ওয়েবসাইটের অনপেজ এসইও শুরু করুন প্রফেশনাল ভাবে খুব সহজে
আশাকরি সকলেই অনেক ভালো আছেন। বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের মাঝে SEO নিয়ে ধারাবাহিক আলোচনা করবো। এসইও হলো একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংক করানো হয়। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটটিকে প্রথমে সবার আগে সবার উপরে প্রদর্শন করার প্রক্রিয়াটি হচ্ছে এসইও।
সার্চ ইঞ্জিন কি : সার্চ ইঞ্জিন হলো ওয়েবসাইটের জগতের যেকোনো তথ্য বা ছবি খুঁজে বের সবচেয়ে বড় প্রযুক্তিমাধ্যম। সকল সার্চ ইঞ্জিনগুলো সকলওয়েবেসাইটের প্রায় সব তথ্যগুলো ইনডেক্স করার মাধ্যমে সংগ্রহ করে রাখে। আর ইউজারের এর চাহিদা মোতাবেক সেগুলো তার সামনে প্রদর্শন করে।
সেরা 5 টি সার্চ ইঞ্জিন হলো-
1. গুগল
2. ইয়াহু
3. বিং
4. বাইডু
5. আস্ক
সার্চ রেজাল্ট কি : ধরুণ আপনি গুগলে সার্চ করলেন- " FlagBD " সার্চ দেয়ার পর অনেক ওয়েবসাইট চলে আসবে। আর সবার উপরে থাকবে আমার ওয়েবসাইট। বিশ্বাস না হয় সার্চ করেই দেখুন। এটিই হলো সার্চ রেজাল্ট।
আর বন্ধুরা আজকের এই টিউন টি যদি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগে তাইলে আমার টেকনোলজিস সাইট থেকে প্লিজ একবার ঘুরে আসবেন। আমার টেকনোলজিস সাইট এই লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসুন
এসইও এর কাজ অনেক ভাবে সম্পুর্ন করতে হয়। তবে এর মধ্য বেসিক ভাবে এই 3 টি কাজ খুব গুরুত্বসহকারে করা হয়। এসইওর কাজ তিনটি হলো -
1. অনপেজ অপ্টিমাইজেশন
2. অফপেজ অপ্টিমাইজেশন
3. টেকনিক্যাল এসইও
আজকে আমারা আর অন্য কোনদিকে যাবো না। আজকে আমরা শুধু অনপেজ অপ্টিমাইজেশন (SEO) নিয়ে আলোচনা করব-
অনপেজ এসইও বিষয় বস্থু গুলো হলো যেমন-
1. মেটা টাইটেল
2.মেটা ডেসক্রিপশন
3. ব্যবহৃত ছবিগুলোর টাইটেল
4. ট্যাগ ও ক্যাপশন যথাযথ ব্যবহার
5. ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজের মধ্যে ইন্টারনাল লিংকিং ইত্যাদি।
নিচে এই 5 টি বিষয় নিয়েও আজ আমি বিস্তারিত আলোচনা করবো -
কিওয়ার্ড রিসার্চ: কিওয়ার্ড হচ্ছে আপনি যে বিষয় নিয়ে খুজছেন আর যে বিষয় নিয়ে জানার উদ্দেশ্য সাচ দিলেন সেটিই হচ্ছে সার্চিং ওয়ার্ড বা কিওয়ার্ড। কিওয়ার্ড রিসার্চ করা এসইওর ব্যাপারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ।
কিওয়ার্ড নির্বাচন করার সময় 2টি বিষয় খুব ভালোভাবে খেয়াল রাখতে হবে -
1. সার্চ ভলিউম
2. কান্ট্রি টার্গেটিং
মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ: মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ এটি একটি এইচটিএমএল ট্যাগ। যা দেখে ভিজিটর খুব সহজেই বুঝতে পারে যে ওয়েবসাইটটি কোন ধরনের বা কোন কোন বিষয় নিয়ে কন্টেন্ট আছে। এটি সাধারনত ইউআরএল টাইটেল ট্যাগের নিচে থাকে মেটা ডেসক্রিপশন ট্যাগ।
কিওয়ার্ড ডেনসিটি: এবার আসি কিওয়ার্ড ডেনসিটি নিয়ে। কিওয়ার্ড ডেনসিটি হচ্ছে কিওয়ার্ডের এর শতকরা অনুপাত। যেমন- ধরুন আপনি একটি কন্টেন্ট লিখলেন 100 শব্দের। তার মধ্যে আপনি তিনবার কিওয়ার্ড প্রয়োগ করলেন, তা হলে কিওয়ার্ড ডেনসিটি 3%। এটি যতোবেশি থাকবে আপনার টিউন ততো দ্রুত রেংকিং করবে।
এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল: অনপেজ এসইও তে এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল গুরুত্ব ব্যাপক কাজেই এই বিষয়ে গুরুত্বর লক্ষ রাখা উচিৎ।
এসইও ফ্রেন্ডলি ইউআরএল হলোঃ -
1. ইউআরএল ছোট হবে।
2. ইউআরএলে এ সটার মার্ক (*), প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?), আন্ডার স্কোর (_), ইত্যাদি থাকবে না।
রোবট টেক্সট: রোবট টেক্সটের মাধ্যমে গুগলসহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনের রোবট গুলোকে ওয়েবসাইটের কিছু ওয়েবপেজ ইনডেক্স করা অথবা আপনার নিদিষ্ট কিছু ওয়েবপেজ ডি-ইনডেক্স অথ্যাৎ সার্চ ইঞ্জিনের থেকে লুকিয়ে রাখতে পারবেন। এটি হলো রোবট টেক্সট এর কাজ। তাছাড়া আপনার ওয়েবসাইট দ্রুত রেংক পেতে এটি অনেক ভালো কাজে দেবে। কাজেই এটি আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহার করুন।
সাইট ম্যাপ: গুগলকে সুনির্দিষ্ট সুস্পষ্ট তথ্য দেয়ার জন্য ওয়েবসাইটে টিউনের সাইট ম্যাপ ক্রিয়েট করা অত্যান্ত জরুরি। এটে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের টিউন খুব সহজেই খুঁজে পাবে। আর এটি আপনার ওয়েবসাইটে থাকলে এডসেন্স ও খুব দ্রুত এপ্রুভ পাবেন।
ইমেজ অলটার টেক্সট: ওয়েবসাইটের ফটো কন্টেন্টে আপলোড করার ক্ষেত্রে ইমেজের সাইজ ও ফাইল নেইম রেজুলেশন ঠিক করতে হবে। হাই রেজুলেশনের ইমেজ ব্যবহার করা ভালো।
ফ্ল্যাশ ফাইল: সাইটে কোনো ধরনের আজেবাজে ফ্ল্যাশ ফাইল ব্যবহার না করাই ভালো। এতে আপনার ওয়েবসাইটে স্লো হতে পারে। আর বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। আজেবাজে ফ্ল্যাশ ফাইলের পরিবর্তে জিফ ফাইল ব্যবহার করতে পারেন। এতে অনেক নিরাপদ থাকবেন। আর ভিজিটর রাও নিরাপত্তা পাবে।
ফেভিকন: ওয়েবসাইটের জন্য ইউনিক ফেভিকন ক্রিয়েট করতে হবে, যা আপনার ওয়েবসাইটের জিন্য ব্র্যান্ডের ভেলু বাড়াবে। আপনি ফেভিকন এর সাইজ 16 পিক্সেল বাই 16 পিক্সেল দিতে পারেন। এটিই একটি আদশ সাইজের ফেভিকন হবে।
ইন্টারনাল লিংক: এক কন্টেন্ট থেকে অন্য কন্টেন্টে লিংক বা ডাউনলোড লিংক কিংবা অন্য কোন ওয়েবসাইট এর লিংক করাটাই হচ্ছে ইন্টারনাল লিংক। ইন্টারনাল লিংক ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে-
1. ইন্টারনাল লিংক যাতে সিমিলার কন্টেন্ট অথবা কিওয়ার্ডের সাথে করা হয়।
2. সাধারণত কন্টেন্টের শেষের দিকে ইন্টারনাল লিংক করলে ভালো। এতে কন্টেন্ট পড়ার সময় পাঠকের মনোযোগ ঠিক থাকে।
ব্রোকেন লিংক: যে লিংকে গেলে আপনার দেওয়া কাংখিত তথ্যটি খুঁজে পাওয়া যায় না সেটায় ব্রোকেন লিংক। সাইটে কোনোভাবেই ব্রোকেন লিংক রাখা যাবে না। সাইট থেকে ব্রোকেন লিংক রিমুভ করতে হবে। সাইটে ব্রোকেন লিংক এর কারনে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর কমে যেতে পারে। আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে তাদের খারাপ মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে।
আপনারা যদি আপনাদের ওয়েবসাইট এর জন্য উপরের এই সবকটি নিয়ম ঠিকঠাক মতো আপনার ওয়েবসাইটের জন্য পালন করতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটে অনপেজ এসইও মোটামুটি কম্পলিকেটেট। আর এই টিউন এর কোথাও বুজতে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই একটা টিউমেন্ট করুন। আমি আপনাদের সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।
আর বন্ধুরা আজকের এই টিউন টি যদি আপনাদের একটু হলেও ভালো লাগে তাইলে আমার টেকনোলজিস সাইট থেকে একবার ঘুরে আসবেন। আমার টেকনোলজিস সাইট এই লিংকে ক্লিক করে ঘুরে আসুন
বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। আশা করি টিউন টি আপনাদের ভালো লাগবে। দেখা হবে পরবতী টিউনে নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ততোক্ষণে সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন আর FlagBD এর সাথেই থাকবেন।
ধন্যবাদ
আমি মোঃ স্বপন মিয়া। Student, Rongpur। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 5 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 8 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।
ভাই একটা হেল্প দরকার।
আমার সিটে অন পেইজ SEO করার জন্য filetheme.com থেকে ফ্রী থীম ও Yost SEO premium ডাওনলোড করে সেটা দিয়ে অনপেইজ SEO করেছি। সাইট চলছে আজ ৬ মাসের মত কন প্রবলেম নাই। ইন্সটেন্ট ইন্ডেক্স হয়। কিন্তু ভবিষ্যৎ এ কি পরবলেম হবে? ফ্রী লাইসেন্স না থাকার জন্য?