বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন এবং সুস্থ রয়েছেন। বরাবরের মত আমি 'আতিকুর' আবারো হাজির হয়েছি আপনাদের সামনে নতুন একটি টিউন নিয়ে। তো বন্ধুরা আমরা সকলেই প্রসেসর এর নাম শুনে থাকি। যেটি কোন স্মার্ট ডিভাইসের জন্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ পার্টস। প্রসেসর কে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মস্তিষ্ক বলা যেতে পারে, কেননা এখানে সকল ধরনের ক্যালকুলেশন হয়ে থাকে।
আপনার ব্যবহার করা স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ কিংবা অন্য কোন ডিজিটাল ডিভাইস এর পারফর্মেন্স কেমন হবে সেটি নির্ভর করে সেই ডিভাইসের প্রসেসরের ওপর। আপনার ল্যাপটপ বা ফোনে যদি ভালো প্রসেসর থাকে তবে আপনি এখান থেকে ভালো পারফর্মেন্স আশা করতে পারেন। আর যদি আপনার ফোনে কিংবা ল্যাপটপে ভালো প্রসেসর না থাকে তবে এখান থেকে আপনি ভালো গেম খেলতে পারবেন না কিংবা ভালো পারফর্মেন্স আশা করতে পারেন না। কোন একটি ডিজিটাল ডিভাইস কেনার সময় আমাদের সবার প্রথমে যে জিনিসটি দেখা উচিত সেটি হচ্ছে প্রসেসর। কেননা একটি প্রসেসর এর ওপরে নির্ভর করে সেই ডিভাইসটির ভবিষ্যৎ কর্মদক্ষতা।
কোন ফোনের কিংবা ল্যাপটপ, কম্পিউটারের যদি প্রসেসর ভালো হয় তবে সেটির কাজ করার ক্ষমতা বেশি হবে এবং সেই ডিভাইস টি ব্যবহার করে অনেক আরাম পাওয়া যাবে। তো এসব বিষয় না হয় আমরা বুঝলাম যে, একটি প্রসেসর যদি ভালো হয় তবে সেটির পারফরম্যান্স অনেক ভালো হবে। কিন্তু আমরা যদি এক্ষেত্রে প্রসেসর কেই না চিনি তবে আমরা কিভাবে নির্ধারণ করতে পারব যে এই প্রসেসরটি অনেক ভালো এবং এটি আমাদের ডিভাইসের জন্য ভালো পারফরম্যান্স এনে দেবে। তবে এজন্য আমাদেরকে জানতে হবে প্রসেসর সম্পর্কে।
তো বন্ধুরা আজকের এই টিউনে আমি বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব প্রসেসর সম্পর্কে। আপনারা যারা প্রসেসর সমন্ধে জানেন না তাদের জন্য আজকের এই টিউন টি অনেক তথ্যবহুল হতে যাচ্ছে। তবে এজন্য অবশ্যই আপনাদেরকে সম্পূর্ণ টিউনটি মনোযোগ দিয়ে ধৈর্য সহকারে পড়তে হবে। টিউনটি সম্পূর্ণ শুরু করার আগেই আপনাদেরকে বলে নিচ্ছি, আপনি যদি আমার এই টিউনে নতুন হয়ে থাকেন তবে উপরের ফলো বাটন এ ক্লিক করে আমায় ফলো করে রাখবেন এবং টিউনটি ভাল লাগলে জোসস করবেন এবং টিউনমেন্ট করে জানাবেন কেমন লাগলো। আর এখানে আরো একটি কথা বলে নিচ্ছি যে, যদি টিউনের মাঝে কোথাও ভুল ভ্রান্তি হয়ে থাকে তবে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
আজকের এই টিউনে আমি বিস্তারিত আলোচনা করব প্রসেসর এর যাবতীয় স্পেসিফিকেশন সম্বন্ধে। আজকের এই টিউনটি দেখার পর আমি আশা করছি যে আপনাদেরকে আর ইন্টারনেটে সার্চ করতে হবে না যে প্রসেসর এর ন্যানোমিটার কি, গিগাহার্জ কি, প্রসেসর কোর কি ইত্যাদি বিষয়গুলো। তবে চলুন কথা না বাড়িয়ে দেখে নেওয়া যাক প্রসেসর সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য।
