হ্যালো টেকটিউনস কমিউনিটির সদস্যরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আল্লাহ তায়ালা আপনাদের ভালোই রেখেছেন। সর্বপ্রথম সেই মহান রাব্বুল আলামিনের প্রসংশা করি যে মহান রাব্বুল আলামিন আমদেরকে প্রতিটি শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ামত হিসেবে দিয়েছেন। আলহামদুলিল্লাহ।
বরাবরের মতো আজো নিয়ে এসেছি অসম্ভব সুন্দর একটা টিউন। আশাকরি আপনার অসন্তোষের কারণ হবে না। কথা না বাড়িয়ে মুল টপিকে চলে যাই। প্রতিনিয়ত পৃথিবীব্যাপি প্রযুক্তিগত দিক থেকে কিছু না কিছু তৈরি হচ্ছে। পুর্বেও এসব মুল্যবান প্রযুক্তির অবদান রয়েছে। আর ভবিষ্যতেও যুগান্তকারী আবিষ্কার হতেই থাকবে।
এর মধ্যে কিছু কিছু প্রযুক্তি নিয়ে প্রশ্ন জাগে বা কৌতুহল জাগে যে এটা কিভাবে আসলো? কারন এসব প্রযুক্তির আবিষ্কার এতটাই কার্যকরী আর চমৎকার হয় যে বলে বোঝানো যাবে না। এমনি পৃথিবী বদলে দেওয়া এক যুগান্তকারী এক গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার এর নাম কম্পিউটার। টিউনটিতে কম্পিউটার সম্পর্কে যতটুকু জানি তা উল্লেখ করার জন্যই আজকের এই টিউন লিখছি। প্রথমে আমরা জেনে নিব কম্পিউটার এর ইতিহাস।
আজকে আমরা আমাদের সামনে সাজানো-গোছানো যে সুন্দর কম্পিউটারটা দেখতে পাই এটা একদিনের কোন আবিষ্কার নয়। দিনে দিনে এর উন্নতি ঘটিয়ে এটাকে এরকম করা হয়েছে। পূর্বে এর অবস্থা একরকম ছিলো আর এখন আরেকরকম। যেভাবে বর্তমান অবস্থার কম্পিউটারের সৃষ্টি হয়েছে তা আপনাদেরকে জানাবো ইনশাআল্লাহ। এজন্য প্রথমে আপনাদেরকে যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো অ্যাবাকাস।
অ্যাবাকাস হচ্ছে একটি গণনা যন্ত্র যা প্রাচীন সভ্যতার মানুষেরা গণনা কাজে ব্যবহার করত। এই যন্ত্র টা এতটাই প্রাচীন যে বর্তমানে এর আর কোনো অস্তিত্ব নেই। ৫০০০ বছর আগে মেসোপোটেমিয়া বা ইরাকের তাজেররা এ যন্ত্র ব্যবহার করতো। এছাড়াও চীনেও এ গনাণা যন্ত্রের ব্যবহার ছিলো। চীনে এ যন্ত্রের নাম ছিলো Saunpan।
রোমানদের কাছেও এ যন্ত্রের ব্যবহার দেখতে পাওয়া গিয়েছে। এ যন্ত্র আসলে কিভাবে কাজ করে তা আমি জানিনা। তবে এটা যোগ বিয়োগের কাজে ব্যবহার করা হতো। অ্যাবাকাসের এই সংস্করণটিতে ৭ টি নড়াচড়া যোগ্য বল একটু লাঠির মধ্যে লাগিয়ে এরকম বেশ কয়েকটি লাঠি ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। তবে জাপানে যে সংস্করণটি ছিল তার নাম দেওয়া হয় সরোবন এবং এটাতে একটি লাঠির মধ্যে পাঁচটি বল ছিল। আর কোরিয়াতে এটা সুপান নামে পরিচিত ছিলো। এগুলোতে গনণা করতে নিজের হাতে গণনা করতে হতো।
নেপিয়ার বোন একটি গণনা যন্ত্র যা অ্যাবাকাস এর চেয়ে কিছুটা অ্যাডভান্স ছিলো। এটা হাতির দাত এবং কাঠ ব্যবহার করে এবং নড়াচড়া যোগ্য রড ব্যবহার করে তৈরি করা একটি যন্ত্র। এটা যোগ- বিয়োগ এর পাশাপাশি গুন ও বর্গমুল নির্নয় করতে পারতো। তবে এটা ম্যানুয়ালি গুন ও বর্গমূল নির্ণয় করতে পারতো। তৎকালীন সময়ে বর্গমূল নির্ণয় করা একটি বিরাট সাফল্য হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। জন নেপিয়ার একজন স্কটিশ গণিতবিদ, রসায়ন বিদ ও জোতির্বিদ এবং সেই সাথে তিনি এডিনবরার জমিদার ও ছিলেন।
তিনি মার্চিস্টন প্রাসাদে জন্মগ্রহণ করেন তাই তার পুরো নাম জন নেপিয়ার অফ মার্চিস্টন। তারি এক সাফল্যজনক আবিষ্কার নেপিয়ারস বোন। তিনি ১৫৫০ সালে জন্মে এবং ১৬১৭ সালে মারা জান।
১৬২০-১৬৩০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালে গণনা যন্ত্র হিসেবে একটি যন্ত্র আবিষ্কার হয় যার নাম দেওয়া হয় স্লাইড রুল। এটি স্লাইড ক্যালিপার্স এর মতো দেখতে হয়ে থাকে। এটির বিভিন্ন স্লাইড নড়াচড়ার মাধ্যমে গণনা করা হয়। এটির সাহায্যে যোগ, বিয়োগ, গুণ, বর্গমূল ছাড়াও লগারিদমের বেশ কিছু কাজ করা যায়। এটি একটি এনালগ যন্ত্র ছিল এবং এটির সাহায্যে ম্যানুয়ালি হিসাব নিকাশ করা যেত।
১৫৭৪ সালে জন্মগ্রহণ করা বিজ্ঞানী উইলিয়াম অটরেড এর একটি আবিষ্কার হলো এটি। তিনি ১৬৬০ সালে মারা যান।
ইতিহাসে প্রথম আবিষ্কার হওয়া ক্যালকুলেটর এর নাম প্যাসকেল ক্যালকুলেটর। এটি বর্তমানের মডার্ণ ক্যালকুলেটর এর সুচনা ঘটায়। এটি হাতে রাখা বা ক্যারি ওভার এর ধারণা বয়ে নিয়ে আসে।
ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল এর সাফল্যজনক আবিষ্কার এটি। এই বিজ্ঞানী ১৬২৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৬৬২ সালে মারা যান।
স্টেপড রেকনার বিশ্বের প্রথম ডিজিটাল ম্যাকানিক্যাল ক্যালকুলেটর। এটির সাহায্যে অটোমেটিক যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগ করা যেত। এটি চাকার সাহায্যে তৈরি করা একটি যন্ত্র।
এটি জার্মানীর বিজ্ঞানী গটফ্রিড লিবনিজ ১৬৭৪ সালের দিকে আবিষ্কার করেন। তিনি ১৬৪৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭১৬ সালে মারা যান। তিনি আধুনিক কম্পিউটারের মুল ভিত্তি স্থাপন করেন। ইনিই বাইনারি পদ্ধতির উদ্ভাবন করেন।
১৮০১ সালে আবিষ্কৃত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিস্কার হলো জ্যাকোয়ার্ড লুম। এখানে জ্যাকোয়ার্ড বিজ্ঞানীর নাম আর লুম শিব্দের অর্থ তাঁত। এটি এমন একটি তাত যন্ত্র যাতে পাঞ্চকার্ড ব্যবহার করা হতো এবং এতে কোন একটি ডিজাইন করে দিলে সবগুলো কাপড়ে অটোমেটিক ডিজাইন কপি করতে পারতো। যেহেতু এটি অটোমেটিক কাজ অপারেট করতে পারতো তাই এটি একটি কম্পিউটার।
এটি আবিষ্কার করেন বিজ্ঞানী জোসেফ মেরি জ্যাকার্ড। ইনি ১৭৫২ সালে ফ্রান্সে জন্মগ্রহন করেন এবং ১৮৩৪ সালে মারা যান।
আধুনিক কম্পিউটারের সুচনা ঘটে ডিফারেন্স ইঞ্জিনের আবিষ্কারের মাধ্যমে। এই যন্ত্রের মাধ্যমে যোগ, বিয়োগ, গুন, ভাগের পাশাপাশি বহুপদী সমীকরণের সমাধান খুব সহজেই করতে পারা যায়। আর এ কাজ এ যন্ত্রের মাধ্যমে অটোমেটিক করতে পারা যায়। এটি আসলে অটোমেটিক ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিন ছিলো।
এটি বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ এর একটি আবিষ্কার। তিনি ১৭৯১ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৭১ সালে মৃত্যুবরণ করেন। ইনি আসলে একজন ইংরেজ বিজ্ঞানী ছিলেন।
এটি ডিফারেন্স ইঞ্জিনের চেয়ে তুলণামুলক উন্নত একটি সংস্করণ। ডিফারেন্স ইঞ্জিন এমন একটি ইঞ্জিন যা শুধু হিসাব নিকাশ করতে পারে কিন্ত কোন কিছু বিশ্লেষণ করতে পারে না। কিন্তু অ্যানালাইটিক্যাল ইঞ্জইনে প্রোগ্রাম বা কার্যক্রম বিশ্লেষণ করতে পারা যেতো।
এটি বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ এবং অ্যাডা লাভলেস এর চেস্টার ফসল। অ্যাডা লাভলেসের হাত ধরেই প্রোগ্রামের সুচনা হয়। তার নামে একটি প্রোগ্রাম ল্যাংগুয়েজ তৈরি হয় যার নাম অ্যাডা। তিনি ১৮১৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৫২ সালে মৃত্যুবরণ করে। ইনি আধুনিক প্রোগ্রামিং ধারণার প্রবর্তক।
এটা এমন একটি হিসাব নিকাশের যন্ত্র যা কম্পিউটারের ক্রমবিকাশ ঘটায়। এটা ডাটা স্টোর করার ধারণার উদ্ভব ঘটায়। এই যন্ত্রের ধারণাটা এসেছিলো রেলগাড়ির টিকিট বিক্রির ঘটনা থেকে। আপনারা হয়তো নিশ্চয় জানেন যে এক এক বয়সি যাত্রীদের জন্য একেক টিকেট থাকে। এউ যন্ত্র পাঞ্চকার্ড এর তথ্য বিশ্লেষণ করে এ টিকিট সরবরাহ করতো। এটা প্রতিদিন কোন বয়সের যাত্রী কোন স্থানের টিকিট নিয়েছে তা সংরক্ষণ করতে পারত এবং দিন শেষে তা সামারি করা যেত। এটাকে কম্পিউটার এর সাথে তুলনা করার কারণ একটাই আর তা হলো এটা ডাটা বিশ্লেষণ করতে পারতো এবং সেই সাথে ডাটা সংরক্ষণ করতে পারত। বিজ্ঞানী হারমেন হলেরিথ এটি রেল স্টেশনে পর্যবেক্ষণ করে তৈরি করেন।
কম্পিউটারের ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন বিজ্ঞানী হাওয়ার্ড এইচ.এইকেন। তিনি ১৯৪৪ সালের আগস্টের ৭ তারিখে Mark-1 নামে একটি কম্পিউটার লঞ্চ করেন। এই কম্পিউটার টা ছিলো অটোমেটিক সিকুয়েন্স কন্ট্রোল কম্পিউটার। এটি চালাতে বিদ্যুতের প্রয়োজন হতো অর্থাৎ এটি একটি ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্র ছিলো। মর্ডান কম্পিউটারের সুচনা হয় এই কম্পিউটারের মাধ্যমেই।
আমি যদি আপনাদেরকে প্রশ্ন করি কম্পিউটারে আবিষ্কারক কে আপনারা অনেকেই হয়তো বলতে পারবেন না। কম্পিউটার এর জনক, আবিষ্কারক, আধুনিক কম্পিউটারের জনক, মডার্ন কম্পিউটারের জনক এ সবই আলাদা আলাদা।
