ডেটা সিকিউরিটিতে কোড এর অবদান ডেটা এনক্রিপ্টশন ও সিজার কোড কী?

প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 7
২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা

আশাকরি সবাই ভালোই আছেন। আজ আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ডেটা সিকিউরিটিতে কোড এর অবদান সম্পর্কে ছোট্ট একটি টিউন। আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।

আমাদের অনেক সময় গোপনীয় ডেটা পাবলিক পথ দ্বারা স্থানান্তর করতে হয়। তখন আমরা কিভাবে ডেটা স্থানান্তর করবো এ সম্পর্কেই আজকের টিউন। চলুন শুরু করা যাক।

ডেটা এনক্রিপশনঃ

এনক্রিপশন হলো মেসেজ, ডেটা বা তথ্যকে এনকোড করার এমন একটি বিশেষ প্রক্রিয়া যাতে অনুমোদনহীন কেউ পড়তে বা বুঝতে না পারে।

এর ফলে অনুমোদনহীন দের কাছে মেসেজ বা ডেটা বা তথ্য দুর্বোধ্য হয়ে থাকে। কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের পাবলিক পথ দ্বারা যে সকল গোপনীয় ডেটা স্থানান্তরিত হয় তাদেরকে সাধারণত বিশেষ কোডের মাধ্যমে এনক্রিপ্ট করে প্রেরণ করা হয়। অর্থাৎ ডেটার গোপনীয়তা রক্ষা বা সিকিউরিটির জন্য ডেটাকে এনক্রিপ্ট করা হয়।

ফলে ঐ ডেটাকে অন্য কোন অনির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করতে পারেনা।

উৎস বা প্রেরক ডেটাকে এনক্রিপ্ট করলে প্রাপক বা গন্তব্য এনক্রিপটেড ডেটাকে ব্যবহারের পূর্বে ডিক্রিপ্ট করে। প্রেরককে এনক্রিপ্ট করার নিয়ম এবং প্রাপককে ডিক্রিপ্ট করার নিয়ম জানতে হয়। এনক্রিপটেড ডেটাকে একই পদ্ধতি বা আলগরিদম ব্যবহার করে ডিক্রিপ্ট করে অরিজিনাল ম্যাসেজ এ পরিবর্তন করা হয়। উদাহরণ স্বরুপ সিজার কোড এর কথা বলা যেতে পারে।

সিজার কোডঃ

সিজার কোড ইংরেজি বর্ণ নিয়ে গঠিত।

ডেটা এনক্রিপ্টের এ পদ্ধতিতে কোন অক্ষরকে তার পরবর্তী ৩য় অক্ষর দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।

যেমন- A এর পরিবর্তে D, B এর পরিবর্তে E, C এর পরিবর্তে F, Y এর পরিবর্তে B এবং Z এর পরিবর্তে C ইত্যাদি। এখানে আবার প্রথম থেকে বর্ণ নিতে হয়।

উৎকৃষ্ট একটা উদাহরণ দিতে চাইলে এটা বলা যেতে পারে যে আমার নাম TANZIN PRODHAN এর সিজার কোড হলো WAQCLQ SURGKPQ।

এনক্রিপশন পদ্ধতির মূল চারটি অংশ থাকে। যথা-

  1. প্লেইনটেক্সট (Plaintext): এনক্রিপ্ট করার পুর্বের ম্যাসেজ যা মানুষের পাঠযোগ্য রুপে থাকে।
  2. সাইফারটেক্সট (Ciphertext): এনক্রিপ্ট করার পরের ম্যাসেজ যা মানুষের পাঠযোগ্য রুপে থাকে না।
  3. এনক্রিপশন অ্যালগরিদম (Encryption Algorithm): গাণিতিক ফর্মুলা যা প্লেইনটেক্সট থেকে সাইফারটেক্সটয়ে এনক্রিপ্ট করার জন্য বা সাইফারটেক্সট থেকে প্লেইনটেক্সটয়ে ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজন।
  4. কী (Key): গোপন কোড যা এনক্রিপ্ট বা ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজন।

এনক্রিপশনের মূল লক্ষ্য হলো হ্যাকাররা নেটওয়ার্কের মধ্যে থেকে কোন ডেটার কপি নিলে তখন এটি পাঠ করা যাতে দুঃসাধ্য হয়।

সে জন্য অবশ্য উপযুক্ত এনক্রিপশন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে। এনক্রিপটেড ডেটাকে পড়ার জন্য গন্তব্য স্থানে অবশ্যই ডিক্রিপশন করতে হয়। সে ক্ষেত্রে গন্তব্যস্থানে অবশ্যই ডিক্রিপশন কি থাকে।

সাধারণত দুই ধরনের এনক্রিপশন বর্তমানে দেখা যায়। যথা -

  1. গোপন কি এনক্রিপশন (Secret Key Encryption): এখানে সাধারণত প্রেরক এর স্থান হতে এনক্রিপশনে এবং গন্তব্য ডিক্রিপশনে একটি কমন বা শেয়ার্ড কি ব্যবহার করা হয়।
  2. পাবলিক কি এনক্রিপশন (Public Key Encryption): যখন কেউ একটি মেসেজ এনক্রিপশন করতে চায় তখন সে একটি এনক্রিপশন কি ব্যবহার করে এবং যে মেসেজ গ্রহণ করবে সেও অন্য একটি কী ব্যবহার করে এটিকে ডিক্রিপ্ট করবে।

ডেটা এনক্রিপ্ট করার বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি প্রচলিত আছে। যথা-

  1. সিজার কোড (Caesar Code)
  2. ডেটা এনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড (Data Encryption Standard-DES)
  3. ইন্টারন্যাশনাল ডেটা এনক্রিপশন অ্যালগরিদম(International Data Encryption Algorithms-IDEA)

সিজার কোড রোমান সম্রাট জুলিয়াস সিজারের যুগ থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আমেরিকান National Bureau of Standards (NBS) কর্তৃক আবিষ্কৃত ডেটা এনক্রিপশন স্ট্যান্ডার্ড বহুল ব্যবহৃত এনক্রিপশন পদ্ধতি।

তো বন্ধুরা এই ছিলো আজকের টিউন। ভালো লাগলে জোসস 👍 দিতে ভুলবেন না। মন্তব্য থাকলে টিউমেন্ট 🖌️ এ জানতে ভুলবেন না। এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

Level 7

আমি মো তানজিন প্রধান। ২য় বর্ষ, বগুড়া আজিজুল হক কলেজ, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 91 টি টিউন ও 65 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 24 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো হারিয়ে যাই চিন্তার আসরে, কখনোবা ভালোবাসি শিখতে, কখনোবা ভালোবাসি শিখাতে, হয়তো চিন্তাগুলো একদিন হারিয়ে যাবে ব্যাস্ততার ভীরে। তারপর ব্যাস্ততার ঘোর নিয়েই একদিন চলে যাব কবরে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস