হ্যালো টিউন পাঠক বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই?আশাকরি ভালোই আছেন। আমি প্রার্থনা করি যে আপনারা সবাই ভালো থাকেন। বরাবরের মতো আজোও আপনাদের জন্য তৈরি করেছি চমৎকার একটি টিউন। সকলের জীবনে সবকিছু মঙ্গল হোক এই দোয়া কামনা করে শুরু করছি আজকের টিউন।
মানুষ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব। কারণ মানুষ তার বুদ্ধিকে ব্যবহার করে সভ্যতার উন্নতি ঘটিয়েছে যুগ যুগ ধরে। তবে দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে এসেছে বিভিন্ন সফলতা। এই সময়ের ব্যবধান পূর্বের তুলনায় বর্তমানে অতি সামান্য হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং সেটি সম্ভব হয়েছে দ্রুত গতির ফলে এবং সভ্যতাকে দ্রুত গতি প্রদান করেছে চাকা বা হুইল। এই কারণে চাকাকে সর্বকালের সেরা যান্ত্রিক আবিষ্কার বলে বিবেচিত করা হয়।
চাকার আবিষ্কার যে আমাদের জীবনে কতখানি পরিবর্তন এনেছে তা আপনারা নিশ্চয় জানেন। প্রযুক্তির এমন কোন জায়গা খুঁজে পাওয়া দায় যেখানে চাকার ব্যবহার নেই। পরিবহণে চাকার অবদানের কথা বোধহয় আমি বলে বোঝাতে পারব না। সাম্প্রতিক কালের যত ইঞ্জিন, জাইরোস্কোপ ও টারবাইন এ সবই চাকারই আরেক রুপ।
বিশেষজ্ঞদের মতে চাকার আবিষ্কারের কারণেই পৃথিবীর অগ্রগতি সামনের দিকে। চাকা আবিষ্কার না হলে আমরা হয়তো আজও কাঁচা মাংস ভোগী, গাছের বাঁকল পরিধান কারী এবং গুহ বাসী সেই আদিম মানুষই রয়ে যেতাম। চাকা আবিষ্কারের পূর্বে গাধা, গরু, ঘোড়ার পিঠে মালামাল বহন করা লাগত।
চাকার আবিষ্কার মানুষের জন্য নিঃসন্দেহে একটি অসাধারণ আবিষ্কার। গতি নামক যে জগত রয়েছে তাতে অমূল পরিবর্তন এনেছে চাকা নামের এই চমৎকার বস্তুটি।
আমি যতদুর ভেবে পাই মানুষের যাতায়াত করতে পায়ে হাটা অথবা পশুর পিঠে চড়ে যাতায়ত করা ছাড়া আর তৃতীয় কোন উপায় ছিলো না প্রাচীন কালে। আর ভারী কোনো কিছু বহন করতে মানুষের কষ্টের হয়তো শেষ ছিলো না।
এক্ষেত্রেও আমি দুটো উপায় দেখতে পাই, তা হলো ভারী বস্তুটিকে রশি দিয়ে বেধে সবাই মিলে টানতো না হয় পশুর পিঠে চড়িয়ে পরিবহণ করত। এছাড়া আর কোনো উপায় ছিল বলে আমার মনে হয় না।
অনেক বিশেষজ্ঞের বলে যে, ৫০০০ খ্রিস্টপূর্ব সময়কালে প্রচীন মেসো পটেমিয়াতে চাকা আবিষ্কৃত হয়। শুরুতে মাটির হাড়ি পাতিল বানায় যারা তাদের কাছে এটির ব্যবহার ছিলো।
কোথায় যেন পড়েছি ককেশাস নামক একটা জায়গা ছিলো সেই জায়গার উত্তর দিকে বেশ কিছু কবর পাওয়া গেছে। যেখানে ঠেলাগাড়িতে করে মৃতদেহ কবর দেয়া হয়েছে আনুমানিক ৩৭০০ খ্রীস্টপূর্ব সময়কালে।
প্রাচীন একটা মাটির পাত্রে একটা চার চাকা ওয়ালা গাড়ির ছবি পাওয়া গেছে দক্ষিন পোলান্ডে। পরে বিশেষজ্ঞরা পাতিলের বয়স নির্ধারণ করে ৩৫০০ খ্রিস্টপূর্ব। বিশেষজ্ঞরা এটিকে এ পর্যন্ত পাওয়া চাকাযুক্ত গাড়ির ছবির সবচেয়ে প্রাচীন নিদর্শন বলে মনে করে।
খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ সময়কালে ইউরোপ ও পশ্চিম এশিয়াতে চাকার ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে। যখন চাকাযুক্ত গাড়ির প্রচলন হয় তখন চীনে চাকা ব্যবহার দেখা যায় এবং এ সময়কালটা ছিলো খ্রীস্টপূর্ব ১২০০ অব্দ। ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু সভ্যতায় চাকার ব্যবহার ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দের দিকে।