তাই আপনাদের সঠিক তথ্য দিতে আজকের টিউনের এই প্যারা। কম্পিউটারের আবিষ্কারক হলো উইলিয়াম অটরেড। আর কম্পিউটারের জনক হলো চার্লস ব্যাবেজ। আধুনিক কম্পিউটারের জনক হাওয়ার্ড এইচ.এইকেন। আর একদম মর্ডান কম্পিউটারের জনক জন ভন নিউম্যান।
আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এর কেন্দ্র হল কম্পিউটার। এই কম্পিউটার ইলেকট্রনিক কৌশলের এক বিস্ময়কর অবদান। আসলে বর্তমানের এই বিশ্বকে কম্পিউটার ছাড়া কল্পনা করা অসম্ভব। কম্পিউটার শব্দটি গ্রিক শব্দ হতে এসেছে। Compute শব্দ হতেই Computer শব্দটির উৎপত্তি।
এটার আভিধানিক অর্থ হলো হিসাবকারী যন্ত্র। কম্পিউটার দিয়ে গাণিতিক হিসাব নিকাশ এর পাশাপাশি যুক্তি ও সিদ্ধান্তমূলক কাজ করা যায়। এটা এমন একটি যন্ত্র যা মানুষের দেওয়া ডেটার উপর ভিত্তি করে অতি দ্রুত সঠিকভাবে কোন কার্য সম্পাদন করতে পারে এবং উহার নির্ভুল ফলাফল দিতে পারে। মানুষের কাজের গতির চেয়ে কম্পিউটারের কাজের গতি অনেকটাই বেশি।
কিন্তু সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মানুষের দেওয়া নির্দেশের উপরই কম্পিউটার কাজ করে। কম্পিউটারের কাজ করার যে ক্ষমতা বা বুদ্ধি তা মানুষের হাতেই তৈরি। তাই পরোক্ষভাবে এটাকে মানুষের ক্ষমতাই বলা চলে। আসলে মানুষ কম্পিউটারকে যতোটুকু মেমোরি, বুদ্ধি ও ক্ষমতা দিয়ে তৈরি করে ঠিক ততটুকুই মেমোরি, বুদ্ধি ও ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে এটি কাজ করতে পারে। এর এক চুলও বেশি করতে পারে না।
কম্পিউটার তার মেমোরিতে কতটুকু পরিমান ডেটা ধরে রাখতে পারবে তা নির্ভর করে মানুষ তার মেমোরিকে কিভাবে বানিয়েছে। কম্পিউটারের ভিতরে রয়েছে অসংখ্য ইলেকট্রনিক্স সার্কিট বা বর্তনী। আধুনিক কম্পিউটারের ক্ষমতা ব্যাপক। কম্পিউটারের এই ব্যাপক ক্ষমতা কে ব্যবহারের জন্য একে সঠিকভাবে কাজের নির্দেশ দিতে হয়। আর এ সকল নির্দেশের সম্মিলিত রূপই হলো প্রোগ্রাম যা মেমোরিতে সরক্ষণ থাকে। কম্পিউটার প্রোগ্রাম অনুযায়ী কাজ করে সুশৃংখল ফলাফল দেয়।
কম্পিউটার এমন একটি ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্র যা মেমোরিতে সংরক্ষিত থাকা নির্দেশের নিয়ন্ত্রণে কাজ করে, যা ডেটা গ্রহণ করতে পারে, ডেটাকে সুনির্দিষ্ট নিয়মে প্রক্রিয়াকরণ করতে পারে, ফলাফল তৈরি করতে পারে এবং এই ফলাফলকে ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করতে পারে এবং একাধিক জটিল সমস্যার সমাধান করতে পারে।
কম্পিউটার নানা ধরনের কাজ ধারাবাহিকভাবে করতে পারে। সমস্যা সমাধানের জন্য ব্যবহারকারীর কাছ থেকে নির্দেশ নিয়ে মেমোরিতে সংরক্ষন করতে পারে। কিবোর্ড, মাউস, জয়স্টিক ও ডেস্ক ইত্যাদির সাহায্যে ইনপুট গ্রহণের মাধ্যমে কাজ করে।
