনার ক্যারিয়ার ঠিকভাবে গড়তে পারবেন না। নিজেকে বিশ্বের সামনে খুব ভালভাবে উপস্থাপন করার জন্য Search Engine Optimization খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আপনি কিভাবে একজন এসইও এক্সপার্ট হবেন?
প্রথমে ধরে নিচ্ছি আপনি এসইও কি জানেন না। আচ্ছা আমি বলে দিচ্ছি অল্প কথায় – এসইও হলো এমন একটি সিস্টেম, যেই সিস্টেম ফলো করে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পেইজে নিয়ে আসা। গুগল সার্চ ইঞ্জিন ছাড়াও আরো অনেক সার্চ ইঞ্জিন আছে যেমন – বিং, ইয়াহু ইত্যাদি।

এখন আমি ধরে নিচ্ছি আপনি এসইও কি এটা অনেক আগ থেকেই হয়তো জানেন। আপনি যদি ২০১২/১৩/১৪ সালের এসইও টিপস গুলো জেনে বসে থাকেন, তাহলে কিন্তু ২০১৯ তে এসে আপনি কোনভাবেই সেই আগের নলেজ দিয়ে ওয়েবসাইট কে রেংক করাতে পারবেন না।

সব কিছুই আপডেট হচ্ছে, আপনার নলেজকেও আপডেট রাখতে হবে। এসইও প্রতিনিয়তি প্রাকটিসের ব্যাপার।

কোন এককালে শিখে ঘুমিয়ে থাকবেন, আর হঠাৎ ঘুম ভেঙে মনে হবে এখন কাজে নেমে পড়ি, আমি তো জানিই কিভাবে কাজ করতে হবে। তাহলে কিন্তু হবেনা। আপডেট নলেজ গুলোও শিখে নিতে হবে এবং প্রাকটিস করে যেতে হবে।
এপ্লাই করার দিক দিয়ে এসইও কে তিন ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে ঃ

  • সাদা টুপি বা হোয়াইট হ্যাট এসইও।
  • গ্রে হ্যাট এসইও বা ধূসর টুপি এসইও।
  • ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বা কালো টুপি এসইও।

সাদা টুপি – হলো গুগলের নিয়ম কানুন মেনে যেই সিস্টেমে এসইও করা হয়ে থাকে তাকে সাদা টুপি এসইও বা হোয়াইট হ্যাট এসইও বলা হয়ে থাকে।

গ্রে হ্যাট এসইও – গুগলের কিছু গাইডলাইন মানা আর কিছু না মেনে যে সিস্টেমে এসইও করা হয়ে থাকে তাকে বলা হয় গ্রে হ্যাট এসইও বা ধূসর টুপি এসইও।

ব্ল্যাক হ্যাট এসইও – গুগলের কোন রূলস না মেনে সে সিস্টেমে এসইও কে প্র্যাকটিস করা হয়ে থাকে সেই সিস্টেমকে বলা হয়ে থাকে ব্ল্যাক হ্যাট এসইও বা কালো টুপি এসইও।

মৌলিক ভাবে এসইও কে আবার দুইভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিভাজন হবে ঃ

  • পেইড এসইও।
  • অরগানিক এসইও।

পেইড এসইও নিয়ে আমরা আলোচনা করবোনা। কারন পেইড এসইও হলো – আপনি আপনার ওয়েব সাইট কে গুগলের প্রথম পেইজে রেংক করানোর জন্য গুগল কে $ পে করবেন, গুগল আপনার সাইট কে প্রথম পেইজে সো করাবে।
অরগানিক এসইও নিয়েই যত কাজ। অরগানিক এসইও কে আবার দুটি ভাবে ভাগ করা হয়েছে ঃ

  1. অন পেইজ এসইও।
  2. অফ পেইজ এসইও।

 

অন পেইজ এসইও – যে কাজ গুলো আপনি আপনার ওয়েবসাইট রেডি হয়ে যাওয়ার পরে করে থাকেন, অর্থাৎ আপনার ওয়েবসাইটকে রেডি অবস্থায় গুগলে র‍্যাংক করানোর জন্য যে কাজ গুলো করা হয়ে থাকে, তাকে অন পেইজ এসইও বলা হয়ে থাকে।

যেমন – আপনার ওয়েবসাইটে নতুন নতুন কনটেন্ট আপলোড দেওয়া, সাইটের লোডিং স্প্রিড বাড়ানো, সাইটের Url সুন্দর করে কাস্টোমাইজ করা ইত্যাদি।

অফ পেইজ এসইও – যেই কাজ গুলো করা হয়ে থাকে আপনার সাইটের বাহিরে থেকে। সেগুলোকে অফ পেইজ এসইও এর কাতারে ফেলা হয়ে থাকে। এর মধ্যে কিছু হলো – আপনার সাইট কে আপনার সাইট রিলেটেড অন্য একটি সাইটের সাথে রিঙ্কআপ করানো, আপনার সাইট নিয়ে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে টিউন করা ইত্যাদি।

একজন ভালো মানের এসইও এক্সপার্ট হতে চাইলে আমি উপরে যে কথা গুলো বলেছি এগুলো সঠিক ভাবে করে যেতে হবে এবং নিজেকে এক্সপার্ট হিসেবে প্রমান করতে হবে।

উপরের কাজ গুলো করা এক দুইদিনের ব্যাপার না, এখানে আপনাকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে, প্রয়জনে অর্থ ব্যয় করতে হবে এবং এনালাইসিস করার মন মানশিকতা থাকতে হবে। তাহলেই আপনি সাকসেস হতে পারবেন।
তবে পজিটিব ব্যাপার হল ঃ
আপন যদি উপরের কাজ গুলো করে নিজেকে ভালো মানের এসইও এক্সপার্ট হিসেবে প্রমান করতে পারেন। তাহলে আপনার কাজ পেতে সমস্যা হবে না আর কাজেরও অভাব হবেনা।

