আমরা ছোটবেলায় ছোটই থাকি। কখন যে বড় হই তা বুঝতেই পারি না। এমনটি শুধু আমাদের জীবনে ঘটছে তা-ই নয়, ঘটছে চারপাশে, ঘটছে সবকিছুতেই। প্রযুক্তি অনেক উন্নত হয়েছে তা বুঝার জন্য বিজ্ঞানী হতে হয় না।
চোখ মেললেই আমরা যা দেখি সবই প্রযুক্তিরই সুফল। আর ইন্টারনেট হলো উন্নত প্রযুক্তির এক যুগান্তকারী বাহক। ইন্টারনেট আবিষ্কার ও সংস্কারের পর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বৈশ্বিক উন্নয়নের সূচক। এতে আশ্চর্য হবার কিছুই নেই।
এই ইন্টারনেটের কল্যাণেই আমরা স্মার্ট দুনিয়ায় বাস করিছ আর নতুন এক স্মার্ট দুনিয়ার স্বপ্নও দেখছি। স্মার্ট বিশ্ব আর স্মার্ট গ্যাজেটগুলো এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
Internet of Things (IoT) ধারণাটির আবির্ভাব খুব বেশি দিন আগের নয়। এই তো সেদিন কেভিন অ্যাশটন প্রথম প্রকাশ করেছিলেন আইওটি ধারণাটি। আজ আইওটির ব্যবহারের মাধ্যমে গোটা দুনিয়া আমাদের তালুবন্দি।
এবার নজরবন্দি হতে পারে আমাদের ঘর, বাড়ি। সেভাবেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও। আমাদের দৈনন্দিন জীবন স্মার্ট হলেও স্বপ্ন আমাদের পিছু ছাড়েনি। সে কারণেই স্মার্ট দুনিয়াকে অটোমেটিভ করতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা করছেন জায়ান্টরা। সে সুবাদেই আগামীর বিল্ডিংগুলোও হয়ে উঠবে স্মার্ট বিল্ডিং হয়ে।
স্মার্ট বিল্ডিং হলো এমন একটি ব্যবস্থা যা স্মার্ট দুনিয়ার সাথে আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাপনকে আরও নিবিড়ভাবে যুক্ত করার সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম। আবার স্মার্ট দুনিয়া এমনই এক বৈশি^ক ব্যবস্থাপনা যা আমাদের দৃষ্টির সীমানার বাইরে।
তবে স্মার্ট দুনিয়া এবং ইন্টারনেট অব থিংস একই নীতিতে কাজ করে। স্মার্ট দুনিয়া হলো একটি সামগ্রিক বিষয় আর ইন্টারনেট অব থিংস বা আইওটি হলো সামগ্রিক স্মার্ট দুনিয়া বাস্তবায়নের একটি একক উপায় মাত্র। আর স্মার্ট বিল্ডিং হলো আইওটি ও স্মার্ট দুনিয়ার একটি যথোপযুক্ত দৃষ্টান্ত।
এক কথায় বললে যে বিল্ডিংয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনা স্মার্ট উপায়ে সমাধান করা হয় তাকেই স্মার্ট বিল্ডিং বলে। সেটি হতে পারে আবাসিক, বাণিজ্যিক কিংবা শিল্প ভবন (ওহফঁংঃৎরধষ ইঁরষফরহম)। বাসা, বাড়ি কিংবা অফিস, কারখানার মালিককে তাদের ভবন সঠিকভাবে মেইনটেইন করতে অবগত করার জন্য যে সিস্টেম ব্যবহার করা হয় তা হলো আইওটি এবং আইওটিসম্পন্ন বিল্ডিংগুলোই হলো স্মার্ট বিল্ডিং।
সাধারণভাবে স্মার্ট বিল্ডিং বলতে বাণিজ্যিক ভবনগুলোকেই বুঝায়। তবে আবাসিক ভবনগুলো বুঝাতে “স্মার্ট হোম” শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়। উভয় বিল্ডিংই একই নিয়মে কাজ করে।
এই দুই ধরনের বিল্ডিং ব্যবস্থাপনারই কাজ হলো বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে মালিক হিসেবে আপনাকে সবকিছু অবগত করা। ভাবতে অবাক লাগলেও অনাগত ভবিষ্যতের দিনগুলো এতটাই উন্নত হবে। প্রযুক্তির ম্যারাথনে আমরা অনেক পিছিয়ে থাকলেও সময়ের সাথে পাল্লা দিয়েই চলছে উন্নত বিশ^।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে স্মার্ট বিল্ডিং সচরাচর দেখা না গেলেও বিশ^ অনেক এগিয়েছে। তবে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের উন্নত কারখানা ভবনগুলোতে অনেক স্মার্ট টেকনোলজির ব্যবহার দেখা গেছে।
স্মার্ট বিল্ডিং এমন এক ধরনের বিল্ডিং যা আপাতত অন্তত আপনার ধারণার অনেক বাইরে। অনেকেই মনে করেন অনেক স্বয়ংক্রিয় সুযোগ সুবিধা সম্বলিত বিল্ডিংই হয়তো স্মার্ট বিল্ডিং। কিন্তু বাস্তবে এটি স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়ার চেয়েও অনেক উন্নত। অর্থাৎ স্মার্ট বিল্ডিং হলো আইওটির সর্বোৎকৃষ্ট উদাহরণ।
এখানে আইওটির বহু ফিচার একসাথে সমন্বয় করা হয়ে থাকে। অনেকেরই ধারণা যেহেতু স্মার্ট বিল্ডিং আইওটির বিভিন্ন ফিচারের সমন্বয়ে তৈরি তাই হয়তো সব স্মার্ট বিল্ডিং একই রকম। বাস্তবে বিষয়টি একেবারেই এমন নয়। বিষয়টি খুবই সাধারণ এবং এটি এখনই পরিস্কার করে দিচ্ছি।
কারখানা থেকে যখন আপনি আপনার সব কাজ শেষ করে চলে আসবেন তখন নিশ্চয় আপনাকে আপনার মেশিনটি সঠিকভাবে বন্ধ করে আসতে হয়। অপরদিকে আপনার অফিসে নিশ্চয় কোন মেশিন বন্ধ করে আসতে হয় না। তাই দুই ক্ষেত্রে দুই ধরনের সতর্কতা ব্যবস্থা থাকবে।
কারখানা থেকে যখন আপনি বের হবেন তখন হয়তো আপনাকে নোটিফাই করা হবে আপনার মেশিনটি যথাযথভাবে বন্ধ করুন। অথবা যদি মেশিনে কোন মেরামতের দরকার হয় সেক্ষেত্রেও আপনাকে নোটিফাই করবে। অফিসের ক্ষেত্রে ব্যাপারটি এমন নাও হতে পারে।
হয়তো আপনি এসি, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি চালিয়ে রেখে চলে এসেছেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে নোটিফাই করার দরকার নাও হতে পারে। হতে পারে রুমে কেউ না থাকলে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য লাইট, ফ্যান, এসি ইত্যাদি গ্যাজেট নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে। আবার কোন মানুষের উপস্থিতি পেলে সেগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালুও হয়ে যেতে পারে।
দুই ক্ষেত্রে দুই ধরনের সেন্সরের ব্যবহার এবং দুই ধরনের ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম চালু করার দরকার হতে পারে। তাই সব স্মার্ট বিল্ডিংকে একই রকম ভাবার কোন সুযোগই নেই।
তবে ব্যবহার ও প্রযুক্তিগত সুবিধার ভিত্তিতে স্মার্ট বিল্ডিংগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।
স্মার্ট হোমগুলো মূলত বাসিন্দাদের নিরাপত্তা, আরামদায়ক জীবন ব্যবস্থা নিশ্চয়নে ডিজাইন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে আমরা আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহৃত অনেক গ্যাজেটেই রিমোট কন্ট্রোলের ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু স্মার্ট বিল্ডিংয়ে এমন সব সেন্সর যুক্ত করা হবে যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সুরক্ষা দেবে, ভবন সংস্কারের জন্য আপনাকে সময় মতো নোটিফাই করবে।
সর্বোপরি স্মার্ট বিল্ডিং তৈরি করা হবে সহায়ক টেকনোলজির ব্যবহারের মাধ্যমে। সহায়ক টেকনোলজি হলো এম ধরনের টেকনোলজি যা আমাদের অসহায়ত্ব থেকে মুক্তি দেয়। ধরা যাক একজন ব্যক্তি প্যারালাইসিস আক্রান্ত। তার পক্ষে চলাফেরা প্রায় অসম্ভব কিন্তু একটি হুইলচেয়ারের সাহায্যে সে অনায়াশেই চলাফেরা করতে পারে। এটিও এক ধরনের সহায়ক প্রযুক্তির উদাহরণ।
আইওটির যুগে সহায়ক প্রযুক্তির ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্ট হোমে যেসকল সহায়ক প্রযুুক্তি যুক্ত হবে তা সত্যিই আমাদের জীবনকে আশ্চর্যজনকভাবে বদলে দেবে। স্মার্ট মেডিকেল ডিভাইসগুলো আপনার বাড়িতে থাকা বয়জ্যেষ্ঠ এবং শিশুদের দেখাশোনা করবে যা আপনি দূর থেকও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
ওয়াশিং মেশিন, ফ্যান, লাইট ইত্যাদি আপনি বাড়ির বাইরে থেকেই অন/অফ করতে পারবেন। এমনকি অতিথির জন্য আপনার বাড়ির দরজা খোলা এবং বন্ধ করার কাজটিও বাড়ির বাইরে থেকে করতে পারবেন। বিল্ডিংয়ের গ্যাস ও পানির লাইনে কোন লিকেজ থাকলে পাইপের সাথে যুক্ত থাকা সেন্সর আপনাকে আগে থেকেই জানিয়ে দেবে।
তাছাড়া অগ্নিনির্বাপনের জন্য স্বয়ংক্রিয় সেন্সর ইতোমধ্যেই আমাদের দেশেও বিভিন্ন ভবনে যুক্ত আছে। এই কাজগুলো আওটির মাধ্যমে না করলে একসাথে সবগুলো নিয়ন্ত্রণ করতে আমাদের অনেক বেগ পেতে হতো। আর সে কারণেই স্মার্ট হোম এখন সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।
স্মার্ট বাণিজ্যিক ভবনগুলো অত্যাধুকি সেন্সরের সমন্বয়ে তৈরি হবে। এতে সেন্সরের পাশাপাশি ব্যবহার করা হবে শক্তিশালী ও সুক্ষ্ম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। এর ফলে আপনার দোকানে বা অফিসে কে কখন আসলো গেলো, দোকানে পর্যাপ্ত স্টক আছে কিনা, বিক্রিত পণ্য ফেরত আছে কিনা, কাস্টমার ও দোকানের কর্মচারীদের ব্যবহার ইত্যাদি বিষয়ের প্রয়োজনীয় ডাটা সংগ্রহ করবে সেন্সর এবং সে ডাটাগুলো এনালাইস করে আপনাকে রিপোর্ট করা হবে।
এগুলো খুবই সাধারণ সুযোগ সুবিধা। এর চেয়ে অনেক বিষয় আছে যেগুলো রীতিমতো চমকে দেয়ার মতো। বড় বড় শপিংমল, সুপার মার্কেট, এক্সিবিশন সেন্টার, ইনডোর বিনোদন কেন্দ্র, জাদুঘর ইত্যাদি জায়গায় উপস্থিত দর্শনার্থীদের সংখ্যার ভিত্তিতে উক্ত স্থানে আলো, বাতাস এবং আর্দ্রতা যথেষ্ট আছে কিনা তাও নিরীক্ষা করবে ভবনে স্থাপিত সেন্সরগুলো।
সেন্সরের তথ্যগুলো পর্যবেক্ষণ করবে ডাটা সেন্টার এবং সে অনুযায়ী কাঙ্খিত আলো, বাতাস, তাপামাত্রা, আর্দ্রতা ইত্যাদি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সামঞ্জস্য করবে আইওটি সিস্টেম।
একইভাবে স্মার্ট শিল্প ভবনেও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সেন্সর ব্যবহারের মাধ্যমে ডাটা সংগ্রহ করে সবকিছুর বাড়তি নিরাপত্তার নিশ্চয়তা করা হবে। শুধু তাই নয় জ¦ালানি ব্যয় কমানো থেকে শুরু করে উৎপাদন বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে স্মার্ট বিল্ডিং। তাই আইওটির কল্যাণে আমাদের আগামীর দিনগুলো হতে যাচ্ছে অতি আধুনিক যাকে আমরা এক কথায় অত্যাধুনিক বলে থাকি। অত্যাধুনিক শব্দটি এযাবৎকাল আমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ব্যবহার করে আসলেও এর সঠিক বাস্তবায়ন দৃশ্যত দেখা যাবে আইওটির যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমেই।
ইন্টারনেট অফ থিংস-কে সংক্ষেপে আইওটি বলা হয়। যার বাংলা অর্থ হল বিভিন্ন জিনিসপত্রের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় যন্ত্র বা জিনিসপত্রকে অটোমেটিক করার জন্য এসবের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় কাপড় ধোয়ার মেশিন।
কাপড়ের পরিমান এবং ওজন বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করে কাপড় ধোয়ার কাজটি অটোমেটিক ভাবে করার জন্য এই মেশিনের সাথে কম্পিউটার সিস্টেম সংযুক্ত থাকে, যাকে আমরা এমবেডেড সিস্টেম (ঊসনবফফবফ ঝুংঃবস) বলি।
জিনিসপত্রের এই কম্পিউটার সিস্টেমের সাথে ইন্টারনেটের সংযোগ দেয়ার মাধ্যমে আমরা তাকে বলছি ইন্টারনেট সংযোজিত জিনিসপত্র বা ইন্টারনেট অব থিংস। এই প্রযুক্তিতে আমাদের ঘরের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক যন্ত্রপাতি যেমন টিভি, ফ্রিজ, লাইট এগুলো ইন্টারনেট এর সাথে সংযুক্ত থাকে। নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত থাকার কারণে এগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায়।
নিকটবর্তী ভবিষ্যতে ২০০ বিলিয়ন ডিভাইসের সাথে ইন্টারনেট যুক্ত হওয়ার অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে বিভিন্ন পণ্যের বাজার মূল্য ৮০ বিলিয়ন ডলারে হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ওড়ঞ কে কখনো ওড়ঊ (ইন্টারনেট অফ এভরিথিং) ও বলা হয়। এটি আসলে এমন কিছু ওয়েব সাপোর্টেড ডিভাইস এর সমন্বয়ে গঠিত যারা এমবেডেড সেন্সর, প্রসেসর ও কমিউনিকেশন হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে আশপাশ থেকে তথ্য গ্রহণ করে এবং এক ডিভাইস থেকে আরেক ডিভাইসে পাঠায়।
এদের ঈড়হহবপঃবফ অথবা ঝসধৎঃ উবারপব বলা হয়। মানুষ চাইলে নিজের পছন্দ ও সুবিধামতো তাতে ডাটা এন্ট্রি করতে পারে সেট আপ করে নিতে পারে।
বিষেশজ্ঞদের হিসেব মতে, ২০২০ সালের তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৩০ বিলিয়ন জিনিসপত্র আইওটি’র অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আইওটি’র অগ্রগতি নিয়ে আইটি প্রতিষ্ঠান ঐচ এক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করে। জরিপ থেকে জানা যায় প্রতিবছর চমকপ্রদভাবে আইওটির ব্যবহার বেড়েই চলেছে।
বিশ্বব্যাপী আইওটি এখন একটি বড় ও সম্ভাবনাময় প্রযুক্তি। তাই বাংলাদেশের সরকার ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর গুরুত্ব অনুধাবন করে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া শুরু করেছে। বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে আইওটির বিভিন্ন প্রকল্পসহ মিরপুরে আইওটি ল্যাব নির্মাণের জন্য অনুমোদন দিয়েছে।
সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডাটা-সফট বাংলাদেশ সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় আইওটি নিয়ে বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে। সুইডেনের নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এরিকসন বাংলাদেশের জন্য ‘ইন্টারনেট অব থিংস’ নামের একটি পোর্টাল চালু করেছে।
আমরা ইতোমধ্যেই অনেক স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে আমাদের প্রতিদিনের জীবনযাপনকে অনেক স্মার্ট করে ফেলেছি। এসব ডিভাইসের পাশাপাশি ভবনের অন্যসব জিনিসপত্র যা আমাদের প্রতিদিন দরকার হয় সেগুলোর মধ্যে ইন্টারনেট এবং উন্নত সেন্সর ব্যবহার করলে জীবন আরও স্মার্ট হবে।
একইভাবে ভবনের বিভিন্ন বিষয় যেমন ভবনের ভেন্টিলেশন সিস্টেম, প্লাম্বিং সিস্টেম, বৈদ্যুতিক, ইন্টারনেট ও টেলিফোন সংযোগ, ভবনের তাপমাত্রা, আর্দ্রতা, বাসিন্দাদের নিরাপত্তা ইত্যাদি কাজগুলোও স্মার্ট হলে জীবন আরও স্বাচ্ছন্দ্য হবে।
এছাড়াও যদি গৃহস্থালির সবকিছুও ইন্টারনেটের আওতায় আসে তবে জীবনের সবকিছুই হাতের মুঠোই চলে আসবে। তাই অত্যাধুনিক সময়ের সাথে স্মার্ট বিল্ডিং এখন সময়ের দাবি।
আমি সারোয়ার আলম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 10 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।
শুন্য থেকে যাত্রা শুরু, শুন্যেই হবে শেষ...