এই সময়ে সাধারনত দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার চাকার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায় নি। তবে অন্যান্য কিছু আমেরিকার নিদর্শনের মধ্যে যেমন খেলনা গাড়িতে চাকা পাওয়া গেছে বলে ধারণা করে বিশেষজ্ঞরা।
আনুমানিক ১৫০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে এসব খেলনা গাড়িতে চাকার ব্যবহার থাকলেও আমেরিকার সভ্যতার নিদর্শন গুলোতে যেমন যানবাহনের যন্ত্রাংশ হিসেবে চাকার প্রচলন ছিল না।
পানি উত্তোলনে চাকার ব্যবহার হতো এবং মাটির হাড়ি ও পাত্র তৈরীতে চাকার ব্যবহার হতো প্রাচীন নুবিয়াতে।
সাধারণত গবাদিপশুর সাহায্য নিয়ে পানি উত্তোলনে ব্যবহৃত চাকাগুলো ঘুরানো হতো। শোনা যায় পরে নুবিয়ার প্রভাবশালী লোকেরা মিশর থেকে আনা অশ্বচালিত রথগুলোতে চাকার ব্যবহার করতো।
চাকা সভ্যতার বিকাশে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটে রাস্তা সম্পর্কে তাদের কোন ধারণা না থাকায়।
সাধারণত যেসব এলাকায় রাস্তা ছিলনা অর্থাৎ অসমতল ভূমির উপর দিয়ে চলাফেরা করতে হতো সেসব এলাকায় চাকাযুক্ত যানবাহনের পরিবর্তে পশু অথবা মানুষের পিঠে করে পন্য বহন করতো।
বিংশ শতকের আগ পর্যন্ত বিশ্বের নিম্নমানের এলাকা গুলোতে ভাল রাস্তা ঘাটের অভাবে চাকাযুক্ত গাড়ির ব্যবহার কম ছিল।
এই সময়ে চাকা নির্মাণ করতো কাঠ দিয়ে। কাঠের চাকতি কেন্দ্রে দণ্ডের জন্য একটি গর্ত করা হতো।
স্পোকযুক্ত চাকা অনেক পরে আবিষ্কৃত হয়। এই রকমের চাকার ব্যবহারের ফল্র গাড়ির ওজন কমিয়ে যায়, যার ফলে দ্রুত গতির বাহন তৈরিতে মানব জাতি সফল হয়।
আনুমানিক ২০০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে আন্দ্রোনভ সংস্কৃতিতে স্প্রোকযুক্ত চাকার ব্যবহার শুরু হয়। এর কয়েকদিন পরেই ককেশাস এলাকার মানুষেরা ঘোড়া চালিত গাড়িত স্প্রোকযুক্ত চাকা ব্যবহার করে। যুদ্ধে ব্যবহৃত রথে তারা এ ধরনের চাকাকে কাজে লাগাতো।
এই সময়কাল থেকে স্প্রোকযুক্ত চাকার ব্যবহার গ্রিক উপদ্বীপে বেশি দেখা যায়। গ্রীক সভ্যতার নিদর্শনের বিকাশ হয় চাকা যুক্ত যানবাহনের ফলেই। খ্রিষ্টপূর্ব প্রথম সহস্রাব্দ সময়কালে কেল্টিকদের রথগুলোতে একধরনের চাকা ব্যবহার করা হতো, যার পরিধিতে লোহার বেস্টনি থাকতো।
চাকা মজবুত এবং দীর্ঘস্থায়ী করতে তারা এমনটা করত। স্প্রোকযুক্ত চাকা অপরিবর্তিত ভাবে প্রায় ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কাল পর্যন্ত ব্যবহার হয়ে আসে। তারপরে শোনা যায়, ১৮৭০ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে চাকায় নিউম্যাটিক টায়ার লাগানো শুরু হয়।
চাকা বৃত্তাকার পরিধির মতো দেখতে এক প্রকার যন্ত্র যা বলের প্রভাবে কোনো বস্তুকে তলের ওপর দিয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে সহজেই এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।
চাকার মাঝখানে একপ্রকার দন্ড লাগানো থাকে একে অক্ষদন্ড বলে। এখানে অক্ষদণ্ডটি নিজেই গাড়ির সাপেক্ষে চাকা সহ ঘুরে বা শুধুমাত্র চাকাটি ঘুরে এবং এই কারনেই গাড়ি চলতে শুরু করে।
১. অনেক সহজে পণ্য স্থানান্তর করতে চাকা সহ গাড়ির বিকল্প খুঁজে পাওয়া যাবে না সহজে।
২. প্রযুক্তির তৈরি অধিকাংশ যন্ত্রের চাকার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
৩.অধিকাংশ ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতিতে চাক ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
৪. চাকার ঘর্ষণের পরিমাণ কম হয়ওয়ায় আমাদের যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতি ঘটেছে।
কিছুদিন পর ঘুর্ণনের ঘর্ষণ হ্রাসের জন্য চাকায় বিয়ারিং ব্যবহার করা শুরু হয়। সবচেয়ে প্রাচীন ও সরলতম বিয়ারিং এর কথা বলা হলে এরকম একটা বিয়ারিং এর কথা বলা যায় যে, একটা চাকার অক্ষদন্ডকে একটি গর্তে প্রবেশ করিয়ে বিয়ারিং এর কাজ করানো।
চাকা আবিষ্কার মানব সভ্যতার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। চাকার তৈরি হয় খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ সময়কালে। একটি যুগান্তকারী ঘটনার কথা বলতে বললে চাকা আবিষ্কারের কথা বলা যায়। ইতিহাস থেকে যা জানা যায় তা হলো ৫০০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে প্রাচীন মেসোপটেমিয়া নামক এক জায়গায় চাকার আবিষ্কার হয়।
আমি নিশ্চিত ভাবে বলতে পারি চাকা কি জিনিস এটা আপনাদের কে বোঝানোর প্রয়োজন হবে না। প্রায় সব ধরনের মানুষই জানে চাকা হচ্ছে যানবাহনে ব্যবহার করে এক ধরনের গোলাকার যন্ত্রাংশ। বিভিন্ন ধরনের পণ্য এবং যানবাহন নিজে অবস্থান পরিবর্তনের জন্য চাকার ব্যবহার করে। আর বর্তমানের কথা বলতে গেলে শুধু যানবাহনের কথাই নয় আরও বিভিন্ন রকমের যন্ত্র আছে যেগুলোতে চাকার ব্যবহার রয়েছে।
তবে আমি মনে করি অনেকেই জানেনা যে, চাকা এমন একটি আবিষ্কার যা মানব সভ্যতার পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
চাকা আবিষ্কারের ফলে গতি নামক জগতটি পেয়েছে নতুন কিছু। এগিয়েছে আমাদের সভ্যতা। তাই বলা যায় চাকা আবিষ্কার মানব সভ্যতার এক অমূল্য প্রাপ্তি।
এক সময় মানুষের পণ্য বা ভারী কোনো বস্তু পরিবহন করতে বেশ কষ্ট হতো। এই কষ্টের কারনেই তারা একসময় খেয়াল করে ভারী বস্তু হলেও গাছের গুড়ি বা গোলাকার জাতীয় কোন বস্তু পরিবহন করতে ততটা কষ্ট হয় না যতটা অনিয়মিত আকারের বস্তুর পরিবহন করতে হয়।
আজ থেকে প্রায় ১৫ হাজার বছর আগে প্যালিওলিথিক যুগের মানুষ প্রথমবারের মত এ ধরনের বিষয় খেয়াল করে।
তবে এই ধারণা থেকেই যে মানুষ চাকা আবিষ্কার করেছিলো তার কোন মজবুত প্রমাণ ও নেই। সুবিধা যোগ্য চাকা পেতে হয়তো মানুষকে অপেক্ষা করতে হয়েছিল হাজার হাজার বছর থেকেও বেশি। ৭০০০ বছর আগে মেসোপোটেমিয়া ব্যবহারযোগ্য চাকা আবিষ্কার হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে শুরুর দিকে শুধুমাত্র কুমোরেরা এক ধরনের চাকার ব্যবহার করতো মাটির জিনিসপত্র তৈরি করতে।
পণ্য কিংবা মালামাল পরিবহনের জন্য অথবা যোগাযোগের জন্য চাকাকে গাড়ির সাথে লাগিয়ে কাজ করার ধারণা আসে আরও পর থেকে আনুমানিক ১৫০০-২০০০ বছর পরে। ৩২০০ খ্রিষ্টপূর্ব সময়কালে প্রাচীন স্লোভেনিয়ায় সবচেয়ে পুরাতন কাঠের চাকা পাওয়া যায়। এই সময়েই এশিয়ার পশ্চিমাঞ্চল এবং ইউরোপ অঞ্চলে চাকার ব্যবহার ছড়িয়ে পড়ে।
প্রথমদিকে গাছের মোটা গুড়ি কেটে মাঝখানে গর্ত করে চাকা তৈরি করা হতো।
এই কাঠের চাকার ওপর লোহার বেস্টনী দিলে চাকাটি আরও মজবুত এবং স্থায়ী হয়। এই ধারণাটি মানুষের মাথায় আসতে অনেক সময় লাগে। খ্রিষ্টপূর্ব ১০০০ সময়কালে কেলটরা নতুন একধরনের চাকা আবিষ্কার করে। এটা বেশ কিছুদিন আমাদের দেশে গরুর গাড়িগুলোতে দেখা যেত।
