SIM Card যার পূর্ণ নাম হলো Subscriber Identity Module। আমাদের প্রায় প্রত্যেকের কাছেই এক বা একাধিক সিম কার্ড রয়েছে। ছোট্ট একটা জিনিস যার মাধ্যমে আপনি কল করতে পারেন এসএমএস পাঠাতে পারেন ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
সিম কার্ড কি? সিম কার্ড কিভাবে কাজ করে?
SIM বা Subscriber Identity Module এই সিস্টেমের মাধ্যমে আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার আপনাকে Identify করে যে আপনি কোন নির্দিষ্ট ফোনে আপনি এই নাম্বারটি ব্যবহার করছেন।
প্রতিটি সিম কার্ডের একটি IMSI নাম্বার থাকে। যার পূর্ণ নাম হলো (International Mobile Subscriber Identity) ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল সাবস্ক্রাইবার আইডেন্টেকটিউনস এবং সেই IMSI নাম্বারের সাথে একটি Authentication কোড থাকে। এইরকম IMSI নাম্বার আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডারের কাছেও থাকে।
IMSI নাম্বার কি?
IMSI নাম্বার মূলত 15 ডিজিটের হয়। যার প্রথম তিন ডিজিটের কান্ট্রি কোড, পরবর্তী দুই অথবা তিন ডিজিট মোবাইল নেটওয়ার্ক কোড, এবং পরবর্তী ডিজিটগুলো সিম কার্ডের নাম্বার। তার মানে, IMSI নাম্বারটি হল আপনার সিম কার্ডের নাম্বার। যখন আপনি কোন সিম কার্ড মোবাইল ফোনে প্রবেশ করান তখন সেই IMSI নাম্বারটি আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার এর কাছে চলে যায়। তখন আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার সেই IMSI নাম্বার থেকে আপনার Authentication নাম্বারটি খুঁজে বের করে। তারপর, আপনার সিমকার্ড প্রোভাইডার আপনার জন্য একটি Random নাম্বার তৈরি করে। সেই Random নাম্বারটি আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার সেই ফোনে পাঠায়।
আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, সিম কার্ডের উপরে কিছু নাম্বার লেখা থাকে। সেগুলো হলো ICCI নাম্বার। যার পূর্ণ নাম হলো Integrated Circuit Card Identification Number। আপনি যখন বাইরের কোন দেশে ভ্রমণ করেন তখন এই নাম্বার আপনাকে আইডেন্টিফাই করে যে আপনি একটি ভ্যালিড সিম কার্ড ব্যবহার করছেন।
Roaming System কী?
প্রতিটি সিমকার্ড একটি নির্দিষ্ট কারণে কাজ করে। যেমন: বাংলাদেশের সিম কার্ড বাংলাদেশের ভৌগলিক এরিয়া নেটওয়ার্ক পায়। এর বাইরের নেটওয়ার্ক পাই না। আপনি যদি আপনার সিম কার্ড নিয়ে অন্য কোন দেশে যান, তারপরও আপনি আপনার সিম কার্ডটি ব্যবহার করে কল করতে পারবেন যদি আপনি রোমিং সিস্টেমটি ব্যবহার করেন।
মনে করুন, আপনি অন্য কোন দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশের সিম কার্ড ব্যবহার করছেন। তখন কেউ যদি আপনাকে কল দেই তাহলে আপনার কলটি প্রথমে বাংলাদেশে নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার এর কাছে আসে এবং আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার জানে আপনি কোন দেশে আছেন। তাই তখন কল টি ফরওয়ার্ড করে আপনি সেই সেই দেশের যে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করছেন তার নেটওয়ার্ক প্রকারের কাছে। তারপর নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার আপনার কলটি Connect করে। আপনি যখন রোমিং সার্ভিস ব্যবহার করবেন কল দেওয়া অথবা নেয়ার জন্য তখন, আপনার নেটওয়ার্ক প্রোভাইডার আপনার রোমিং সার্ভিসের একটি লিস্ট তৈরি করবে।
সিম কার্ড এর আকার
১৯৯১ সালের দিকে সর্বপ্রথম ব্যবহার হয় পূর্ণ আকারের সিম কার্ড। তারপর আসে মিনি সিম কার্ড। এরপর মাইক্রো সিম কার্ড। আর বর্তমানে এখন সবার ফোনেই ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়। ভবিষ্যতে ধারণা করা হচ্ছে ই-সিম কার্ড ব্যবহার করা হবে।
সিম কার্ড ডেটা স্টোরেজ
সিম কার্ডে সাধারণত ৮ কিলোবাইট থেকে ২০ কিলোবাইট পর্যন্ত ডাটা থাকে। এবং সর্বোচ্চ ২৫০ টি কন্টাক্ট নাম্বার সংরক্ষণ করা যায়।
LAI কি?
LAI হলো (Local Area Identity) লোকাল এরিয়া আইডেন্টি। যেটি আপনার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে। যখন আপনি লোকেশন পরিবর্তন করেন মানে এক নেটওয়ার্ক থেকে অন্য নেটওয়ার্কে যান তখন আপনার নতুন LAI কোডটি আপনার সিমে সংরক্ষণ হয়।
আশাকরি সিম কার্ড কি? সিম কার্ড কিভাবে কাজ করে? সেটি বুঝতে পেরেছেন, যদি আরো অন্য কিছু জানতে চান তাহলে অবশই টিউমেন্ট করুন। ধন্যবাদ।
আমি শাহারিয়ার কবির জয়। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 3 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
আমি একজন প্রযুক্তি, স্বাস্থ্য বিষয়ক লেখক।