একটি ডিজিটাল ডিভাইস এর পারফর্মেন্স নির্ভর করে সেটির প্রসেসরের উপর। আর একটি প্রসেসর এর পারফর্মেন্স নির্ভর করে সেই প্রসেসর টির স্পেসিফিকেশন কেমন, সেই প্রসেসর টি কোন টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে বা কত ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে, প্রসেসর টিতে কত কোর রয়েছে, প্রসেসরটি কত গিগাহার্জ এর উপর কাজ করে কিংবা প্রসেসরটি কিরকম আর্কিটেকচার এর ওপর বিল্ড করা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়গুলো।
এখানে প্রথমেই আপনাকে বলে নিচ্ছি প্রসেসর কিন্তু অনেক ধরনের হতে পারে। যেরকম, CPU বা Central Processing Unit, GPU বা Graphics বা Processing Unit, ISP বা Image Signal Processor, DSP বা Digital Signal Processor ইত্যাদি। তো এরকম অনেক ধরনের প্রসেসর রয়েছে। তবে এসবের মধ্যে আমরা আজ আলোচনা করব CPU অর্থাৎ Central Processing Unit সম্পর্কে। মূলত আমরা প্রসেসর বলতে CPU কেই ধরে থাকি।
তবে এখানে আরো একটি কথা বলে নিচ্ছি যে, আমাদের মোবাইলে ব্যবহৃত প্রসেসরকে কিন্তু সিপিইউ বলা হয় না। আমাদের মোবাইলে ব্যবহৃত প্রসেসর টিকে SoC বা System-on-Chip বলা হয়। আর এর কারণ হচ্ছে একটি স্মার্ট ফোনের প্রসেসর এর ভিতরে সকল প্রসেসর গুলো দেওয়া থাকে। যেমন এগুলোর মধ্যে CPU, GPU, ISP, DSP, APU ইত্যাদি সকল প্রসেসরগুলো একসঙ্গে লাগানো থাকে। এগুলোর সমস্ত গুলোই একটি প্যাকেট হিসেবে দেওয়া হয়। আর এজন্যই এটিকে সিপিইউ না বলে System-on-Chip বলা হয়।
একটি স্মার্টফোনে আলাদা আলাদা করে প্রত্যেকটি প্রসেসিং ইউনিট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। যেখানে সমস্ত গুলো প্রসেসর একসঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়। তো বন্ধুরা, এই টিউনটি তে আমরা শুধুমাত্র সিপিইউ সম্বন্ধে আলোচনা করব। আপনারা নিশ্চয় এবার বুঝে গিয়েছেন যে সিপিইউ আসলে কি। সিপিইউ আসলে এমন একটি যন্ত্রাংশ, যেটির কাজ হল কম্পিউটারের ডাটা বা ইনফরমেশন গুলো নিজের কাছে রেখে সেগুলোর সঠিকভাবে প্রসেস করা।
সিপিইউ আপনার কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত Hardware, Software ও Output device থেকে ডাটা গ্রহণ করে এবং সেগুলো প্রসেস করার মাধ্যমে আপনাকে আউটপুট দেখায়। কোন একটি কম্পিউটার কিংবা আপনার স্মার্টফোনের সাথে সম্পর্কযুক্ত সকল উপকরণ বা উপাদান এর সকল কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে সিপিইউ। যে কারণে সিপিইউ কে কম্পিউটার কিংবা স্মার্টফোন এর মস্তিষ্ক বলা চলে। এক্ষেত্রে সিপিইউ হচ্ছে আপনার কম্পিউটারের প্রধান মাথা, যেখানে সকল ধরনের সমস্যার ক্যালকুলেশন হয়। আপনি কোন অ্যাপ্লিকেশন চালু করছেন, গেম খেলছেন, কোন অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ করছেন বা ইনস্টল করছেন, ইন্টারনেট ব্রাউজ করছেন ইত্যাদি সমস্ত বিষয় গুলোর কাজ যেখানে হয় সেটি হচ্ছে প্রসেসর।
আর একটি প্রসেসর এর উপরেই নির্ভর করে একটি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কিংবা একটি স্মার্টফোন এর পারফর্মেন্স। তবে চলুন এবার একে একে দেখে নেওয়া যাক প্রসেসর এর প্রত্যেকটি পয়েন্ট এবং এগুলোর কাজ কি?