এরপরে বেশ কিছু সময় কাল চাকার আর কোনো পরিবর্তন সাধিত হয়নি। সময়কালটা আনুমানিক ২৮০০ বছর ছিলো। চাকা আবিষ্কারের ইতিহাসে অন্যতম পরিবর্তন আনেন জর্জ ক্যালি। তিনি ১৮০৮ সালে উড়োজাহাজ আবিষ্কারের অন্তরালের একটি কাজ করেন। আর তা হলো চাকার অক্ষ আর চাকার রিমকে শক্ত তার বা স্প্রোক এর মাধ্যমে জুড়ে দিলেন। ফলে চাকার কার্যকারিতা বেরে গেলো।
কিছুকাল পরেই বাইসাইকেলে এই চাকার ব্যবহার শুরু হয়। আর বর্তমানে মোটর সাইকেলসহ আরও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে এ ধরনের চাকার ব্যবহার দেখা যায়।
এরপর চাকার জগতে বৈচিত্র বেশি সময় লাগে না। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের যানবাহনে চাকার অক্ষের সাথে চাকার রিং এর সংযুক্ততা তোবথাকছেই। এছাড়াও থাকছে টায়ার, টিউব এবং টিউবের ভিতরে বিপুল পরিমাণ বাতাস ভর্তি। বর্তমান বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। এই চাকার টায়ার বিভিন্ন ধরনের সিন্থেটিক রাবার দিয়ে তৈরি করা হয়।
চাকাকে অধিক কার্যকরী করতে চাকার রিম এবং টায়ারের মধ্যে রাবারের তৈরি বায়ু ভর্তি এক ধরনের টিউব ব্যবহার করা হয়। মাইলের পর মাইল পথ মানুষকে পাড়ি দিতে হতো হেঁটে হেঁটে। কারণ চাকা আবিষ্কারের আগে যানবাহন আবিষ্কার তো হয় নাই।
মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল বা পণ্য স্থানান্তরের জন্য নিজের মাথায় করে বা কাঁধে করে বা ঘোড়া বা ঘোড়ার গাড়ি, গাধা এবং গরুর গাড়ি অথবা বিভিন্ন ধরনের পশু ব্যবহার করত।
এভাবে মালামাল পরিবহনের যদিও বহুৎ কষ্ট হতো। এটা বড় কথা না বড় কথা হচ্ছে এভাবে মালামাল পরিবহনে সময়ের অনেক প্রয়োজন হতো। চাকা আবিষ্কারের পরে সমস্যার সমাধানের প্রথম সূচনা হয়। তারপরে মানুষ চাকার উপর ভিত্তি করে তৈরি করতে থাকে নানা ধরনের যানবাহন এবং মানুষের যোগাযোগ হয়ে ওঠে সহজ থেকে সহজতর। পণ্য পরিবহনে থাকে না আর কোন সমস্যা।
তবে কোথায় কিভাবে চাকার আবিষ্কার হয় তার কোনো স্পষ্ট ধারণা বিশেষজ্ঞদের হাতে নেই। বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশই মনে করেন, ঈশা (আ) জন্মের ৫০০০ বছর পুর্বে অর্থাৎ আজ থেকে ৭০০০ বছরেরও অনেক আগে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায় চাকা আবিষ্কৃত হয়। অঞ্চলের প্রাচীন এক সভ্যতার নাম মেসোপটেমিয়া।
কাঠ দ্বারা তৈরি চাকার বিভিন্ন সমস্যা যেমন দ্রুত ক্ষয় হয়ে যাওয়া, ভেঙ্গে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে পরবর্তীতে মানুষ চাকার ওপর লোহার বেড়ি পরিয়ে দেয়। এভাবেই নানা সমস্যার সৃষ্টির মাধ্যমে চাকার সভ্যতায় বৈচিত্র আসে।
বর্তমানে শুধু যানবাহনে নয় আরো অনেক যন্ত্রের চাকার ব্যবহার রয়েছে। যেমন- ভারী জিনিস তোলার কপিকল, সুতা কাটার চরকা এবং গিয়ার ইত্যাদি।
ইরানের জাদুঘরে স্প্রোক যুক্ত একটি চাকা রয়েছে যা তৈরি করা হয়েছে ঈসা (আ) এর জন্মের দুই হাজার বছর পূর্বে।
সুত্রঃ আবিষ্কার নিয়ে নানা ধরনের আর্টিকেল।
এই ছিল আজকের চমৎকার টিউন। আপনাদের সামান্য ভালো লাগার কারণ এই টিউনটি হয়ে থাকলে একটি জোসস দিতে ভুলবেন না। টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট এ জানাতে দ্বিধা করবেন না। এতক্ষণ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমার টিউনটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।