আপনি জানেন কিনা জানিনা – একজন ভালো মানের এসইও এক্সপার্ট এর মাসিক বেতন ১০০০ ডলার থেকে ২০/৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত হয়ে থাকে।

অতএব আপনাকে বলছি – আপনিও এসইও তে এক্সপার্ট হয়ে যান, আপনার কাজের আর অভাব হবেনা।

আচ্ছা কথা বলতে বলতে অনেক দূর চলে এসেছে আর অনেক কথাও বলেছি। এবার আবার আমরা আগের টপিকে চলে যাই – কিভাবে আপনি এসইও এক্সপার্ট হবেন তাই না?
আমার আপনাকে দেওয়ার মত সবচেয়ে ভালো সাজেশন হলো

প্রচুর ভালো মানের ব্লক পড়া। আমি জানি আমরা এখন ভিডিও বেশি দেখি বা ভিডিও তে সব কিছু শিখার চেষ্টা করি, কারন ভিডিও তে সবকিছু অনেক সহজ ভাবে বুঝা যায়।

কিন্তু আর্টিকেল বা ব্লগে যে পরিমানের ইনফরমেশন আপনি পাবেন সে পরিমানের ইনফরমেশন কিন্তু ভিডিওতে পাবেন না।

তাই আপনার জন্য আমার সাজেশন হলো – প্রচুর পরিমানের আর্টিকেল বা ব্লগ পড়বেন। যারা এসইও শিখতে চায় তাদের কে আমি নিচে দেওয়া সাইট গুলোর আর্টিকেল পড়তে বলি।

আপনাকেও বলছি নিচে দেওয়া সাইটের আর্টিকেল গুলো পড়বেন। অনেক কিছু শিখতে পারবেন। সাইটের নাম গুলো হলো –

  • Point Black SEO
  • Backlinko
  • Moz Blog
  • Ahrefs Blog
  • Search Engine Journal
  • Com
  • Search Engine Land
  • Hubspot SEO Blog
  • Yoast SEO Blog

এবার আসি আসল কথায় ঃ
আমি জানি আমার এই আর্টিকেল টি যদি ২০০০ জন মানুষ পড়ে থাকে তার মধ্যে ১০% মানুষ উপরে দেওয়া সাইট গুলো গুগল করবে এবং সর্বোচ্ছ ৫-১০ জন্য এই সাইট গুলো ঘাটাঘাটি করে আর্টিকেল গুলো পড়বে।

আর এই কাজ গুলো যারা করবে সেই মানুষ গুলোই আগামিতে এসইও ইন্ড্রাষ্টি শাসন করবে। আর আমি চাই আপনিও সেই মানুষ গুলোর মাধ্যে যে কোন একজন হয়ে যান।

এখন আরো কিছু গুরুত্বপূর্ন পয়েন্ট হলো – আপনি তো অনেক আর্টিকেল পড়লেন+অনেকন ভিডিও দেখলেন। বাট কাজ গুলো প্রাকটিস করলেন না, তাহলে কোন কিছুই শিখা হলোনা।

প্র্যাকটিস না করলে আপনার দুইটা ক্ষতি বেশি হবে – ০১,  আপনি যা যা শিখলেন তার মধ্যে ভুলগুলি ধরতে পারবেন না। ০২,  আপনি শুধু শিখেই গেলেন বাট পরিবর্তিতে প্র্যাকটিস করতে পারবেন না যদি সাথে সাথে প্র্যাকটিস না করেন।

অন্য আরেনকটি বড় ক্ষতি হবে – আপনি যখন কোন কর্ম ক্ষেত্রে যাবেন আর কোন ক্লাইন্ট আপনাকে প্রশ্ন করবে আপনি এত দিন কি কি কাজ করছেন একটু সামারি করেন।

তখন কিন্তু আপনি বলতে পারবেন না যে, আপনি অমুক আর্টিকেল পড়েছেন, অমুক ভিডিও দেখেছেন।

আপনাকে কিন্তু তখন বলতে হবে যে, দেখো আমি এই কিওয়ার্ডটিকে এই পদ্ধতিতে রিসার্চ করেছি এবং গুগলের প্রথম পেইজে র‍্যাংক করেছি। আর এটাই হবে আপনার জন্য সাকসেসফুল এসইও এক্সপার্ট হওয়ার প্রামান।
অনেক কথা বলেছি। এখন আমি পুরো আর্টিকেল টিকে একটু সামারি করে যদি বলে দেই। তাহলে সেটা হবে ঃ

সিস্টেম ০১ – প্রচুর পরিমানের ব্লগ পড়া+টিউটোরিয়াল দেখা।

সিস্টেম ০২ – একটি সাইট বানিয়ে প্রাকটিস করে যাওয়া যতক্ষন না সাইট টিকে গুগলের প্রথম পেইজে র‍্যাংক করাতে না পারছেন।

কাজ কিন্তু এই দুই সিস্টেমেই করে যেতে হবে। আর তেমন কিছুই করতে হবেনা। আপনি যদি আশাকরি কাজ গুলো সঠিক ভাবে করে যেতে পারলে, আপনিও একদিন এসইও এক্সপার্ট হিসেবে এই ইনড্রাষ্টিকে খুব ভালো ভাবেই শাসন করতে পারবেন।

আজ এই পর্যন্তই। কথা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। ভালো লাগলে আপনার ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করবেন। প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করে জানাবেন। ধন্যবাদ।

Level 2

আমি চয়ন মোল্লা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 12 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 28 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 16 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস