আমি আপনাদের সাথে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আলোচনা করবো তা হলো, আপনার সাইটের সার্চ ইন্জিন র্যাংকিং। আপনারা হয়তো অনেকে জানেন বিষয়টি। যারা এখনো এসইওতে নতুন বা বিষয়টি জানেননা, তাদের জন্য খুবই উপকারী হবে।
যখন কোন ভিজিটর কোন বিশেষ Keyword সার্চ করে, তখন আপনার সাইট সার্চ ইন্জিন রেজাল্ট পেজের যে অবস্থানে থাকে, তাই আপনার সাইটের সার্চ ইন্জিন র্যাংকিং। যেহেতু একটি সফল সাইটের জন্য সার্চ ইন্জিন হতে প্রচুর পরিমানে ভিজিটর পেতে হবে, তাই সার্চ ইন্জিন র্যাংকিং বৃদ্ধি করা খুবই প্রয়োজন।
আপনাদের সাথে আমি ১০টি বিষয় আলোচনা করব যা, সার্চ ইন্জিন র্যাংকিং কে প্রভাবিত করে। তাই আপনাকে এ বিষয়গুলোর প্রতি খেয়াল করতে হবে।
১. কিওয়ার্ডঃ বেশিরভাগ এসইওর কাজই কনটেন্ট তৈরি করার সমই করা হয়। তা হলো আপনার পোষ্টে উপযুক্ত কিওয়ার্ড ব্যবহার করা। আপনাকে কোন কনটেন্ট তৈরি করতে হলে, আগে বিশেষ একটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করে তার উপর ভিত্তি করে কনটেন্ট লিখতে হবে। মূল কিওয়ার্ডটি Title, Url, Heading tags, meta description tag এ ব্যবহার করা উচিত। মূল কিওয়ার্ডের পাশাপাশি আরো কিছু কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। তবে পোষ্টে মূল কিওয়ার্ড টি ৩% এর বেশি ব্যবহার করাটা অস্বাবাবিক দেখায়।
২. মেটা ডাটাঃ আপনার পোষ্টের জন্য অবশ্যই Meta keyword, meta description ব্যবহার করতে হবে। এটি সার্চ ইন্জিনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সার্চ বট এবং ভিজিটর এর মাধ্যমে আপনার পোষ্ট সম্পর্কে জানতে পারে ও ভিজিটর সিদ্ধান্ত নিতে পারে এটি তার চাহিদা মেটাবে কিনা।
৩. কোয়ালিটিঃ আপনার পোষ্টটি অবশ্যই হতে হবে আপনার ভিজিটরের চাহিদামত। একই বিষয় বারবার লিখা, অসম্পূর্ণ বা, কপি করা লেখা কখনই ভিজিটরের চাহিদা মেটাতে পারেনা। তাই ভিজিটর ও আপনার সাইটের সাথে সম্পর্কিত পোষ্ট লিখুন।
৪. পরিচ্ছন্ন URL: আপনার পোষ্টের URL দিয়ে যেন আপনার পোষ্ট সম্পর্কে বোঝা যায়। URL এ আপনার মেইন কিওয়ার্ডটি ব্যবহার করবেন। আর একটা কথা URL যেন যথাসম্ভব Short হয়। দুর্ভোদ্য বা লম্বা ইউআরএল এসইও-র জন্য ভালো নয়।
৫. লিংকিং: বিভিন্ন নামী দামী বা হাই র্যাংকের সাইট থেকে যদি আপনার সাইটের লিংক তৈরি করতে পারেন, আপনার সাইটের র্যাংকিং দ্রুত বাড়বে। এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ ওয়েবমাস্টার ব্যাকলিংক কে র্যাংকিংয়ের জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে লে-কোয়ালিটির সাইট থেকে ব্যাকলিংক তৈরি করলে সার্চ ইন্জিন এগুলোকে স্পামিং মনে করে। আপনাকে স্বাভাবিকভাবেই লিংক তৈরি করতে হবে। যেমন, একদিনে ৪০/৫০টি লিংক তৈরি করা অস্বাভাবিক। দৈনিক ১০ টি করে লিংক বিল্ডিং করতে পারেন।
৬. ইন্টারনাল লিংকিং: আপনার একই সাইটের বিভিন্ন পোষ্টের সাথে অন্যান্য পোষ্টগুলোর সাথে লিংক করাই হলো ইন্টারনাল লিংকিং। তাছাড়া আপনার অন্যান্য রিলেটেড সাইটের সাথেও লিংকিং করতে পারেন।
৭. সোস্যাল এক্টিভিটিঃ ইন্টারনেটের প্রায় সব কিছুই এখন সোশ্যাল হয়ে গেছে। তাই আপনার সাইটকেও সোশ্যাল এক্টিভিটি বাড়াতে হবে। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার সাইট কতবার শেয়ার, ভিজিট, লাইক করা হয়।
৮. নির্ভুল, পরিচ্ছন্ন ও ফাস্ট লোডিং পেজঃ আপনার ওয়েবপেজ যেন, পরিচ্চন্ন, দ্রুত ও ফাস্ট লোডিং হয়। কারণ এগুলো আপনার ভিজিটর কে পুনরায় ভিজিট করতে আগ্রহী করে। তাছাড়া আপনার পোষ্টের ভাষা, বানান, উপস্থাপন ও ফন্ট যেন পড়তে খুব সহজ হয়, তার প্রতি খেয়াল রাখবেন।
৯. প্রকাশের নিয়মতান্ত্রিকতাঃ আপনার সাইট যদি দৈনিক পোষ্ট পাবলিশ করে, সার্চ বট ঘন ঘন আপনার সাইট ক্রল করবে এবং অধিক গুরুত্ব দিবে। তাই চেষ্টা করুন, কমপক্ষে ১ টি করে পোষ্ট পাবলিশ করবেন। কিছু রেগুলার ভিজিটর নতুন পোস্টের জন্য অপেক্ষা করে, যদি তারা নতুন পোষ্ট না পায় তারা হতাশ হয়।
১০. এসইও টুলঃ প্রায় সব এসইও টুলই দাবী করে তারা আপনাকে ভাল সাহায্য দেবে। কিন্তু এমন কিছু টুল আছে যেগুলো আপনার সাইটের এসইও এর জন্য ক্ষতিকর। তবে কিছু ভাল টুলস আছে যা সত্যিই কাজ করে। আপনাকে এমন এসইও টুলস ব্যবহার করতে হবে যা সত্যিই কাজ করে।
এই বিষয়গুলোর প্রতি আপনি খেয়াল রাখলে, খুবই কম সময়ে ভাল ফল দেখবেন। সময় সল্পতার কারণে খুবই সংক্ষেপে আলোচনা করলাম, তাই কোন ভুল হলে ক্ষমা করবেন। এখানে অনেক সিনিয়র ভাইরা আছেন, তাদের মতামত আশা করছি। আর এই পোষ্টটি যাদের জন্য উপকারে আসবে তারা অবশ্যই কমেন্ট করে আপনার মতামত বা প্রশ্ন করতে পারেন। আরো জানতে আমার সাইট ভিজিট করতে পারেন।
সৌজন্যে: SEO Tutorials
আমি আবদুল আউয়াল। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 51 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।