ডেটা প্রসেস করতে পারে এবং ব্যবহারকারীর নির্দেশে কম্পিউটার প্রোগ্রাম নির্বাহ করতে পারে। মনিটর, প্রিন্টার ও ডিস্ক ইত্যাদি আউটপুট ডিভাইগুলোর মাধ্যমে কম্পিউটার নির্দেশের ফলাফল প্রকাশ করে এবং প্রয়োজনে ভবিষ্যতের জন্য এই ফলাফল সংরক্ষণ করতে পারে।
আমরা সাধারণত আমাদের ডেস্কে যে কম্পিউটার রাখি তা বাহ্যিক দৃষ্টিতে কয়েকটি ইলেক্ট্রিক্যাল যন্ত্রের সমাহার। আমরা এতে মনিটর, সিপিইউ, স্পিকার, কিবোর্ড ও মাউস ইত্যাদি ছাড়াও আরো নানা ধরনের যন্ত্র দেখতে পাই। এতে মনিটর আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে। স্পিকার ও আউটপুট ডিভাইস হিসেবে কাজ করে।
তবে মাউস কম্পিউটারে নানা ধরনের ইনপুট দিতে ব্যবহার করা। কম্পিটারকে আরো সহজভাবে কন্ট্রোল করতে মাউস একটি গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস।
কিবোর্ড কম্পিউটারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনপুট ডিভাইস।
এটি ছাড়া কম্পিউটারের অনেক কাজই করা অসম্ভব। কম্পিউটারে প্র্যয়োজনীয় ইনপুট দিতে ও টাইপিং করতে কিবোর্ড এর গুরুত্ব অপরিসীম। এছাড়াও সফটওয়্যার ইনস্টলেশনে কীবোর্ড কাজে লাগে যা কম্পিউটারে একান্ত জরুরী একটা বিষয়।
কম্পিউটার বলতে সাধারণত পিসিকেই বোঝায়। এটি অনেক গুলো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রের সমাহার। এর প্রতিটি ডিভাইসের শক্তির উপর নির্ভর করে এটা কতটা শক্তিশালী হবে। এটা ছাড়া আধুনিক ডেকস্টপ কম্পিউটার সাজানো অসম্ভব। পিসি পুর্ণরুপ হচ্ছে পার্সোনাল কম্পিউটার।
কম্পিউটারের মতো জটিল ইলেকট্রনিক সিস্টেমের আসল সার্কিট হলো মাদারবোর্ড। কখনো কখনো এটাকে মেইনবোর্ড বা সিস্টেম বোর্ড বলা হয়। তবে ম্যাকিন্টশ কম্পিউটারে এটাকে লজিকবোর্ড নামে অভিহিত করা হয়। এটার সাহায্যে কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশকে একত্রিত করা হয়।
RAM একটি সংক্ষিপ্ত রুপ যার পুর্ণরুপ Random Access Memory। এটি কম্পিউটারের ডেটা সংরক্ষণের কাজে ব্যাবহৃত হয়ে। এটাকে অনেক সময় ভোলাটাইল মেমোরি বলা হয় কারণ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলে এর সংরক্ষিত তথ্য মুছে যায়।
ROM সংক্ষেপন এর পরিপুর্ণ রুপ হচ্ছে Read Only Memery। কম্পিউটারে প্রয়োজনীয় তথ্য স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করতে বা পুনরায় ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করা হয়। এর তথ্য পরিবর্তন করা যায় না বা করা খুবই কঠিন। এতে তথ্য লেখা যায় ও পড়া যায় এবং প্রয়োজনে মুছে ফেলা যায়। সাধারনত কম্পিউটারে HDD- Hard Disk Drive ব্যবহার করা হয় রম হিসেবে।
উন্নত টেকনোলজিতে রমের আরেকটা রুপ বাজারে এসেছে যার নাম SSD-Solid State Drive। এটি তুলনামূলক ভাবে দ্রুত গতির রম ডিভাইস।
কম্পিউটারে প্রধান হার্ডওয়্যার হিসেবে পরিচিত প্রসেসর। এটিকে মুলত Central Processing Unit বা CPU নামে অভিহিত করা হয়। এটি প্রগ্রামেবল গানিতিক ইঞ্জিন যা সয়ংসম্পুর্ণ। এটি নির্দেশনার মাধ্যমে কম্পিউটারের যাবতীয় অপারেশন নিয়ন্ত্রন ও সম্পাদন করে।
কম্পিউটারের প্রধান যন্ত্রগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এটি পিসির সব যন্ত্রতে প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সরবরাহ করে।
কম্পিউটারের অন্যান্য যন্ত্রাংশের মতো সিডিরম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ ডিভাইস। এটিও কম্পিউটারে সফটওয়্যার ইন্সটলেশনে কাজে লাগে। তাছাড়া ডাটার পুনরায় ব্যবহারে কাজে লাগাতে ব্যবহার করা যায়। এটাতে বিভিন্ন ডিভিডি ডিস্ক এর ডেটা দেখা যায়।
এসব প্রযুক্তি আমাদেরকে নিঃসন্দেহে উন্নতির চরম শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নতির কি লাভ যে উন্নতি স্রষ্টাকে ভুলিয়ে দেয়। আজ হাজারো মুসলিম যুবক নামাজের সময় কম্পিউটার, মোবাইল চেপে সময় পার করছে। যদিও এতে মোবাইল বা কম্পিউটারের দোষ নেই তবুও দোষটা প্রযুক্তির সহজলভ্যতার দিকে যায়।
কতো কতো মানুষ আসক্ত এই কম্পিউটারে তা এখন আর হিসাব করা সম্ভব নয়। আমরা যদি প্রযুক্তির ক্ষতিকর দিকগুলোর ব্যবহার কমাতে না পারি তাহলে আমরা নিজ হাতে পৃথিবী ধ্বংসের সময়কাল কমাবো এতে কোন সন্দেহ নেই।
তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। আশাকরি ভালো লেগেছে। ভালো লাগলে জোসস দিয়ে আমাকে উৎসাহিত করবেন। আর টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট করে আমাকে অবশ্যই জানাবেন। আমার টিউন গুলো সবার আগে দেখতে চাইলে আমাকে ফলো করুন। দেখা হচ্ছে পরবর্তী কোন এক টিউনে। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আসসালামু আলাইকুম।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
টিউনের শিরোনাম টিউনের সাথে প্রাসঙ্গিক, আকর্ষণীয়, ইউনিক, ইউজার এনগেজিং ও Catchy হয়নি।
করণীয়:
টিউনের বর্তমান শিরোনামটি পরিবর্তন করে টিউনের শিরোনাম ও টিউনের থাম্বনেইলের শিরোনাম হিসেবে নিচে উল্লেখিত শিরোনামটি সেট করুন:
‘পৃথিবী বদলে দেওয়া যুগান্তকারী আবিষ্কার, কম্পিউটার এর ইতিহাস’
টেকটিউনস টিউনার হিসেবে গতানুগতিক টিউনের শিরোনাম বা টাইটেল দেওয়া যায় না। টিউনের শিরোনাম অবশ্যই আকর্ষণীয়, ইউনিক ও Catchy টিউনের শিরোনাম বা টাইটেল তৈরি করতে হয়।
আপনার পরবর্তি টিউন গুলোতে যেন এই একই ভুল না হয় সে দিক পূর্ণ সতর্ক থাকুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।
খেয়াল করুন, এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই না করে টিউনে টিউমেন্ট করলে তার নোটিফিশেন ‘টেকটিউনস কন্টেন্ট অপস’ টিম পাবে না। তাই অবশ্যই এই টিউমেন্টের রিপ্লাই বাটনে ক্লিক করে রিপ্লাই করুন।