প্রিয় বন্ধুরা, আজকে আমি তোমাদের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখব। প্রশ্নের টাইটেল দেখে বুঝে গেছ যে আমি কি বিষয় নিয়ে লিখব। তো চলো বন্ধুরা এই ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আসলে আমি প্রশ্নের যে টাইটেল দিয়েছি তা আংশিক ভুল। রকেট কখনো পৃথিবীতে ফিরে আসে না। ফিরে আসে স্পেসক্রাফট। এখন স্পেসক্রাফট কি সেটা বুঝতে হবে। স্পেসক্রাফট হচ্ছে সেই যান যাতে করে মহাকাশচারীরা মহাকাশে যায়। তবে স্পেসক্রাফট সরাসরি পৃথিবী থেকে মহাকাশে যেতে পারে না। এটিকে মহাকাশে নিয়ে যায় রকেট।
পৃথিবী থেকে দুই ধরনের রকেট মহাকাশে যায়। একটি হলো স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট এবং অন্যটি হলো স্পেসক্রাফট বহনকারী রকেট। দুই ধরনের রকেটের গঠনে কিছু পরিবর্তন রয়েছে। তবে স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটে কোনো মানুষ থাকে না। এটি নিজ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে মহাকাশে যায়। পৃথিবী হতে নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছার পর রকেটের সমস্ত পার্টস ধীরে ধীরে খুলে যায় এবং বেরিয়ে আসে মূল স্যাটেলাইট। যেটি নিজ কক্ষপথে থেকে তার কার্যক্রম শুরু করে। ভাগ্য ভালো হলে এবং রাতের আকাশ মেঘমুক্ত হলে তুমি এসব স্যাটেলাইট খালি চোখেও দেখতে পারো। এখন তোমাদের বলব আসল কথা।
স্পেসক্রাফট বহনকারী রকেটটি কয়েকটি পার্টস এ ভাগ করা থাকে। এর সাথে দুটি বুস্টার রকেট লাগানো থাকে। পৃথিবী থেকে উড্ডয়নের সময় প্রথমে রকেটের সাথে সংযুক্ত দুটি বুস্টার রকেটকে চালু করা হয়। এটি প্রতি সেকেন্ডে ৭ কিলোমিটার কিংবা এর চেয়েও বেশি গতিতে মহাকাশের দিকে উড়ে যায়। এখানে একটি বিষয় লক্ষ্যনীয় যে পৃথিবী থেকে মহাকাশে যাওয়ার সময় একটি রকেটের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে সর্বোচ্চ ৭ কিলোমিটার হতে হবে। তবেই সে পৃথিবীর অভিকর্ষ বলকে হার মানিয়ে মহাকাশে যেতে পারবে।
বুস্টার রকেট দুটো যখন পৃথিবীর আকর্ষণ শক্তির বাইরে এসে পৌঁছায় তখন এগুলোর জ্বালানি শেষ হয়ে যায় এবং মেইন ইঞ্জিন রকেট প্রথম থেকেই চালু করা থাকে। এটিও কিছু সময় পর্যন্ত স্পেসক্রাফটটিকে মহাকাশে উড়িয়ে নিয়ে যায়। একসময় এটিরও জ্বালানি শেষ হয়ে যায় এবং স্পেসক্রাফট হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
বাকি থাকল স্পেসক্রাফট। এটিকে মহাকাশচারীরা মহাকাশে সেভাবে উড়ায় যেভাবে পাইলটরা পৃথিবীতে বিমান উড়ায়। এবার আসা যাক আসল কথায়। মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে ফিরে আসার জন্য যা করেন সেই বিষয় নিয়ে এখন কথা বলব।
প্রথমে স্পেসক্রাফটটি পৃথিবীকে কেন্দ্র করে গোল হয়ে ঘুরতে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে স্পেসক্রাফটটি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে। বায়ুমণ্ডলে উড়ার সময় স্পেসক্রাফটটি পৃথিবীর সমান্তরালে না থেকে এর মাথা সামান্য উচু হয়ে থাকে। এর কারণ হলো স্পেসক্রাফট প্রচন্ড গতিবেগে উড়ে। এই গতিবেগে ভূমির সমান্তরাল হয়ে উড়লে এটি বাতাসের সংঘর্ষে পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। এটি যত নিচে নামতে থাকে তত ভূমির সাথে সমান্তরাল হতে থাকে। একসময় এটি একটি এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করে।
তবে স্পেসক্রাফটের ওজন বিমানের তুলনায় অনেক বেশি এবং এর গতিবেগ প্রচন্ড হওয়ায় ল্যান্ডিং করার সময় স্পেসক্রাফটটির পিছনে একটি প্যারাসুট খুলে যায় যা এর গতিবেগ কমিয়ে দেয়। এভাবে স্পেসক্রাফটটি সফলভাবে পৃথিবীতে ল্যান্ড করে এবং মহাকাশচারীরা পৃথিবীতে সফলভাবে পৃথিবীতে ফিরে আসে।
আশাকরি এখন সবাই বুঝতে পেরেছ যে ঘটনাটা কি। সকলের কল্যাণ কামনা করে আজকের টিউন এখানে শেষ করছি।
আমি মো সাকিবুল হোসেন মজুমদার। SSC Candidate, Moulvibazar Govt. High School, Moulvibazar। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
প্রতিটি কাজ যদি কঠোর শ্রম ও অধ্যাবসায় এর সাথে করা হয় তবে সফলতা ধরা দিতে বাধ্য।