মানুষ বরাবর ই কৌতুহলি।পৃথিবী সে চষে বেড়াতে চাই,জানতে চাই সমস্ত অজানারে।কিন্তু চাইলেই কি পৃথিবীর সব গোপনীয়তা ভেদ করা সম্ভব??উত্তরটা অবশ্যই না।পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যেগুলোতে চাইলেও কখনই যাওয়া যায়না,জানা যায়না কি হচ্ছে সেখানে,আর কেনইবা এতসব গোপনীয়তা??আজকে এমনি কিছু রহস্যময় জায়গার কথা বলব যেগুলো সাধারণ মানুষের কাছে সবসময় অধরাই থেকে গেছে।সাধারণ মানুষ পরতের পর পরত রহস্যের গল্প বুনে গেছে এগুলো নিয়ে,কিন্তু কূলকিনারা করা হয়নি কোন রহস্যের।
১।এরিয়া ৫১
যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদাই অবস্থিত এই জায়গাটি নিয়ে সারা বিশ্বের মানুষ এখনো একটা ঘোরের মধ্যে আছে।এটি একটি মিলিটারি বেইজ এবং পৃথিবীর সবচেয়ে সিকিউর এলাকাগুলোর একটা।এর এরিয়ার বাইরেও একটা বিশাল এলাকা জুড়ে সাধারণ মানুষের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কি করা হয় ওখানে???পৃথিবীর একটা বিশাল অংশ মানুষের ধারনা ওখানে এলিয়েন নিয়ে গবেষণা করা হয়।অনেক মানুষ এলিয়েনদের সাথে যোগাযোগ করা গেছে বলেও বিশ্বাস করে।
এরিয়া ৫১
২।Ise Grand Shrine : Japan
জাপানের সবচেয়ে গোপনীয়,পবিত্র এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান।খ্রিস্টপূর্ব ৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয় বলে ধারনা করা হয়।জাপানের রাজকীয় পরিবার আর প্রিস্ট ছাড়া এতটা কাল এখানে আজ পর্যন্ত কেউ প্রবেশ করতে পারেনি।এই শ্রিন টি প্রতি ২০ বছর পরে ভেঙ্গে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হয়।কেন এত গোপনীয়তা???ইতিহাসবিদদের মতে এককালের জাপানিজ সাম্রাজ্যের অনেক পুরনো মূল্যবান নথিপত্র ওখানে লুকায়িত আছে,যেগুলো বিশ্বের সামনে আগে কখনই আসেনি।
Ise Grand Shrine
৩।Vatican Secret Archives
যুগযুগ ধরেই ভ্যাটিকান সিটি মানুষের রহস্যের খোরাক,সেই যীশুর আমলের আগ থেকেই পৃথিবীর অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাসের সাক্ষী এই ভ্যাটিকান।এই জায়গাটিকে storehouse of secret o বলা হয়।খুব সংখ্যক স্কলার ই এই জায়গায় ঢুকতে পারেন তাও পোপের বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে।এখানে প্রায় ৮৪০০০ বই আছে আর এই জায়গাটি প্রায় ৮৪ কিমি দীর্ঘ।ধারনা করা হয় খ্রিষ্টান,মেসনারি,প্যাগান আরও অনেক ধর্ম আর মতবাদের অনেক গোপন ডকুমেন্ট এখানে সংরক্ষিত আছে।
Vatican Secret Archives
৪। club 33 disneyland
সারাবিশ্বের মানুষের জন্য ডিজনিল্যান্ড একটি বিনোদনের জায়গা।পুরো জায়গাটিই সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত শুধুমাত্র ক্লাব ৩৩ ছাড়া।খুব খুব রেস্ট্রিক্তেড করে রাখা হয়েছে ওই জায়গাটি।স্বয়ং ওয়াল্ট ডিজনি এই ক্লাবটির প্রতিসঠাতা।খুব আশ্চর্যের ব্যাপার হল আপনি যদি আজকে আবেদন করেন এই ক্লাবটির সদস্য হতেই আপনার প্রায় ১৪ বছর সময় লাগবে।
club 33
৫। Moscow Metro-2
এটি রাশিয়ায় অবস্থিত।পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আন্ডারগ্রউন্ড সিটি এইটি।কিন্তু এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সরকারের তরফ থেকে কখনই এর অস্তিত্ব স্বীকার করে নেওয়া হয়নি।স্তালিনের আমলে এইটি তৈরি করা হয়েছিল।একটা বিশাল অংশের মানুষ মনে করে এটি ক্রেম্লিনের সাথে fsb headquarter এর সংযোগ স্থাপন করেছে।পুরো একটি শহর এটি অথচ মানুষ এই জায়গায় যাওয়া তো দূরে থাক,এখনো এই সম্পর্কে ভাল করে কিছু জানেইনা।
Moscow Metro-2
আমি শুভ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 51 টি টিউন ও 184 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমাকে ফেসবুকে পেতে http://www.facebook.com/shuvobd1020
ইশশশ!!। আমি যদি সুপারমেন হতাম, তবে এইসব জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারতাম। কি মজাই না হত। ধ্যাত মিয়া, মনটাই খারাপ হয়ে গেল।