আপনারা হয়তোবা মোবাইল কেনার সময় প্রসেসর দেখার সময় দেখে থাকবেন ন্যানোমিটার এর কথা। যেখানে কোন একটি প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে 7 ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে আবার কোন প্রসেসর তৈরি করা হয়েছে 14 ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে। প্রসেসর সম্বন্ধে আমাদের বিস্তারিত জানতে হলে সবার প্রথমে আমাদেরকে সেই প্রসেসরকে ন্যানোমিটার টেকনোলজি সম্পর্কে জানতে হবে। কেননা একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার এর ওপর নির্ভর করে সেই মোবাইলের কিংবা কম্পিউটার এর সমস্ত পারফরম্যান্স।
সবার আগে একটি প্রসেসর এর স্পেসিফিকেশন দেখার আগে সেই প্রসেসর টির নানোটেকনলজি দেখতে হবে। অর্থাৎ, সেই প্রসেসরটি কত ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে তৈরি করা হয়েছে। কেন একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি এর ওপর নির্ভর করে সে প্রসেসরটি কত পরিমান ব্যাটারি সাশ্রয়ী হবে এবং আপনার ডিভাইসটি কত ফাস্ট হবে। একটি প্রসেসরকে যত ন্যানোমিটার কম করা হবে তত সেই ডিভাইসের ব্যাটারি ব্যাকআপ ভালো হবে এবং সেই ডিভাইসটি ততটাই ফাস্ট হবে। তো চলুন এবার প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি সম্বন্ধে আরও বিস্তারিত কিছু জানা যায়।
তবে দেখুন, একটি প্রসেসর এর ভেতরে লক্ষ-কোটি ট্রানজিস্টর থাকে। আর এই ন্যানোমিটার দিয়ে প্রসেসর এর ভিতরে থাকা ট্রানজিস্টর এর দূরত্বকে বুঝানো হয়। প্রসেসর এর ভিতরে একটি ট্রানজিস্টর থেকে অন্য একটি ট্রানজিস্টর এর দ্রুত যত কম হবে তাদের ভিতর ডাটা ট্রান্সফার রেট ততোই দ্রুত হবে এবং সেগুলো অনেক শক্তি কম খরচ করবে।
তো এটিই হচ্ছে একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার এর বর্ণনা। যেখানে একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার যত কম হবে সেটি ততই ফাস্ট হবে এবং এর ব্যাটারি ব্যাকআপ অনেক ভালো হবে। কম ন্যানোমিটার টেকনোলজিতে তৈরি করা প্রসেসর এর স্পিড এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ এর কথা যদি আমরা চিন্তা করি তবে আমরা এটি খুব সহজেই মাথায় গেঁথে নিতে পারব। আপনি একটু খেয়াল করুন যে, যদি দুই জায়গায় কোন তারের সাথে পরপর কয়েকটি বাল্ব সংযোগ করা হয় তবে যেখানে সবচাইতে ছোট তার ব্যবহার করা হয়েছে সেই লাইনে আগে বাল্বগুলো জ্বলে উঠবে। আর অপরদিকে যদি অন্য একটি লাইনে অনেক দীর্ঘ তার দিয়ে তার শেষ মাথায় একটি বাল্ব লাগানো থাকে তবে সেটি স্বাভাবিকভাবেই 1 মিলি সেকেন্ড হলেও দেড়িতে জ্বলবে।
তেমনি ভাবে একটি প্রসেসর এর ক্ষেত্রেও একই রকম। এখানে সেই বাল্ব এর মত যদি কম ন্যানো মিটার দূরত্ব থাকে একটি ট্রানজিস্টর থেকে অন্য একটি ট্রানজিস্টর এর মধ্যে তবে খুব সহজেই দ্রুত ডাটা ট্রান্সফার হবে। এখানে 14 কিংবা 28 ন্যানোমিটার দূরত্ব এর চাইতে 7 ন্যানোমিটারে দ্রুত ডেটা আদান-প্রদান হবে এটিই স্বাভাবিক। আর যদি প্রসেসর এর ভেতরে একটি ট্রানজিস্টর থেকে অন্য একটি ট্রানজিস্টরে কোন ডেটা দ্রুত আদান-প্রদান হয় তবে সেই ডিভাইসটি কোন কাজ করলে সেটিও অনেক দ্রুত সম্পন্ন হবে এবং ডিভাইসটি হবে অনেক ফাস্ট। তাই একটি ডিজিটাল ডিভাইস অনেক দ্রুত পারফর্ম করার ক্ষেত্রে সেটির প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি অনেক কম হতে হয়।
একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি যদি কম হয় তবে সেটির ব্যাটারি ব্যাকআপও অনেক বেশি হবে। প্রসেসর এর ন্যানোমিটার যদি কম হয় তবে এর ব্যাটারি ব্যাকআপ কেন বেশি হবে এটি সম্পর্কে আপনাকে একটি উদাহরণ দেওয়া যায়। উপরে আমি একটি উদাহরণ দিয়েছিলাম দুইটি লাইনে দুইটি বাল্ব সংযোগ করার। এখানে দেখুন, ঘরের ভিতরে যে বাল্বটি ব্যাটারি থেকে অনেক দূরে, অর্থাৎ যে বাল্বটি লাগাতে অতিরিক্ত তারের প্রয়োজন হয়েছে সেটিতে বিদ্যুৎ যেতে 1 মিলি সেকেন্ড হলেও বেশি সময় লাগবে।
এখানে সেই বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছাতে সময় ই নয়, বরং এখানে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ও লেগেছে। যেদিকে আমরা সিস্টেম লস বলে থাকি। ঠিক একই রকমভাবে একটি প্রসেসর এর ভেতরে যদি কোন ডেটাকে বেশি পরিমাণ পথ অতিক্রম করতে হয় তবে অতিরিক্ত শক্তির প্রয়োজন পড়বে। আর এই শক্তিতে আসবে মোবাইলের ব্যাটারি থেকে। যেখানে অধিক দূরত্ব অতিক্রম করার জন্য সে প্রসেসরটি কে অতিরিক্ত কাজ করতে হবে এবং ব্যাটারি ব্যাকআপ এতে করে কম হবে।
বর্তমানে সবচাইতে কম ন্যানোমিটার এর প্রসেসর হচ্ছে 7 ন্যানোমিটার। এর আগে ব্যবহার করা হতো 10nm, 14nm, 28nm ইত্যাদি প্রসেসরগুলো, তবে এসবের বাইরেও 11nm, 12nm প্রসেসর রয়েছে। এখানে আপনাকে আরও একটি বিষয়ে বলা যাক। ধরুন দুইটি প্রসেসর একটি 14 ন্যানোমিটারে তৈরি করা হয়েছে এবং অন্যটি 7 ন্যানোমিটারের তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উভয় প্রসেসর এর স্পেসিফিকেশন এর মধ্যে ন্যানোমিটার ছাড়া অন্য পার্থক্য রয়েছে, যদিও তাদের দুটিরই স্পেসিফিকেশন একই।
তো এখানে দুইটি প্রসেসর এর পারফর্মেন্স এর মধ্যে আপনি কিসের কিসের পার্থক্য দেখতে পাবেন? প্রথমত আপনারা 7 ন্যানোমিটার এর প্রসেসর এর পারফর্মেন্স বেশি পাবেন 14 ন্যানোমিটার প্রসেসর এর চাইতে। এখানে আপনি 14 ন্যানোমিটার প্রসেসর এর চাইতে 7 ন্যানোমিটার প্রসেসর এর ব্যাটারি ব্যাকআপ বেশি পাবেন। তো এই ছিল একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার সম্বন্ধে পরিচিতি। আশা করছি আপনারা একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। যদি আমি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি সম্বন্ধে আপনাকে বিস্তারিত বুঝাতে না পারি তবে আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
সেইবার আমি এখানে আবারো বলে দিচ্ছি যে কোন একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার বলতে, সে প্রসেসর এর ভেতরে অবস্থিত ট্রানজিস্টর গুলোর দূরত্ব। অর্থাৎ, কোন একটি প্রসেসর এর ভেতরে একটি ট্রানজিস্টর থেকে অন্য একটি ট্রানজিস্টর কত দূরত্বে রয়েছে তার হিসাব।
একটি প্রসেসর এর ন্যানোমিটার টেকনোলজি দেখার পর সেটির কোর সংখ্যা দেখা উচিত। একটি প্রসেসর এর অনেকগুলো কোর থাকতে পারে। এটি হতে পারে Dual core, Quad core, Octa core ইত্যাদি। একটি প্রসেসর এর এরকম অনেকগুলো কোর থাকতে পারে। একটি প্রসেসর এর Core সম্বন্ধে আলোচনা করার জন্য আমাদেরকে প্রথমেই বুঝতে হবে যে Core আসলে কি। একটি Individual Core নিজেই একটি প্রসেসর, যার নিজস্ব প্রসেসিং পাওয়ার রয়েছে।
যদি একটি প্রসেসর ডুয়েল কোর এর হয়ে থাকে তবে এর ভেতরে দুইটি আলাদা আলাদা কোর রয়েছে। অর্থাৎ, ডুয়াল কোরের সেই প্রসেসরে দুইটি আলাদা আলাদা প্রসেসর রয়েছে। এখানে দুইটি প্রসেসর এর সমন্বয়ে একটি প্রসেসর গঠিত হয়েছে যেজন্য এর নাম ডুয়েল কোর প্রসেসর। আর চারটি Core মিলে যে প্রসেসর তৈরি হবে সেটিকে বলা হয় Quad core এবং আটটি Core নিয়ে গঠিত প্রসেসর কে Octa core প্রসেসর বলা হয়। আপনারা নিশ্চয় কোর সংখ্যার এই বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
এবার আপনাদের মনে এই প্রশ্ন আসতে পারে যে একই প্রসেসর এর ভেতরে এতগুলো Core থাকার দরকার কি? চাইলে তো একটি প্রসেসরে একটি কোর দিতে পারতো। দেখুন একটি Individual core বা একটি Individual processor একক সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজ সম্পাদন করতে পারে। এটি আলাদা বিষয় যে, সে সেই কাজটি কত সময় করতে পারে। তবে এটা মনে রাখুন যে একটি প্রসেসর এর কোর শুধুমাত্র একক সময়ে একটি কাজটি করতে পারবে, একসঙ্গে সে দুটি কাজ করতে পারবে না।
দেখুন আমরা বর্তমানের আমাদের ফোনে যেসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো রান করে সেগুলো অনেক বড় হয়ে থাকে। যেসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো পূর্বের ভার্সন এর চাইতে অনেক বেশি শক্তিশালী। পূর্বে যেখানে একটি সিঙ্গেল কোরে সেসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো চালানো যেতো, সেগুলো আর সেই প্রসেসরে চালানো সম্ভব নয়। বর্তমানে সেসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো অনেক Havy হয়ে গিয়েছে যে কারণে সেগুলোকে চালানোর জন্য দরকার শক্তিশালী প্রসেসর এর। এ কারণে কী হয় সেসব অ্যাপ্লিকেশনগুলো আর সিঙ্গেল কোর চালাতে পারেনা, এজন্য আমাদের মাল্টি কোর প্রসেসর এর দরকার পড়ে।
যেখানে একই সঙ্গে প্রসেসরটি একাধিক কাজ করে থাকে। চলুন তবে প্রসেসর এর কোর গুলোকে আরো সহজ ভাবে বোঝা যাক। ধরুন, একটি প্রসেসর এর কোন একটি কোর একটি কাজকে 8 ঘন্টা করতে পারে। একই কাজটি যদি কোন ডুয়াল কোরের প্রসেসর দিয়ে করানো হয় তবে সেটি লাগবে 4 ঘন্টা। এখানে প্রত্যেকটি কোর আলাদা আলাদাভাবে সেই কাজটি ভাগ করে নিবে।
একই সঙ্গে সেই প্রসেসরটি যদি অক্টাকোর হয় তবে প্রথম প্রসেসর এর সেই আট ঘণ্টার কাজ টি করতে তার সময় লাগবে এক ঘন্টা, অর্থাৎ এখানে ৮ টি কোর সেই কাজটি একসঙ্গে করছে। এখানে প্রসেসরকে মানুষের হাতের সঙ্গে তুলনা করা যায়। যেখানে কোন কাজ করতে গেলে যদি আপনার একটি হাত সচল থাকে সেখানে সেই কাজ করতে গেলে স্বাভাবিকের চাইতে দ্বিগুণ সময় লাগবে। আর যদি আপনার দুইটি হাত সচল থাকে তবে আপনি সেই কাজটি একটি হাত দিয়ে করার চাইতে দ্বিগুণ গতিতে করতে পারবেন। একইভাবে দুইজন ব্যক্তি মিলে সেই কাজটি করে তবে সেটি আরও কম সময় হবে।
কোন একটি প্রসেসর এর কাজ করার ব্যাপারটি ঠিক এই রকম। কোন একটি ব্যক্তির দুই হাত দিয়ে করা কাজ এর সময় যদি দুই ঘন্টা লাগে তবে একটি হাত দিয়ে সেই কাজটি করতে তার সময় লাগবে 4 ঘন্টা। আর যদি দুইজন মিলে সেই কাজটি করে তবে সেটি এক ঘণ্টাতেই হয়ে যাবে। এখানে উভয় ব্যক্তি ভাগ করে সেই কাজটি সম্পন্ন করবে। এভাবে করে একটি সিঙ্গেল কোর এর চাইতে ডুয়েল কোর কিংবা অক্টাকোর তাদের কাজগুলো কে ভাগ করে নিয়ে করে। যেখানে Single core এর চাইতে Quad-core এর সময় লাগে চার ভাগের এক ভাগ এবং Octa-core লাগবে আট ভাগের এক ভাগ।
একটি প্রসেসর এর কোর সংখ্যা যত বেশি হবে সেই প্রসেসরটি এর কার্যক্ষমতা ততই বেশি হবে। উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনার কম্পিউটারে একটি কোর রয়েছে। এবার আপনি যদি একাধিক অ্যাপ্লিকেশন আপনার কম্পিউটারের রান করতে চান তবে সে ক্ষেত্রে তা হবেনা। এক্ষেত্রে ব্যাকগ্রাউন্ডে থাকা অ্যাপ্লিকেশনটি আর কাজ করবে না। আপনি বর্তমানে যে অ্যাপটি ওপেন করে রাখবেন সেটি একমাত্র কাজ করবে।
তবে এখানে কাজ করবে না বললে ভুল হবে। একটি সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর ঠিকই একাধিক কাজ করতে পারবে, কিন্তু সেটি হবে থেমে থেমে। অর্থাৎ একটি সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর দিয়ে যদি আপনি সেই ডিভাইসে কোন কিছু চালান তবে সে একটি কাজ কিছুক্ষণ করে আবার অন্য একটি কাজ করবে। এখানে সে কাজটি ছেড়ে দিবে না। তবে এজন্য প্রসেসরটি আর বিশ্রাম নেবার সুযোগ পাবে না।
যদিও কোনো একটি ডিভাইস এর প্রসেসর সবসময় কাজ করে থাকে, কিন্তু যদি সেটিতে অতিরিক্ত চাপ দেওয়া হয় তাহলে সে তার পূর্ণ ক্ষমতা দিয়ে সেই কাজটি করার চেষ্টা করবে। আর যদি তার ক্ষমতার চাইতে কম ক্ষমতার কাজ দেওয়া হয় তবে সে কিন্তু অল্প একটু কাজ খুব সহজেই করতে পারবে। এখানে সেই সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর দিয়ে যদি আপনি একই সঙ্গে গান বাজান এবং অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করেন তবে ব্যাকগ্রাউন্ডে ঠিকই সেই অডিও টি চালু থাকবে। তবে সেই প্রসেসরটি এখানে থেমে থেমে আপনার সেই গানটি প্রসেস করবে। যেখানে কিছু সময় সেই গানটি এবং কিছু সময় ইন্টারনেট ব্রাউজ করার প্রসেসিং করা হবে।
আর কোন কাজকে এইভাবে থেমে থেমে করার জন্য সেই ডিভাইসকে আপনার ধীর গতির মনে হবে। যেখানে আপনি ঠিকমতো মাল্টিটাস্কিং করতে পারবেন না। মাল্টিটাস্কিং হলো একই সঙ্গে একাধিক প্রোগ্রামকে ডিভাইসে রান করানো। একই সঙ্গে একাধিক অ্যাপ্লিকেশন কে ডিভাইসের ব্যাকগ্রাউন্ডে রান করাতে দরকার পড়ে শক্তিশালী প্রসেসর বা একাধিক কোর বিশিষ্ট প্রসেসরের।
