হ্যালো টিউটার বন্ধুরা, কেমন আছেন সবাই? আশাকরি আল্লাহ তাআলা আপনাদেরকে ভালোই রেখেছেন। বরাবরের মতো আজ ও আমি নিয়ে এসেছি আপনাদের জন্য একটি টিউন।
তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে আপনারা যারা স্মার্ট ফোন ইউজার তারা নিশ্চয়ই হ্যাঁকিং বা হ্যাকার শব্দটির সাথে পরিচিত।
তো বন্ধুরা আজকে এই টিউনের মাধ্যমে আপনারা হ্যাকিং কি? হ্যাকার কাকে বলে এবং হ্যাকার এর প্রকারভেদ কি কি? এইসব বিষয় সম্পর্কে স্পষ্ট ভাবে জেনে নিন। তো বন্ধুরা আজে বাজে কথা না বলে মূল কথায় যাওয়া যাক।
সাধারণত কম্পিউটারকে মোহচ্ছন্ন করে পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়া অথাবা অনুমতি ছাড়াই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোন কম্পিউটারে প্রবেশ করে কম্পিউটার ব্যবহার করা এবং তথ্য চুরি বা ক্ষতিসাধন করাকে হ্যাকিং বলে।
সাধারণত যে সকল ব্যক্তিরা হ্যাকিং করে তাকে হ্যাকার বলে।
হ্যাকিং হতে পারে বৈধ অথবা অবৈধ। হ্যাকিংয়ের বৈধ ও অবৈধতার উপর ভিত্তি করে হ্যাকারকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
অধিকাংশ বড় বড় প্রতিষ্ঠান তাদের সিস্টেমের নিরাপত্তারপরীক্ষা করার জন্য হ্যাকার নিযুক্ত করে। এই নিয়োগ প্রাপ্ত হ্যাকারদের কাজকে বৈধ হ্যাকিং বলে। এরা সিস্টেমের নিরাপত্তা চেক করে তবে সাধারণত সিস্টেমের কোনো ক্ষতি করে না। যেমন- Unix সিস্টেম এর নিরাপত্তা চেক করার জন্য অনেক বৈধ হ্যাকার রয়েছে। এদেরকে হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার বলা হয়।
অবৈধভাবে যারা হ্যাকিং করে তাদেরকে ক্রেকারও বলে। অবৈধ হ্যাকাররা ইন্টারনেট এবং অন্যান্য নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ডেটা চুরি অথবা নষ্ট করে দেয়। এদের কাছে সাধারণত বেশ কিছু টেকনিক থাকে যা ব্যবহার করে এরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সফটওয়্যার সিস্টেমের দুর্বলতা খুঁজে খুঁজে বের করে এবং পাসওয়ার্ড জেনে ফেলে সহজেই ক্ষতিসাধন করতে পারে। এদেরকে ব্লাক হ্যাট হ্যাকার বলে।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ও ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার এর মাঝামাঝি একদল হ্যাকার রয়েছে যারা নেটওয়ার্কের দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে এবং তা যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানায় এবং দুর্বল দিকগুলো ঠিক করার মাধ্যমে নেটওয়ার্ক সুরক্ষার জন্য কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। এদেরকে গ্রে হ্যাট হ্যাকার বলে।
হ্যাকিং অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বিভিন্ন কোর্ট এই ধরনের নেটওয়ার্কে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হয়।
কারণ হ্যাকাররা ওয়েব সার্ভারে বিনা অনুমতিতে প্রবেশ করতে পারে অথবা নেটওয়ার্কের চুরি করতে পারে। হ্যাকাররা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে দূরবর্তী বা রিমোর্ট কম্পিউটারের বিভিন্ন প্রোগ্রামে রান করায়।
হ্যাকাররা ট্যাবলেট নামক টুলস এর মাধ্যমে দূরবর্তী বা রিমোর্ট কম্পিউটারে যুক্ত হয়ে ডেটা পরতে পারে। যা এক ধরনের অপরাধ। এই ধরনের ক্রাইম সচরাচর সবসময় হতে দেখা যায়। এদের হাত থেকে ডেটাকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এনক্রিপশন টেকনোলজি ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করা হয়।
প্রিয় টিউডার বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। ভালো লাগলে একটা জোসস দিয়ে দিবেন অবশ্যই। মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট জানাতে দ্বিধা করবেন না।
এতক্ষন এই টিউনটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।
প্রিয় ট্রাসটেড টিউনার,
আপনার টিউনটি ‘টেকটিউনস ক্যাশ’ এর জন্য প্রসেস হতে পারছে না।
কারণ:
টিউনে ওয়াটারমার্ক যুক্ত ইমেইজ যোগ করা হয়েছে। টেকটিউনস টিউনে কোন ধরনের ওয়াটারমার্ক যুক্ত ইমেইজ যোগ করা যায় না।
করনীয়:
‘টেকটিউনস কপিরাইট ম্যাটেরিয়াল গাইডলাইন’ অনুযায়ী টিউনে হাই-রেজুলেশনের ওয়াটারমার্ক মুক্ত ইমেইজ যোগ করুন। সেই সাথে হাই-কোয়ালিটি, টিউনের সঙ্গে প্রাসঙ্গিক, Copyright Free ও Royalty-Free ইমেইজ Full Size এ যোগ করুন।
উপরের নির্দেশিত সংশোধন করে এই টিউমেন্টের রিপ্লাই দিন।