হ্যালো বন্ধুরা, কেমন যাচ্ছে আপনাদের দিন গুলো? আশাকরি ভালোই যাচ্ছে বা আগামী দিনগুলো ভালোই যাবে ইনশাআল্লাহ। প্রতিদিনের মতো আজও আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি সুন্দর একটি শিক্ষনীয় টিউন। সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আজকের টিউন।
প্রযুক্তির এই যুগে গ্লোবাল ভিলেজ শব্দটির সাথে অনেকেই হয়তো পরিচিত আবার অনেকেই অপরিচিতও বটে। গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি এই ছোট টিউনটি নিয়ে।
তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কারণে আমরা করতে পারছি আমাদের জীবনটাকে আরো বিলাসবহুল। দিন দিন আমাদের জীবনযাপন হচ্ছে সহজ থেকে সহজতর।
কিছু বিশেষজ্ঞ ধারণা করছে যে, ইন্টারনেট এবং তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন প্রোডাক্টের সেবায় পৃথিবীর সকল মানুষ এমন ভাবে জীবন যাপন করবে যেন তারা ভাবে যে তারা একটি একক গ্রাম বা একক সমাজে বসবাস করছে এবং তারা পৃথিবীর যতটা দুরত্বেই থাক না কেন একে অপরের সেবায় নিয়োজিত হবে। প্রযুক্তিগত এই ধারণাকে গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্বগ্রাম বলে।
গ্লোবাল ভিলেজ শব্দটি সর্বপ্রথম ব্যবহার করেন যিনি তার নাম হচ্ছে মার্শাল ম্যাকলুহান। তিনি কানাডার টরেন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক। তার মতে পৃথিবী কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক নার্ভাস সিস্টেম এর সাহায্যে যুক্ত হয়ে বিশ্বগ্রামের রূপান্তরিত হয়েছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান উন্নতির ফলে সময় ও দূরত্ব সংকুচিত হয়ে সমস্ত পৃথিবী ক্রমশ ছোট হয়ে একটি গ্রামের দিকে ধাবিত হচ্ছে। গ্লোবাল ভিলেজ এমন একটি শব্দ যেখানে গোটা পৃথিবীটাকে একটি গ্রাম হিসেবে কল্পনা করা যায়।
পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই গ্রাম রয়েছে। একটি গ্রামের সকল মানুষ যেমন খুব সহজে তাদের বিভিন্ন দৈনন্দিন প্রয়োজনে একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে পারে ঠিক তেমনি এখন পৃথিবীর সকল মানুষ খুব সহজেই প্রযুক্তির সেবার ফলে একে অন্যের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রধাণ লক্ষ্য হচ্ছে এমন একটি পৃথিবী তৈরি করা যেখানে যেকোন ব্যক্তি বিশ্বের যেকোন স্থানে যেকোনো সময় প্রযুক্তি ব্যবহার করে তথ্য দেয়া- নেয়া করতে পারে।
পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যোগাযোগের জন্য বাস্তবে অনেক দূরত্ব থাকলেও ইন্টারনেট সেই দূরত্বকে একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। এতে করে মানুষের মাঝে সামাজিক দায়িত্ববোধ বাড়ছে।
১. সারা পৃথিবী মানুষের মুঠোয় এসেছে।
২. মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নত হয়েছে।
৩. মানুষের কাজের দক্ষতা এবং গতি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
৪. ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে এবং লেনদেন সহজ ও দ্রুততর হচ্ছে।
৫.কেউ অসুস্থ হলে ঘরে বসেই সহজে চিকিৎসা সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে।
৬. ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
৭. সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছবি ভিডিও অডিও তথ্যাদি শেয়ার করা সহজ হচ্ছে এবং এর মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী পরিচিতি ও যোগাযোগ করা যাচ্ছে।
৮.সকল ধরনের ব্যবস্থাপনার খরচ কমে আসছে।
৯. গবেষণার উপাত্ত ও তথ্যপ্রাপ্তি সহজতর হচ্ছে এবং সহজেই বিভিন্ন গবেষণার ফলাফল জানা যাচ্ছে।
১. ইন্টারনেট প্রযুক্তির ফলে অনেক ক্ষেত্রে তথ্যের গোপনীয়তা বজায় থাকছে না অর্থাৎ তথ্য চুরি হয়ে যাচ্ছে।
২. সাইবার আক্রমণ বাড়ছে। ই-বিজনেস, ই-কমার্স, ই-ব্যাংকিং ইত্যাদি হুমকির মুখে পড়ছে।
৩. ইন্টারনেটের ফলে বিভিন্ন ধরনের তথ্য যেমন পর্নোগ্রাফি সহজলভ্য হয়ে যাওয়ায় যুব সমাজে সামাজিক অবক্ষয় সৃষ্টি হচ্ছে।
৪. ডিজিটাল ডিভাইস দ্রুত বাড়ছে ফলে প্রযুক্তিগতভাবে অদক্ষ জনগণ কর্মহীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
৫. সহজেই গুজব ও সত্য বা মিথ্যা এবং বানোয়াট সংবাদ ছড়িয়ে সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মাধ্যমে দাঙ্গা ফ্যাসাদ তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।
১.হার্ডওয়্যার (Hardware)
২.সফটওয়্যার (Software)
৩.কানেক্টিভিটি (Connectivity)
৪.ডেটা (Data) এবং
৫.মানুষের সক্ষমতা (Capacity)।
পরিশেষে একটা কথাই বলতে চাই যে, প্রযুক্তির বিকাশের ফলে যেমন বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধরনের অসুবিধা বা কিছু নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে। নেতিবাচক প্রভাব গুলো থেকে আমরা সবাই বেঁচে থাকার চেষ্টা করব।
তো বন্ধুরা, এই ছিল আজকের টিউন। যদি আপনার সামান্য ভালো লাগার কারণ এই টিউনটি হয়ে থাকে তবে একটি জোসস দিতে সময় নিবেন না। আর টিউন সম্পর্কে কোন মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট করতে দ্বিধা করবেন না। এতক্ষন পর্যন্ত আমার টিউনটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।