সিঙ্গেল কোর প্রসেসর এর কার্যক্ষমতা বিষয়টি আপনি নিজের মধ্যে উপলব্ধি করতে পারেন। ধরুন, আপনাকে কোন কাজ দেওয়া হল যেটি আপনি 2 ঘন্টায় করতে পারবেন। এবার সেই কাজটি যদি দশজন মিলে করে তবে সেটি কিন্তু কোনো চাপ ছাড়াই করে দেওয়া সম্ভব। এভাবে আপনার প্রসেসরটি যদি quad-core কিংবা অক্টাকোর হয়ে থাকে এবং সেটিতে যদি এমন কোন কাজ দেওয়া হয় তবে সেও আস্তে আস্তে সেই কাজটি করতে থাকবে। এখানে প্রসেসরকে তার পূর্ণাঙ্গ শক্তি দিয়ে কাজ করতে হবে না যেমনটি একটি সিঙ্গেল কোর এর প্রসেসর করে থাকবে।
এই আলোচনা থেকে একটি বিষয় পরিষ্কার যে সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর ঠিকই একাধিক কাজকে করতে পারবে, তবে সেটি হবে অনেক ধীর গতিতে এবং প্রসেসর এর পূর্ণাঙ্গ কার্যক্ষমতা দিয়ে। যার ফলে সেই সিঙ্গেল কোরের প্রসেসর টি অতিরিক্ত কাজের ফলে গরম হয়ে যাবে এবং বেশি চাপের ফলে ডিভাইসটি হ্যাং করবে। আর যদি সেই প্রসেসর একাধিক কোর বিশিষ্ট হয়ে থাকে তবে সেটিতে একই কাজটি একাধিক কোর একসঙ্গে করার কারণে সেটি অনেক অল্প সময়ে হয়ে যাবে এবং এটি হবে অনেক ফাস্ট।
আপনার ডিভাইসে কোর সংখ্যা অনেক থাকলে তবে আপনি অনেকগুলো কাজ একসঙ্গে করতে পারবেন সেই ডিভাইসে। আর যদি আপনার বেশি কোর বিশিষ্ট প্রসেসর থাকে তবে আপনি যদি একটি কাজ করেন তবে সেটি হবে অনেক দ্রুত। কেননা সেই কাজটি আপনার প্রসেসর একাধিক কোর মিলে করছে। যেখানে আমি উপরে একটি উদাহরণ দিয়েছি মানুষের হাতের সঙ্গে তুলনা করে। যেখানে কোন একটি কাজ একজন মানুষ একা চার ঘন্টায় করতে পারে সেখানে দুইজন মিলে সেটি করতে পারবে দুই ঘন্টায়।
এভাবে করে আপনার ফোনের কিংবা কম্পিউটারের প্রসেসর ও একই ভাবে কাজ করছে। কোন ডিভাইসের প্রসেসর এর কোর সংখ্যা নির্দেশ করে সেই ডিভাইসটি কতটা ফাস্ট হবে।
এবার আপনি যদি কোন ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয় করতে চান সেটি হতে পারে স্মার্ট ফোন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার তবে সেটির যেন অন্তত চারটি কোর থাকে। এখানে আমি আপনাকে আরো একটি বিষয় পরিষ্কার করে দিতে চাচ্ছি তা হল, ধরুন একটি প্রসেসর এর চারটি কোর রয়েছে অর্থাৎ সেটিতে Quad-core রয়েছে। এর মানে এটা নয় যে সেটি Dual-core প্রসেসর এর চাইতে ভাল পারফর্ম করবে। কেননা এখানে কোর গুলোর আর্কিটেকচার দেখার বিষয় রয়েছে। সেই কোর গুলো কতটা হেবি এবং কত ফ্রিকোয়েন্সিতে কাজ করছে সেগুলোও দেখার বিষয় রয়েছে।
বর্তমানে স্মার্টফোনের প্রসেসর যে কোম্পানি ডিজাইন করে তা হল ARM। এআরএম এর Cortex সিরিজের প্রসেসর গুলো কে আপনি নাম্বার হিসেবে চিনতে পারেন। যেমনঃ Cortex A53 প্রসেসর টি Cortex A17 এর চাইতে আপনাকে বেশি পারফরম্যান্স দিবে। তেমনি ভাবে Cortex A53 এর চাইতে Cortex A56 ভালো পারফর্মেন্স দিবে। এভাবে করে আপনি নাম্বার থেকে বুঝতে পারবেন যে সেই প্রসেসর টির কিরকম পারফর্ম হতে পারে পূর্বের গুলোর চাইতে।
প্রসেসর এর বিল্ড নিয়ে এখানে আলোচনা করা বিষয় গুলো ছিল স্মার্টফোন এর প্রসেসর এর উপর। একইভাবে কোন একটি কম্পিউটারের প্রসেসর এর ক্ষেত্রে তুলনা করতে হলে একই রকম। সেখানে সিঙ্গেল কোর এর চাইতে ডুয়াল কোর অনেক ভালো, আবার core i3 প্রসেসর এর চাইতে core i5 ভালো। তবে এখানে প্রত্যেকটি প্রসেসর এর জেনারেশন কে দেখতে হবে। এছাড়া এখানে দেখতে হবে সেই প্রসেসরটি কোন প্রতিষ্ঠান থেকে তৈরি।
অর্থাৎ সেটি যদি Intel এর তৈরি হয় তবে সেটি AMD এর তৈরি প্রসেসর থেকে ভালো পারফর্ম করবে। যেখানে AMD এর চাইতে Intel পাওয়ার খরচ অনেক কম করে।
প্রসেসর এর কোর দেখা শেষ হলে এবার চলে আসে সেই প্রসেসরটির গিগাহার্জ। এর আগে আমি বললাম যে একটি প্রসেসর একক সময়ে শুধুমাত্র একটি কাজই সম্পাদন করতে পারে। অর্থাৎ, কোন কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত সেই প্রসেসরটি সেটিই প্রসেসিং করতে থাকে। এটি আলাদা যে সেই প্রসেসরটি কত সময়ে সেই কাজটি করছে। ওয়ান গিগাহার্জের যদি কোন প্রসেসর কে ক্লক করা হয় তবে সেই প্রসেসরটি 1 সেকেন্ডে 100 কোটি টি ক্যালকুলেশন কে সম্পন্ন করতে পারে।
সেই হিসেবে একটি কোর কে যদি টু গিগাহার্জ এ ক্লক করা হয়, তার মানে এই যে, সে এক সেকেন্ডে 200 কোটি টাস্ক সম্পন্ন করতে পারে। তো এটি মূলত প্রসেসরের গিগাহার্জ এর ব্যাপার। একটি প্রসেসরকে যত গিগাহার্জ এ ক্লক করতে পারবে সে প্রতি সেকেন্ডে তত বেশি কাজ করতে পারবে।
তো বন্ধুরা এই ছিল মূলত প্রসেসর সম্পর্কে আজকের টিউন। আমি আশা করছি যে প্রসেসর সম্বন্ধে আপনারা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। প্রসেসর এর ন্যানোমিটার কি, কোর কি, গিগাহার্জ কি ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্বন্ধে আমি সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। যদি টিউনটি আপনার কাছে ভাল লেগে থাকে তবে জোসস করুন, টিউনমেন্ট করুন এবং সেইসঙ্গে আপনাদের বন্ধুদের জানাতে শেয়ার করুন।
প্রসেসর সম্পর্কিত আজকের এই টিউন টি তবে এখানেই শেষ করছি। দেখা হবে তবে পরবর্তী টিউনে আরো উন্নত এবং নতুন কোন টপিক নিয়ে ইনশাআল্লাহ। সে সময় পর্যন্ত টেকটিউনসের সঙ্গে থেকে আমাকে ফলো করে রাখুন। যাতে করে আমার নতুন কোন টিউন প্রকাশিত হলে টেকটিউনসের হোমপেজে আপনি সবার আগে দেখতে পারেন। তাহলে সবাই এই করোনা পরিস্থিতিতে যে যার অবস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাফেরা করুন এবং সেইসঙ্গে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন, যাতে করে আল্লাহ্ আমাদের ক্ষমা করে দিয়ে করোনাভাইরাস উঠিয়ে নেয়। আজ তবে বিদায় নিচ্ছি, আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 421 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 62 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 3 টিউনারকে ফলো করি।
“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)
ভাল টিউন করেছেন, তবে এএমডি সমন্ধে আপনার ধারনা কম আছে, একটু গুগল করে জেনে নিবেন, বর্তমানে কে এগিয়ে আছে !
ইন্টেল এর সেই দিন আর নাই, দাম ও পারফমান্স ইন্টেল থেকে এগিয়ে আছে এএমডি! এএমডির লেটেস্ট প্রযুক্তির প্রসেসর ইন্টেল কে হারিয়ে দিয়েছে, আবার বিদ্যুৎ খরছও ইন্টেল এর চেয়ে কম।ইন্টেল এর চেয়ে কম মূল্য প্রসেসর আনাতে সবাইকে এখন AMD দিকে ঝুকছে,তাই এএমডি জনপ্রিয়তা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।